কৃষক
শরীয়তপুরে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা!
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় নাওডোবা ইউনিয়নে দাউদ খান নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাধীন পশ্চিম নাওডোবা এলাকার মেছের মুন্সী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহত দাউদ খান মেছের মুন্সী কান্দি গ্রামের মৃত ইসমাইল খানের ছেলে।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী মৃত নুরুল ইসলাম মাতবরের ছেলে মোজাম্মেল মাতবরের পরিবারের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল দাউদ খানের পরিবারের।
যার ফলে স্থানীয়রা সন্দেহ করে মোজাম্মেল মাতবরকে অভিযুক্ত হিসেবে আটক করে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
নাওডোবা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি সকালে শুনেছি।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামতসহ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ২ ভাই আটক
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি স্থানীয়দের হাত থেকে মোজাম্মেল মাতবরকে উদ্ধার করে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি।
ওসি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষকের মৃত্যু
কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে আব্দুস সালাম (৪৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের ঈদগাঁও উপজেলার নাপিতখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
নিহত আব্দুস সাত্তার ইসলামপুর জুমনগর এলাকর বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, সাত্তার ইসলামপুর জুমনগর থেকে কৃষি কাজের উদ্দেশে ইসলামাবাদে যাওয়ার পথে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৯
বাকৃবি অধ্যাপক আব্দুল কাফির মৃত্যু, বগুড়ায় দাফন
চট্টগ্রামে বন্যা কবলিত কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করল এফএও
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং ২৩টি উপজেলার ৩৩ হাজার ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে চাল ও সবজির প্যাকেজ বিতরণ করেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিভাগে বন্যাকবলিত পরিবারগুলোতে এসব কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ উইং এর যুগ্ম সচিব এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কৃষি বিভাগ ও স্থানীয়রা।
গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে ভয়াবহ যে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে এফএও। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নে এসব সহায়তা বিতরণ করা হয়।
জাতিসংঘের সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড এবং স্পেশাল ফান্ড ফর ইমার্জেন্সি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটশনের আর্থিক সহায়তায় এফএও পার্বত্য চট্টগ্রামের চারটি জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের ২৩টি উপজেলাতে ৩৩ হাজার ক্ষুদ্র কৃষকের মধ্যে ধান ও সবজি প্যাকেজ বিতরণ করছে।
এসব সহায়তার মধ্যে রয়েছে ধানের বীজ, ১২ ধরনের সবজির বীজ, সার, কোদাল, পানির ঝাঁঝরি এবং বীজ/ধান সংরক্ষণের সাইলো বা ড্রাম।
শনিবার চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া ও বান্দরবান জেলার সদর উপজেলায় বন্যা দুর্গত কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র কৃষকদের সহায়তায় দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য এফএও-কে ধন্যবাদ জানান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, সংকটের সময়ে সহযোগিতাই মুখ্য। আজকের বিতরণ সংকটকালীন সময় থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে এবং আমাদের কৃষক সম্প্রদায়ের
দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এফএও বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিপ্রেসেন্টেটিভ (প্রোগ্রাম) এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর আহাম্মদ খোন্দকার বলেন, ‘এফএও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য নিবেদিত। এই অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের উপস্থিতি সম্মিলিত পদক্ষেপের গুরুত্বকে বোঝায়। ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে এফএও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলাসহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জীবিকা পুনরুদ্ধার এবং দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিত করা এই বিতরণের প্রধান উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানটি সরকার, এফএও এবং কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি প্রদর্শন করে।
চট্টগ্রামে বন্য হাতির হামলায় কৃষকের মৃত্যু
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বন্যহাতির হামলায় সাহেব মিয়া (৭০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়ার পূর্ব পাশে ভাদুইল্লার ডুরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সাপের কামড়ে ২ কৃষকের মৃত্যু
নিহত কৃষক সাহাব মিয়া উপজেলার আধুনগর সিকদার পাড়া এলাকার মৃত সোলতান আহমদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সাহেব মিয়া পেশায় একজন কৃষক। নিজের পানের বরজে কাজ করার সময় বন্যহাতির পাল তার উপর আক্রমণ করে। এসময় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
পরে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে এসেছে।
লোহাগাড়ার সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যহাতির আক্রমণে সাহাব মিয়া নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানিয়েছি। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে নসিমনচাপায় কৃষক নিহত
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নসিমনের চাপায় শফিকুল ইসলাম (৪২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার মথুরাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক শফিকুল ইসলাম উপজেলার উত্তর মথুরাপুর গ্রামের কোরপ আলী মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, শফিকুল মাঠের ধান কেটে সড়কের একপাশে ভ্যানে বোঝাই করছিলেন। এ সময় একটি নসিমন তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা নসিমনটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: ট্রাক চাপায় বিমান বাহিনীর ১ সদস্যের মৃত্যু
ভোলায় নসিমনচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
মন্দির তৈরির কথা বলে কৃষকের বাড়ি ভাঙচুর, মারধরে আহত ৮
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হুদা শ্রীপুর গ্রামে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মন্দির নির্মাণের কথা বলে বাটুল বিশ্বাস নামে এক কৃষকের বাড়ি ভাঙচুর, জবর দখল ও ৪ নারীসহ অন্তত ৮ জনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় হামলাকারীরা ওই কৃষকের জমিতে থাকা টিনশেড বাড়িটির দরজা-জানালা ভেঙে বাইরে ফেলে দেয়। এদিকে ভাঙচুরে বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা ৪ নারীসহ অন্তত ৮ জনকে লাঠি, হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে আহত করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে আ’লীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭, যুবলীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুর
আহত ৮ জন হলেন- বাটুল বিশ্বাসের স্ত্রী শেফালী বিশ্বাস ও তার ভাইয়ের স্ত্রী প্রেমা রানী বিশ্বাস, ছেলে বিপ্লব বিশ্বাসের স্ত্রী রূপা সেন, প্রহ্লাদ বিশ্বাসের স্ত্রী শিখা বিশ্বাস, ছেলে বিপ্লব বিশ্বাস, পলাশ বিশ্বাস, মহিদ বিশ্বাস ও শান্তনু বিশ্বাস।
ভুক্তভোগী কৃষক বাটুল বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লব বিশ্বাস জানান, দুই মাস আগে তার বাবা প্রতিবেশী কাকাতো ভাই দিপংকর বিশ্বাসের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ১৩ শতক জমি কিনে নেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে একই গ্রামের প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, গৌতম বিশ্বাস, বিধান বিশ্বাস, গৌতম বিশ্বাস, সুব্রত বিশ্বাসসহ একটি গ্রুপ শাবল, কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের আধা পাকা ঘরে হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, এ সময় তারা এই ভাঙচুরের ছবি তুলতে গেলে তাদের উপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা ৯৯৯ এ কল দিলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে ওই বাড়িটির দরজা-জানালা ও গ্রিল ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
এর আগে ওই বাড়ির সামনের জমিতে একটি পাটকাঠির বেড়া ও উপরে টিন দিয়ে বাঁশের তৈরি একটি মন্দির নির্মাণ করে গ্রামবাসী।
তিনি জানান, গ্রামে মন্দির হোক সেটা আমরাও চাই। কিন্তু আমাদের জমি দখল করে কেন মন্দির তৈরি করতে হবে? মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমরা তিল তিল করে অর্থ সংগ্রহ করে হালের গরু বিক্রি করে জমিটি কিনেছি। এখন গ্রামের কিছু ক্ষমতাশালী মানুষ জোর করে আমাদের জমি দখল করে সেখানে মন্দির ও ক্লাবঘর তৈরি করতে চায়। আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের বাড়ির মা-বোনসহ অন্তত ৮ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা এর বিচার চাই।
আরও পড়ুন: বসতবাড়ি ভাঙচুর মামলায় বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বার গ্রেপ্তার
এ প্রসঙ্গে ওই জমিতে সদ্য প্রতিষ্ঠিত মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস জানান, আমরা এই জমিতে মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে ৭ লাখ টাকা এবং মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও স্থানীয় নাকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমুয়ুনুর রশিদ মুহিতের অনুদান মিলিয়ে মোট ৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছি।
মাগুরায় আখের বাম্পার ফলনে চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলায় এ বছর গ্যান্ডারি জাতের আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম ভালো পাওয়ায় আখ চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই।
শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালদাহ, ঘসিয়াল, কাদিরপাড়া, আমলসার, ছাবিনগর, বিলনাথুর, বিলসোনাই, চরপাড়া, কচুবাড়িয়া, সোনাতুন্দীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আখ চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এই ফসল আবাদ করলে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বাজারজাত করা সম্ভব। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। আখ খেতে সাথী ফসল চাষ করা যায়।
আরও জানানো হয়, চলতি বছর উপজেলায় ৬৩ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর জাতের আখ চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৮ হেক্টর বেশি৷ ফলন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৬০ থেকে ৬৫ মেট্রিক টন। এঁটেল, দো-আঁশ কিংবা বেলে দো-আঁশ প্রকৃতির মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী। চরাঞ্চলের মাটি আখ চাষের জন্য ভালো।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বোরোর বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষক
নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় যে কোনো ফসল চাষাবাদের জন্য এখানকার মাটি বেশ উপযোগী। এ উপজেলার অন্যান্য অঞ্চলেও আখ চাষ সম্ভব। কিন্তু প্রধান অন্তরায় চাষিদের সচেতনতার অভাব।
উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের চাষি রওশন মোল্লা বলেন, আখ আবাদে একটু পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। আখ চাষে অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা বলেন, ‘আখ চাষ খুব লাভজনক। লাল পঁচা রোগ ছাড়া এ ফসলে তেমন জটিল রোগ নেই। বর্তমানে আমরা উপজেলায় চিবিয়ে খাওয়ার উপযোগী জাতের আখ চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আখ চাষে সাথী ফসল হিসেবে সরিষা, মুলা ও মসুর চাষ করা যায়। এছাড়া কৃষকদের ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করছি।’
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাম্পার ফলন
সিরাজগঞ্জে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ, চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা
মাগুরা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাটের দাম কমে গেছে। পাটচাষিরা বলছেন, সিন্ডিকেটদের প্রভাবে কমে গেছে পাটের দাম।
ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। অনেকে আগামী বছর পাট না চাষ করার সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছেন।
প্রতি মণ পাট ১ হাজার ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতে করে খরচ উঠছে না চাষিদের।
আরও পড়ুন: পানির জন্য হাহাকার, গাইবান্ধায় পাটচাষিরা বিপাকে
স্থানীয় পাট ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহাজনরা কমমূল্য দিচ্ছে, তাই আমরাও কমমূল্যে ক্রয় করছি। এদিকে পাটচাষিরা বলছেন, সিন্ডিকেটদের প্রভাবে কমে গেছে পাটের দাম।
মাগুরা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শালিখা উপজেলা সদর আড়পাড়ায় প্রতি শনি ও বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাটচাষিরা পাট বিক্রি করতে আসেন। তবে কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে অনেকেই পাট ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
অনেকে আবার অর্থের প্রয়োজনে বাধ্যহয়েই স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে উঠাচ্ছেন পাটচাষের খরচ। তবে প্রত্যাশিত মূল্য না পাওয়ায় উৎসাহ হারাচ্ছেন তারা।
আড়পাডা ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের পাটচাষি অছিউদ্দিন মোল্যা বলেন, এ বছর দুই একর জমিতে পাট বুনেছি। পাট বুনা থেকে শুরু করে ধোয়া ও শুকানো পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে, মণ প্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করলে সেই খরচ উঠবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পাটের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ
বরইচারা গ্রামের পাটচাষি উৎপল বিশ্বাস বলেন, এভাবে পাটের দাম কমে যাবে আগে জানলে পাট বুনতাম না। প্রতি হাটে পাটের দাম মণ প্রতি দুইশ’ টাকা কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পাটচাষিরা।
পাটের দাম কম থাকায় হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পাট যেন হয়ে উঠেছে কৃষকের গলার কাঁটা। না পারছেন ফেলতে, না পারছেন ভালো দামে বিক্রি করতে।
ফলে অনেকেই আগামী বছর পাটচাষ থেকে বিরত থাকবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে বাচ্চু মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ছোট বহুলা গ্রামে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো কৃষকের
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির মধ্যেই কৃষক বাচ্চু মিয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠ থেকে গরু আনতে যান। সেখানে বজ্রপাত হলে তিনি আহত হন।
তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেরে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত
যশোরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষকের
দিনাজপুরে সাপের কামড়ে ২ কৃষকের মৃত্যু
দিনাজপুরের বিরল ও বীরগঞ্জ উপজেলায় সাপের কামড়ে ২ কৃষক মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ধামইর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এবং ভোগনগর ইউনিয়নের চাউলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে ঘটনা দুইটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীসহ নিহত ২, আহত ১
কৃষক রণজিত চন্দ্র শীল (৩৮) গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কালিন্দ্র চন্দ্র শীলের ছেলে এবং কৃষক আব্দুর রউফ (৫৫) চাউলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত কালু মোহাম্মদের ছেলে।
ধামইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দীন জানান, রণজিত চন্দ্র শীল নামে একজন কৃষক জমিতে আগাছা নিড়ানোর সময় সাপে কাটে। পরে তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ছাড়াও বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের চাউলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে আব্দুর রউফ নামে আরেকজন কৃষক গবাদি পশুকে খাওয়ানোর জন্য খড়ের পালা থেকে খড় নেওয়ার সময় সাপে কাটে।
পরে তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা গেছে সে।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
সাপের কামড়ের চিকিৎসা বিষয়ে ডব্লিউএইচও-এর প্রথম নির্দেশিকা প্রকাশ