কৃষক
দিনাজপুরে সাপের কামড়ে ২ কৃষকের মৃত্যু
দিনাজপুরের বিরল ও বীরগঞ্জ উপজেলায় সাপের কামড়ে ২ কৃষক মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ধামইর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এবং ভোগনগর ইউনিয়নের চাউলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে ঘটনা দুইটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীসহ নিহত ২, আহত ১
কৃষক রণজিত চন্দ্র শীল (৩৮) গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কালিন্দ্র চন্দ্র শীলের ছেলে এবং কৃষক আব্দুর রউফ (৫৫) চাউলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত কালু মোহাম্মদের ছেলে।
ধামইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দীন জানান, রণজিত চন্দ্র শীল নামে একজন কৃষক জমিতে আগাছা নিড়ানোর সময় সাপে কাটে। পরে তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ছাড়াও বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের চাউলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে আব্দুর রউফ নামে আরেকজন কৃষক গবাদি পশুকে খাওয়ানোর জন্য খড়ের পালা থেকে খড় নেওয়ার সময় সাপে কাটে।
পরে তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা গেছে সে।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
সাপের কামড়ের চিকিৎসা বিষয়ে ডব্লিউএইচও-এর প্রথম নির্দেশিকা প্রকাশ
নাটোরে খেলা দেখার সময় ফুটবলের আঘাতে প্রাণ গেল কৃষকের
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় খেলা দেখার সময় বুকে ফুটবল লেগে ৬০ বছর বয়সী শুকুর আলী নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার কলম ইউনিয়নের পুন্ডরী দাখিল মাদরাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নৌকা ঘাটের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকালে সিংড়া উপজেলার পুন্ডরী দাখিল মাদরাসা মাঠে স্থানীয় যুবকদের মধ্যে ফুটবল খেলা চলছিল। মাঠের গোল পোস্টের পেছনে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলেন ৬০ বছর বয়সী স্থানীয় কৃষক শুকুর আলী।
গোলপোস্ট ভেদ করে প্রচণ্ড গতিতে বল তার বুকে লাগে। এতে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন শুকুর আলী। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে বালুর স্তূপ ধসে নিহত ৩
কুমিল্লায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
কুড়িগ্রামে পাটের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ
কুড়িগ্রামে এ বছর পাটের ভালো ফলন হলেও দাম কমে যাওয়ায় হতাশাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকরা। এমনি পরিস্থিতিতে আগামী মৌসুম থেকে পাট চাষ ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছেন অনেকে।
চাষিরা জানান, মৌসুমের শুরুতে পাটের দাম ভালো থাকলেও তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। পাট চাষীরা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন তা এই অঞ্চলে পাট চাষের স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ অনেকে এই গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল চাষ অব্যাহত রাখার অর্থনৈতিক কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাটে বসেছে পাটের বাজার। সপ্তাহে দু’দিন বসে এ হাট। দূর দূরান্ত থেকে নৌকা, সাইকেল, ঘোড়ার গাড়িতে করে পাট বিক্রি করতে এসেছে চাষিরা। তবে হাটে এসে পাটের দাম শুনে মন খারাপ সবারই। গত হাটের চেয়ে পাটের দাম প্রতি মণে কমেছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। পরিবহন খরচ আর আবাদের খরচ মিলিয়ে তাদের লাভের অঙ্ক প্রায় শূন্যের কোটায়।
আরও পড়ুন: পাটের দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মো. নুর ইসলাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করে সার, পানি, কীটনাশক, আঁশ ছড়ানো মজুরি খরচসহ ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বিঘায় পাট পাই ৮ থেকে ১০ মন। মোট খরচের হিসাবে আমাদের কোনো লাভই থাকে না।’
আরেক কৃষক মো. হাসানুর বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে পাটের দাম ভালো পাচ্ছি না। বৃষ্টি নাই, খড়া মৌসুমে পাট গাছের জমিতে বাড়তি পানি দিতে হয়। তাই খরচও বেশি হচ্ছে। সে তুলনায় তেমন লাভ নেই।’
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভগবতীপুরের পাট ব্যবসায়ী আসলাম মিয়া বলেন, ‘আমি গ্রাম ঘুরে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে পাটগুলো কিনছিলাম। আজকে সেই কেনা দামেই বিক্রি করতে হলো। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, হাটের খাজনা হিসাব করলে লাভ থাকছে না। গত হাটে এই পাটের দাম ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা ছিল। দিন যতই যাচ্ছে পাটের দাম ততই কমছে।’
কুড়িগ্রাম জেলা মূখ্য পাট পরিদর্শকের কার্যালয়ের পরিদর্শক এটিএম খায়রুল হক বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ আগে পাটের দাম ভালো ছিল। এখন পাটের দাম কমছে। কেননা অধিকাংশ ব্যবসায়ী কারখানায় পাট সরবরাহ করে পুরো পাওনা টাকা পায়নি। তাই ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা নাই। ব্যবসায়ীরাও পাট কেনায় আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পাটের দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা
ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো কৃষকের
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতে ইছাহাক খলিফা (৬০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে ধানের জমিতে বীজ রোপণ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পৃথক বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ জনের
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোনাবালিয়া ইউনিয়নে ধানের বীজ রোপণ করছিলেন ইসাহাক। বিকালে বজ্রপাতের আঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন বলেন, ইছাহাক খলিফা বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এলাকার লোকজন ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত
যশোরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষকের
কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্প, কৃষকের মনে স্বস্তি
কুড়িগ্রামের নদীবিধৌত চরাঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্পের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা চালু করে কৃষকের ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)।
সরকারি অর্থায়ণে ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্পের সেচে কম খরচে ফসল ঘরে তুলতে পেরে কৃষকের মনে স্বস্তি ফিরেছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে সরকারি সোলার!
এতদিন এ অঞ্চলের বন্যা, খরা ও প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে বাঁচা কৃষকেরা শ্যালো মেশিনের সেচ পাম্পের উপর নির্ভরশীল ছিল।
এখন আর শ্যালো মেশিনের জ্বালানি ডিজেলের দামবৃদ্ধি এবং যান্ত্রিক ভোগান্তি না থাকায় কম খরচে ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুশি চরাঞ্চলের কৃষকরা।
জানা গেছে, জেলার চিলমারীর সদর ইউনিয়নের বজরাদিয়ার খাতা গ্রামে কৃষকের খেতে পানি দিতে ছুটে বেড়াচ্ছে ভ্রাম্যমাণ সোলার সেচ পাম্প।
ওই এলাকার প্রায় ১ হাজার ৫০০ কৃষকের ধান ও ফসলের খেতে সেচের জন্য নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্পটি।
লোহার এঙ্গেলের উপর বিশেষ কায়দায় স্থাপন করা হয়েছে আটটি সোলার প্যানেল। ব্যাটারিবিহীন একটি কনভার্টার সাহায্যে বৈদ্যুতিক মটর সেট করে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে নদী-নালা, খাল-বিল থেকে সহজে পানি পাচ্ছেন কৃষকেরা।
পরিবহনের ঝামেলা এড়াতে চাকা লাগিয়ে বানানো এই ভ্রাম্যমাণ সোলার প্যানেলের সেচ পাম্প যাচ্ছে কৃষকের খেতের কাছে। খুব সহজে হাতের কাছে এমন সেচ ব্যবস্থা পেয়ে আশার আলো বুনছেন কৃষকেরা।
কথা হয় বজরাদিয়ার খাতা গ্রামের মো. হারুন রশীদ নামের এক কৃষকের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: সোলার প্যানেল ব্যবহার করে ২০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো সম্ভব: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, সোলার সেচ পাম্পের সাহায্যে কম খরচে ফসল ঘরে তুলতে পেরে আমরা অনেক খুশি। কেননা শ্যালো ইঞ্জিন সেচ পাম্পে এক বিঘা ধানের জমিতে প্রায় ৮-৯ হাজার টাকা খরচ হতো। সেখানে ৫ হাজার ৫০০ টাকায় আমরা ফসলে পানির কাজ শেষ করতে পারছি। আবাদে পানি নিয়ে আমাদের আর কোনো চিন্তা নাই।
আরেক কৃষক মো. আবু বক্কর বলেন, খেতে পানি নিয়ে আমাদের এলাকার মানুষের আর দৌড়াদৌড়ি নাই। ঘুম থেকে উঠে কে আগে জমিতে পানি নেবে সেই দিন শেষ। আমরা সোলার পাম্পের সঙ্গে চুক্তি করি, ওরা এসে আমাদের ধান বা অন্যান্য ফসলের খেতে পানির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এমন নিরাপদ নির্ভেজাল সেচ ব্যবস্থা পেয়ে আমরা খুবই খুশি।
কুড়িগ্রামে নদীতে ডুবে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নে নদীতে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে ওই ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকা থেকে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার
নিহত কৃষকের নাম আব্দুস শফি (৭০)। তিনি ফকিরের টাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, ফকিরের টাড়ী গ্রামের আব্দুস শাফি সারাদিন আমন ধান খেতে নিড়ানির কাজ শেষে ঘাসের বোঝা নিয়ে ফকিরের হাট বাজারের দক্ষিণের ব্রিজের পাশ দিয়ে সঁতার খাওয়া নদী সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় তিনি পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। কিছুক্ষণ পর ওই কৃষক ভেসে না উঠায় এলাকায় হই-চই পড়ে যায়। প্রথমে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।
পরে সংবাদ পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর তার লাশ উদ্ধার করে।
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. ইমন মিয়া বলেন, নিখোঁজ কৃষকের লাশ সকালে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানাতে পারব।’
আরও পড়ুন: ঢাবি হল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের হোটেল থেকে আ.লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
মাগুরায় গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
মাগুরা জেলায় গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫৫ বছর বয়সী এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে মহম্মদপুর উপজেলার কালীসংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক আব্দুল মান্নান কালীসংকেপুর গ্রামের কোছার উদ্দীনের পুত্র।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শিক্ষকের
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহানুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সে বাড়ির পাশে একটি গাছের ডাল কাটতে উপরে উঠেন। এরপর অসাবধানতাবশত গাছের উপর দিয়ে থাকা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে মহম্মদপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে অটোবাইকে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল চালকের
নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়ার কল্যাণপুর গ্রামে এক কৃষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুফল বিশ্বাস (৩৬) ওই গ্রামের অনিল বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নিহতের পরিবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে সুফল পাট জাগ দেওয়ার কাজ করছিলেন। এসময় ওই গ্রামের রোস্তম শেখ এবং তার দুই ছেলে তমাল ও রুবেল হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে সুফলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে মারা যান।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এই খবর লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
নড়াইলে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
মহেশপুরে বাওড় থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহের মহেশপুরে কামাল হোসেন (৪৫) নামে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের জেলেপোতা গ্রামের ভাবদিয়া বাওড় থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
কামাল হোসেন ওই গ্রামের রহম মণ্ডলের ছেলে।
কামাল হোসেনের ভাই টিটন হোসেন জানান, তার ভাই মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরে তারা বাড়ির পাশের বাওড়ে কামালের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পাহাড় ধসে বৃদ্ধ নিহত
চকরিয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে বিক্ষোভ মিছিলে সংঘর্ষ, নিহত ১
শৈলকুপায় সেচ খাল থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ তজুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভগবাননগর গ্রামের একটি সেচ খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কৃষক ইদ্রিস আলী (৪২) ভগবাননগর গ্রামের সানারুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, ইদ্রিস আলী শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। রাতে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে গ্রামের চাষিরা সেচ খালে পাট জাগ দিতে গিয়ে তার লাশ দেখেন। এরপর তারা ইদ্রিসের পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ইদ্রিস আলীর গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ববি ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে ঢেপা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার