ইলিশ
ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে: মন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন যে, এ বছর নদীতে ইলিশ উৎপাদন কিছুটা কমেছে। কিন্তু এর আগে ক্রমাগতভাবে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। এ বছর ঠিক কারণে দেশজুড়ে ইলিশের উৎপাদন কমেছে তার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দিপু মনি বলেন, ‘কি কারণে ইলিশের উৎপাদন কমেছে, এটি মৎস্য বিষেষজ্ঞরা আমাদেরকে গবেষণার মাধ্যমে পরামর্শ দিলে, সে অনুযায়ী আমরা নিয়শ্চয়ই উদ্যোগ গ্রহণ করবো।’
আরও পড়ুন: ইলিশ নিয়ে কথকতা
মন্ত্রী জানান, আমরা সব সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় একসঙ্গে কাজ করেছি। তার নির্দেশনায় কাজ করে বিগত বছরে ইলিশের উৎপাদন ক্রমাগতভাবে বহুগুণ বৃদ্ধি করতে পেরেছি। এ বছর ইলিশ উৎপাদন কম হওয়ার নিশ্চয়ই কোন প্রাকৃতিক কারণ থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করেই এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইলিশের জালে ৫২২ কেজি ওজনের শাপলা পাতা মাছ!
ইলিশ নিয়ে কথকতা
ইলিশ নিয়ে অতি পুরাতন রূপকথাসম এক কল্পকাহিনী দিয়ে শুরু করা যাক। একদিন নদীর পাড়ে বসবাসকারী এক হরিণের সাধ হলো ইলিশের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতায় নামার। ইলিশকে বলতেই সে রাজি হয়ে গেল। শর্ত ছিল যে হারবে তার শরীরের এক টুকরো বিজয়ীকে দিতে হবে। তীব্র সেই প্রতিযোগিতায় জয় হলো ইলিশের। হার মেনে নিল হরিণ। নিজের শরীর থেকে কিছুটা মাংস পুরস্কার হিসেবে ইলিশের গায়ে তুলে দিল। সেই থেকেই ইলিশ মাছ তার শরীরের গাদার অংশে গর্বভরে বয়ে বেড়াচ্ছে হরিণের মাংস। সেই ছোটবেলা থেকেই দাদী-নানীর কাছ থেকে এই কাহিনী শুনেই বড় হয়েছি। আজও ইলিশের গায়ে সেই হরিণের মাংসের দেখা মেলে!
এই গল্প থেকে একটা কথা পরিস্কার হলো যে ইলিশ গভীর জলের অতি দ্রুত গতির মাছ। ইলিশ তার জীবনকালে অধিকাংশ সময় সাগরে থাকলেও ডিম ছাড়ার সময় হলে সাগর থেকে (আমাদের দেশের বেলায় বঙ্গোপসাগর) চলে আসে মিঠা পানির নদীতে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রথমে মেঘনা, সেখান থেকে পদ্মা। কখনো ধীরে, কখনো বা দৌড়ে চলে একেবারে আরিচাঘাট পর্যন্ত। এই চলার পথে মিঠা পানির সংস্পর্শে ইলিশের গা থেকে নোনা বিলীন হতে থাকে।
কাজেই ইলিশ ডিম ছাড়ার সময় ও পরে যত বেশিদূর উজানে দৌড়াবে তত বেশি তার স্বাদ হবে। তার আকার পরিবর্তন হবে, দেখতে হবে নাদুস-নুদুস, অতি আকর্ষণীয়। বলা হয় নদীর পলিমাটি, বিশেষ করে পদ্মার মাটি না খেলে ইলিশের শরীরে তেল জমে না, স্বাদও হয় না। এ কারণেই পদ্মার ইলিশের যে অনুপম স্বাদ তা অন্য কোন নদীর ইলিশে পাওয়া যায় না।
দুঃখের বিষয় পদ্মা নদীতে এখন আর ইলিশ তেমন পাওয়া যায় না। সাগর মুখেই এখন জেলেরা ইলিশ ধরে নেয়। সাগরস্থল পেরিয়ে মেঘনায় যখন আসে সেখানেই তার যাত্রা শেষ হয়ে যায়। পদ্মা নদীতে আসার তেমন সুযোগ হয় না। কাজেই মাওয়া ঘাটে বা ঢাকার বাজারে পদ্মার ইলিশ বলে যে মাছ গ্রাহকের থলিতে গছিয়ে দেয়া হয় তার প্রায় পুরোটাই ফাঁকি।
আমরা যারা পদ্মা পাড়ের মানুষ, তারা জানি কোনটা কোন নদীর মাছ। ছোটবেলায় প্রথম যেদিন একা একা মাছ কেনার জন্য গ্রামের বাজারে গিয়েছিলাম, তার আগে পদ্মার ইলিশ সঠিকভাবে চেনার তালিম দেয়া হয়েছিল।
ছোট মুখ, চওড়া পিঠ এটাই হলো পদ্মার ইলিশের প্রধান চেহারা। মেঘনাসহ অন্য নদীর মাছ লম্বাটে মুখ, লম্বা দেহ নধরকান্তি হবে না। মাছ কিনে দুরু দুরু বুকে মায়ের মাছ কাটার বটির সামনে দাঁড়াতাম পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য। বটিতে এক কোপ দিতেই মা বুঝে ফেলতেন এটা পদ্মার মাছ কিনা। পদ্মার মাছের ঘ্রাণও ভিন্নতর। সেটা রান্নার আগেও। আর ইলিশ যদি সত্যি পদ্মার হয় তবে সে রান্না করার সময়ই পাড়া-প্রতিবেশীদের জানান দেয়। এক ঘরে ইলিশ রান্না হলে তার ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বারো ঘরে। আজ কি আমরা সেই ঘ্রাণ পাই? আমরা যারা পদ্মা পাড়ের বা পদ্মার কাছকাছি এলাকার মানুষ তাদের মুখে পদ্মার ইলিশ না হলে রসনার তৃপ্তি হয় না। ইলিশ খাব তো পদ্মার ইলিশই খাব। সেই পদ্মাও নেই, নেই তার ইলিশও। কাজেই ইলিশ এখন আর মুখে রোচে না।
ইলিশ নিয়ে আমাদের দেশে অনেক ধাপ্পাবাজি আছে। পদ্মার ইলিশ খাওয়ানোর কথা বলে হোটেল-রেস্তোরাঁয় চলছে ক্রেতাদের পকেট কাটার উৎসব।
পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ বাংলার সংস্কৃতি বলে বিজ্ঞাপনের ঝলক তুলে চলছে ঠগবাজির বাণিজ্য। অনলাইনে, সুপারশপে, বাজারে, ফুটপাতে, ভ্যানে এই ভরা মৌসুমে ইলিশের ছড়াছড়ি। কেজি প্রতি মূল্য ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। মজার ও বেদনার ব্যাপার হলো, এরা সবাই বলে: ‘নিয়ে যান, এটা পদ্মার ইলিশ।’ এমন কী নয়া দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে বাঙালি প্রধান এলাকার মাছের বাজারে ঘটা করে সাইন বোর্ড টাঙ্গানো আছে, এখানে পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায়। দেড় কেজি কিংবা তারও চেয়ে বেশি ওজনের লোভনীয় আকারের ইলিশ মেলে সেখানে। চার বছর দিল্লি বাসে বহুবার সেই মাছের বাজারে গিয়েছি। তবে পদ্মার ইলিশের সেই ফাঁদে পা দেইনি।
জানি, পদ্মা নদীতে আর তেমন ইলিশ আসবে না। জানি ইলিশের মৌ মৌ সেই ঘ্রাণ পাড়াজুড়ে আর কখনো ছড়িয়ে পড়বে না। তবু ইলিশের নামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে পদ্মা। সেটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি।
ফরিদ হোসেন: উপদেষ্টা সম্পাদক, ইউএনবি
আরও পড়ুন: কমছে পদ্মার ইলিশ, বাড়ছে দাম
বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
নিষেধাজ্ঞা শেষে পদ্মায় ইলিশ শিকারে গিয়ে হতাশ জেলেরা
ইলিশের জালে ৫২২ কেজি ওজনের শাপলা পাতা মাছ!
বরিশাল নগরীতে মাইকিং চলছে ৫২২ কেজি ওজনের একটি স্ট্রিং রে (আঞ্চলিক নাম শাপলা পাতা) মাছ বিক্রির জন্য। মঙ্গলবার ভোর ৭টা থেকে নগরীর অলিগলিতে মাইকিং করছেন রুবেল নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী। ভ্যান ভাড়া করে তাতে মাছটি রেখে চলছে এই প্রচারাভিযান।রুবেল বলেন,’ আমি পোর্ট রোডের মাছ ব্যবসায়ী। সোমবার (৩০ আগস্ট) মাঝ রাতে খবর পেলাম তালতলীতে বেদে সম্প্রদায়ের এক লোকের জালে বড় একটি মাছ ধরা পড়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি বিশাল শাপলা পাতা মাছ। দরদাম করে কিনে নিয়ে এসেছি। মাছ বিক্রি করে তাকে টাকা পরিশোধ করব।‘
আরও পড়ুন: কমছে পদ্মার ইলিশ, বাড়ছে দামবেদে জেলের বরাত দিয়ে রুবেল বলেন, ইলিশ ধরার জন্য বরিশাল শহরের উপকণ্ঠে তালতলী নদীতে জাল ফেলে। কিছুক্ষণ পরে নদীর পানি কমতে থাকায় শাপলা পাতা মাছটি জালে ওঠে। জালে পেঁচিয়ে পড়ে নৌকা-জালসহ টেনে নদীর মধ্যে নিয়ে যেতে থাকে। তবে বেশি পানি না থাকায় আর ভালোভাবে জালে পেঁচিয়ে পড়ায় মাছটি যেতে পারেনি। তালতলী ঘাটে মাছটি নিয়ে আসার পরে ৩৫০ টাকা কেজি দরে দাম দেওয়ার চুক্তিতে সেই বেদে জেলের কাছ থেকে মাছ নিয়ে এসেছে।এই মাছ ব্যবসায়ী বলেন, আনুমানিক ১৩/১৪ মন অর্থাৎ ৫২২ কেজির মত হবে মাছটির ওজন। আমি মাইকিং করছি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। পোর্টরোড রসুলপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রে মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে বলে জানান রুবেল।
আরও পড়ুন: দুই মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরুলকডাউন, মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা বিভিন্ন কারণে বিগত দুই বছর ধরে মাছ ব্যবসা ভালো চলছিল না উল্লেখ করে রুবেল আরও বলেন, শাপলা পাতা মাছটি যদি বিক্রি করতে পারি তাহলে সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠতে পারবো। তাছাড়া বেদে জেলেরও ভাগ্য খুলে গেছে। যদিও বেদে জেলের নাম জানেন না বলে দাবী করেছেন তিনি।এ বিষয়ে জেলা মৎস কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, আঞ্চলিকভাবে শাপলা পাতা মাছ বলা হলেও এটি হচ্ছে স্ট্রিং রে প্রজাতির মাছ। বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরাইমব্রিকাটা। ইংরেজি নাম লিওপার্ড স্টিনগ্রে। এই প্রজাতির মাছ অগভীর সমুদ্রে বেশি পাওয়া যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু। আগে সচরাচর পাওয়া গেলেও বর্তমানে দুর্লভ হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ধরা পড়ল ১০ মণ ওজনের ‘শাপলা পাতা’ মাছ
কমছে পদ্মার ইলিশ, বাড়ছে দাম
ইলিশ মৌসুমের আগমনের সাথে সাথে জেলার বৃহত্তম পাইকারী ইলিশ বাজার চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছ ঘাটে আবারও চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
তবে বাজারের ব্যবসায়ীরা পদ্মা নদীতে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ার ব্যাপারে হতাশ। তারা বলছেন, এই বছরের মজুদ বেশিরভাগই হাতিয়া, নোয়াখালী এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকা থেকে আসছে।
মঙ্গলবার ইউএনবির প্রতিনিধি এলাকাটিতে উপস্থিত থেকে দেখেছেন হাতিয়া উপজেলা থেকে ইলিশ বহনকারী বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার এবং পিকআপ ভ্যান এসেছে বাজারে।
আরও পড়ুন: দুই মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু
প্রবীণ ইলিশ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বকাউল(৬৫)জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। এসময় এই ঘাটে হাজার হাজার মণ ইলিশ আসার কথা, কিন্তু এবার ইলিশ খুবই কম আসছে। যে পরিমাণ ইলিশ আসছে তার বেশিরভাগ হাতিয়া থেকে, পদ্মা থেকে নয়।
ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, মঙ্গলবার প্রায় দুই হাজার মণ মাছ বাজারে এসেছে, কিন্তু সরবরাহ গত বছরের তুলনায় কম।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি মানিক জমাদার বলেন, এই বছর পদ্মায় ইলিশের সংখ্যা কম। ফলে জেলেরা নদী থেকে কাঙ্ক্ষিত ৪০-৫০ মণ মাছ ধরতে পারছে না, যার কারণে তারা খুব হতাশ।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড
পদ্মা নদী থেকে মাছের সরবরাহ কম থাকায় পদ্মার ইলিশের দাম বেড়েই চলেছে। মাছ প্রতি পাইকারী দাম ১২০০ টাকা কেজি এবং খুচরা মূল্য ১৩০০-১৪০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে হাতিয়ার মাছের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি দাম এক হাজার টাকা।
সিলেট, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ এবং রাজধানীর ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর ইলিশ কিনতে এই বাজারে ভিড় করেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা শেষে পদ্মা আড়িয়ালখাঁয় ইলিশ ধরছেন ফরিদপুরের জেলেরা
ইলিশ ধরার সর্বোচ্চ মৌসুম আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরের বর্ষাকালে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মতে, ইলিশের উৎপাদন ২০০৮-০৯ সালে তিন লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ সালে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন হয়েছে।
অন্যদিকে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ছয় লাখ মেট্রিক টন বাড়াতে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে পদ্মা-আড়িয়ালখাঁয় ইলিশ ধরছেন ফরিদপুরের জেলেরা
মা ইলিশ ধরার দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে পদ্মা নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদে মাছ ধরতে নেমেছেন ফরিদপুরের জেলেরা।
দীর্ঘ অলস সময় কাটানোর পর শুক্রবার মধ্য রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ইলিশ ধরতে নদীতে নামেন তারা।
ফরিদপুর জেলা মৎস অফিস সূত্র জানায়, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ইলিশ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় এই দুই মাস ফরিদপুরেরর সদর উপজেলার পদ্মার অংশ থেকে সদরপুর সীমানা এবং আড়িয়ালখাঁ নদে এই উপজেলার অংশ থেকে সব প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।
আরও পড়ুন:দুই মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু
ফরিদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মুনিরুল ইসলাম বলেন, জেলার তালিকাভুক্ত ১১ হাজার জেলে পরিবার রয়েছে । পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁয় প্রায় দুই হাজার জেলে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে। নিষেধাজ্ঞা সময়ে আমরা সরকারিভাবে ওই সকল জেলেদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছি । যাতে তারা এই সময়ে অভুক্ত না থাকে।
সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা শেষে এরই মধ্যে জেলেরা তাদের জাল-দড়ি মেরামত করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জেলেদের আশা, এই মৌসুমে ইলিশসহ ভালো মাছ ধরা পড়বে এবং সংসারের সচ্ছলতা ফিরে আসবে। এ কারণে স্বস্তি ফিরে এসেছে জেলে পরিবারগুলোতে।
জেলা মৎস্য বিভাগের দাবি, মা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচি সফল হওয়ায় এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন:বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ফরিদপুরে সদর উপজেলার ধলার মোড় ও সি অ্যান্ড বি ঘাট এলাকায় পদ্মা পাড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জেলেরা। জাল নিয়ে মাছ শিকারে প্রতীক্ষায় নদীর তীরে অপেক্ষা করছেন তারা।
এদিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আলী জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য সরকার ঘোষিত গত দুই মাসের ওই সময় অবৈধভাবে ইলিশ শিকারী অর্ধশতাধিক জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করা হয়েছে।
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশের পোনা জাটকা ধরায় ২৫ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ ও টাস্কফোর্সের নিয়মিত টহল দল।
বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড
বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রমে মাছ ধরার দায়ে চারজনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে জাটকা পরিবহনের দায়ে আরও তিনজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দুই মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু
ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের জন্য সোমবার থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের ৬টি জেলার ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।
দুই মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের জন্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের ৬টি জেলার ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে পদ্মায় ইলিশ শিকারে গিয়ে হতাশ জেলেরা
মা ইলিশ সংরক্ষণে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে রাজবাড়ীর জেলেরা পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারে নেমে হতাশ হচ্ছেন। আশানুরূপ মাছ না পেয়ে তাদের কষ্ট বৃথা যাওয়ার মতো অবস্থা।