বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী মুদ্রানীতির মূল ফোকাস মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় হারের চাপ কমাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য আগামী বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় মুদ্রানীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আইএমএফ ফর্মুলায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পর বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০.২৫ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
বোর্ড সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা ইউএনবিকে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনও স্থিতিশীল না হওয়ায় আসন্ন মুদ্রানীতিতে বিনিময় হার প্রকৃত বাজারভিত্তিক হবে না।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা ক্রলিং পেগ পদ্ধতি অনুসরণ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ৯০ দিনের ঋণ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
আর্থিক নীতিবিবরণী প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ক্রলিং পেগগুলো মুদ্রার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে, বিশেষত যখন অবমূল্যায়নের হুমকি থাকে। পেগ ক্রলিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।’
মুদ্রানীতি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপর গুরুত্বারোপ করবে। এটি গত আট মাস ধরে একটি আলোচিত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টাফবাসে আগুন
মুদ্রানীতি কমিটিতে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও পিআরআইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. সাদিক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মাসুদা ইয়াসমিন।
বরিশালে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টাফবাসে আগুন
বরিশালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি স্টাফবাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বাসটি নগরের বগুড়া রোডে ব্যাংক ভবনের সামনে পার্ক করা ছিল।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুর রহমান বলেন, ‘রাতে কে বা কারা দাঁড়িয়ে থাকা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
তিনি আরও বলেন, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর-২ আসনে ভোট কেন্দ্রে আগুন
বেলকুচিতে তাঁত কারখানায় আগুন, ক্ষতি প্রায় অর্ধ কোটি
ডিসেম্বরে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক ঋণের টাকায় ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইএমএফ’র কাছ থেকে ৬৯ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০ কোটি ডলার, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৯ কোটি ডলার এবং অন্যান্য উৎস থেকে অতিরিক্ত ১৩ কোটি ডলার পাওয়ায় ডিসেম্বরে আইএমএফের ফর্মুলা অনুযায়ী রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্তভাবে ভোট দিতে পারে তা দেখতে চায় জাতিসংঘ’
চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে আইএমএফের সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, স্বল্পমেয়াদে এই ঋণের অর্থ বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে কিছুটা স্বস্তি দেবে।
তবে দীর্ঘমেয়াদে রেমিট্যান্স ও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে টেকসই নীতির দিকে সরকারকে মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি নমনীয় বিনিময় হারের উপরও জোর দিয়েছিলেন যা অর্থ পাচার এবং বাণিজ্য-ভিত্তিক মূলধন সড়িয়ে নেওয়া রোধে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
আমানতের ন্যূনতম সুদের হার বাতিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক
আমানতের জন্য আরোপিত ন্যূনতম সুদের হার বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন থেকে ব্যাংকগুলো তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুদের হার নির্ধারণ করতে পারবে এবং সে অনুযায়ী আমানত সংগ্রহ করতে পারবে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এক সার্কুলারের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে আজ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আমানতের ন্যূনতম সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার মুদ্রাস্ফীতির নিচে না রাখার নির্দেশনা দেয়।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক ব্যবস্থার বিকাশ বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি ও সুযোগ নিয়ে আসে: অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন
সে সময় ঋণ বিতরণে সর্বোচ্চ সুদের হার ছিল ৯ শতাংশ। কিন্তু এখন ঋণের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো সীমা নেই। চলতি বছরের জুলাই মাসে ঋণের জন্য বাজারভিত্তিক সুদের হার ব্যবস্থা চালু করা হয়।
ফলে, আমানতের উপর ন্যূনতম সুদের হারেরও প্রয়োজন নেই। এ কারণে ২০২১ সালের ৮ আগস্টের নির্দেশনা বাতিল করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকে আমানত কমেছে ২২.৫৬ শতাংশ: বাংলাদেশ ব্যাংক
গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকে আমানত কমেছে ২২.৫৬ শতাংশ: বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের গ্রামাঞ্চলের ব্যাংকগুলোতে আমানত কমেছে ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অপরদিকে শহরাঞ্চলে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ আমানত বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ কোটি। এ সময়ে তারা তাদের অ্যাকাউন্টে ১৭ কোটি টাকার বেশি জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকা বা তার বেশি আমানত রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের ৪২ দশমিক ৩৫ শতাংশ এ ধরনের অ্যাকাউন্টধারীদের।
আরও পড়ুন: সেরা ৫২৫ করদাতা নির্বাচন করেছে এনবিআর
২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত মোট আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৫৯ লাখের বেশি। এসব অ্যাকাউন্টে আমানতের পরিমাণ ১৬ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা।
১ কোটি টাকার বেশি আমানতসহ ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন মাসের ব্যবধানে ১ কোটি টাকা বা তার বেশি টাকার অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে ৩২টি এবং এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৭ হাজার ৬৬টি।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক ব্যবস্থার বিকাশ বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি ও সুযোগ নিয়ে আসে: অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন
বৈদেশিক মুদ্রা আমানতের ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশ সুদ দেবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিটের (আরএফসিডি) ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়া, এ ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের বাইরে টাকা পাঠানো, একাধিক কার্ড ইস্যু করাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে।
দেশে চলমান ডলার সংকট নিরসনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, কেউ আরএফসিডি হিসেবে ১০ হাজার ডলার জমা রাখতে পারেন। এখন থেকে ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক হারের সঙ্গে এই আমানতের উপর কমপক্ষে দেড় (১ দশমিক ৫) শতাংশ সুদ দেবে।
এই হিসেবে, আমানতের বিপরীতে দুটি সম্পূরক কার্ড ইস্যু করা যেতে পারে। শিশু বা ভাইবোনসহ নির্ভরশীলরা কার্ডটি ব্যবহার করতে পারেন।
এই অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশে শিক্ষার খরচ পাঠানো যাবে। আবার স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান, ভাইবোন এবং নির্ভরশীল বাবা-মায়ের চিকিৎসার খরচও এখান থেকে বহন করা যায়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করল বাংলাদেশ ব্যাংক
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা আগের মাস অক্টোবরের তুলনায় ৫০ মিলিয়ন ডলার কম।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীরা দেশে ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।
নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ১৪৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক পেয়েছে ৫৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছে ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছে ৫ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার।
প্রবাসীরা অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ দশিমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছিল। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো পেয়েছিল ১৫৪ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার, একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছিল ১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছিল ৬ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, নভেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ কিছুটা কমেছে, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথাযথ উদ্যোগের কারণে রেমিটেন্স আসার সামগ্রিক প্রবণতা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা আইনি চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
প্রবাসী আয়ে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারবে। মোট প্রেরকদের ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। ফলে আইনি মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর সেলিম রায়হান বলেন, রেমিটেন্স প্রণোদনার দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা কোনো কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, ডলারের দামের ওপর সরকার অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ দেবে। রেমিটেন্সে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা সাময়িকভাবে বাড়াবে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না বলে জানান তিনি।
সেলিম বলেন, রেমিটেন্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে হলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখনও প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে এবং তা যেকোনো উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংক যত বেশি প্রণোদনা দেবে, হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তত বেশি দেবে। তাই যতদিন হুন্ডির প্রচলন থাকবে, ততদিন আইনি মাধ্যমে প্রত্যাশিত রেমিটেন্স আসবে না।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি, তাই বিনিময় হার কমানো যৌক্তিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিবির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, গত বছর স্বল্পমেয়াদী বৈদেশিক ঋণের দায় ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে।
এছাড়া চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন তাৎক্ষণিক ডলার পেমেন্ট দিয়ে এলসি খোলা হয়। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ এখন চাহিদার চেয়ে বেশি। ফলে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেডা) সিদ্ধান্ত সঠিক বলেও জানান ওই মুখপাত্র।আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
তিনি বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে মার্কিন ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়। ডলার পরিষেবা এবং পণ্য ক্রয় এবং পরিষেবা ঋণ এবং বৈদেশিক দায় পরিশোধ করতে ব্যবহৃত হয়।
এখন আমদানি মূল্য মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে ডলারের চাহিদা কমে গেছে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার এক বছরের ও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলারের বিনিময় হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ডলারের দাম ০.৫০ (পঞ্চাশ পয়সা) টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে ৩৩,২০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছে বিজিবি
এছাড়া আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য ডলারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৫০ (পঞ্চাশ পয়সা) টাকা।
বুধবার সন্ধ্যায় বাফেডা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এক বৈঠকে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী কিনতে ডলারের দাম হবে ১১০ টাকা এবং রপ্তানি আয় হবে ১১০ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগে ছিল ১১১ টাকা।
তবে প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারে। এর ফলে সুবিধাভোগীরা অভ্যন্তরীণ প্রবাসী আয়ের জন্য ডলার প্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন বিবৃতি সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো এখনো ডলার প্রতি ১২১ টাকা বা তার বেশি হারে প্রবাসী আয় কিনছে।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
অবৈধ লেনদেনের দায়ে ওয়ালেটমিক্সের লাইসেন্স বাতিল
অবৈধ লেনদেনের দায়ে পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানি ওয়ালেটমিক্স লিমিটেডের লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ বাতিল সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ওয়ালেটমিক্স অবৈধ লেনদেন করেছে, যা অনুমোদিত নয় এবং এ কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ফলে এখন থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ কোনো প্রতিষ্ঠান ওয়ালেটমিক্সের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না।
দেশের সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশনের অধীনে এবং ওয়ালেটমিক্স লিমিটেডকে প্রদত্ত লাইসেন্সের শর্তাবলী অনুসারে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করতে ওয়ালেটমিক্সের পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) নির্ধারিত হারে ডলার কেনার বিষয়ে সতর্ক করার পর ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের সংকট আরও গভীর হচ্ছে।
খোলা বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় ১৫ টাকা বেশিতে অর্থাৎ, প্রতি ডলার ১২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা খোলা বাজারে ডলারের এই রেকর্ড দাম সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তারা জানিয়েছেন, উচ্চ হারে ডলারের লেনদেনের পেছনে থাকা অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের সন্ধান করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, অতিরিক্ত দামে ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি বলেন, ব্যাংক রেট উপেক্ষা করে ব্যাংক ডলার কিনলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর শাস্তি দেবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার
অন্যদিকে, খোলা বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে মার্কিন ডলারের দাম। তিন দিনের বিপরীতে খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে তিন টাকা। শনিবার খোলা বাজারে প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৭ টাকায়।
এর আগে বুধবার (৮ নভেম্বর) খোলা বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৪ টাকায়।
মানি এক্সচেঞ্জারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ১১৩ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা। তবে, এই দামে কোনো মানি এক্সচেঞ্জে ডলার লেনদেন হয় না।
মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলারের লেনদেন না হলেও; মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকার বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁ থেকে শনিবার ক্রেতারা প্রতি ডলার ১২৮ টাকা দরে কিনেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হেলাল সিকদার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত হারে ডলার লেনদেন হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহক আসে এবং ডলার না পেয়ে ফিরে যায়। তারা অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়।’
আরও পড়ুন: এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
বাংলদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২১.১৫ বিলিয়ন ডলার, যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা