জীবনধারা
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ শহর
গত ১ ডিসেম্বর ২০২১ সালের বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রা খরচের সূচক প্রকাশ করেছে বিখ্যাত মিডিয়া কোম্পানি ইকোনমিস্ট’র গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ (ইআইইউ)। এর মাধ্যমে উঠে এসেছে বসবাসের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলোর নাম। জিনিসপত্রের দাম বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে গড়ে তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার। ফলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বিগত ব্যয়বহুল শহরের তালিকায়। আর সেই ব্যয়বহুল শহরগুলোর তালিকা পাশাপাশি এর পেছনের কারণগুলো জেনে নিই।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড ডে ট্যুর: একদিনে ঘুরে আসুন চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মহামায়া লেক
২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ শহর
- তেল আবিব (ইসরায়েল)
- প্যারিস (ফ্রান্স) ও সিঙ্গাপুর (যুগ্মভাবে)
- জুরিখ (সুইজারল্যান্ড)
- হংকং
- নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক
- জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
- কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
- লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া
- ওসাকা, জাপান
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দশটি প্রাচীন মসজিদ: দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
তেল আবিব: ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর
ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে ২০২০ এর যুগ্মভাবে শীর্ষস্থানীয় প্যারিস, হংকং ও জুরিখকে ছাড়িয়ে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর। ২০২০ সালে শহরটি পঞ্চম অবস্থান ছিল।
ইসরায়েলি মুদ্রা শেকেলের দাম মার্কিন ডলারকে ছাড়িয়ে যাওয়াই তেল আবিবের উত্থানের মূল কারণ। সাথে পাল্লা দিয়ে অব্যাহত থেকেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও যাতায়াত খরচের ঊর্ধ্বগতি।
আরও পড়ুন: টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার খরচের সূচক নির্ধারণ পদ্ধতি
ইকোনমিস্টের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ (ইআইইউ) মূলত বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্য ভিত্তিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে পরার্মশ দিয়ে থাকে। যেমন, দেশের মাসিক প্রতিবেদন, পাঁচ বছর পর দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অবস্থা, দেশের ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও ইন্ডাস্ট্রি প্রতিবেদন। এরই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা হলো বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার খরচের সূচক।
হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
প্রেসার সিস্টোলিকে ৯০ মিলিমিটার পারদ চাপ এবং ডায়াস্টোলিকে ৬০ মিলিমিটার পারদ চাপ হলো নিচের দিকে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা। এর কম হলেই তখন লো প্রেসার জনিত বিভিন্ন জটিলতা শুরু হয়। বসা বা শুয়ে থাকা থেকে দাঁড়ানোর সময় প্রেসার কমে যাওয়া লো প্রেসারের সবচেয়ে সাধারণ রূপ। বয়স্ক লোকদের সাধারণত খাওয়ার পরে হঠাৎ করে প্রেসার কমে যেতে দেখা যায়। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত ও গুরুতর সংক্রমণের জন্য লো প্রেসার অনেক সময় জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেই হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে কি করতে হবে।
হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়
প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ
সোডিয়াম দ্রুত প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। তবে বেশি সোডিয়াম গ্রহণ হৃদরোগেরও কারণ হতে পারে। তাই শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে আগে থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যে, হঠাৎ সোডিয়াম খাওয়া ঠিক হবে কি না।
লবণাক্ত খাবার প্রেসার বাড়াতে পারে। টিনজাত স্যুপ, পনির, আচারযুক্ত আইটেম এবং জলপাই ইত্যাদি লবণাক্ত খাবার হিসেবে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
অপ্রক্রিয়াজাত খাবারে টেবিল লবণ যোগ করা যায়। এতে কতটা লবণ খাওয়া হচ্ছে তার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার প্রেসার বৃদ্ধি করে। ফোলেট-সমৃদ্ধ খাবারগুলো হলো- মটরশুটি, মসুর ডাল, শাক, ডিম এবং সাইট্রাস ফল যেমন লেবু, কমলা।
ক্যাফেইনযুক্ত চা বা কফি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে এবং হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে অস্থায়ীভাবে প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
সবচেয়ে কম সময়ে আয়রনম্যান ট্রায়াথলন শেষ করলেন আরিফুর রহমান বেলাল
সুস্থ জীবনের জন্য শরীর ও মনের সুস্থতা দুটোই প্রয়োজন। দুটোর জন্য নিয়মানুবর্তিতার পাশাপাশি প্রয়োজন নিজের আরাম-আয়েশের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসা। কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে শরীরকে ঠিক রাখার মাধ্যমটাই মনের ইচ্ছার সাথে মিলে যায় তাদের জন্য জীবনের সেই সুস্থতা আরও সুগম হয়ে আসে। এরকম এক স্বপ্ন লালন করে চলেছেন বাংলাদেশের আয়রনম্যান খ্যাত আরিফুর রহমান বেলাল। জেনে নিই তার স্বপ্নে কথা।
আয়রনম্যান ট্রায়াথলন
আয়রনম্যান ট্রায়াথলন হলো বিশ্ব ট্রায়াথলন করপোরেশন (ডব্লিউটিসি) দ্বারা সংগঠিত দীর্ঘ-দূরত্বের ট্রায়াথলন রেসের একটি, যার মধ্যে ৩.৮৬ কিলোমিটার সাঁতার, ১৮০.২৫ কিলোমিটার সাইকেল রাইড ও ৪২.২০ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় রয়েছে। ঠিক এই ক্রমানুসারেই পুরো রেসটা সম্পন্ন করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন একদিনের ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর মধ্যে একটি।
ট্রায়াথলন রেসটি সম্পূর্ণ করার জন্য নির্ধারিত সময় ১৭ ঘণ্ট। ৩.৮৬ কিলোমিটার সাঁতার সম্পূর্ণ করার জন্য বাধ্যতামূলক সময় হল ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট। সাঁতার শেষ হওয়ার পর থেকে বাইক চালিয়ে ১৮০.২৫ কিলোমিটার শেষ করতে হবে ১০ থেকে সাড়ে ১০ ঘণ্টার মধ্যে। পুরো ১৭ ঘণ্টা থেকে এই দুই ট্র্যাকে অতিবাহিত সময় বাদ দিয়ে বাকি সময়ের মধ্যে শেষ করতে হয় ৪২.২০ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়। যে এই সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ট্রায়াথলন ট্র্যাক পাড়ি দিতে পারে তাকে ‘আয়রনম্যান’ উপাধি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এই স্পোর্টিং ইভেন্টটি শুরু করেন এভারেস্ট জয়ী মুসা ইব্রাহীম।
বাংলাদেশের দশটি প্রাচীন মসজিদ: দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
মধ্যযুগীয় পূর্ব সময় থেকে বর্তমান বাংলাদেশ নামে এই স্বাধীন ভূ-খণ্ডটি অনেক মুসলিম শাসক শাসন করেছেন। সেই সময় থেকেই ধীরে ধীরে বিবর্তন হয়েছে এই জায়গাটির সভ্যতা ও সংস্কৃতি। তৈরি হয়েছে প্রাসাদ, বিশাল জলাশয়, দূর্গ, কূপ, সেতু এমনকি গোটা একটা শহর। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে এই তল্লাটে স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল মসজিদগুলো। এখানকার ধর্মপ্রাণ মানুষগুলোর প্রার্থনাসহ রীতিনীতি, দরবার-শালিস সব কিছু এই মসজিদ কেন্দ্রীক ছিল। তারই ফলস্বরূপ সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রার্থনা কেন্দ্রগুলো। আজকের ফিচারটি সাজানো হয়েছে বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন প্রাচীন মসজিদ নিয়ে।
১০ প্রাচীন মসজিদ: বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
ষাট গম্বুজ মসজিদ, খুলনা
বাংলা সালতানাতের সময় সুন্দরবনের গভর্নর খান জাহান আলী এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। এটি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভগুলোর মধ্যে একটি। সাতটি সারিতে সাজানো ৭৭ নিচু গম্বুজ এবং প্রতিটি কোণে একটি করে গম্বুজ নিয়ে মোট গম্বুজ সংখ্যা ৮১টি। এখানকার চারটি টাওয়ারের মধ্যে আযান দেয়ার জন্য দুটি ব্যবহার করা হত। বিস্তীর্ণ নামাযের জায়গায় ২১টি কাতারে একসাথে প্রায় তিন হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। ৬০টি সরু পাথরের স্তম্ভ গম্বুজগুলোকে ধরে রাখে। এই কারণেই মূলত একে ষাট গম্বুজ মসজিদ বলা হয়ে থাকে।
বাঘা মসজিদ, রাজশাহী
১৫২৩ থেকে ১৫২৪ সালে হোসেন শাহী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা আলাউদ্দিন শাহের পুত্র সুলতান নুসরাত শাহ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের গম্বুজ ভেঙ্গে পড়লে ১৮৯৭ সালে ধ্বংস হওয়া মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। মসজিদটি ২৫৬ বিঘা জমির উপর অবস্থিত। মসজিদের আঙিনা সমতল ভূমি থেকে প্রায় ১০ ফুট উঁচু।
পৃথিবীর সবচেয়ে দামী পানির বোতল অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মোদিগ্লিয়ানি
পানি জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর মধ্যে একটি। পানি পান শ্বাস-প্রশ্বাসের মতই খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। পার্থক্য শুধু পানি কিনে খেতে হয় এবং কখনো কখনো তা একটু বেশি দাম দিতে হয়। বেঁচে থাকার জন্য সবাই এই অমূল্য সম্পদটি যথাযথ মূল্য দিয়ে কিনে নেয়। কিন্তু এক বোতল পানির মূল্য সর্বোচ্চ কত হওয়া উচিত বা কত হতে পারে! হাজারো যুক্তি-তর্কের পর প্রশ্নটিকে একদম ম্লান করে দেবে অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মদিগ্লিয়ানি। এর পিলে চমকানো দাম শুনে যে কারো নাভিঃশ্বাস উঠে যাবে। এবার আশ্চর্য এই পানির বোতল সম্পর্কে কিছু জেনে নিন
পানির বোতলের আকাশচুম্বী দামের কারণ
২০১০ এর ৪ মার্চ মেক্সিকো সিটির হাসিয়েন্দা ডি লস মোরালেস রেস্টুরেন্টে প্ল্যানেট ফাউন্ডেশন এসি দ্বারা আয়োজিত একটি নিলামে সবচেয়ে ব্যয়বহুল পানির বোতলটি ৬০,০০০
মার্কিন ডলার বাংলাদেশি টাকায় ৫ লাখেরও বেশি দামে বিক্রি হয়। এখন পর্যন্ত এটি বিশ্ব রেকর্ডের গিনেস বুকে সবচেয়ে দামী পানির বোতলের রেকর্ডটি দখল করে আছে।
আরও পড়ুন: বুক ব্যথার নানা ধরন: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা
হস্তনির্মিত ৭৫০ মিলি-লিটার কাঁচের বোতলটি ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ ও প্লাটিনাম দ্বারা আবৃত। এটি প্রয়াত ইতালিয় শিল্পী অ্যামেদিও ক্লেমেন্ত মোদিগ্লিয়ানির শিল্পকর্মের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। শিল্পকর্মটি মূলত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ বানানো হয়েছিল।
বোতলের নকশা করেছেন বিশ্বনন্দিত বোতল ডিজাইনার ফার্নান্দো আলতামিরানো, যিনি এখন পর্যন্ত তৈরি ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের শ্যাম্পেইনের বোতলটি ডিজাইন করেছিলেন যেখানে হেনরি-৪ ডুডোগনন হেরিটেজ কগনাকের নাম খোদাই করা ছিল।
নিলাম থেকে উত্থাপিত তহবিল বিশ্ব উষ্ণায়ন-বিরুদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশনে দান করা হয়েছিল।
অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মোদিগ্লিয়ানির আরেকটি এডিশন প্লাটিনাম ও ৬০০০টি উচ্চ মানের হীরা দিয়ে তৈরি। এই বোতলটির আনুমানিক মূল্য ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থৎ বাংলাদেশি টাকায় ৩ কোটি ৯৫ লাখেরও বেশি। এখন পর্যন্ত এই সীমিত সংস্করণটির মাত্র একটি বোতল আছে। প্ল্যানেট, আলতামিরানো ফাউন্ডেশন সামাজিক কর্মকাণ্ডে ৫ লাখ ইউরো দান করবে।
আরও পড়ুন: লবঙ্গের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ও ঝুঁকি
সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই পানির উৎস
অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো-এর প্রতিটি বোতলের পানি মুলত পৃথিবীর তিনটি ভিন্ন স্থান থেকে আগত। এই পানি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপদেশ ফিজি এবং ফ্রান্সের প্রাকৃতিক ঝরনার পানির মিশ্রণ। এছাড়া এই পানির আরেক অংশ আইসল্যান্ডের হিমবাহ থেকে উৎসারিত হয়।
ক্ষারযুক্ত এই পানির প্রতি বোতলে মেশানো থাকে ২৩ ক্যারেট স্বর্ণের ৫ মিলি গ্রাম স্বর্ণের ভস্ম। এ কারণে অনেকেই এই পানি শরীরের জন্য উপকারি বলে মনে করেন। সবচেয়ে দামী এই পানির সাধারণ বাজারবিশ্ব জুড়ে যারা অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো-এর মত পানির বোতলের জন্য অর্থ ব্যয় করেন তাদের গ্রুপটা সুনির্দিষ্ট ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত। এদের মধ্যে আছেন বিশ্বের প্রথম সারির ধনকুবেরের মধ্যে অন্যতম ভারতের মুকেশ আম্বানীর স্ত্রী নিতা আম্বানী।
অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মোদিগ্লিয়ানি-এর সাশ্রয়ী বোতলও রয়েছে। এর বরফ নীল বোতলগুলো বিক্রি হয় ২৮৫ ডলারে (বাংলাদেশি টাকায় ২৪০০০+)। সলিড গোল্ড ছাড়াও অন্যান্য ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে গোল্ড ম্যাট, সিলভার, সিলভার ম্যাট এবং ক্রিস্টাল। এই সবগুলো পানির বোতল স্বর্ণের বোতলের চেয়ে সস্তা, এবং সেগুলোতেও ফ্রান্স, ফিজি ও আইসল্যান্ডের পানির মিশ্রণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: এসি রক্ষণাবেক্ষণ: দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস
এই পানির প্রতিটি বোতল কেনার সময় একটি সুন্দর চামড়ার কেসে প্যাকেজ করে দেয়া হয়। তাই অনেকে এটি বাড়িতে সাজিয়ে রাখা বা নিজের সংগ্রহে রাখার উদ্দেশ্যেও কিনে থাকেন।
পানি একটি জনসাধারণের মৌলিক বস্তু হলেও অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো একটি বিলাসবহুল পণ্য। স্বভাবতই নিছক তৃষ্ণা মেটানোটাই এই পণ্যের একমাত্র ও সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়।
উপাদানগত মূল্যের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক মাত্রার সংযোজন এই পণ্যকে দিয়েছে রাজকীয় আভরণ। তাছাড়া বৈশ্বিক কল্যাণে বিক্রি পরবর্তী তহবিলের ব্যবহারটাও অন্যান্য আর পাঁচটা পানীয় জল থেকে একে আলাদা করেছে।
লবঙ্গের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ও ঝুঁকি
লবঙ্গ গাছের ফুলের শুকনো কুঁড়িই হলো লবঙ্গ। লবঙ্গ গাছের বৈজ্ঞানিক নাম সিজিজিয়াম অ্যারোমাটিকাম। এটি একটি চিরহরিৎ উদ্ভিদ যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় পরিবেশে বৃদ্ধি পায়। লবঙ্গ ইন্দোনেশিয়ার মালুকু দ্বীপপুঞ্জের (বা মোলুকাস) স্থানীয় এবং সাধারণত মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এশিয়ান, আফ্রিকান, ভূমধ্যসাগরীয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির লবঙ্গ রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। এর ভেষজ ও নানাবিধ পুষ্টিগুণের কারণে প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার, পানীয়, সাবান, টুথপেস্ট, ওষুধ, সুগন্ধী ইত্যাদিতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। চলুন, লবঙ্গের উপকারিতার পাশাপাশি জেনে নিই কোন কোন ক্ষেত্রে তা ঝুঁকিপূর্ণ।
লবঙ্গের উপকারিতা
পেটের সমস্যা সমাধান
হজমশক্তি বাড়াতে এবং পাকস্থলি ও অন্ত্র সম্পর্কিত জটিলতা নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ অনেক কাজ দেয়। তদুপরি, ভাজা লবঙ্গ খাওয়া এমনকি তাদের চেতনানাশক বৈশিষ্ট্যের কারণে বমি হওয়া বন্ধ করতে পারে। এটি আলসারের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর শোধনকারী হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: লাল চাল: কেন খাবেন এবং কারা এড়িয়ে চলবেন?
যকৃতের সুরক্ষা
লবঙ্গে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা যকৃতকে রক্ষা করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে বিপাক যকৃতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কমিয়ে ফ্রি র্যাডিক্যাল উৎপাদন করে এবং লিপিড প্রোফাইল বাড়ায়। এক্ষেত্রে, লবঙ্গের নির্যাস তাদের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
লবঙ্গ থেকে নির্যাস নির্দিষ্ট উপায়ে ইনসুলিন তৈরি করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
হাড় সংরক্ষণ
লবঙ্গের হাইড্রো-অ্যালকোহলিক নির্যাসগুলো হাড়ের ঘনত্ব এবং হাড়ের খনিজ উপাদান সংরক্ষণে সহায়ক হতে পারে। এমনকি অস্টিওপোরোসিসের ক্ষেত্রে হাড়ের প্রসারণ শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক: করণীয় এবং প্রতিরোধে যে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
আয়ুর্বেদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিকাশ ও সুরক্ষায় কার্যকরী একটি উদ্ভিদ হল লবঙ্গ। লবঙ্গের শুকনো ফুলের কুঁড়িতে এমন যৌগ রয়েছে যা শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা
মাড়ির রোগ যেমন মাড়ির প্রদাহ এবং পেরিওডোনটাইটিস কমানোর জন্য লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। লবঙ্গের নির্যাস মুখের রোগজীবাণুগুলোর বৃদ্ধিকে উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে, যা মুখের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। দাঁতের ব্যথার জন্য, দাঁত তোলার সময় ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য লবঙ্গ সরাসরি মাড়িতে প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া লবঙ্গ মুখ ও গলার প্রদাহের জন্য প্রতিরোধক হিসেবে ত্বকে ভালো কাজ দেয়।
মাথাব্যথা নিরাময়
লবঙ্গ ব্যবহারে মাথাব্যথা কমে যেতে পারে। কয়েকটি লবঙ্গের পেস্টের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে তা এক গ্লাস দুধের সাথে যোগ করে তৈরি মিশ্রণ দ্রুত ও কার্যকরভাবে মাথাব্যথা কমায়।
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
পানছড়িতে দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান
খাগড়াছড়ির পানছড়ি তারাবন ভাবনা কেন্দ্রে ৮ম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার মধ্যে সকালে বৌদ্ধ নর-নারীদের পঞ্চশীল গ্রহণ, বৌদ্ধ মুর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, চীবরদান, কল্পতরু দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডদানসহ নানা বিধ দান করা হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত
অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে ছিলেন, সংঘ প্রধান শ্রীমৎ বৌধিপাল মহাস্থবির ভান্তে, রাঙ্গামাটি বনবিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, শ্রীমৎ জ্ঞান জ্যোতি ভান্তে ও তারাবন ভাবনা কেন্দ্রের বিহারাধ্যক্ষ আদি কল্যান স্থবির।
আরও পড়ুন: প্রবারণা পূর্ণিমা: পাহাড়ে সম্প্রীতির কল্প জাহাজ ভাসলো
দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনায় দেশ জাতি সকলের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়।
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ডেলিভারি সার্ভিস নির্বাচনে ১০ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
বর্তমানে অনলাইন মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের কারণে ডেলিভারি সার্ভিস প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার পণ্যটি গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর পর পরই সবকিছু শেষ হয় না। বরঞ্চ ডেলিভারি পয়েন্টটি ভবিষ্যতে আপনার সম্ভাব্য গ্রাহক প্রাপ্তির একটা বড় মাধ্যম। তাই চলুন জেনে নিই, সেরা পার্সেল ডেলিভারি পরিষেবা বেছে নেয়ার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।
ডেলিভারি সার্ভিস নির্বাচনে ১০ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
কত দ্রুত গ্রাহকের নিকট পৌঁছাচ্ছে
আপনার পণ্যটি ডেলিভারি সার্ভিস কোম্পানি আপনার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে কেমন সময় নেবে তা জানা সবচেয়ে দরকারি। শুধু যে অর্ডার পাওয়ার পরই আপনাকে ডেলিভারি সময় নিয়ে ভাবতে হবে, তা নয়। আপনি যে কোন সময় ডেলিভারির জন্য অর্ডার পেতে পারেন। তাই আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে যেন যত দ্রুত সম্ভব ডেলিভারি করা যায়। সুতরাং প্রতিটি কোম্পানির ডেলিভারির গড় গতি যাচাই করে দেখুন। শুধু ব্রোশিয়ার বা বিজ্ঞাপনে দ্রুত ডেলিভারি নিশ্চিত করা হয় দেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয়। তাই অনলাইন রিভিউ থেকে শুরু করে কোম্পানিগুলোর সরাসরি গ্রাহকদের কাছ থেকেও জানার চেষ্টা করুন তাদের সার্ভিসের গতির ব্যাপারে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৭ কোটি টাকা দিল ইউনিলিভার
কতটুকু এলাকার মধ্যে তারা ডেলিভারি দেয়
আপনি যদি সীমিত পরিসরে আপনার পণ্য পরিবহন করতে চান, তাহলে একটি স্থানীয় ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবহার করুন। স্থানীয় ডেলিভারি কর্মকর্তাদের এলাকা সম্পর্কে অধিক জ্ঞান থাকে। তাছাড়া তারা বড় কোম্পানিগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম সার্ভিস চার্জ করে থাকেন। আর যদি দীর্ঘ দূরত্বের মধ্যে আপনার পণ্য পরিবহন করতে চান, অথবা আপনার ব্যবসা দেশের বাইরে প্রসারিত করার কথা ভেবে থাকেন, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সম্বলিত ডেলিভারি সার্ভিস কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ডেলিভারির সময় পণ্যের নিরাপত্তা বজায় থাকবে কিনা
আপনি যদি সূক্ষ্ম আইটেম, ভঙ্গুর পণ্য বা এমন কিছু পাঠাতে চান যা খুব সাবধানে পরিবহন প্রয়োজন, এমতাবস্থায় ডেলিভারি সার্ভিস হোল্ডারের ব্যাপারে ভালো করে খোঁজ-খবর নিন। এ রকম অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে যে, পরিবহনের সময় তারা পণ্য ভেঙে ফেলে, অথবা পরিবহনের মাধ্যম বা যানবাহনটি পণ্যটির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাছাইয়ের সময় তাদের কাছ থেকে জেনে নিন যে কিভাবে তারা আপনার পণ্যটি ডেলিভারি করবে।
এরপরেও যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আপনার পণ্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, গ্রাহকের কাছে দেরিতে পৌঁছতে পারে; এমনকি নিখোঁজও হতে পারে। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের কোন ব্যবস্থা বা বীমা পলিসি আছে কিনা যাচাই করে নিন। এমতাবস্থায়, যারা টাকা ফেরত গ্যারান্টি দেয় তাদের সন্ধান করাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
পণ্যের আকার এবং ওজন নিয়ে কোন সীমাবদ্ধতা আছে কিনা
এটি লক্ষণীয় যে, আপনার পণ্যের আকার এবং ওজন অনুসারে আপনার বেছে নেয়া ডেলিভারি সার্ভিসে শর্ত থাকতে পারে। হয়ত তারা বড় আইটেম ডেলিভারির জন্য অতিরিক্ত খরচ নেয় অথবা এমনও হতে পারে যে তারা বড় এবং ভারী পণ্য পরিবহনই করে না।
নির্দিষ্ট পরিমাণ ও বিভিন্ন ওজনের পণ্যের জন্য অবশ্যই মূল্য তালিকা ও শর্তাবলী থাকবে। সেগুলো ভালো করে যাচাই করে নিন। আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর মতো অধিকাংশ স্থানীয় ডেলিভারি সার্ভিস কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটে আপনার আইটেমের জন্য ক্যাটাগরি ভিত্তিক নির্দেশিত পরিমাপ ও ওজন লিপিবদ্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: দারাজের নতুন চিফ মার্কেটিং অফিসার তাজদিন হাসান
কতদিন ধরে ডেলিভারি সার্ভিস দিয়ে আসছে
যেহেতু আপনি নতুন ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি নতুন চালু হয়েছে এমন কোন ডেলিভারি সার্ভিস হোল্ডার বাছাই করবেন না। তাই কোম্পানিটি কতদিন ধরে ব্যবসা করছে, তা ভালো করে দেখে নিন। আদর্শভাবে, আপনার এমন একটি কোম্পানি নির্বাচন করা উচিত হবে যেটি প্রতিষ্ঠিত এবং আপনার মতো এরকম আরও কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছে। একটি অভিজ্ঞ ডেলিভারি সার্ভিস প্রতিষ্ঠান আপনাকে শুধু ভাল পরিষেবাই দিবে না, সাথে আপনার ব্যবসার প্রসারের জন্য সুপরামর্শও দিতে পারে।
বাহ্যিক বেশভূষা
আপনার গ্রাহকরা আপনার পণ্য হাতে যাকে দেখবেন তার উপর ভিত্তি করে আপনার ব্যবসার গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হবে। সুতরাং তারা তাদের যানবাহন এবং নিজেদের পোষাক-পরিচ্ছদ কতটুকু সুন্দর ও পেশাদার করেছে সেদিকে নজর দিন। সুন্দর একটি লোগো থেকে শুরু করে গ্রহণযোগ্য রঙ; সর্বপরি ক্যামন মোড়কে আপনার পণ্যটি ভরে তারা আপনার গ্রাহকের সামনে হাজির হচ্ছে- এ ব্যাপারগুলোর দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।
ডেলিভারির পাশাপাশি আরও কিছু সুবিধা দিচ্ছে কিনা
আপনি কোন ডেলিভারি কোম্পানিকে অধিক মূল্য দিবেন? যারা শুধুমাত্র এ বিন্দু থেকে বি বিন্দুতে আপনার পার্সেলগুলো সরবরাহ করছে তাদেরকে, নাকি এর পাশাপাশি যারা আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তাদেরকে? কিছু ডেলিভারি কোম্পানি তাদের সার্ভিসের সাথে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মান সংযোজন করে। যেমন: প্যাকেজিং, লেবেলিং, গুদাম ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ, মুদ্রণ এবং এমনকি মেইল পরিপূর্ণতা। এ ধরনের ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা আপনার জন্য সহজ করে দিবে।
তাদের ডেলিভারিটি আপনি ট্র্যাক করতে পারবেন কিনা
আপনি যেহেতু আপনার পণ্য সরবরাহের জন্যে একটি ৩য় পক্ষ কোম্পানির শরণাপন্ন হতে যাচ্ছেন, তাই আপনার পণ্যটির সঠিক ডেলিভারি হচ্ছে কিনা তা যাচাই করে নেয়া ভালো। আপনি পণ্যটি ছেড়ে দেয়ার পর থেকে তা কোন কোন জায়গা দিয়ে আপনার গ্রাহকের কাছে পৌঁছাচ্ছে তা জানা আবশ্যক। অনেক কোম্পানিই এই সুবিধাটি দিয়ে থাকে। আপনার হাতের স্মার্টফোনেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পণ্যের বর্তমান অবস্থানের খবর। পাশাপাশি ট্র্যাকিং সিস্টেমটি আপনাকে বলে দিবে যে, আর কত সময়ের মধ্যে আপনার পণ্যটি আপনার গ্রাহকের হাতে পৌঁছাচ্ছে।
তাদের গ্রাহক সেবা কতটুকু সহজলভ্য
আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে নিন, যেকোন সমস্যায় আপনি ফোনের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাবেন কিনা। শুধু যে আপনার সাথেই বন্ধুভাবাপন্ন হবে তা নয়, খেয়াল করুন ডেলিভারি কর্মকর্তারা আপনার গ্রাহকের সাথেও সদাচরণ করছে কিনা। অনেক ক্ষেত্রেই পণ্য বহনের সময়টা আপনার নিয়ন্ত্রণের না থাকার দরুণ সে সময়ে আপনার গ্রাহক কেমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা আপনার অজানা থেকে যেতে পারে। আপনার গ্রাহকদের সামনে ডেলিভারি চালক কীভাবে আচরণ করছে তার উপর নির্ভর করছে আপনার কাছ থেকে গ্রাহকটি আবার পণ্য কিনবেন কিনা। একটি পেশাদার ডেলিভারি কোম্পানি তার যানবাহনগুলো ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার পাশাপাশি খেয়াল রাখে যে তার কর্মীরা আপনার গ্রাহকদের সাথে সদা বন্ধুসুলভ যোগাযোগ বজায় রাখছে কিনা।
অঅরও পড়ুন: ইউরোপে প্রথম গ্যালারি অনিল অ্যাওয়ার্ড পেলেন শিল্পী নিলীমা সরকার
তাই এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিরীক্ষণ করে নিন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে এমন কারো কাছ থেকে এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। কেননা একমাত্র তাদের মতামতই এ ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য পর্যালোচনা দিতে পারে।
ডেলিভারি সার্ভিসের মূল্য
ডেলিভারি সার্ভিস নির্বাচন করার আগে সর্বদা একই পার্সেল চালানে কোম্পানিগুলো কেমন মূল্য ধার্য করছে- তা পরীক্ষা করুন। কিছু কোম্পানি একই পরিষেবা এবং ডেলিভারি সময়গুলোর ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি চার্জ করে। এক্ষেত্রে, পরিষেবাগুলোর তুলনামুলক দাম যাচাই করার মাধ্যমে আপনি নিরর্থক অপচয় থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
তবে খেয়াল রাখবেন, কেবল সস্তা বিকল্পের জন্য যেন মানের সাথে আপস না করে বসেন। লুকানো সারচার্জ বা অন্যান্য কারণের জন্য দামগুলো ভালো করে লক্ষ্য করুন।
পরিশেষে, এটা বলা বাহুল্য যে, অনলাই ব্যবসায় ডেলিভারি সার্ভিস কোম্পানিগুলোর কিছু নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে। তাই অনলাইনে কেনা এবং ডেলিভারি গ্রহণের সময় আপনার গ্রাহকরা যেসব সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, সে সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন হোন। গ্রাহকদের কাছ থেকে ডেলিভারি সার্ভিসের অভিযোগ পাওয়ার সময় আপনি কিভাবে তার সমাধান করবেন তার পরিকল্পনা করে রাখুন। মনে রাখবেন, প্রতিবার শপিং কার্ট থেকে গ্রাহকের বাড়ির সদর দরজা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে সার্ভিস বিতরণের মধ্যেই নিহিত আপনার ব্র্যান্ডের সুনাম বজায় রাখার চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন: তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী
তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারার উদ্যোগে ও আঙ্কারা সিটি করপোরেশন সহযোগিতায় “মুজিব বর্ষ” উদযাপনের অংশ হিসেবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর চারদিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আঙ্কারাস্থ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধর করেন ডেপুটি মেয়র মিসেস গুলসুন বোর গুনের ও মান্যবর রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘সুইডিশ ড্যাডস অ্যান্ড বাংলাদেশি বাবা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ আগস্ট বৃস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাংলাদেশের আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান এনডিসি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতির পিতার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অবদানের প্রতি আলোকপাত করে তিনি বলেন যে, প্রদর্শনীর আলোকত্রিগুলোতেও তার সেই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ প্রতিফলিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ফেলানীর বাড়িতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করতে পেরে চানকায়ার ডেপুটি মেয়র আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রদর্শনীটি আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ইউরোপে প্রথম গ্যালারি অনিল অ্যাওয়ার্ড পেলেন শিল্পী নিলীমা সরকার
ইউরোপের জার্মানিতে প্রথমবারের মতো গ্যালারি অনিল অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাঙালি নারী শিল্পী নিলীমা সরকার।
২০২১ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০০জন শিল্পী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী সেরা ১০ জন প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয়। তার মধ্য থেকে চূড়ান্ত বাছাইয়ে একজনকে নির্বাচিত করা হয়।
আরও পড়ুন: নুরুল ইসলাম বাবুল পেলেন মরণোত্তর গ্লোবাল সিএসআর অ্যাওয়ার্ড
পুরস্কার জয়ী নিলীমা সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগ থেকে এমএফএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন প্রাইজমানি, ক্রেস্ট, সাটিফিকেট আর ২০২২ সালের মে মাসে জার্মানিতে দুই সপ্তাহের জন্য একক চিত্র প্রদর্শনীর সুযোগ।
পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে শিল্পী নিলীমা সরকার বলেন, ‘আমি অনেক বেশি আবেগাপ্লুত। বাঙালি হিসেবে ইউরোপের মাটিতে এতো বড় সম্মান আমার ভবিষ্যৎ কাজে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে। ছবি সম্পর্কে বলতে গেলে, আমি প্রকৃতি খুব ভালোবাসি।’
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ পেলেন ২০ বাংলাদেশি
তিনি বলেন, নিজেকে ভালো রাখতে হলে প্রকৃতির সংস্পর্শে এসে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে।