জীবনধারা
ফকির আলমগীর: এক খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পীর উপাখ্যান
বিশ্ব দরবারে যে নামগুলো বাংলাদেশের সঙ্গীতকে প্রতিনিধিত্ব করছে তার একটি- ফকির আলমগীর। নিছক বিনোদনের গণ্ডি পেরিয়ে সঙ্গীত যে সমাজ পরিবর্তনের শক্ত হাতিয়ার হতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই প্রথিতযশা পল্লী গায়ক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঊষালগ্ন থেকে শুরু করে এই পপ শিল্পী বিভিন্নভাবে তার জীবনভর অবদান দিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে পরিশিলিত করেছেন। ৭০-৯০ দশকের এক বিরাট সময় ধরে দেশ মাতিয়েছেন ফকির আলমগীর। অভিজাত সঙ্গীতজ্ঞদের পাশাপাশি দেশ জুড়ে লাখ লাখ গানপ্রিয় মানুষের মাঝে ছড়িয়ে আছে তার অগণিত ভক্ত।
চলুন, এই শক্তিমান সঙ্গীত শিল্পীর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
ফকির আলমগীরের জন্ম ও শিক্ষাজীবন
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আর ফকির আলমগীরের জন্ম তারিখ একই। যদিও ভাষা আন্দোলনের বছর দুই আগে তার জন্ম; ১৯৫০ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি। ফকির আলমগীর ফরিদপুরের মানুষ। থানা ভাঙ্গা আর গ্রামের নাম কালামৃধা। পিতার নাম- মো. হাচেন উদ্দিন ফকির এবং মায়ের নাম- বেগম হাবিবুন্নেসা। তিন ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে তার স্থান অষ্টম। দাদী, বাবা-মা ও আট ভাইবোন নিয়ে স্বভাবতই বড় এক পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা।
আরও পড়ুন: থেমে গেলো ফকির আলমগীরের কণ্ঠ
১৯৬৬ সালে ফকির আলমগীর কালামৃধা গোবিন্দ হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন। অতঃপর জগন্নাথ কলেজে উচ্চ-মাধ্যমিকের জন্য ভর্তি হন। জগন্নাথ থেকে স্নাতক পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে সেখান থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ফকির আলমগীর ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হন ১৯৬৬ সাল থেকে। সে সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপের সদস্য হন।
ব্যক্তি জীবনে এই ঝাঁকড়া চুলের মানুষটি খুবই সহজ সরল। ভাবের আদান-প্রদানের সময় এই গানের মানুষটাই যেন নিমেষেই প্রত্যেকের প্রাণের মানুষ হয়ে ওঠেন। শুধু গানের সময়েই নন, গানের বাইরেও তিনি গণমানুষের। পথে-ঘাটে যখন যেখানে যার সাথে দেখা হচ্ছে তার সাথেই সাধারণ মানুষের মত মিশে যেয়ে কথা বলেন। আর এই কারণেই যে কেউ অকপটেই তাকে নিজের মনের কথা বলে ফেলতে পারে।
পেশাগত জীবনে এই শিল্পী বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর এবং তিন সন্তান রানা, রাজীব ও রাহুল। তাঁর তিন নাতি ফারহান, ফারদিন, উজান এবং এক নাত্নী ফারিন।
সঙ্গীত জগতে ফকির আলমগীরের আবির্ভাব ও অবদান
ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। ফলশ্রুতিতে, তাকে ৬০-এর দশক জুড়ে কতিপয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে হয়েছিলো। এরই পথ ধরে ক্রমশ গানের জগতে তাঁর পদার্পণ ঘটে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী এবং গণ শিল্পী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় ফকির আলমগীর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন এবং তার গায়কির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহিত করেন।
স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ফকির আলমগীর তৎকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীত তারকা ফেরদৌস ওয়াহিদ, আজম খান, ফিরোজ সাই, এবং পিলু মমতাজের পাশাপাশি পশ্চিমা সংগীতের সাথে দেশীয় সুরগুলি সমন্বিত করে বাংলা পপ সংগীতের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। যুদ্ধাহত পুরো একটা দেশের মুষরে পড়া মানুষগুলোতে তাদের নতুন ধারার গান যেন প্রাণের সঞ্চার করেছিলো। প্রথম দিকে পপগানের সাথে জড়িত থাকলে পরবর্তীতে গণসঙ্গীতটাকেই ফকির আলমগীর তাঁর স্বাক্ষর হিসেবে বেছে নেন। ইতোমধ্যেই শহীদ আলতাফ মাহমুদ, আবদুল লতিফ, হেমাঙ্গ বিঃশ্বাস, আব্দুল আলীম, কামাল লোহানী, নিজামুল হক এবং অজিত রায়ের মত দেশ বরেণ্য সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সান্নিধ্য তাকে সঙ্গীতাঙ্গনে নিজের অবাধ বিচরণে আরো বেশী উৎসাহিত করে তোলে।
সেই সূত্রে, একজন সাংস্কৃতিক দূত হিসেবে বাংলাদেশের গানকে তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন এশিয়া সহ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোতে।
১৯৭৬ তিনি সালে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের (জিএসএসপি) সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। এছাড়াও তিনি বেতার টিভি শিল্পী সংসদ, আর্টিস্ট গিল্ট, বাংলা একাডেমী, আধুনিক বাংলাদেশ সঙ্গীত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদ, বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সমিতি, এবং অফিসার্স ক্লাব সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
গানের পাশাপাশি তাঁর লেখালেখিরও বেশ ভালো হাত ছিলো। তাঁর প্রথম বই বের হয় ১৯৮৪ সালে “চেনা চীন” নামে। তার প্রকাশনাগুলোর মধ্যে "গণসঙ্গীত এর অতীত ও বর্তমান", “গণসঙ্গীত ও মুক্তিযুদ্ধ”, "মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান", "আমার কথা", "যারা আছেন হৃদয়পটে", “মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধুরা”, “স্মৃতি আলাপনে মুক্তিযুদ্ধ” এবং “আবহমান বাংলার লোকসঙ্গীত” বইগুলো সুধীমহলে বেশ সমাদৃত হয়েছে।
ফকির আলমগীরের জনপ্রিয় গানগুলো
১৯৭৭ সালে প্রথম প্রকাশ পাওয়া বাংলা গান ফাকির আলমগীরের “মায়ের একধার দুধের দাম” দেশ জুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। আশির দশকে ভারতীয় শিল্পী হেমাঙ্গ বিঃশ্বাসের গাওয়া “জন হেনরী” বা “নাম তার ছিলো জন হেনরী” গানটি গেয়ে সাংস্কৃতিক বিভিন্ন মহলগুলোতে বেশ সমাদৃত হন ফকির আলমগীর। কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিকদের অধিকারের দাবী সুনিশ্চিতকরণ ছিলো গানটির বিষয়বস্তু।
১৯৮২ সালে তাঁর “ও সোখিনা” গানটি প্রথম বিটিভিতে ঈদ আনন্দ মেলায় সম্প্রচারিত হওয়ার পর পল্লী ও গণসঙ্গীতে তাঁর স্বাক্ষর রচিত হয়। গানটির গীতিকার ছিলেন আলতাফ আলী হাসু আর সুর করেছেন কন্ঠশিল্পী নিজেই। আশির দশকের শেষের দিকে ফকির আলমগীর নিজেরই লেখা, সুর ও গায়কিতে শ্রোতাদেরকে উপহার দেন “চল সোখিনা, দুবাই যাবো” গানটি।
১৯৯৭ সালে বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁর গাওয়া “নেলসন ম্যান্ডেলা” গানটি আজও লক্ষ প্রাণে দ্রোহের জাগরণ ঘটায়। সে বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এসে নেলসন ম্যান্ডেলা গানটি শুনে খুব মুগ্ধ হন।
এছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে "শান্তাহার জংশনে", "ব্যাংলার কমরেড বন্ধু", “আহারে কাল্লু মাতব্বর”, “ও জুলেখা” এবং “অন্তর কান্দে গো আমার গ্রাম” অন্যতম। এই ২১ শতকে এখনো মানুষ তার কন্ঠে “বনমালী তুমি”, “মন আমার দেহঘড়ি”, “মন তুই দেখলি নারে” গানগুলো শোনার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে থাকে। সর্বপরি, সাম্যবাদী শিল্পী ফকির আলমগীর দেশ, জাতি, বর্ণ, ধর্ম সব উপেক্ষা করে সর্বস্তরের মানুষের জন্য গান গেয়েছেন।
যে সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন ফকির আলমগীর
১৯৯৯ সালে সঙ্গীতাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ফকির আলমগীরকে একুশে পদক প্রদান করে। এছাড়া তিনি শেরে বাংলা পদক, সিকোয়েন্স এ্যাওয়ার্ড অব অনার, ভাসানী পদক, গণনাট্য পুরষ্কার, জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি পুরষ্কার, ক্রান্তি পদক, তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক, এবং ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরষ্কার সহ দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন পুরষ্কারে পুরষ্কৃত হয়েছেন। ফকির আলমগীর বাংলা একাডেমীর সম্মানজনক ফেলোশিফ, হলিউড বাংলাদেশ এসোসিয়েশন পুরষ্কার, এবং পশ্চিম বঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সঙ্গীতে মহাসম্মান লাভ করেন।
আরও পড়ুন: ফকির আলমগীর লাইফ সাপোর্টে
ফকির আলমগীরের মৃত্যু
২০২১ সালের ২৩ জুলাই এই কালজয়ী সঙ্গীতশিল্পী কোভিড আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৪ জুলাই ২০২১ বুধবার করোনা সংক্রমণ ধরা পরলে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় পরদিনই তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধীরে ধীরে পুরো ফুসফুস করোনা সংক্রমিত হওয়ার মাধ্যমে অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে। অতঃপর আইসিইউতে থাকা অবস্থায় ২৩ জুলাই শুক্রবার রাত ১০:৫৬ মিনিটে হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৭১ বছর।
শেষাংশ
ফকির আলমগীর চলে গেলেও তার কিংবদন্তি সঙ্গীত জগতে নবাগতদের জন্য পাথেয় হয়ে রইলো। তিনি দেখিয়ে গেছেন কি করে কতগুলো বাংলা শব্দকে কণ্ঠে ধারণ করে প্রতিরক্ষার অস্ত্রে পরিণত করা যায়। যুগে যুগে বিভিন্ন আন্দোলনের ক্রান্তিকালে সঙ্গীত শিল্পীরা তাদের গায়কির মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। বাংলাদেশের জন্য ফকির আলমগীর ঠিক সেরকমি একজন কণ্ঠযোদ্ধা। দেশের যে কোন গ্রহণকাল মোকাবিলার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে সকল কলাকুশলীদের কর্তব্যের ব্যাপারে তার জীবন চরিত একটি আদর্শ হয়ে রইলো।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক হোন
বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য পরিবেশ বাঁচাতে হবে। নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে। অন্যথায় বজ্রপাতের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় বজ্রপাতে। এ বছরেও বেড়ে চলেছে হতাহত ও মৃত্যুর সংখ্যা। চলতি জুন মাসে সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী, মানিকগঞ্জ, ফেনী, মাদারীপুর, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরে সব মিলিয়ে বেশ কিছু মানুষ বজ্রপাতে মারা গেছেন। শুধু তাই নয়, পরিবেশের উপরেও পড়ছে বজ্রপাতের ক্ষতিকর প্রভাব।
এমতাবস্থায় বজ্রপাতের মত আকস্মিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের জন্য চলুন জেনে নেই বজ্রপাতের ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সম্প্রতি বাংলাদেশে বজ্রপাত বৃদ্ধির কারণ
সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম বজ্রপাতের অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও লম্বা গাছের সংখ্যা কমে যাওয়াকেই দায়ী করেছে।প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বজ্রপাত বাড়ে ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি। সম্প্রতি ঘন কালো মেঘের ওপরের ও নিচের অংশ দুটি পুল হিসেবে ভেসে বেড়াচ্ছে। ফলশ্রুতিতে তাদের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহের মাত্রা বেড়ে সৃষ্টি হচ্ছে বজ্রপাত। সম্প্রতি কালো মেঘের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় ফলে বৃষ্টিপাতের সাথে পাল্লা দিয়ে বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
ঝড়বৃষ্টির সময় বজ্রপাতের প্রভাব
মানুষের উপর প্রভাব
বজ্রপাত থেকে উৎপন্ন হয় প্রায় ১০ হাজার অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ যা থেকে মিলি সেকেন্ডের মধ্যে ৫০ হাজার কেলভিন তাপশক্তি ছড়িয়ে পড়ে। সেজন্যই যদি সরাসরি কোন মানুষের উপর বাজ পড়লে এর আকস্মিকতা বুঝে ওঠার আগেই তার শরীর অঙ্গার হয়ে যায়। অন্য ক্ষেত্রে বাজ পড়ার পরে হার্ট অ্যাটাক হওয়াটা স্বাভাবিক।
রুটগার্স নিউ জার্সি মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক লুইস নেলসনের মতে, বাজের ফলে সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবে হৃদযন্ত্রের এক স্পন্দন বন্ধ হয়ে পরে দ্বিতীয়বারে বা দুই স্পন্দন পরে শুরু হয়।
আমেরিকার গণস্বাস্থ্য সংস্থা সিডিসির তথ্যানুসারে, বজ্রপাতে আক্রান্ত লোক শরীর জ্বালা-পোড়া, শক এবং ট্রমায় ভোগে। কারো কারো মধ্যে দুর্বলতা, বিভ্রান্তি, ত্বক নষ্ট এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।
আপনি হয়ত ইতোমধ্যে জেনে থাকবেন যে, বজ্রপাতপৃষ্ঠ হয়েও অনেকে বেঁচে যায়। কিন্তু এরা কেউই স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে না। বজ্রপাতের বিদ্যুৎ মস্তিষ্কে প্রবেশ করলে এর তাপ ও স্পার্ক মস্তিষ্কের কোষগুলিকে পুড়িয়ে অকেজো করে দেয়। বেঁচে যাওয়া মানুষদের ক্ষেত্রে তাই ট্রমা, মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন প্রভৃতি পরিলক্ষিত হয়।
পরিবেশ বিনষ্টসহ অন্যান্য ক্ষতি
দাবানল
বাজ সরাসরি গাছের উপর পড়ে গাছে আগুন ধরিয়ে দেয়। এভাবে তাপ ছড়ানোর ফলে দাবানলের সৃষ্টি হয়। বিমান ও অন্যান্য পরিবহনের ক্ষতিবিমানবন্দর, বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, যোগাযোগের টাওয়ার এবং নেভিগেশন বীকনগুলি বজ্রপাতের সময় অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বজ্রপাতের ফলে বিমানের ক্রমবর্ধমান বিলম্ব, বাতিলকরণ ও রুটের পরিবর্তন প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
বজ্রপাত সময়কালীন বাঁচার উপায়
১) ঝড়বৃষ্টির ও বজ্রপাতের সময় এপ্রিল-জুন মাস। সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট পর্যন্ত বজ্রপাত স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে থাকাটাই সমীচীন।২) এ সময় ঘন কালো মেঘ দেখলেই ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। জরুরি প্রয়োজনে রবারের জুতা পড়ে বেরতে পারেন। ৩) মুক্ত আকাশের নিচে ধানখেত বা খোলা মাঠে থাকলে দ্রুত পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন। ৪) যত দ্রুত সম্ভব দালান-কোঠা বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে গিয়ে আশ্রয় নিন। টিনের চালা ঘর অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন।৫) গাড়ির ভেতর অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশ থেকে যথাসম্ভব শরীরকে বাঁচিয়ে রাখুন। গাড়িটি নিয়ে দ্রুত কোন কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। ৬) মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজসহ সকল ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বজ্রপাতের আভাস পেলে আগে থেকেই এগুলোর প্লাগ খুলে রাখুন।৭) ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এ ক্ষেত্রে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
৮) এ সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।৯) বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।১০) বিস্তৃত জায়গায় একসাথে কয়েকজন থাকলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।১১) বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে সবাই এক কক্ষে ভিড় না করে আলাদা আলাদা রুমে চলে যান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আম কুড়াতে গিয়ে ...
যে স্থানগুলো বজ্রপাতের জন্য বিপজ্জনক
১) বজ্রপাতের সময় খোলা যেমন ধানখেত, মাঠ-ঘাট, নদী ও উঁচু জায়গা সব থেকে বিপজ্জনক। বিস্তৃত ফাঁকা জায়গায় যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি।২) উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বাজ পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই এ সময় গাছ বা খুঁটির কাছাকাছি থাকা নিরাপদ নয়।৩) বাড়িতে থাকলে জানালার কাছে থাকা যাবে না। ৪) রাস্তায় থাকলে অবশ্যই জমে থাকা পানি এবং বিদ্যুতের ছেঁড়া তার এড়িয়ে চলুন।
বজ্রপাতে কেউ আহত হলে কি করণীয়
সাথে সাথেই আহত ব্যক্তিতে খালি হাতে স্পর্শ করতে যাবেন না। অন্যথায় আপনিও শক পেতে পারেন। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সিপিআর দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন। হাত-পা অনবরত মালিশ করবেন। যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। মনে রাখবেন, বজ্রপাত ও বৈদ্যুতিক শকে আহত ব্যক্তির একই চিকিৎসা।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার সর্বোত্তম উপায়
বজ্রপাত যেহেতু একটি আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাই আগে থেকেই এর জন্য প্রস্তুত থাকার কোনো বিকল্প নেই।
১) অপেক্ষাকৃত বেশি দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে আগেই সেখানে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করুন। যেহেতু প্রত্যন্ত অঞ্চলে মৃত্যুর হার বেশি, তাই কৃষক, জেলেসহ যারা খোলা স্থানে কাজ করে তাদেরকে বজ্রপাতের ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান দিয়ে সতর্ক করুন। এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো নিত্যদিনের খাবারের জন্য যেহেতু প্রতিদিনের কাজের উপর নির্ভরশীল, তাই সরকারিভাবে এদের জন্য বিশেষ প্রণোদোনার ব্যবস্থা করা উচিত।২) সবচেয়ে মোক্ষম উপায় হলো যথেষ্ঠ পরিমাণে গাছ লাগানো যেগুলো দ্রুত লম্বা হয়ে বেড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে বেশি বেশি তাল ও নারকেল গাছ লাগাতে পারেন। এভাবে বনায়নের ফলে আবহাওয়ায় ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।৩) শহরে প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।৪) সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও সুউচ্চ টাওয়ার নির্মাণ করা প্রয়োজন। এতে বজ্রপাত টাওয়ারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। লোকালয় বেঁচে যাবে।
বজ্রপাত পরবর্তী পদক্ষেপ
যেহেতু দেশের মধ্যাঞ্চল বজ্রপাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই সে সব অঞ্চলের লোকদের ক্ষতির পরিমাণই বেশি। তাই সরকারি ও বেসরকারি সবমহল থেকেই তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা উচিত। আহতরা যেন উপযুক্ত চিকিৎসা এবং নিহতদের পরিবার যেন নিজেদের জীবন চালানোর জন্য অর্থ ও কাজ পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।শহরে ভাঙা গাছ ও খুঁটি উপরে ফেলে সেখানে গাছ লাগান। ছেঁড়া তার ও জমে থাকা পানি পরিষ্কারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। ভাঙা কাঁচ, দালানের কোন অংশ ভেঙে পড়ে থাকলে সেগুলো সাবধানে পরিষ্কার করুন। সাহায্যকারী কোন সংস্থার আশায় বসে না থেকে নিজেরা উদ্যমী হয়ে এক সাথে একে অপরের উপকারে নেমে পড়ুন
শেষাংশ
সর্বপরি বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য উচিত মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, যেহেতু এই অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে মানুষের কিছুই করার থাকে না। এই দুর্যোগের পেছনে মানুষের হাত নেই বললে মিথ্যে বলা হবে। কারণ বিশ্ব জুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর গাছপালার সংখ্যা কমে যাওয়া এগুলো সব আমাদেরই কাজ। কিন্তু এ অবস্থার উন্নতি অসম্ভব কিছু নয়। এর জন্য প্রয়োজন আমার আপনার সদিচ্ছা এবং প্রত্যেককে প্রত্যেকের জায়গা থেকে এগিয়ে আসা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে ...
সুস্থ থাকতে কলা নয়, খোসা খান
মানব শরীরের জন্য ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সুস্থ থাকতে ফল খাওয়া অনেক জরুরী। ওজন কমানো থেকে এনার্জি বাড়ানো সবকিছুতেই ডায়েচ চার্টে সবার উপরে থাকবে ফল। কিন্তু তার থেকেও বেশি উপকারী ফলের খোসা এই কথা অনেকেই জানেন না। তবে এমনটাই এখন দাবি করছেন ডায়টেশিয়ানরা।
আরও পড়ুন: জেনে নিন তরমুজ বীজের উপকারিতা
কলার থেকেও নাকি বেশি উপকারি কলার খোসা। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৬, বি-১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম যেমন হজমে সাহায্য করে তেমনই কলায় থাকা প্রচুর পরিমান ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখে। কলা যেমন আমরা এমনি খেতে অভ্যস্ত, তেমনি কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে, কলার পুডিং, মাফিন, কেক এমনকী, কলার বড়াও বেশ উপাদেয়। তবে কলা যেভাবেই খাই না কেন খোসাটি কিন্তু যায় সেই ডাস্টবিনে। এদিকে এই কলার খোসাতেই থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ। যা শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়িয়ে তোলে নয়, যেকোনও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে অত্যন্ত উপকারী। খোসার মধ্যে থাকা লুটিন নামক পদার্থ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও উপকারী। এছাড়াও কলার খোসায় থাকা প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরে রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে কলার খোসা।
আরও পড়ুন: অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে জেনে নিন ১০ ধাপ
সবুজ না হলুদ কোন খোসা বেশি উপকারী?
জাপানের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সবুজ খোসার থেকে বেশি উপকারী হলুদ খোসা। এই খোসা রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ ঠিক রেখে ক্যান্সার মোকাবিলা করতে পারে। সবুজ খোসার ক্ষেত্রে ১০ মিনিট খোসা সিদ্ধ করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। অন্যদিকে সবুজ খোসার মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপ্টোফ্যানের কারণে রাতে ভালো ঘুম হয়।
অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সবুজ খোসার মধ্যে থাকা সিরোটোনিন অবসাদের মোকাবিলা করতেও সক্ষম। আবার ডোপামিনের সাহায্যে কিডনিতে রক্ত চলাচল ভালো হয়।
আরও পড়ুন: মাস্ক পরলে চশমা ঘোলা হচ্ছে? সমাধান জেনে নিন
কীভাবে কলার খোসা খাবেন?
অনেক রকম ভাবে কলার খোসা খাওয়া যায়। এশিয়া ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলিতে কলার শাঁস ও খোসা প্রায় একসাই খাওয়া হয়। এছাড়াও বানানা পিল টি বা বানানা পিল স্মুদি উইথ আইসক্রিমও স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। কেউ কাঁচা খোসা খেতে পছন্দ করেন, কেউ বা সিদ্ধ করে খেতে পছন্দ করেন।
সূত্র: টাইম অফ ইন্ডিয়া বাংলা
জেনে নিন তরমুজ বীজের উপকারিতা
গরমের ফল তরমুজ। গ্রীষ্মকালের শুরু থেকেই বাজার তরমুজ পাওয়া যায়। আর এখন গ্রীষ্মকাল অথাৎ তরমুজের সময় চলছে। এই গরমে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে যে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার তাও আমাদের সবার জানা। কিন্তু তরমুজ খাওয়ার সময় বীজ ফেলে দেয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু জানেন কি, এই তরমুজের বীজের কত গুণ?
মারণ ব্যাধি থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে তরমুজে বীজ।
গবেষকরা বলছেন, তরমুজের বীজে এমন এক রাসায়নিক থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া তরমুজের বীজে থাকা একাধিক খনিজ অন্তঃসত্ত্বা নারীদের বিশেষ উপকারী।
আরও পড়ুন: অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে জেনে নিন ১০ ধাপ
তরমুজের বীজে থাকা লাইসিন নামে উৎসেচক ডায়াবেটিস বা মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসে চমকে দেয়ার মতো ফল দিতে পারে তরমুজের এই বীজ।
এছাড়া তরমুজের বীজে ক্যালোরির মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও ফোলেট, যা অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আরও পড়ুন: মাস্ক পরলে চশমা ঘোলা হচ্ছে? সমাধান জেনে নিন
তবে এ সবই থাকে তরমুজের বীজের খোলের নিচে থাকা অভ্যন্তরীণ অংশে। ফলে তরমুজের বীজ চিবিয়ে খেলেই তার সম্পূর্ণ উপকার মেলা সম্ভব। কারণ, সাধারণত বীজের ওপরের কঠিন খোল হজম করতে পারে না প্রাণীর পরিপাকতন্ত্র।
সূত্র: টাইম অফ ইন্ডিয়া বাংলা
লিচু দিয়ে রূপচর্চা
লিচুর সময় আসছে। তাই বাজারে এখন লিচু উঠতে শুরু করেছে। আর লিচু খেতে মোটামুটি সবাই ভালবাসেন! রসালো এই ফলটির স্বাদ যেমন, তেমনি এর কয়েকটি আশ্চর্য গুণ রূপচর্চার ক্ষেত্রেও অপরিহার্য। রোগ প্রতিরোধে আর রূপচর্চার ক্ষেত্রে লিচুর আশ্চর্য কয়েকটি ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন।
১) লিচুতে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালস যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। এই ফাইটোকেমিক্যালস চোখে ছানি পড়া আটকাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ত্বক থেকে শুরু করে চুলের যত্নে ব্যবহার করুন ভাতের মাড়!
২) লিচুতে রয়েছে অলিগোনল নামের একটি উপাদান যা শরীরে ভাইরাসকে বাড়তে দেয় না। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৩) লিচুতে ফ্যাট আর ক্যালোরির পরিমাণ থাকে নামমাত্র। তাই ওজন বাড়ার ভয় নেই।
৪) ত্বকের কালচে দাগ-ছোপ দূর করতে লিচুর রস অত্যন্ত কার্যকরী! ৫-৬টা লিচু চটকে তা মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এমন করতে পারলে মুখের ত্বকের কালচে দাগ-ছোপ সহজেই দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: সুস্থ জীবনধারাই সকল সুখের মূল
৫) রোদে পোড়া ত্বকের ট্যান দূর করতে লিচুর রস অত্যন্ত কার্যকরী! ৪-৫টা লিচু চটকে তার সাথে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশিয়ে সেটি মুখে ও হাতে পায়ের ট্যান পড়া ত্বকে ভালো করে মেখে নিন। ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন করতে পারলে এর ফারাক চোখে পড়বে।
৬) ত্বকের বলিরেখা দূর করতে লিচুর রসের জুড়ি মেলা ভার! লিচুর রস মুখে মেখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ফল পাবেন হাতে নাতে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া বাংলা
ত্বক থেকে শুরু করে চুলের যত্নে ব্যবহার করুন ভাতের মাড়!
প্রায় প্রতিদিনই বাঙালির প্রতিটি ঘরে ভাত রান্না হয়। এই রান্না করা ভাত ঝরঝরে করতে ভালোভাবে ভাতের মাড় ঝরিয়ে নেন সবাই। আর বেশির ভাগ সময়ে এই ভাতে মাড় ফেলে দেয়া হয়। তবে তা না ফেলে নানা উপায়ে কাজে লাগাতে পারেন। ত্বক থেকে চুলের যত্নে ভাতের মাড় কাজে লাগিয়ে দেখুন ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
জেনে নেয়া যাক ভাতের মাড়ের ব্যবহার...
১) ভাতের মাড় গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে দিনে অন্তত ২ বার গোসল করতে পারলে ত্বকের অস্বস্তিকর জ্বালা ভাব, চুলকানি, র্যাশ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
২) ব্রণের সমস্যা কি কিছুতেই কমছে না? মাতের মাড় ঠান্ডা করে তুলো দিয়ে ত্বকের ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগান। দিনে অন্তত ২-৩ বার এইভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ব্রণ-ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দ্রুত সেরে যাবে।
আরও পড়ুন: সুস্থ জীবনধারাই সকল সুখের মূল
৩) ভাতের মাড় ঠান্ডা করে তুলো দিয়ে মুখের ও হাত-পায়ের রোদে পোড়া অংশে নিয়মিত মাখতে পারলে বাড়বে ত্বকের জেল্লা। এই পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ত্বক থাকবে সতেজ, বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা। এ ছাড়াও ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন আর ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে ভাতের মাড় অত্যন্ত কার্যকরী!
৪) ভাতের মাড়ে পানি মিশিয়ে খানিকটা পাতলা করে নিন। শ্যাম্পু করার পর চুলে ভাতের মাড় দিয়ে মিনিট তিনেক রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যার মোকাবিলায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এ ছাড়া চুল গোড়া থেকে মজবুত করতে আর চকচকে করতে এই পদ্ধতি সাহায্য করবে।
এ ছাড়াও শরীরের অপুষ্টিজনিত সমস্যার মোকাবিলায় ভাতের মাড় খুবই উপকারী।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া বাংলা
জেনে নিন ক্ষতিকর অ্যারোসল, কয়েলের চেয়ে প্রাকৃতিকভাবে মশা তাড়ানোর উপায়
বাংলাদেশে গত বছরের তুলনায় কিউলেক্স মশার সংখ্যা চারগুণ বাড়ার তথ্য সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে। মশাবাহিত রোগবালাইয়ে মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে।
মাগুরায় ঐতিহ্যবাহী ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চর-যশোবন্তপুরে সোমবার বিকালে এ ঘোড়দৌড় মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জেনে নিন কাঁচা মরিচের যত গুণ
কাঁচা মরিচের স্বাদ সবাই জানেন। অনেকেই আছেন ঝাল খেতে পারেন আবার কেউ পারেন না। কিন্তু নিয়মিত ২টি কাঁচা মরিচ খাওয়া শরীরের বিশেষ উপকারে আসে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ক্যাণ্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। খবর টাইম অব ইন্ডিয়া বাংলা।
ঝিনাইদহে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ির দৌঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
আবহমানকাল থেকে কৃষকের হালচাষের অবিচ্ছেদ্য অংশ গরু। শান্ত এ প্রাণীটি গ্রাম বংলার মানুষের বিনোদনের কেন্দ্রও বটে।