খুন
আরবি পড়তে যাওয়ার পথে খুন হলো ৯ বছরের শিশু
হবিগঞ্জ শহরের আরবি পড়তে যাওয়ার পথে খুন হয়েছে ৯ বছরের এক শিশু। মঙ্গলবার সকালে শহরতলীর ছোট বহুলা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত তৃষা আক্তার (৯) ওই গ্রামের আব্দুস শহীদের মেয়ে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, আরবি পড়তে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে তৃষা বাড়ি থেকে বের হয়। এর কিছু সময় পর প্রতিবেশীরা তৃষাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
প্রতিবেশীদের চেঁচামেচি শুনে আবদুস শহীদ ঘটনাস্থলে যান।
পরে তৃষাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। শোনা যাচ্ছে ওই শিশুর বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি পরিবারের বিরোধ রয়েছে।
তাদের সঙ্গে মামলা মোকদ্দমাও চলছে। শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
মাদারীপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ভ্যানচালক খুন
১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে আরও এক রোহিঙ্গা নেতা (সাব মাঝি) নিহত হয়েছেন। রবিবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে উখিয়া বালুখালী ক্যাম্প-৮ ইস্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ সেলিম (৩৫) উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৮- নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি ওই ক্যাম্পের বি-ব্লকের সাব মাঝি।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
ওসি বলেন, ভোরে ঘর থেকে ঢেকে নিয়ে আরসা নামধারী একদল দুষ্কৃতিকারী মাঝি সেলিমকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার ১২ ঘন্টা আগে ৭ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পালংখালী ইউপিস্থ জামতলী এফডিএমএন ক্যাম্প-১৫, ব্লক-এ/৫, এর হেড মাঝি রশিদ আহমদ কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিদেশি অস্ত্রসহ ৬ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর পাঁচজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ব্যক্তিরা হলেন-বাবু, তারিকুল ইসলাম, খায়রুল বাশার এবং সুমন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ: ছাত্র অধিকার পরিষদের সোহাগ-মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-সোহেল, আলম, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন এবং উজ্জল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম বিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শিক্ষার্থী ছিলেন। এর পাশাপাশি ব্যবসা করতেন তিনি ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই বিকালে ডেমরার বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন বিপু। সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিবেশী বাবু বাসায় এসে বিপুকে ঘুম ডেকে নিয়ে যান।
এর ১৫-২০ মিনিট পর বিপুর বাসার কাজের মেয়ে বাসায় এসে জানায়, বিপু মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিপুর খালা রোকসানা আক্তার ও প্রতিবেশী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ওই দিনই ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ৩০ সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ‘ধর্ষণ’ মামলায় গ্রেপ্তার ২ সন্দেহভাজন রিমান্ডে
ফারদিন আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছে: বাবার দাবি
কুষ্টিয়ায় শ্যালকের হাতে দুলাভাই খুন
কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্যালকের হাতে দুলাভাই সিরাজ মোল্লা (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনার পর থেকে শ্যালক আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছে।
নিহত সিরাজ মোল্লা উক্ত এলাকার কাশেম মোল্লার ছেলে। ঘাতক আলমগীর হোসেন সর্ম্পকে আপন চাচাতো শ্যালক।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার সকালে চাচাতো শালা আলমগীর পাথর দিয়ে ঘুমন্ত সিরাজের মাথায় আঘাত করে।
এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী পারভিন খাতুন বলেন, কয়েক মাস আগে আমার স্বামী সিরাজ আলমগীরের স্ত্রীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন আলমগীর। টাকা ধার নেয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জেরে আমার স্বামীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে।
আমি হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফারদিন আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছে: বাবার দাবি
ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় শিক্ষার্থী খুনের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে ছোটভাইয়ের হাতে মেজো ভাই খুন!
লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে মেজো ভাইয়ের খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের ধমধমা দিঘীরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তোফায়েল আহমদ ও ছোট ভাই হোসেন আহমদ মৃত মন্তাজুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মন্তাজুর রহমানের ছেলে তোফায়েল আহমদ ও হোসেন আহমদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। বুধবার রাত আটটার দিকে পারিবারিক কলহ ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তোফায়েল আহমদের সঙ্গে ছোট ভাই হোসেনের স্ত্রী-সন্তানের কথা কাটাকাটি হয়। হোসেন আহমদ লক্ষ্মীপুর থেকে রাত ৯টার দিকে বাড়িতে যাওয়ার পর বিষয়টি বড় ভাইকে জিজ্ঞাসা করে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ভাই মেজো ভাইকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করা নিয়ে বিরোধে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হোসেন আহমদকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজ্জমান আশরাফ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পারিবারিক কলহের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে মেজো ভাই খুন হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত হোসেন আহমদকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও পুলিশ জানান।
আরও পড়ুন: জকিগঞ্জে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন!
পুরান ঢাকায় ‘ডাকাতি’, বৃদ্ধ খুন
চাঁদপুরে আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করা নিয়ে বিরোধে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
চাঁদপুর সদরে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে সাপোর্ট করা নিয়ে বিরোধের জেরে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আরেক বন্ধু খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের দক্ষিণ নানুপুর গ্রামের আমিন বেপারী বাড়ি সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান (১৬) ওই গ্রামের শাকসবজি ব্যবসায়ী হেলাল বেপারীর ছেলে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মেহেদী সবার বড়। সে নানুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
অভিযুক্ত বরকত (২০) নিহত মেহেদী হাসানের প্রতিবেশি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জানা যায়, ছুরিকাঘাতের পরপরই মেহেদীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেদীর বাবা হেলাল বলেন, গত ২৬ তারিখ আমার ছেলে আর্জেন্টিনার খেলা দেখছিলো। ওইদিন রাতে আমার ছেলেকে খেলা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে বরকত মারধর করে। সেই ঘটনা নিয়ে আজ সন্ধ্যায় আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে অন্ধকার জায়গায় ডেকে নিয়ে বরকত ছুরি দিয়ে এলোপাতারী বুকে আঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.ওমর ফারুক সবুজ বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তার বুকে তিনটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, অভিযুক্ত বরকতকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তের পর আর তথ্য জানা যাবে বলেও জানান ওসি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় বলেন, বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যে জানতে পেরেছি মেহেদী ও বরকত বন্ধু। তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এই ঘটনা নিয়ে আজকে মেহেদীকে ছুরিকাঘাত করে।
আরও পড়ুন: জকিগঞ্জে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন!
কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
জকিগঞ্জে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন!
সিলেটের জকিগঞ্জে আপন চাচাতো ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সুলতানপুর ইউপির মাজবন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনসুর আহমদ (১৪) সুলতানপুর ইউপির মাজবন্দ গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মৃত তেরা মিয়ার ছেলে আশিকুর রহমানের সঙ্গে মনসুরের বিরোধ দেখা দেয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে রবিবার সন্ধ্যার পরে মাজবন্দ মসজিদের পাশে আশিক ও মনসুরের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে আশিক উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মনসুরকে।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় ‘ডাকাতি’, বৃদ্ধ খুন
এসময় মনসুরের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য শামিম আহমদ স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্ত আশিককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
ইউপি সদস্য শামিম আহমদ জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই তিনি অভিযুক্ত আশিকুর রহমানকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে আসামি নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সহকারি অফিসার আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, মনসুরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরির বেশ কয়েকটি আঘাত রয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, বাড়ির পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ওইসন্ধ্যার পর মনসুরকে চাচাতো ভাই আশিকুর রহমান ছুরিকাঘাত করে। এতে মনসুরের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ আশিকুরকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
ময়মনসিংহে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
কক্সবাজার শহরের চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ ইউসূফ(২২) নামের এক যু্বক নিহত হয়েছেন। এঘটনায় একই এলাকার সোহেল (২৫) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার শহরের চন্দ্রিমা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউসূফ ওই এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি পেশায় সৈকতের ফটোগ্রাফার ছিলেন।
অভিযুক্ত সোহেল একই এলাকার বাবুলের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফেসবুক পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবক খুন
নিহত ইউসুফের ভাই সৈয়দ আহমদ জানান, কিছুদিন আগে একটি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার ভাই ইউসুফের সঙ্গে একই এলাকার সোহেলের তর্কবিতর্ক হয়। ওই ঘটনার জের ধরে রবিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে। কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে উত্তেজিত জনতা আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয় এবং দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
ছেলের হাতে বাবা খুন
ময়মনসিংহে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের দেবস্তান গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহতের নাম নাঈম (৫)। একই গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। অভিযুক্ত চাচার নাম আব্দুল বারেক (৩৫)।
আরও পড়ুন: মাগুরায় চাচার আঘাতে ভাতিজা খুন
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত বারেক একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। শনিবার দুপুরে চাচা বারেক ও ভাতিজা নাঈম একসঙ্গে খেতে বসেছিলেন। খাওয়ার মাঝেই অভিযুক্ত বারেক তার ভাতিজাকে দা দিয়ে বুকে ও পেটে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। পরে এ অবস্থায়ই ভাতিজার লাশ কাঁধে নিয়ে বাড়ির আঙিনায় ঘুরতে থাকে বারেক। এসময় বিষয়টি বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে শিশু নাঈমের লাশ উদ্ধার করে।
পরে চাচা বারেককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ও চাচাকে আটক করে।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত চাচাকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা খুন
ময়মনসিংহে খুনের অভিযোগে দম্পতি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছেলের হাতে বাবা খুন, ছেলে আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছেলের বিরুদ্ধে তার বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল বারি (৫৫) ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। এঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে শাহিনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফেসবুক পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবক খুন
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে রবিবার রাতে আব্দুল বারির বড় ছেলে ফারুক হোসেনের স্ত্রীকে গালিগালাজ করছিলো অভিযুক্ত শাহিন। এসময় বাবা আব্দুল বারি শাহিনকে বাধা দেন। এনিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে কথাকাটাটি হয় এবং এক পর্যায়ে শাহিন তার বাবাকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। এসময় পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুল বারি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং রাতেই অভিযুক্ত শাহিনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
খুলনায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে যুবক খুনের অভিযোগ