কুমিল্লা
কুমিল্লায় ‘চোর’ সন্দেহে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লা নগরীতে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১০ জুলাই) মধ্যরাতে নগরীর ঢুলিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাদ্দাম হোসেন (৩৫) নগরীর উনাইসার এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তার বাড়ি জেলার মুরাদনগর উপজেলার রামপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাদ্দাম কুমিল্লা ইপিজেডের ঝুট আনা-নেওয়ার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, শুনেছি সোমবার রাত ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার দিকে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা নিয়ে সাদ্দামকে পিটিয়েছে জনতা। বেধড়ক পিটুনিতে তিনি মারা গেছেন। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, হত্যার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘মাদক বহন না করায়’ প্রতিবন্ধী কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাগেরহাটে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে তিন ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. ফয়েজ উল্লাহ, মো. অহিদ উল্লাহ ও মো. শহিদ উল্লাহ।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকায় জমি লিখে না দেওয়ায় বাবা আব্দুল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করেন তার ছেলেরা।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মত সাফিয়া খাতুন বাদী হয়ে তিন ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিন ছেলে, নাতি ও স্বজনেরা মিলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
পরে এ মামলায় আটজনের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ঈদুল আজহা: কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দর দিয়ে ৬ দিন বাণিজ্য বন্ধ
মুসলিমদের অন্যতম বৃহত্তম উৎসব ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বিবির বাজার স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রম ছয় দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ জুন) কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবির বাজার স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র পাল জানান, ঈদের ছুটিতে ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
তবে এ সময় স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আন্তঃসীমান্ত যাতায়াত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী ৩ জুলাই থেকে বিবির বাজার স্থলবন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
কুমিল্লায় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
কুমিল্লার হোমনায় প্রেমিককে ভিডিওকলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিকা। উপজেলার ঘারমোড়া ইউনিয়নের মনিপুর বাজারে ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমিকা সালমা আক্তার (২২) ঘারমোড়া ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
সালমা আক্তার ওই ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে কিশোরীসহ ৩ জনের ‘আত্মহত্যা’
জানা যায়, প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে ব্যাংকের ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সালমা আক্তার। এসময় প্রেমিক সাকিল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েও প্রমিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। প্রেমিকাকে বাঁচাতে না পেরে সাকিল বার বার দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকেও আহত করে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে। পরের দিন ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, সালমার পরিবারে প্রায় সময় সালমার মা ও ভাবির মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ও পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। কিন্ত সালমা তা পছন্দ করতেন না।
রবিবার সকালে তার মা ও ভাবির ঝগড়ার কারণে নাস্তা না খেয়ে ব্যাংকে চলে যান তিনি। বিকালে বাড়ি গিয়ে দেখেন তাদের ঝগড়া থামেনি, বাড়িতে রান্নাও হয়নি।
তাই সালমা আক্তার অভিমান করে তার প্রেমিক সাকিলের মোবাইলে ভিডিওকল দিয়ে ব্যাংকের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
পরবর্তীতে সাকিল দ্রুত এসে দরজা ভেঙে তার প্রমিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্ত বাঁচাতে না পেরে নিজেও বার বার দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকেও আহত করে।
পরে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ এসে সালমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় সালমার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সাবেক ইউপি সদস্য মনির হোসেন জানান, সালমা সকালে মা ও ভাবীর ঝগড়ার কারণে নাস্তা না খেয়েই ব্যাংকে চলে যায়। বিকালে বাড়িতে গিয়েও দেখেন তাদের ঝগড়ার কারণে দুপুরের রান্নাও হয়নি। এতে সে অভিমান করে ব্যাংকের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাসঁ দেয়।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আত্মহত্যা। তবুও প্রেমিক সাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, এরপর স্বামীর ‘আত্মহত্যা’
মাগুরায় মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
হাঁটুপানিতে বসেই চলছে পরীক্ষা!
পানিতে ভাসছে টেবিল, বেঞ্চ ও জুতা। পরনের জামাকাপড় ভিজছে। হাঁটুপানিতে বসে আছেন পরীক্ষার্থীরা। এই পানিতে হেঁটেই শিক্ষকরা এনে দিলেন পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্র।
শিক্ষার্থীদের হাতে চলতে শুরু করে কলম। এটি কোনও নদী বা সাগর পাড়ের রোমান্টিক পরীক্ষা আয়োজনের চিত্র নয়। রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার দৃশ্য ছিল এমনই!
শিক্ষার্থী, কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় টইটম্বুর কুমিল্লা নগরী। পুরো শহরেই জলাবদ্ধতায় হাঁটু পানি জমে যায়।
আরও পড়ুন: বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার আহ্বান
তবে নগরীর মনোহরপুর এলাকার সরকারি মহিলা কলেজের পরিস্থিতি পুরোপুরি বেহাল। তুলনামূলক নিচু এলাকা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় মহিলা কলেজ। রবিবার দুপুরের বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় কলেজ ক্যাম্পাস।
এসময় পরীক্ষা চলছিল স্নাতক চতুর্থ বর্ষের।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম জানান, গতকাল আমাদের চতুর্থ বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা ছিল। ১টা ৩০-এ পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। বাসা থেকে বের হয়ে হলে যেতে যেতে ভিজে গেছি।
পরীক্ষা শুরুর আগের সামান্য বৃষ্টিতে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস পানিতে ভরে যায়।
আমরা হাঁটুপানির মধ্যেই পরীক্ষা দিই। আমার সামনের বন্ধুর প্রবেশপত্র পানিতে পড়ে নষ্ট হয়েছে। সবাই ভিজে গেছে। হাঁটু সমান পানিতে শিক্ষকদের অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়।
অনেক শিক্ষার্থীর কাগজপত্র ভিজে গেছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কলেজের নিচতলা পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার অবস্থা হয়ে গেছে।
এর মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে পুরো হলে চার্জার লাইট ও মোমবাতির ব্যবস্থা করা হয়। যে কারণে অনেকে পরীক্ষা শেষ না করেই বেরিয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, পানি প্রবেশের ফলে কলেজ ক্যাম্পাস জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে পোকামাকড়, সাপ ও ময়লা। যা অনেক শিক্ষার্থীর অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাসনাত আনোয়ার উদ্দীন আহমেদ বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে পুরো কুমিল্লাই ডুবে যায়। মহিলা কলেজ তো একটি অংশ মাত্র।
তিনি বলেন, কলেজটি বেশ পুরনো। ভবনগুলোও পুরনো। শহরের সমতলভূমি থেকে কালক্রমে কলেজ ক্যাম্পাস নিচু হয়ে পড়েছে। তাই পানি বেশি প্রবেশ করে আমাদের ক্যাম্পাসের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
এই সমস্যার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, টমছম ব্রিজ থেকে যে খালটি পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের দিকে গেছে সেটি ভরাট করে রাস্তা করা হয়েছে। তাই এখন খালটি ড্রেনের মতো। পানি যেতে পারে না। সেই পানি আমাদের ক্যাম্পাসের দিকে চাপ দেয়। যার ফলে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নিরুপায় হয়ে ভিজে ভিজেই শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেন।
যদি নতুন ভবন করা হয় তবেই উঁচু করে তৈরি সম্ভব। আমরা প্রস্তাবনা রাখছি, যেন আমাদের নতুন ভবন করে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সিটি কর্পোরেশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত
জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১৩৫ জন পরীক্ষার্থী
কুমিল্লায় রেললাইনের সিগন্যাল পয়েন্টের ৪ কোটি টাকা মূল্যের ২৫টি মোটর চুরি
কুমিল্লায় রেললাইনের সিগন্যাল পয়েন্ট মেশিনের ২৫ টি মোটর চুরির অভিযোগ উঠেছে। যেগুলোর বাজারমূল্য ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
কুমিল্লার ৬৭টি পয়েন্ট মেশিনের মধ্যে ২৫টি পয়েন্টের মোটর চুরি হয়েছে। যার মাঝে রয়েছে আলীশহর, লালমাই, ময়নামতি, কুমিল্লা ও রাজাপুর স্টেশন।
নাগরিকরা মনে করেন, চুরিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসূত্র থাকতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রেনের এক লাইনের সঙ্গে অন্য লাইনের সংযোগ ও বিচ্ছিন্নকরণের জন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির যে মেশিন ব্যবহৃত হয় তা কুমিল্লার বিভিন্ন স্টেশন এলাকা থেকে সেই মেশিনের মোটর চুরি হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে লোকাল লাইনগুলো বন্ধ হয়ে পড়েছে।
কুমিল্লা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মে মাসে দুর্বৃত্তরা একের পর এক কুমিল্লা অঞ্চলের কয়েকটি স্টেশনের মোটর চুরি করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নবজাতক চুরির দায়ে স্ত্রীর-স্বামীর কারাদণ্ড
যার মাঝে আলীশহর, লালমাই, ময়নামতি, কুমিল্লা ও রাজাপুর স্টেশন এলাকা থেকে চুরি করেছে ২৫টি সিগন্যাল পয়েন্টের মেশিনের মোটর।
এতে ওই রেল স্টেশনগুলোতে বন্ধ রয়েছে লুপ লাইনে ট্রেন চলাচল এবং অতিগুরুত্বপূর্ণ ও দ্রুতগতির ট্রেন পাস।
এ অঞ্চলের পাঁচটি স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ৬৭টি পয়েন্ট মেশিনের মধ্যে ২৫টি পয়েন্ট মোটর চুরি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চুরির ঘটনা ঘটে লালমাই ও ময়নামতি স্টেশনে। লালমাইতে ১২টির মধ্যে আটটি এবং ময়নামতিতে ১০টির মধ্যে ১০টিই চুরি হয়।
এ ঘটনায় রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সংকেত আহমদ আলী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা অঞ্চলের রেলের সম্পদে বেড়েছে ঝুঁকি।
তিনি আরও বলেন, গেল দুই সপ্তাহেই আখাউড়া ও লাকসাম ডাবল লাইনের ২৫টি পয়েন্টে চুরি হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা মূল্যের মোটর।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, চুরির পেছনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দায় রয়েছে রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তারও।
আরও পড়ুন: নাটোরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার
কুমিল্লায় ডাকাতদের এলোপাতাড়ি কোপে নারীসহ আহত ১১
ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড়ইয়ার কৃষ্ণপুর গ্রামে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীদের রামদা, ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে ডাকাত দলের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান গ্রামবাসীদের। এতে আহত ১১ নারী-পুরুষ বড়ইয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুলিশ-যুবদল সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আহতরা হলো- গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির মো. শাহ আলম (৭০), তার স্ত্রী জয়নব বেগম (৬২), ছেলে আনিছুর রহমান (৩০), একই বাড়ির মৃত মজিবুর রহমান ছেলে আবদুর রহমান (৩১), মো. লোকমান হোসেনের ছেলে সোলায়মান (২৮), মৃত ছিফাত উল্লাহর ছেলে রবিউল্লাহ (৪৫), মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে জসিম উদ্দিন প্রধান (৪৫), মৃত আমিন উদ্দিন প্রধানের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রধান (৬৫), মৃত মজিবুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা (৩৮), রশিদ প্রধানের ছেলে ওসমান গনি (৩৫), সেলিম প্রধানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮)।
এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনিছুর রহমানকে গৌরীপুর সরকারি হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠান চিকিৎসকরা।
জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটায় বিল্ডিং বাড়ির পেছন দিক থেকে জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাত দল। ২০-২৫ জনের শর্ট প্যান্ট পরিহিত ও মুখোশধারী ডাকাত দল তাদের পরিবারের সদস্যদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে। ডাকাতরা নগদ টাকা, একটি মোবাইল, স্বর্ণের কানের দুল ও আংটি লুট করে।
এ সময় পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন টের পেয়ে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের চিৎকারে গ্রামের অন্যান্য লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করে। এছাড়া কয়েকজন রাস্তায় ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা সবাইকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসির আদেশ
কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে যুবদল কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আটক ১০
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসির আদেশ
কুমিল্লার হোমনায় ২০১০ সালে আবদুল করিম হত্যা মামলায় দুই আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে যুবকের ফাঁসির আদেশ
তবে এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মজনু মিয়া ও কবির মিয়া দুই জনের বাড়ি কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বাগমারা পশিচমপাড়া গ্রামে।
কুমিল্লার আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট সেলিম মিয়া মামলার বিবরণে জানায়, ২০১০ সালের ২৮ জুলাই বাগমারা পশিচমপাড়া গ্রামের আবদুল করিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে।
চারদিন পর ২ আগস্ট দুপুরে হোমনার বালুর মাঠের পশ্চিমে তিতাস নদীতে থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ভাই মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট সেলিম মিয়া।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে জোড়া খুনের মামলায় ৯ জনের ফাঁসি
নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২৩ ফাঁসির আসামির ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় ৪ এপ্রিল
৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১৬ জন আহত
কুমিল্লা, ঠাকুরগাঁও ও গাজীপুর জেলায় রবিবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার বিকালে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার জোড়কাননে কাভার্ডভ্যান ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই স্কুলছাত্রসহ তিনজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- পিকআপ ভ্যানের চালক মোরশেদ, স্কুলছাত্র ফয়সাল ও শাহীন। হতাহত ১৪ শিক্ষার্থী লালবাগ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সদর দক্ষিণ উপজেলা মাঠে বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল খেলায় অংশ নিতে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২০
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চক্রবর্তী জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ভুল দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়।
অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় রবিবার সকালে মোটরসাইকেল, নসিমন ও থ্রি-হুইলারের (পাগলু) মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জেলার রানীশংকৈল উপজেলার মুজাহিদাবাদ গ্রামের খাতু মোহাম্মদের ছেলে আলিম উদ্দিন (৫৫) এবং মালিবস্তি গ্রামের মৃত দরবারুর ছেলে আবুল হোসেন (৬৭)।
বালিয়াডাঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সোবহান জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়ে একটি নসিমন ও একটি থ্রি-হুইলার (পাগলু) মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই আলিম উদ্দিন নামে একজন নিহত হন। বিকালে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হোসেন মারা যান।
এছাড়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাওনা-কালিয়াকৈর সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় দুইজন নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন।
নিহত থ্রি-হুইলারের দুই যাত্রীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, ভোর ৬টার দিকে ফুলবাড়িয়া বাজার এলাকায় ফুলবাড়িয়াগামী একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহত অটোরিকশাচালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ট্রাকটি জব্দ করা সম্ভব হলেও এর চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
কুমিল্লায় পুলিশ-যুবদল সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লা শহরে শুক্রবার বিএনপির মিছিলে যুবদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির ৮৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই খাজু মিয়া বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বিপ্লব, সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, সদস্য সচিব রমন হাসান, আদর্শ সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলায় পৌর মেয়র কারাগারে
শুক্রবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে যুবদলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, এতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
নাটোরে রেলস্টেশন অবরোধ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৪