কুমিল্লা
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
কুমিল্লার গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার রাতে র্যাব-১১ এর একটি দল তাদেরকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় হত্যাকারীদের ব্যবহৃত বোরকা ও কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- তিতাস উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম সোহেল শিকদার, মো. ইসমাইল ও শাহ আলম।
আরও পড়ুন: আহসানউল্লাহ হত্যা মামলার রায় কার্যকর করুন: বক্তারা
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে তিতাস উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়।
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ সাত-আটজন অজ্ঞাত নামা আসামিদের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার অপর ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজন নেপাল, সৌদি, আরব, ভারত ও বাংলাদেশে পলাতক রয়েছে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়। আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১টায় র্যাব-১১ এর এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা কুমিল্লা র্যাব কার্যালয়ে সাংবাদিদের কাছে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই
কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক সাইফুল আলম সুজনকে হত্যার ঘটনায় ছয় জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পরিবহন নেতাকে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের এপিপি জাকির হোসেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জামাল, ইলিয়াস ও জাকির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন নয়ন, কামাল ও মিঠুন পলাতক।
এছাড়া মোট ৯ আসামির মধ্যে দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। একজন বিচারাধীন সময়ে মারা যান।
২০১০ সালের ১০ আগস্ট বিকালে কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকায় শিক্ষক সাইফুল আজম সুজনকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় সুজনের বাবা ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে নিজ শিশুকন্যাকে হত্যা, মায়ের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলারগৌরীপুর পশ্চিম বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
খুন হওয়া জামাল হোসেন পার্শ্ববর্তী তিতাস উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ওই উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামাল গৌরিপুর বাজারের ব্যবসায়ী। রবিবার সন্ধ্যায় গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে গুলির শব্দ হয়। এরপর সেখানে জামালকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা এসময় তিনজনকে বোরকা পরে পালিয়ে যেতে দেখেন। সিএনজি স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে জামালের বিরোধ ছিলো।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহীদ আল-হাসান বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জামাল নামের একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি গুলিবিদ্ধ ছিলেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে মৃত ঘোষণার পর আত্মীয়-স্বজনরা লাশ নিয়ে ঢাকায় যান।’
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা
তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল আলম মুরাদ বলেন, ‘হত্যার ঘটনাটি শুনেছি। জামাল তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
গোরিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নোমান মিয়া সরকার বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। পশ্চিম বাজারে জামালকে গুলিতে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। গ্রুপিংয়ের কারণে এটি হতে পারে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, ‘যুবলীগ নেতা জামালের কপালে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে মৃত ঘোষণা করলেও স্বজনরা জামালকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।’
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
কুমিল্লায় কন্টেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া কিশোরের পুকুরে ডুবে মৃত্যু
প্রায় তিন মাস আগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের রাতুল ইসলাম ফাহিম (১৪) নামের এক কিশোর শনিবার বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে মারা যায়।
রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, ‘তার ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে একা গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় রাতুল।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান হিরণ বলেন, ‘সাঁতার না জানার কারণে পুকুরে একা গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় রাতুল। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তার দাফন সম্পন্ন করার জন্য কিছু টাকা দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
এর আগে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর নিখোঁজ হয় রাতুল।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে 'এমভি ইন্টিগ্রা' নামের একটি জাহাজ মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। গত ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে একটি খালি কন্টেইনার জাহাজের ভেতর থেকে নাবিকরা আওয়াজ শুনতে পেয়ে কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়।
১৭ জানুয়ারি জাহাজটিকে জেটিতে নিয়ে আসা হয়। কন্টেইনারটি খোলা হয় এবং কিশোরটিকে উদ্ধার করা হয়।
পরে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতুলকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কিশোর রাতুলকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে: শাহরিয়ার আলম
চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার থেকে কিশোর উদ্ধার
কুমিল্লায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে কাজ করছে জেলা হাইওয়ে পুলিশ
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপনে গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন মানুষ। ঈদ যাত্রায় যানজটের কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন সড়কপথে। তবে দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ রাখতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
ঢাকা থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ অন্তত ১০ জেলার যানবাহন চলাচল করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ দিয়ে। তবে গেল কয়েক দিনের তাপদাহকে উপেক্ষা করে ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে মহাসড়কে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ।
যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানান কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করতে, অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে বিশেষ কুইক রেসপন্স টিম।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নিরাপদ করুন: আইজিপি
তিনি আরও বলেন, সড়ক জুড়ে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে কমিউনিটি পুলিশ।
বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে হবে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা।
যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে প্রতিযোগীতাহীন গাড়ি চালানোর পাশাপাশি সড়ক পারাপারে পথচারীদের সচেতন থাকার পরামর্শ হাইওয়ে পুলিশের।
আরও পড়ুন: প্রয়োজন ছাড়া লঞ্চে ঈদযাত্রা পরিহারে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
কুমিল্লায় বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুমিল্লায় বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন টিপরাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার শরিফপুর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল বাতেন এবং বরুড়া উপজেলার পোমতলা এলাকার মোখলেস মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে নিউ জনতা নামে বাসটি কোম্পানিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ক্যান্টনমেন্ট অফিসের সামনে এলে বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত দুই জনের লাশ এবং দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি উদ্ধার করেছে ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু
কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলের ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
কুমিল্লার হাসানপুরে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন এবং একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার বাংলাদেশ রেলওয়ে তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
তারা হলেন- গার্ড (চট্টগ্রাম বিভাগ) আব্দুল কাদের, লোকোমোটিভ মাস্টার (ঢাকা সদর) জসিম উদ্দিন এবং সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার (ঢাকা সদর দপ্তর) মো. মহসিন।
এছাড়াও, হাসানপুর স্টেশন সিগন্যাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওয়াহিদকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রিসে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত একজন চট্টগ্রামের ইদ্রিস
অন্যদিকে, চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ট্রেনের পরীক্ষক এসএম আখতার হোসেন ও হাসানপুর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মং মারমা জানান, দুইটি উদ্ধারকারী ট্রেন মেইন লাইন থেকে বগি সরিয়ে নেওয়ার পর রবিবার রাত ৯টার পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
অন্য বগিগুলো সরানোর কাজ চলছে বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, রবিবার সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছয়টি বগি ও লোকোমোটিভ লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ৩৫ জন যাত্রী আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনটি হাসানপুর স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ভুলভাবে একই লাইনে ঢুকে মালবাহী ট্রেনের পেছনের দিকে ধাক্কা মারে।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা
মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত আরও একজনের মৃত্যু
কুমিল্লায় পরিবহন নেতাকে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে পরিবহন নেতাকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাড. মো. নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দক্ষিণ সতানন্দি গ্রামের শান্তি রঞ্জন শীলের ছেলে তাপস চন্দ্র শীল (২৫), একই গ্রামের আউয়াল কমিশনারের বাড়ির মৃত রেজাউল করিম রাজা মিয়ার স্ত্রী মোসা. আলো আক্তার (৩০) এবং একই জেলার চান্দিনা উপজেলার বশিকপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া জয়নাল মেম্বার বাড়ির আ. সামাদ ওরফে সামাদ সরকারের ছেলে মো. রাসেদ (২৮)।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
নিহত রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়া মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার পুরাতন চরচাষি ছায়েদ আলী মুন্সী বাড়ির মৃত ছোয়াব আলী বেপারীর ছেলে।
জানা গেছে, তিনি দাউদকান্দি বাসস্ট্যান্ডে গজারিয়া পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৪ সালের ১৩ জুন আ. আউয়াল কমিশনারের বসত ঘরের পাশ থেকে তার ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর তার ভাই মো. খাজা মিয়া (৪৮) বাদী হয়ে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে রাজা মিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সন্ধেহভাজন মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী আলো আক্তারকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এবং অপর দুই আসামি তাপস চন্দ্র শীল ও রাসেদ এর নাম বলেন। পুলিশ অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করলে সবাই আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করে।
আদালত ২০১৫ সালের ২৭ মে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। পরে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি রাসেদ উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি মোসা. আলো আক্তার ও তাপস চন্দ্র শীল পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মামলার এজাহারকারী এবং রাষ্ট্রপক্ষ শিগগিরই রায় কার্যকর করার জন্য জোর দাবি জানান।
অপরদিকে, আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ সালাউদ্দিন বলেন, আমরা রায়ের কপি হাতে পেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় বিএনপি ও এলডিপির ২৬ নেতাকর্মী কারাগারে
কুমিল্লার চান্দিনায় বিএনপির পদযাত্রায় ‘পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায়’ বিএনপির সভাপতিসহ বিএনপি ও এলডিপির ২৬ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন তাদেরকে কারাগারে পাঠান।
তাদের মধ্যে ১৮ জন বিএনপি ও আটজন এলডিপি নেতাকর্মী।
আটকরা হলেন- চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদ, উপজেলা যুবদল সভাপতি মাওলানা আবুল খায়ের, পৌর যুবদল সভাপতি হাজী নুরুল ইসলাম মুন্সি, উপজেলা বিএনপি দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল চান্দিনা উপজেলা শাখার সভাপতি রাজিব ভূইয়া ও গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সাক্কুসহ ২৬ জন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর
জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চান্দিনার কুটুম্বপুর এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১৬০ জন অজ্ঞাতামা আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
ওই মামলায় তারা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়ে কুমিল্লা জেলা জজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ছয় সপ্তাহ শেষে মঙ্গলবার কুমিল্লা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন বিএনপি ও এলডিপি নেতাকর্মীরা। এ সময় জজ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইনজীবী আতিকুল আলম সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ আমরা উচ্চ আদালতের নির্দেশক্রমে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছি। কিন্তু আদালত নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রকৃতপক্ষে ওই ঘটনার সঙ্গে তারা কেউ জড়িত ছিল না।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর
নেত্রকোণায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় শুক্রবার অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের রতনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের কেশনপাড় গ্রামের মো.হুমায়ুন কবিরের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (১৪) এবং চণ্ডিপুর গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মাসুদ আলম (১৫)। এদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুন বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
লাকসাম ক্রসিং (লালমাই) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদুল আলম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুই কিশোর একটি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল। ধারণা করছি একজন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে কোনো একটি গাড়ির পেছনে গিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। তবে যে গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিলো, সেটি সঙ্গে সঙ্গে চলে যাওয়ায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২