জেলে
ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ল ৮৫ কেজির বাঘাইড় মাছ!
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে মো. মহুবর রহমান নামের এক জেলের জালে ৮৫ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন সাহেবের আলগার কাজিয়ার চর ব্রহ্মপুত্র নদে মাছটি ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
পরে জেলে মহুবর রহমান বিশালাকৃতির বাঘাইড় মাছটি বিক্রির জন্য হাতিয়া ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী মন্টুর কাছে বিক্রি করতে গেলে উৎসুক জনতা মাছটি দেখার জন্য ভিড় করেন।
মাছ ব্যবসায়ী মন্টু জানান, মাছটি এক লাখ দুই হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিই। পরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুক্তাদির খান বলেন, বিষয়টি অবগত নই। তবে বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে জেলের জালে ধরা পড়ল লাখ টাকার মেদ মাছ
কুড়িগ্রামে মাছের গায়ে ‘আল্লাহু'!
সুন্দরবনে জেলের জালে ধরা পড়ল লাখ টাকার মেদ মাছ
সুন্দরবনে এক জেলের জালে ধরা পড়া ২৭টি মেদ মাছ বিক্রি হলো লাখ টাকায়। এতে বেজায় খুশি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের জেলে বাবলু কয়াল।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে শ্যামনগরের নীলডুমুর ঘাটে পাইকারি এক ক্রেতা ৬০০ টাকা কেজি দরে মাছগুলো ১ লাখ টাকায় কিনে নেন।
জানা গেছে, গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের বাবলু কয়াল বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে কয়েকদিন আগে মাছ ধরতে সুন্দরবনে যান। বুধবার রাতে সুন্দরবনের মাহমুদা নদীতে জাল ফেলেন তিনি। সেই জালেই একসাথে ২৭টি মেদ মাছ ধরা পড়ে। যার ওজন ১৭০ কেজি। মাছগুলো বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামনগরের নীলডুমুর ঘাটে আনা হলে ৬০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন এক পাইকারি ক্রেতা।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. শরিফ হোসেন বলেন, খানিকটা কাইন মাছের আকৃতির মেদ মাছ খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। এরা নদীতে ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। সচরাচর জালে এমাছ মাছ ধরা পড়ে না। তবে মাঝে মাঝে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ে মেদ মাছ। গত বছর এক জেলে এক সঙ্গে প্রায় ৩০০টি মেদ মাছ পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে মাছের গায়ে ‘আল্লাহু'!
পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটেই বিক্রি দেড় কোটি টাকার মাছ
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কবলে পড়ে দুবলার চরের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার(১৮ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির আরেকটি ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে ভাসতে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করেছে দুবলার চরের জেলেরা।
আজ সকালে উদ্ধার করা ওই জেলেদের বাগেরহাটের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ১৪ জেলের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় বলে জানা গেছে। নিখোঁজ দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলের বাড়ি চট্টগ্রামে।
দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন আহম্মেদ জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে ১৪ জন জেলেসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়।
দুবলার চরের জেলে বহরদ্দারদের একটি ট্রলার শুক্রবার বিকালে ফেরার পথে ভাসমান অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে।
শনিবার সকালে ওই জেলেদের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং খাবার দেওয়া হয়। জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
কামাল উদ্দীন আহম্মেদ আরও জানান, দুবলার চরে জেলে বহরদ্দারদের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি। তারা বিভিন্ন এলাকায় নিখোঁজ ট্রলারসহ জেলেদের সন্ধান করছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার খলিলুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য জেলে সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এছাড়া জেলে বহরদ্দারদের দু‘টি ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ছাড়া ২০টি ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ছালাম মিয়ার মালিকানাধীন এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার দমকা হাওয়ায় উল্টে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ আড়াইশোর মতো জেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পান্ডব নদীতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রলারডুবি
দক্ষিণ স্টেশনে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
শুঁটকির মৌসুম শুরু হওয়ায় দুবলার চরে জড়ো হতে পারেন ১০ হাজার জেলে
শুঁটকির মৌসুম শুরু হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার ১০ হাজার জেলে শুঁটকি পল্লী খ্যাত দুবলার চরে জড়ো হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতি বছর কয়েক হাজার জেলে ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা মাছ ধরতে ও শুঁটকি তৈরি করতে এই অঞ্চলে ভিড় জমান।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলেদের আবাসন ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য ১০৮টি অস্থায়ী ঘর ও ৭৮টি ডিপো নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জেলেরা সুন্দরবনে ১ হাজার ৫০০টি ট্রলার ব্যবহার করে মাছ ধরবেন। তারা মাছগুলো প্রক্রিয়াজাত করবেন এবং শুকানোর জন্য সূর্যের নিচে রাখবেন।
কর্তৃপক্ষ জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার পর দুবলার চর ইতোমধ্যেই শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
গত বছর দুবলার চর থেকে সরকার ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে এবং এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮৮ জেলে আটক
দুবলার চরে লইট্যা, ফাইস্যা, কোরাল, রূপচাঁদা, বিভিন্ন প্রকার চিংড়ি, ছুরি, থুড়ে, কাইন, বাইন, লাক্ষ্যা, কঙ্কন, টুনা, স্যামনসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। রাসায়নিক দ্রব্য ও ফরমালিন ব্যবহার না করে প্রক্রিয়াজাত হওয়ায় এই এলাকার শুঁটকির চাহিদা বেশি।
রামপাল উপজেলার জেলে রবিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার তিনি দুবলার চরে এসে বাঁশ, পলিথিন ও হোগলা দিয়ে অস্থায়ী বাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটান।
মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শহীদ মল্লিক বলেন, ইতোমধ্যে হাজার হাজার জেলে ওই এলাকায় পৌঁছেছেন এবং অনেকেই মাছ ধরতে সাগরে গেছেন।
আলোরকোল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার বলেন, জেলেরা অস্থায়ী ঘর নির্মাণে ব্যস্ত, যা শেষ হতে ২-৩ দিন সময় লাগে।
তিনি বলেন, কিছু জেলে খোলা আকাশের নীচে তাদের ধরা মাছ প্রক্রিয়াকরণে ব্যস্ত ছিলেন।
সুন্দরবন পূর্ব জোনের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব জানান, ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া শুঁটকির মৌসুম চলবে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
জেলেরা ৫ মাস ধরে আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারিকেলবাড়িয়া ও শেলার চরে অবস্থান করবেন।
শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ মাহবুব হাসান বলেন, দুবলার চরে জেলেদের ছদ্মবেশে কেউ যাতে অপরাধ করতে না পারে সেজন্য বন বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্পিডবোটের ধাক্কায় জেলের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ এলাকায় স্পিডবোটের ধাক্কায় পিয়াল আহমেদ নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরব নৌপুলিশ জেলের লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: মহানন্দা নদীতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
দুইদিন আগে বৃহস্পতিবার রাতে দুই জেলে ডিঙিনৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে এই দুর্ঘটনায় পড়েন। একজনকে উদ্ধার করা হলেও অপরজন নিখোঁজ ছিলেন।
নিহত পিয়াল আহমেদ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়নের বেগমাবাদ গ্রামের করইপুর এলাকার ছাদেক মিয়ার ছেলে।
ভৈরব নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, পিয়াল ও আতাবর বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ প্রান্তে একটি ডিঙিনৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যান। এসময় ভৈরব থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি স্পিডবোট নৌকাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
তিনি আরও জানান, এতে নৌকাটি উল্টে যায় এবং দুই জেলে ভাটার টানে হারিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আতাবরকে নৌপুলিশ উদ্ধার করলেও পিয়ালের খোঁজে পায়নি। নিখোঁজের দুইদিন পর শনিবার সকালে আশুগঞ্জ মেঘনা নদীর সার কারখানা প্রান্ত থেকে পিয়ালের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সেপটিক ট্যাংকে আটকে ২ জনের মৃত্যু
হুমায়রা হিমুর মৃত্যু: ঢাকার বংশাল থেকে একজনকে আটক করেছে র্যাব
২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
জাতীয় মাছ ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাতে শেষ হতে যাওয়ায় জেলেরা আবার ইলিশ ধরা শুরু করতে যাচ্ছেন।
জেলেরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ মাছ ধরতে নদীতে যাওয়ার জন্য এখন জাল ও নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত।
উল্লেখ্য, প্রজনন মৌসুমে বাংলাদেশের জাতীয় মাছটির নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে সরকার পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে।
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮৮ জেলে আটক
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮৮ জেলে আটক
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স।
এর মধ্যে নৌপুলিশ ৭২ জন, সদর উপজেলা টাস্কফোর্স ৫ জন ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স ১১ জনকে আটক করে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নৌপুলিশ চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান নৌপুলিশের অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নৌপুলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭২জন জেলেকে আটক করেন। এর মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ১০ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৪৫ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।
এসব ঘটনায় দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োজিত ও ১৪টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযানে জব্দ ৬৭২ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মাঝে বিতরণ, ৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৬টি মাছ ধরার নৌকা নৌপুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ২৪ জেলে আটক
চাঁদপুরে মেঘনায় নিখোঁজ জেলের লাশ একদিন পর উদ্ধার
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর লক্ষ্মীরচর এলাকায় নৌপুলিশের অভিযানের সময় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া জেলে শাকিল হোসেন বেপারীর (১৯) লাশ একদিন পর বুধবার উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে আজকা বাজার নামাক এলাকা থেকে তার লাশ ভাসতে দেখে নৌপুলিশকে জানান স্থানীয়রা। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হয়রত আলী জানান, নিহতের বাড়ি সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের বলাশিয়া মৌজার গোয়ালনগর গ্রামে। তিনি মো. রহিম বেপারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
ওই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে আমাদের নিয়মিত অভিযানে লক্ষ্মীরচর এলাকায় মা ইলিশ ধরার ট্রলার ধরার জন্য চেষ্টা করা হয়। জেলেরা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা ৮ জন জেলের সকলেই নদীতে ঝাঁপ দেন। এর মধ্যে আমরা ৭ জনকে আটক করলেও একজন নিখোঁজ থাকেন। ৭ জনকে থানায় এনে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়।
ওসি আরও বলেন, লাশ থানা থেকে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
নৌপুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি সত্য। জেলেরা পুলিশ দেখে নদীতে পালানোর সময় ওই ট্রলারে থাকা ৮ জেলেই ঝাঁপ দেন। ৭ জনকে আটক করলে তারা তখন বলেন, তাদের সঙ্গের আরেকজন নেই। সেই নিখোঁজ জেলের লাশই উদ্ধার হয়।
তিনি আরও বলেন, তবে ধারণা করা হচ্ছে- সে নদীতে ঝাঁপ দিতে গিয়ে ট্রলারের পাখার সঙ্গে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত প্রাপ্ত হন এবং ডুবে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে আজ (বৃহস্পতিবার), জানান ওসি কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৩৫ জেলে আটক
বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও বানারীপাড়া উপজেলায় মা ইলিশ রক্ষায় পৃথক অভিযানে জেলেদের হামলার শিকার হয়ে মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় জব্দ করা দু’টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেন্দিগঞ্জের তেঁতুলিয়া নদীর মোস্তফাবাজার এলাকায় ও দুপুর ২টায় বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নদীতে মাছ শিকাররত জেলেদের ধাওয়া করে তিনটি ইঞ্জিনচালিতসহ পাঁচটি নৌকা ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এর পরপরই দেড় থেকে দুইশত নারী পুরুষ এসে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা দু’টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছিনিয়ে নেয়। আর নৌকা দু’টি রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তিন মাঝিকে পিটিয়েছে হামলাকারীরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ জানান, হামলার পর একটি ইঞ্জিনচালিতসহ তিনটি নৌকা ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। হামলায় কেউ গুরুতর আহত হয়নি। তবে যারা সামান্য আহত হয়েছেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, জব্দ করা কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হবে। আর নৌকা তিনটি নিলামে বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ।
এদিকে বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে অভিযানে গিয়ে জেলেদের হামলায় আহত হয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন ও মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. নাসির উদ্দিন বলেন, দুপুরে সন্ধ্যা নদীতে অভিযানে গেলে জেলেরা তাদের দেখে ইট-পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় আমিসহ মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা আহত হয়েছি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পরে ওই এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে হামলাকারীদের নাম পরিচয় শনাক্ত করে মামলা করেছি। এতে আটজন নামধারী ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।