জেলে
বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে মা ইলিশ শিকারের অপরাধে তিন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে জাল ফেলায় তাদের এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাত ১২টায় জেলার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের ভ্রাম্যামান আদালত এ কারাদণ্ড দেন।
সাজাপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার মানিক মজুমদারের ছেলে আরাফাত মজুমদার (২৬), কাউনিয়া থানার চুরামন এলাকার মোতাহার মৃধার ছেলে রুবেল মৃধা (৩০) ও রহমান মৃধার ছেলে আজিজুল মৃধা (২৭)।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
ইউএনও মনিরুজ্জামান বলেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের দ্বিতীয় দিনে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ-পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নদী থেকে ছয় জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তিন জনের বয়স কম হওয়ায় তাদের পরিবারের লোকজন ডেকে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে উদ্ধার জালগুলো জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল
বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বজ্রপাতে ট্রলার থেকে ছিটকে বিষখালী নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া জেলের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে বিষখালী ও বলেশ্বর নদের মোহনাসংলগ্ন লালদিয়ার চর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ফিরোজুজ্জামান জানি।
আরও পড়ুন: নাটোরের গুরুদাসপুরে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
নিহত আউয়াল (৩৮) পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের আব্দুল হামিদ হাওলাদারের ছেলে।
জানা যায়, শনিবার নদীর লালদিয়া চর থেকে দক্ষিণে একটি ট্রলারে মাছ ধরছিলেন আউয়াল, জাহাঙ্গীর মাঝি, শাকিল ও রনি। সে সময় বজ্রপাত হলে ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যায় আউয়াল। বাকি তিনজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কয়েকঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে তারা আউয়ালকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।
কোস্ট গার্ডের কমান্ডার ফিরোজুজ্জামান জানান, খবর পাওয়ার পর থেকে আউয়ালকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে রবিবার তার লাশ উদ্ধার হয়। আহত তিন জেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩
তিস্তায় জেলের জালে ৪ মণ ওজনের ডলফিন!
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিস্তা নদীতে চার মণ ওজনের একটি ডলফিন ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ভোটমারি ইউনিয়নের শৈইলমারী তিস্তার চরে এক জেলের জালে ধরা পড়ে ডলফিনটি।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শৈইলমারীর চরে জেলে শাহজাহান মিয়ার জালে ধরা পড়েছে ৪ মণ ওজনের একটি ডলফিন। এরপর কয়েকজন জেলে মিলে ডলফিনকে উঁচু স্থানে ওঠার কিছুক্ষণ পর সেটি মারা যায়। ডলফিন দেখতে উৎসুক মানুষ তিস্তা চরে ভিড় করেন।
স্থানীয় রিফাত হোসেন বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা নদীতে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা পড়ছে। সেই সঙ্গে জেলের জালে ডলফিনও ধরা পড়েছে।
শৈলমারী চরের জেলে শাহজাহান মিয়া বলেন, জালে আটকের পর প্রথমে বড় মাছ মনে করেছি পরের ডাঙ্গায় ওঠার পর দেখি একটি ডলফিন। কিছুক্ষণ পরেই ডলফিনটি মারা যায়।
এ বিষয়ে ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন বলেন, তিস্তা নদীতে ডলফিন আটকের বিষয়টি স্থানীয় একজনের কাছে শুনেছি।
এর আগে তিস্তা নদীতে জেলের জালে ৭২ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ আটক হয়। পরে জেলেরা ৮০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেন।
তিস্তায় ধরা পড়ল ৭২ কেজি ওজনের বাঘাইড়, ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীতে এক জেলের জালে ৭২ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। বাঘাইড়টি ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ ডাউয়াবাড়ী গ্রামের ইছাহাকের ছেলে মহাসিন আলী তিস্তা নদীতে মাছ ধরতে গেলে তার জালে আটকা পড়ে বাঘাইড় মাছটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারে নিয়ে এলে স্থানীয়রা মাছটি দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় অনেক ক্রেতা মাছটি পেতে দামাদামি শুরু করে। দুপুরে ৮০ হাজার টাকায় এলাকাবাসী মাছটি কিনে ভাগাভাগি করে নেয়।
আরও পড়ুন: রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি, সতর্কতা জারি
স্থানীয় বাসিন্দা আফছার আলী বলেন, তিস্তায় এত বড় মাছ পাওয়ায় আমরা নদী পাড়ের মানুষ অনেক খুশি। নদীতে সহজে এত বড় মাছ পাওয়া যায় না।
জেলে মহাসিন আলী বলেন, তিস্তায় পানি বাড়লে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে আমি মাছ ধরতে যাই। এ সময় আমার জালে বিশাল আকৃতির একটি বাঘাইড় মাছ আটকা পড়ে। মাছটি বাজারে নিয়ে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করি।
আরও পড়ুন: তিস্তার বাঁধ ভেঙে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
সুন্দরবন থেকে জেলের কাটা মাথা উদ্ধার
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ থেকে ২৪ বছর বয়সী এক জেলের কাটা মাথা উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, সকালে তুলাতলা এলাকা থেকে উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে শিপার হাওলাদারের মাথা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ১১ জেলে দগ্ধ
বন কর্মকর্তা জানান, গত বুধবার অবৈধভাবে সুন্দরবনে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে নিখোঁজ হন শিপার। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা ও স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার মাথা উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলের কাছে বেশ কয়েকটি বাঘের পায়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বন কর্মকর্তাদের সন্দেহ- বাঘটি জেলেকে আক্রমণ করেছিল এবং তার পুরো শরীর খেয়ে ফেলেছিল।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, শিপারের মুখ বিকৃত ছিল এবং শনাক্ত করা কঠিন ছিল। তবে তার বাবা তার জামাকাপড় দেখে তার ছেলেকে শনাক্ত করেছিলেন। ছিন্নভিন্ন মাথাটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (ইউডি) দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে সাড়ে ৫ লাখ টাকার চায়না জাল ধ্বংস, ৫ জেলেকে জরিমানা
কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণ: আরও ৩ জেলের মৃত্যু
মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
চার মাস ১২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বৃহস্পতিবার ( ৩১আগস্ট ) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা।
গত ১৯ জুলাই কাপ্তাই হ্রদে প্রথম দফার তিন মাসের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। তবে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় দ্বিতীয় মেয়াদে আরও এক মাস ১২ দিন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জারি রাখা হয়।
কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করা এবং অবমুক্ত করা পোনা বেড়ে ওঠার জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। এবছর কম বৃষ্টি হওয়ায় এবং ভারতের মিজোরাম থেকে পানি না আসায় হ্রদের পানি প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) তথ্য অনুযায়ী, হ্রদে ১০৫ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) পানি থাকলেই অবমুক্ত করা পোনা বেড়ে ওঠার এবং মা মাছ প্রাকৃতিক প্রজননের পর্যাপ্ত সুযোগ পায়। তবে বর্ষার শুরুতে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পোনা মাছ বেড়ে উঠতে পারেনি। একারণে জেলা প্রশাসন কাপ্তাই হ্রদে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি রাখে।
অন্য বছরের থেকে প্রায় এক মাস বেশি মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে জেলেদের। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে তাদের মাঝে।
পুরান জেলে পাড়ার বাসিন্দা সজল দাশ বলেন, তিন মাস ভিজিএফ-এর ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র দুই মাস চাল পেয়েছি। আমাদের চলতে কষ্ট হচ্ছে। এখন মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার খবরে আমরা খুবই খুশি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
চট্টগ্রামে গভীর সাগরে ভাসতে থাকা ১৩ জেলে জীবিত উদ্ধার
গভীর সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে তিন দিন ধরে ভাসতে থাকা ১৩ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১৯ আগস্ট ‘এফবি রাজু’ নামের একটি ফিশিং বোট চট্টগ্রামের আকমল আলী ঘাট থেকে সাগরে মাছ ধরতে যায়। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে বোটটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সমুদ্রে ভাসতে থাকে।
২১ আগস্ট বোটটি ভাসতে ভাসতে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে জেলেরা উদ্ধার সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনে যোগাযোগ করে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপে ভোলায় ৫ ট্রলারডুবি, ৬ জেলে নিখোঁজ
পরবর্তীতে কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল জাহাজ ‘অপূর্ব বাংলা’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সকাল ৯টায় সাগরে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কোস্টগার্ড জানায়, জেলেরা সাগরে তাদের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি। উত্তাল সাগরে টানা তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বিপজ্জনকভাবে ভাসতে থাকা বোটটি আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে ১৩ জেলেসহ সাঙ্গু গ্যাসফিল্ড থেকে আনুমানিক ১০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ পূর্বে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
উদ্ধার জেলেরা নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ করা হয়।
উদ্ধার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য কোস্টগার্ড জাহাজ জেলেসহ বোটটি কোস্টগার্ড বার্থ পতেঙ্গায় এনে মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১৪ জেলে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
মিঠামইনে নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর জেলের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ২৬ ঘণ্টা পর সৈয়দ মিয়ার (৬০) ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছেন জেলেরা।
আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিঠামইন সদর ইউনিয়নের মেষ্টা গ্রামের পাশে হাওরে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে জেলেরা উদ্ধার করেন। এ সময়, নিহতের স্বজনরা এসে লাশ বাড়ি নিয়ে যান।
নিহত জেলে সৈয়দ মিয়া একই ইউনিয়নের আতপাশা (নয়াবাড়ি) গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সৈয়দ মিয়া উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের মাহমুদপুর বাজার সংলগ্ন খালে স্রোতের পানিতে কুণি জাল (তেওড়া জাল) দিয়ে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার এক পর্যায়ে খালের গভীরে জাল আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: মহেশপুরে বাওড় থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
তখন জাল ছাড়ানোর জন্য পানিতে ডুব দিয়ে চেষ্টা করেন তিনি। জাল ছাড়াতে না পেড়ে একাধিকবার ডুব দেন। এক পর্যায়ে তিনি আর পানি থেকে উঠে আসতে পারেননি।
পরে, খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের ডুবুরি দল দুপুর সোয়া ৩টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তার আগে, স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা দিকে উদ্ধার কাজ বন্ধ করার সময় নিখোঁজ সৈয়দ মিয়ার কোনো সন্ধান মেলেনি। রাতের অন্ধকার ও স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কলিন্দ্র নাথ গোলদার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে নবদম্পতির লাশ উদ্ধার
নওগাঁয় বাগান থেকে প্রেমিক যুগলের লাশ উদ্ধার
নিম্নচাপে ভোলায় ৫ ট্রলারডুবি, ৬ জেলে নিখোঁজ
নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর মোহনায় প্রবল ঝড় ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার ৫৮ জেলেসহ ৫টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এতে অর্ধশতাধিক জেলের মধ্যে ৫২ জেলে উদ্ধার হলেও ৬ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ার উড়িরচরের পূর্বপাশে সাগর মোহনায় ও সাঙ্গু গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন সাগর মোহনায় এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো- উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের মৎস্য আড়তদার মাইনুদ্দিনের ট্রলার এফবি মায়ের দোয়া, মনপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারের মৎস্য আড়তের লতিফ মাঝির ট্রলার, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া ঘাটের ইউনুচ বলির ট্রলার, সূর্যমুখী ঘাটের জান্টু মাঝির ট্রলার, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাষ্টারহাট খালের জামাল মাঝির ট্রলার।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তায় নৌকাডুবি, ৩ কৃষক নিখোঁজ
মেঘনায় মাছ ধরার ট্রলারে ‘জলদস্যুদের’ হামলা, ২ জেলে গুলিবিদ্ধ
ভোলার তজুমদ্দিন ও নোয়াখালীর মধ্যবর্তী হুজুরের চর এলাকায় মেঘনা নদীতে জেলেদের দুইটি মাছ ধরার ট্রলারে ‘জলদস্যুরা’ হামলা করেছে। এ সময় দস্যুদের হামলায় দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন- ভোলার বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের মো. মফিজলের ছেলে মো. হোসেন মাঝি এবং নোয়াখালীর রামগতি থানার চর আব্দুল্লাহ গ্রামের মো. আব্দুল রশিদের ছেলে মো. সোহেল।
তবে অন্য জেলেরা কোথায় কি অবস্থায় রয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
গুলিবিদ্ধ জেলেরা জানান, তজুমদ্দিনের সোহেল মাঝির ট্রলারের ১০ জন জেলে এবং নোয়াখালীর হোসেন মাঝির ট্রলারের ৬ জেলে রবিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে হুজুরের চর এলাকার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছিলেন।
ওই সময় হঠাৎ ১০ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী তাদের মাছ ধরার ট্রলার দুইটিতে হামলা চালায়। ডাকাতরা এসময় জেলেদের ট্রলারে থাকা মাছ, জাল, তেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এতে বাধা দিতে চাইলে ডাকাতরা তাদের মারধরসহ গুলি করে। এক পর্যায়ে ডাকাতদের গুলিতে ওই দুই জেলে নদীতে পরে যায়।
র্দীঘসময় নদীতে ভাসতে থাকার পর সোমবার ভোরের দিকে স্থানীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. তায়েবুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ দুইজন এখন আশঙ্কামুক্ত। তাদের শরীরে ৭০/১০০টি ছররা গুলি রয়েছে।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন সরকার জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আহতদের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
তিনি আরও বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু: সহকর্মী