জেলে
ভোলায় ধরা পড়ল সাড়ে ৬ মণ ওজনের হাউস মাছ
ভোলার মেঘনা নদীতে প্রায় সাড়ে ছয় মণ ওজনের একটি বিশাল আকৃতির মাছ ধরা হয়েছে। এর পর মাছটি বরিশাল মোকামে নিয়ে আট হাজার ৮০০ টাকা মনে বিক্রি করা হয়। মাছটি ‘হাউস মাছ’ বলেও পরিচিত।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালে ভোলা সদরের ইলিশা ও রাজাপুরের মাঝামাঝি এলাকায় জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
পরে ইলিশা মাছ ঘাটে মাছটি বিক্রির উদ্দ্যেশে নিয়ে আসলে একনজর দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমান।
স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাইদুল মাঝির মাছ ধরা নৌকার জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। এর ওজন ছয় মণ ২৩ কেজি।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুই ভোল মাছ সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি!
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২৪ জেলেকে কারাদণ্ড-জরিমানা
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা শিকার করার অপরাধে ২৬ জেলেকে আটক করা হয়।
আটক জেলেদের মধ্যে ১৬ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড, আটজনকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুইজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় শাসন করে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার রাতে কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।
আটক জেলেদের বাড়ি শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জাটকা ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
রাত সাড়ে ১০টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ২৬ জন জেলে আটক এবং এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, ফিল্ড সহকারী মো. জামিউল হোসেন, কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
চাঁদপুরে জাটকা ধরায় ২৪ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরায় শুক্রবার ২৭ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। আটকদের মধ্যে ২৪ জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তিনজনকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তদের ৬ জন শরিয়তপুরের, ৮জন চাঁদপুরের, চারজন মতলব উত্তরের এবং ৬ জন মুন্সীগঞ্জের।
নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় অভিযানে অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা আহরণকালে ২৭ জনকে আটক করা হয়। কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মতলব উত্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান খান।
তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত ২টি মাছ ধরার নৌকা নষ্ট করা হয়। ৩টি কোস্টগার্ড হেফাজতে এবং ৩টি নৌ থানার হেফাজতে রয়েছে। জব্দকৃত কারেন্ট জাল প্রায় ৫ লাখ মিটার আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জব্দকৃত ৩৯ কেজি জাটকা দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
অভিযানে চাঁদপুর সদর মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলো।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জাটকা ধরার অভিযোগে আটক ৯
জাটকা ধরার অপরাধে চাঁদপুর-শরীয়তপুরের ১৭ জেলে গ্রেপ্তার
৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত উদযাপন হবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ
দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং জাটকা আহরণে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে প্রতি বছরের মতো এবারও আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: ‘জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ ১৬ থেকে ২২ মার্চ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, নৌপুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাবারের একটি বড় যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে। আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ খাতে সম্পৃক্তদের আয়ের উৎস তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ খাতের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। ফলে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণই শুধু নয়, প্রায় ৫২টি দেশে আমাদের মাছ রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বে যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। অপরদিকে মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
এছাড়া জেলে-মৎস্যজীবীসহ মৎস্য খাতে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্তদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের মৎস্য খাতে অভাবনীয় ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য খাত শুধু মাছ আহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এ খাতের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, খাবারের যোগান, বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি এসব বিষয় সম্পৃক্ত। তাই এ খাতকে কোনভাবেই হেলায় দেখা যাবে না।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন
তিনি আরও বলেন, জাটকা নিধন বন্ধে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ রয়েছে। এর ব্যত্যয় যারাই করতে চাইবে এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া যাবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, এছাড়া জাতীয় স্বার্থ রক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য মাছ রক্ষা করা।
মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবেন উল্লেখ করে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে এ সময় তিনি বলেন, মৎস্যজীবীরা বড় মাছ বিক্রি করে বেশি অর্থ আয় করতে পারবে। কাজেই তাদের স্বার্থেই তাদের এক্ষেত্রে আইন মানতে হবে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ সময়ে দরিদ্র জেলেদের মাছ আহরণে বাধ্য করে। কোন অসাধু ব্যক্তির পরামর্শ বা প্রলোভনে জাটকা আহরণে কোথাও যাওয়া যাবে না।
সভায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চ পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এদিন বর্ণাঢ্য নৌর্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে জাটকা সংরক্ষণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, বেতার-টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, ইলিশ বিষয়ক কর্মশালা, সভা-সেমিনার আয়োজন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ত, বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রে বিশেষ অভিযান ও বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি সমস্যা সমাধানে সরকার বদ্ধপরিকর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
জাটকা ধরার অপরাধে চাঁদপুর-শরীয়তপুরের ১৭ জেলে গ্রেপ্তার
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরার অপরাধে ১৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় ছয় লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ মিটার কারেন্ট জাল, পাঁচটি মাছ ধরার নৌকা ও ৭১ কেজি জাটকা জব্দ করার দাবি করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ইউএনবিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাদের মেঘনা-পদ্মার অভয়াশ্রম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জেলেরা হলেন- আবু বক্কর মৃধা (২২), আবু কালাম মৃধা (২০), রতন মৃধা (৩১), সুমন মোল্লা (২৩), মিরা রাঢ়ী (১৯), রমিজ খান (৩৫), সুমন (২২), বোরহান উদ্দিন খালাসী (২০), হেলাল চৌধুরী (২২), সোহেল মিয়া (১৯), সজিব চৌকিদার (১৯), নাছির (২৬), রিয়াদ (২৪), মো. হুমায়ুন (৩০), আল-আমিন হোসেন (১৮), জুম্মান (১৯) ও মাহফুজ (১৯)। এদের বাড়ি শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলায়।
আরও পড়ুন: স্বপ্নপুরীতে সংঘর্ষ: জবির ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত, গ্রেপ্তার ৮
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ইতোমধ্যে মৎস্য আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।
জব্দ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। মাছ ধরার নৌকাগুলো মামলার আলামত হিসেনে নৌ থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানান ওসি।
জাটকাগুলো স্থানীয় এতিমখানা ও গরীব-দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় জাটকা শিকার, ২৯ জেলে গ্রেপ্তার
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ ধরায় বুধবার ২৯ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে নৌপুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে নদীতে পেতে রাখা প্রায় ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯শ’ মিটার কারেন্টজাল, পাঁচটি মাছ ধরার নৌকা ও ১৮৮ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার জেলেরা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের মতলব উত্তরের বাসিন্দা।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জাটকা রক্ষায় বুধবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাটকা ধরার সময় ২৯ জেলেকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটক জেলেদের মধ্যে ৮জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়। এছাড়া তিন শিশু-কিশোর জেলেকে সতর্ক করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
ওসি বলেন, জব্দকৃত কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। মাছ ধরার পাঁচ নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে। আর জব্দকৃত ১৮৮ কেজি জাটকা স্থানীয় গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মার্চ-এপ্রিল সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ
মেঘনায় নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
মেঘনায় ডুবে যাওয়া তেলবাহী জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু
মেঘনায় নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের পাঁচ দিন পর চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনা নদী থেকে এক জেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর থেকে লাশটি উদ্ধার করে নৌ থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: যশোরে সেপটিক ট্যাংক থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
নিখোঁজের পর নিহত মুকবুল বেপারী পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলার সখিুপুর থানার তারাবুনিয়া গ্রামের কাসেম বেপারির ছেলে। তিনি পেশায় একজন জেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বিকালে পুরান বাজার হরিসভা মন্দির এলাকায় নদীতে লাশ ভাসতে দেখে নৌ-পুলিশকে খবর দেয়া হয়। লাশটি গলিত অবস্থায় ছিল।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মুকবুল বেপারী গত ৫ ফেব্রুয়ারি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাঙ্গামাটিতে আগর বাগান থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজের চার দিন পর জেলে ছনু গাজীর (৬০) লাশ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের মেঘনা নদীর হরিণা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন নৌ পুলিশ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ফেরির ধাক্কায় নৌকাডুবি, জেলে নিখোঁজ
ছনু গাজী লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া গ্রামের রহিম গাজীর ছেলে।
হরিণা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ জেলে ছনু গাজীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
তার পরিবারের লোকজন ফাঁড়িতে উপস্থিত হয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে হরিণা ফেরিঘাট থেকে শরীয়তপুর আলুবাজার ফেরিঘাটে যাওয়ার সময় গোলাম মাওলানা নামে ফেরির ধাক্কায় সাত জেলেসহ নৌকা ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া সাত জেলের মধ্যে ছয়জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন ছনু গাজী।
পরে ওই দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস নৌ ইউনিটের ডুবুরি সদস্যরা লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালায়।
অবশেষে নিখোঁজের চার দিন পর তার লাশ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনে মিললো ১৩০০ কেজি জাটকা
চাঁদপুরে বোনকে আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ভাইয়ের
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ২ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ড সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করে। ৫ জানুয়ারি ট্রলারটি ডুবে গেলে ওই দুই জেলে নিখোঁজ হন।
নিহত দুই জেলে হচ্ছেন- বরগুন জেলার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ইউসুফ (২৫) ও একই গ্রামের মো. আমিনের ছেলে বায়েজিদ (২০)।
কোস্ট গার্ড কচিখালী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কাজী শামিনুল বারি জানান, নিখোঁজ দুই জেলের সন্ধানে ৬ জানুয়ারি থেকে কোস্ট গার্ড সদস্যরা বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পারিচালনা করে।
উদ্ধার অভিযান চলাকালে বুধবার ভোরে সাগরের পদ্মা সুইচের ঘোপ এলাকায় ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত ইউসুফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পদ্মার চরের কাছ থেকে বায়েজিদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিখোঁজের ৪ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
দুই জেলের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। এর আগে ৬ জানুয়ারি ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করা হয়।
কাজী শামিনুল বারি আরও জানান, দুই জেলে ৫ জানুয়ারি রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ ধরার জন্য জাল পেতে ট্রলারে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে বাতাসের আঘাতে এ্যাংকরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে গেলে তারা নিখোঁজ হন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দুইজন নিখোঁজ হয়। পরে কোস্ট গার্ড সদস্যরা ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। বিষয়টি কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে তাকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দায় নৌকাডুবিতে জেলের মৃত্যু
মোহনায় দুটি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১ জেলে নিখোঁজ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে পারশে পোনা আহরণ, ১৬ জেলে গ্রেপ্তার
বন বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী ও খাল থেকে নভেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত প্রজনন সময়কালে পারশে পোনা ধরার অভিযোগে সুন্দরবন থেকে ১৬ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের অধীনস্থ নীলকমল বন টহল ফাঁড়ীর বঙ্গবন্ধুর চর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় দু’টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নীলকমল টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এই সকল ট্রলারসহ জেলেদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জেলেরা হলেন- পাইকগাছা উপজেলার মিঠু গাজী, আব্দুর রাজ্জাক টুটুল, ইসলাম গাজী, এনামুল গাজী, আলী হোসেন, আল-আমীন, নুরুজ্জামান, রুহুল আমিন মোল্যা, লিটু গাজী। দাকোপ উপজেলার রুবেল গাজী, আলী হাসান শেখ, জাহাঙ্গীর শেখ, ইউসুফ শেখ, ফজলুর রহমান ও বাচ্চু ফকির।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে বন আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা, ৭ আসামির যাবজ্জীবন
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জেলেদেরকে কয়রা উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবাধে চলছে পারশে মাছের পোনা নিধন। মৎস্য প্রজনন এলাকা বা নিষিদ্ধ বনাঞ্চল ও বনের বিভিন্ন নদ-নদীতেনেটজাল দিয়ে পোনা ধরতে গিয়ে শতাধিক প্রজাতির জলজ সম্পদ নষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছে।
সুন্দরবনের আলোর কোল, দুবলার চর, বাটলুরচর, ছাচানাংলা, পশুর, আগুন জ্বালা, কালির চর, গেড়া চালকি, বজবজা, হংসরাজ, আন্দারমানিক, ঢাংমারী, ছিচখালী ও মজ্জত নদী থেকে বিপুল পরিমাণ পারশে মাছের নিষিদ্ধ পোনা আহরণ করে।
এক্ষেত্রে মনো ফিলামেন্ট নেট ব্যবহার করায় পারশে পোনাসহ নিধন হচ্ছে বাগদা, গলদা ও বিভিন্ন প্রজাতি মাছের পোনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান, দ্রুতগামী ট্রলারের মাধ্যমে প্রতিটি দলে ৮/১০জন জেলে দুইশ’-তিনশ’ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪০-৫০ মিটার প্রস্থ নেট জালের মাধ্যমে প্রতি টানায় কয়েক মন বিভিন্ন প্রজাতির পোনা ধরে নষ্ট করছে। এভাবে ২০-২৫টি দল প্রতিদিন পোনা শিকার অব্যাহত রেখেছে।
পশুর নদী ওয়াটার কিপারের (সুন্দরবনকেন্দ্রিক পেশাজীবী সংগঠক) সমন্বয়ক মো. নুর আলম শেখ জানান, একশ্রেণির মহাজন অতিরিক্ত মুনাফার লোভে গরীব জেলেদেরকে হাজার হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে পোনা নিধনের জন্য সুন্দরবনে পাঠায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিদেশি অস্ত্রসহ ৬ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
চট্টগ্রামে ২ ওসিকে মারধরের ঘটনায় ৩ আনসার ও এক ওসি প্রত্যাহার