তাপমাত্রা
রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার মধ্যেও বিশ্বের পঞ্চম দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা
তাপপ্রবাহ জনজীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে সোমবার সকাল ৯টা ৪০ টায় কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৮ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান পঞ্চম।
ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু এবং থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই যথাক্রমে ২২৮, ১৯৮ এবং ১৬৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।, এবং আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আগামী ৩ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনুভব করল ঢাকাবাসী
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।এছাড়া মাঝারি দাবদাহ থেকে আজ এটা তীব্র তাপপ্রবাহে রুপ নিয়েছে।
এই টানা তাপদাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র গরমে আর আগুন ঝরা আবহাওয়ায় সড়কে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমেছে। পশুপাখীর অবস্থাও করুণ।
অন্যদিকে, নজিরবিহীন গরমে রোজাদারদের অবস্থাও কাহিল।
প্রখর রোদের কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। তীব্র গরমে বয়স্ক ও শিশুরা সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থতার পরিমাণও বাড়ছে। জেলা সদরের হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বেড়েছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীর সংখ্যা।
জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না।
দিনমজুর রবিউল মিয়া বলেন, এতো তাপদাহ সহ্য করা কঠিন। জমিতে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারলাম না। এখন এই ছায়ায় বসে আছি। আজ কাজ শেষ করতে দেরি হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ফল বিক্রেতা ইয়ার আলী বলেন, কোনো বিক্রি নেই। গাছের নিচে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছি। এভাবে চললে সংসার চালানোই দায় হয়ে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়। যা ছিলো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত একটানা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হচ্ছে। গত ৩ এপ্রিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৪ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৭ এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৮ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৯ এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১১ এপ্রিল অর্থাৎ গত মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওবং গতকাল ১২ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ ১৩ এপ্রিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দুপুরে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ ১৩ এপ্রিল দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এই মৌসুমের ও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, গত ২ এপ্রিল থেকে আজ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হলো। আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে এই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আর আজ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় মার্চ ও এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মার্চে গড় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এপ্রিলে তাপমাত্রা আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন দুর্বিষহ
আগামী ৭ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ধুকছে খুলনা
প্রচন্ড তাপপ্রবাহে ধুকছে খুলনা অঞ্চল। গত ১২ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে খুলনা বিভাগে। আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই অঞ্চলেই। আর এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে আরও চার থেকে পাঁচদিন। এ সময়ে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। আর এরপরই সম্ভাবনা রয়েছে বৃষ্টির। এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এদিকে, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। এ অবস্থায় জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষেরা।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অসহ্য গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জীব-বৈচিত্র্য অস্থির হয়ে উঠেছে। রোদের উত্তাপে বাইরে বের হলেই চোখ যেন পুড়ে যাচ্ছে। ছুটে চলা কর্মব্যস্ত নগরবাসী, পথচারী, বিভিন্ন গাড়ির চালকেরা, পেশাজীবী, নিম্ন আয়ের দিনমজুর, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। অনেক পোষ্য প্রাণী গরম সইতে না পেরে আশপাশের ড্রেন বা জলাশয়ে নেমে পড়েছে। স্থানীয় এলাকার ছোট ছোট বাচ্চারা পানিতে ঝাপ দিচ্ছে শরীরকে শীতল করতে। তীব্র গরমের কারণে নগরীর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত বাসা-বাড়িতে বিরতিহীনভাবে চলছে এসি, এয়ারকুলার, ফ্যান। সারাদিন রোদের উত্তাপে পড়ে রোজাদারসহ পথচারীরা দেহের তৃষ্ণা মেটাতে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে কিনছেন ঠাণ্ডা আাখের রস, লেবু, বেলের শরবত, ডাবসহ ঠাণ্ডা পানীয়।
খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী সড়কে কাজ করা দিনমজুর খোরশেদ আলম বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়েছে। রমজানের শুরুতে গরম কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে অনেক গরম। গরমে সারা শরীর ঘেমে যাচ্ছে। পানি পিপাসা লাগে, শরীর দুর্বল হয়ে যায়। রোজা রেখে কাজ করা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রোদের প্রচণ্ড তাপে বেশি সময় দাঁড়ানো যায় না। তবুও কাজ করতে হয়। এদিকে রাস্তার কাজ চলায় ধুলাবালি উড়ে আসছে। সবমিলিয়ে অস্বস্তি লাগছে।
আরও পড়ুন: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
নগরীর শিববাড়ি পাবলিক হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রিক্সাচালক মকবুল হোসেন বলেন, গরমে অবস্থা খুব খারাপ। রিক্সা চালাতে গিয়ে ঘেমে গোসল দিয়ে উঠছি। রোদের তাপে মাথা যন্ত্রণা করে। ক্লান্ত হয়ে পড়ছি; বেশিক্ষণ রিক্সা চালানো যায় না। বিশেষ করে দুপুরে খুব বেশি গরম লাগে। রোদে পুড়ে যায়। তাই ভাড়া টানার পর ছায়াতে কিছু সময় জিরিয়ে নিতে হয়।
খালিশপুর পার্কের মোড়ের বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ সবুজ বলেন, আজ রোদের তাপ অনেক বেশি। বাইরে বের হলে রোদে গা জ্বলে যাচ্ছে। দিনে-রাতে কয়েকবার গোসল করছি। আর খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। এছাড়া ঘরে ফ্যান চালিয়ে রাখতে হচ্ছে সারাক্ষণ।
ব্যবসায়ী হামিম জানান, গরমে কোথাও শান্তি মিলছে না। বেজায় গরমে বাইরে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছে। কি আর করার ব্যবসার কাজে তো বাইরে যেতেই হবে। তবে বাইরে গেলে রোদে মনে হচ্ছে গায়ে কে যেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে কেউ, এমনই গরম।
সিএনজি চালক মিজানুর রহমান জানান, গরমে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। খুব গরম, শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে। শরীরে দরদর করে ঘাম ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই কি করব গাড়ি তো চালাতেই তবে। কারণ প্রতিদিনের সংসার খরচ, আর আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে ঘিরে পরিবারের জন্য কেনাকাটার জন্য গরম আর গায়ে গরম মনে হচ্ছে না।
আখের রস বিক্রেতা সুমন জানান, প্রায় সব সময়ই আখের শরবত বিক্রি করি। তবে কয়েকদিন ধরে যে অসহনীয় গরম পড়ছে তাতে আখের রসের চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে ক্রেতাদের দারুণ সাড়া মিলছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনায় আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায়। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজকেও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া যশোরে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মোংলায় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুষ্টিয়ায় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, তাপমাত্রা আরও চার থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকবে। কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামী ১৭ এপ্রিলের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দু-এক জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) সূত্রে জানা যায়, ১১ দিনের ব্যবধানে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। গত ৩১ মার্চ পিক আওয়ারে ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের বিদ্যুৎতের চাহিদা ছিল এক হাজার ৬১৮ মেগাওয়াট। আর সবশেষ ১১ এপ্রিল বিদ্যুতের চাহিদা ছিল দুই হাজার ২৯৮ মেগাওয়াট। ১১ দিনের ব্যবধানে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে ৬৮০ মেগাওয়াট।
ওজোপাডিকোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম বলেন, মার্চের চেয়ে এপ্রিলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। তবে চাহিদা বাড়লেও আমাদের সরবরাহ ঠিক আছে। বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। এদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছে খুলনা অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর নিয়মিত বুলেটিনে বলেছে, রবিবার শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এতে আরও বলা হয়, সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজার ও মোংলায়।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা
‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বাতাস নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
সারাদেশে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি কমতে পারে: আবহাওয়া অফিস
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের নিয়মিত বুলেটিনে উল্লেখ করেছে, বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরের তেঁতুলিয়ায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে।
এছাড়া, সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান বুধবার সকালে 'অস্বাস্থ্যকর'
দেশের বিভিন্ন স্থানে পড়তে পারে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে: আবহাওয়া অফিস
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
রবিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তা অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সকাল ৬টা থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।
এতে আরও বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে বুলেটিনে বলা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রবিবার সকালে ঢাকা তৃতীয়
সারাদেশে শুষ্ক আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অফিস
দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
শুক্রবার প্রকাশিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৬টা থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অধিদপ্তর আরও জানায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা, আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
তেতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলায় সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় বাংলাদেশের মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এই সময়ে ঢাকায় ১৩ দমমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে যা অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) তার সর্বশেষ বুলেটিনে এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
এছাড়া নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, যা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা এক থেতে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর', দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয়
দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, 'মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে।
এতে বলা হয়, সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমেছে
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৩ জেলায়
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে টানা ৩দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে কয়েকদিন থেকে বইছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
এ বছর শ্রীমঙ্গলে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কয়েক দিনের কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
তবে তাপমাত্রা কম হলেও সকাল থেকে কুয়াশার দাপট তেমন ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলেছে দ্রুত।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, শ্রীমঙ্গলে মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সূর্য তাড়াতাড়ি ওঠার কারণে ঠান্ডা একটু কম অনুভূত হচ্ছে। এর আগে সোমবার এখানে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দিনে ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শীতার্ত মানুষ।
তিনি আরও বলেন, বিকাল হলে শীতের তীব্রতা বেড়ে তা সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ছিন্নমূল ও দিনমজুররা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর,এম,ও) ডা. ফয়সল জামান জানান, শিশু ওয়ার্ডে সিট রয়েছে ৫১টি। শীত আসার পর থেকে প্রতিদিন ভর্তি থাকছে ৮০ থেকে ৯০ জন শিশু। তবে মঙ্গলবার শিশু ভর্তি কমেছে।
শীতজনিত রোগে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি করা হচ্ছে।
গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভীড় প্রতিদিন বাড়ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে টানা ৩দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ব্যাহত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা