কানাডা
শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, খুব অল্পদিনের মধ্যেই নিউয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে।
তিনি বলেন, ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আমাদের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। জাপানের নারিতা,মালে,অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, গুয়াংজুয়ে ফ্লাইট চালু করা হবে। এছাড়াও নারিদাসহ এসব রুটে ফ্লাইট চালু বিষয়ে অনেকদূর এগিয়েছে এবং খুব শিগগিরই চালু হবে।
সোমবার রাতে কানাডার টরেন্টোর ডাউন টাউনে মেরিয়ট হোটেলে ঢাকা- টরেন্টো ফ্লাইট চালু উপলক্ষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও কানাডায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত রিসিপশন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রেস্টিজ ইস্যু ছিল কানাডায় বিমান নামানোর। কানাডায় বিমান নামিয়েছি। বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশ টরেন্টোতে চলৎ (চলনশীল) পায়নি। বাংলাদেশ চলৎ পেয়েছে এটি খুবই গর্বের বিষয়।
আরও পড়ুন: অসুস্থ সেই পাইলটের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস বিমান প্রতিমন্ত্রীর
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিমানকে ভালোবাসতেন। উনার ইচ্ছা ছিল বিভিন্ন দেশে বিমান যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কানাডায় ফ্লাইট চালু করেছি। জুন মাসে সপ্তাহে তিনদিন চলবে। তবে সপ্তাহে যেন প্রতিদিনই ফ্লাইট চালু করতে পারি সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ট টার্মিনাল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মধ্যে উদ্বোধন করতে পারবো। এটি আন্তর্জাতিক মানের হবে, হিথ্রোসহ বড় বড় দেশের মতো এই বিমানবন্দরে সেবা পাওয়া যাবে। সিলেট রানওয়ে এক্সটেনশন হয়েছে। নতুন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কাজ চলমান এবং পর্যটনকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রসার করতে কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করা জন্য কাজ হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমান জাতীয় পতাকা ধারণ করে বিভিন্ন দেশে যাবে এটি গৌরবের। কোভিডে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই সেক্টর। তবে প্রধানমন্ত্রী কারণে আমাদের তেমন ক্ষতি হয়নি।
মাহবুব আলী বলেন, বিমানে কিছু রিফর্ম এনেছি। ২০১৯ সালে দায় দেনা পরিশোধ করে কোভিড সময়ের পরই ২৭৩ কোটি লাভ করেছি। অথচ পৃথিবীর অনেক বিমান দেউলিযা হয়েছ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই সংকটে কোনো বিমান স্টাফের চাকরি যায়নি।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী বলেন, বিমান উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আর উন্নত হবে। টরেন্টো ফ্লাইট চালু হলে দু দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রথমবারের মতো কানাডার উদ্দেশে ছেড়ে গেল বিমান
প্রথমবারের মতো বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-টরেন্টো রুটে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাংলাদেশ থেকে কানাডায় বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু। সে লক্ষ্যে সকল বিধিগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ প্রথম বারের মত বিমান বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা টরেন্টো রুটে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়েছে। বিমান তার বহরে থাকা অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের মাধ্যমে এই ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, আরও কিছু কারিগরি কাজ সম্পন্ন করার পর আগামী জুন মাস থেকে বিমানের ঢাকা টরেন্টো রুটে সপ্তাহে তিনদিন নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করতে পারবো।
বিমানের ঢাকা-টরেন্টো ফ্লাইট কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পড়ুন: বিমান ঢাকা-টরোন্টো রুটে ডানা মেলবে ২৬ মার্চ
ফ্লাইটটি রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। কানাডার স্থানীয় সময় ২৭ মার্চ সকাল সোয়া ৭টায় টরেন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানো কথা রযেছে। টরেন্টো থেকে ফিরতি ফ্লাইট আগামী ২৯ মার্চ কানাডার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় যাত্রা শুরু করে ৩০ মার্চ বাংলাদেশের স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকায় পৌঁছাবে।
ঢাকা-টরেন্টো রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় কানাডার সরকার ও বাংলাদেশস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান বিমান প্রতিমন্ত্রী।
এসময় ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশন প্রতিনিধি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা পরর্ষদ চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনসহ ঊধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত বিমানের ঢাকা-টরন্টো রুটের টিকেট
বিমান ঢাকা-টরোন্টো রুটে ডানা মেলবে ২৬ মার্চ
আগামী ২৬ মার্চ প্রথম বারের মত বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-টরেন্টো রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এ তথ্য জানিয়েছেন ।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-টরেন্টো সরাসরি ফ্লাইট চালুকরণ উপলক্ষে ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার হার এক্সেলেন্সি লিলি নিকোলাস উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাংলাদেশ থেকে কানাডায় বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু। সকল বিধিগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগামী ২৬ মার্চ প্রথমবারের মত বিমান বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা টরেন্টো রুটে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে। ফ্লাইটটি ২৬ মার্চ রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে কানাডার স্থানীয় সময় ২৭ মার্চ সকাল ৭ টা ১৫ মিনিটে টরেন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। টরেন্টো থেকে ফিরতি ফ্লাইট আগামী ২৯ মার্চ কানাডার স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় যাত্রা শুরু করে ৩০ মার্চ বাংলাদেশের স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। বিমান তার বহরে থাকা অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের মাধ্যমে এই ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আরও কিছু কারিগরি কাজ সম্পন্ন করার পর আগামী জুন মাস থেকে বিমানের ঢাকা টরেন্টো রুটে সপ্তাহে তিনদিন নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করতে পারবো। বিমানের ঢাকা- টরেন্টো ফ্লাইট কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার।
মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডা এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই গভীর ও উষ্ণ। গত ১৩ বছরে যা হয়েছে আরও গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ। আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ এই সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয় ৫০ বছর আগে আমাদের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের সময়। কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডুর বাবা সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডুর নেতৃত্বে কানাডার সরকার, জনগণ ও গণমাধ্যম আমাদের প্রতি যে সমর্থন ও সহমর্মিতা দেখিয়েছেন তা আমরা সবসময়ই কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। কানাডা হল সেই গুটিকয়েক রাষ্ট্রের অন্যতম যারা স্বাধীনতা অর্জনের সল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আমরা উভয় দেশই বিভিন্ন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ফোরামে একই জায়গা থেকে কাজ করছি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী এই দেশের সঙ্গে বিগত বছরগুলোতে বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রগুলো জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, কৃষিজাত খাদ্য, মাছ, পাটজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য, চামড়া জাত পণ্য, সামুদ্রিক খাবারের অন্যতম বাজার হল কানাডা। বাংলাদেশের একটি বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী কানাডায় পড়াশোনা করেন। এছাড়াও আমাদের দেশের প্রায় ১০ লাখ লোক কানাডার বিভিন্ন স্থানে বসবাস করেন। বিমান বাংলাদেশের ঢাকা- টরেন্টো সরাসরি ফ্লাইট চালুর ফলে আমাদের রপ্তানি পণ্যের দ্রুত পরিবহন নিশ্চিতের পাশাপাশি কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে দেশে যাতায়াত করতে পারবে। বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে পর্যটন ও এভিয়েশন খাতে সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী এই প্রতিষ্ঠানের বহরে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বোয়িং ৭৮৭ (ড্রিম লাইনার ), ৭৭৭ ও ৭৩৭ উড়োজাহাজসহ ১৫ টি নতুন উড়োজাহাজ। ১৯৭২ সালে একটি পুরাতন ডাকোটা উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রা শুরু করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আজ ২১ টি আধুনিক উড়োজাহাজ সম্বলিত বহরের মালিক। দেশের এভিয়েশন শিল্পের বিকাশে বিমান পথপ্রদর্শক।
প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান, বিগত তিন বছরে বিমান ঢাকা-ম্যানচেস্টার, ঢাকা- মদিনা ও সিলেট-লন্ডন রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট এবং ঢাকা-হংকং ও ঢাকা-গুয়াংজু রুটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। এছাড়াও ঢাকা টোকিও, ঢাকা-কলম্বো, ঢাকা- মালে এবং ঢাকা-চেন্নাই ফ্লাইট শুরু করার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটেও ফ্লাইট পরিচালনার জন্য কাজ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: বেবিচক
ফের চালু হচ্ছে সিলেট-চট্টগ্রাম বিমান ফ্লাইট
বঙ্গবন্ধুর খুনি নূরকে ফেরত দিতে কানাডাকে আবারও অনুরোধ ঢাকার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও দোষী সাব্যস্ত খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত দিতে কানাডাকে আবারও অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইন্দোনেশিয়া লাউঞ্জে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী হারজিত সজ্জনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ আহ্বান জানান।
কয়েকদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের কাছেও একই বিষয়টি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: নূর চৌধুরীকে ফের ফেরত চেয়েছে ঢাকা
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাইকমিশনার সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা বুঝতে পারছি এটা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি এই বিষয়ে আমার দেশকে অবহিত করব।’
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কানাডার মন্ত্রী হারজিত সজ্জনকে রোহিঙ্গা সমস্যার চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কানাডার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
কানাডার মন্ত্রী সজ্জন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কানাডার সমর্থনের আশ্বাস দেন এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেয়ায় বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর: কানাডা থেকে নূর চৌধুরীকে ফেরানোর ওপর জোর বাংলাদেশের
ড. মোমেন কানাডার মন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে কানাডার মন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন সরকারি সফরে নিউইয়র্কে রয়েছেন।
উল্লেখ্য নূর চৌধুরী প্রায় ৩০ বছর ধরে পলাতক হিসেবে কানাডায় বসবাস করছেন।
নূর চৌধুরীকে ফের ফেরত চেয়েছে ঢাকা
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও দোষী সাব্যস্ত খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধের কথা তিনি তার সরকারের কাছে জানাবেন।
বুধবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাইকমিশনার বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।
কানাডার পরীক্ষিত অংশীদার বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর এ খুনিকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করে আসছে।
আরও পড়ুন: কানাডার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি এক বার্তায় বলেন, ‘এই খুনি প্রায় ৩০ বছর ধরে পলাতক হিসেবে কানাডায় বাস করে আসছে। কানাডা মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা এবং আইনের শাসনের প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত। এই জঘন্য খুনি ও মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘনকারীকে বহিষ্কারে দু’দেশ কিছু পদ্ধতিতে একমত হওয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
বাংলাদেশ ও কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশ দুটি তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে কানাডার নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের পরিচয়পত্র পেশ
কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর: কানাডা থেকে নূর চৌধুরীকে ফেরানোর ওপর জোর বাংলাদেশের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও সাজাপ্রাপ্ত খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফেরত পাঠাতে দীর্ঘদিনের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই খুনি পলাতক হিসেবে প্রায় ৩০ বছর ধরে কানাডায় বসবাস করছে। মানবাধিকারের প্রচার, সুরক্ষা ও আইনের শাসনের প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত কানাডা। দুই দেশ এই জঘন্য হত্যাকারী ও মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘনকারীকে ফেরত পাঠানোর জন্য কিছু ক্ষেত্রে একমত হওয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অনুরোধ জানান। ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়ছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দুই দেশ পারস্পরিক স্বার্থ, বন্ধুত্ব ও সম্মানের বিষয়গুলো নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যেকোনো ধরনের চরমপন্থী কর্মকাণ্ড নির্মূলসহ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও গভীর ও সম্প্রসারণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই খাতে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে দু’দেশ।
আরও পড়ুন: খায়রুজ্জামানকে শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
কানাডার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে
বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে দুদেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি নিয়ে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিল রহমান।
সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত কানাডা-বাংলাদেশ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ অন স্ট্রেংদেনিং কমার্শিয়াল রিলেশনস এর ভার্চুয়াল সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কানাডার ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা একটি বড় বাধা উল্লেখ করে হাইকমিশনার জানান, ঢাকায় কানাডিয়ান হাই কমিশনে দেশটির ভিসা অফিস স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার: যুক্তরাষ্ট্র
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে বিজনেস কাউন্সিল অব কানাডা (বিসিসি)র আগ্রহ রয়েছে। সংগঠনটি কানাডায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে বাংলাদেশের খাতভিত্তিক তথ্য জানতে চেয়েছে। যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির সুপারিশ ও প্রতিবেদনগুলো বিসিসির কাছে পাঠানোর প্রস্তাব করেন হাইকমিশনার। কানাডা-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে এফবিসিসিআই ও বিসিসির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের ব্যাপারেও প্রস্তাব করেন তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে কো-চেয়ার হিসেবে উপস্থিত এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, কানাডিয়ান উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য প্লাস্টিক শিল্প অন্যতম একটি সম্ভাবনাময় খাত। অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজারের পাশাপাশি বিশ্ব বাজারেও রপ্তানি সম্ভাবনা প্রবল। তাছাড়া তৈরি পোশাক, ওষুধ, প্রকৌশল, অটোমোবাইল শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প হিসেবেও প্লাস্টিক পণ্যের বিশাল চাহিদা রয়েছে।
এর আগে প্লাস্টিক শিল্পের বাজার ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)’র সভাপতি শামীম আহমেদ। তিনি জানান এখাতে ১.২ মিলিয়ন মানুষ কাজ করছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রপ্তানি হচ্ছে এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বছরে গড়ে চার শতাংশ হারে এ খাতের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। প্লাস্টিকের ২৯টি উপখাতের সবগুলোই রপ্তানি সম্ভাবনাময়। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের দেয়া নানা নীতি সহায়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সভায় কানাডা -বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ক্যানচ্যাম বাংলাদেশের সভাপতি মাসুদ রহমান। প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডিয়ান উদ্যোক্তাদের জন্য অন্যতম বড় বিনিয়োগ ক্ষেত্র হতে পারে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাত। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীত্বের মাধ্যমে এ খাতের উন্নয়নে কানাডিয়ানরা অংশ নিতে পারে। এজন্য দেশটির বিনিয়োগ ব্যাংক এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কানাডা (ইডিসি) ‘বাংলাদেশ ফান্ড’ গঠনের মাধ্যমে এদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। একই সঙ্গে কানাডার পেনশন ফান্ড থেকেও বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওপর গণহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে বিশ্বাস করি না: মার্কিন কংগ্রেসম্যান
এছাড়া মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি, দ্বিপক্ষীয় এয়ার ট্রান্সপোর্ট চুক্তি, বিদেশি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি সই, ভ্যানক্যুভারে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল অফিস ও চট্টগ্রামে কানাডার অনারারি কনসাল জেনারেল অফিস স্থাপন, কানাডার নাগরিকদের বাংলাদেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা প্রদান, জিপিটির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ১০০ একর জমিতে কানাডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন ঘোষণার মাধ্যমে দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক দৃঢ় করা সম্ভব বলে মনে করেন ক্যানচ্যামের সভাপতি মাসুদ রহমান।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে নিতে নির্দিষ্ট কর্মপন্থা ঠিক করার ওপর জোর দেন ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। কৃষিখাতে কানাডার বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য কানাডার উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে চার থেকে পাঁচটি খাতকে সুনির্দিষ্ট করে সেসব খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ওয়ার্কিং গ্রুপের আরেক সদস্য ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের শিক্ষা বিষয়ে কাজ করার ব্যাপারে মত দেন কানাডার কো-চেয়ার নুজহাত তাম-জামান। তিনি বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আরও বেশি সংখ্যায় কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে আনতে হবে। তাহলে কানাডার দক্ষ মানবসম্পদ অভিবাসনে বাংলাদেশিদের সংখ্যাও বাড়বে।
রাষ্ট্রপতির কাছে কানাডার নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের পরিচয়পত্র পেশ
বাংলাদেশে কানাডার নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি নতুন হাইকমিশনারকে বলেন, কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশ সবসময়ই চমৎকার সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পর্ক সম্প্রসারিত হচ্ছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: হয়রানি ছাড়া ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কানাডায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত কোটা-মুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে কানাডার সহযোগিতার কথা স্মরণ করে কানাডাকে দেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি করোনা ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তার জন্য কানাডা সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করে একে একটি সাহসী পদক্ষেপ এবং মানবিক কাজ হিসেবে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি রাষ্ট্রপতিকে আরও বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। এসময় তার মেয়াদে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্তি) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
জাস্টিন ট্রুডো করোনায় আক্রান্ত
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার এক টুইট বার্তায় নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টুইটে ট্রুডো বলেন, ‘আমার করোনা শনাক্ত হয়েছে, তবে আমি ভালো বোধ করছি। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এই সপ্তাহে দূর থেকে কাজ চালিয়ে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো দুটি ভ্যাকসিন ডোজ এবং একটি বুস্টার শট নিয়েছেন। একটি টেলিভিশন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভ্যাকসিন-বিরোধী প্রতিবাদকারীদের নিন্দা করেছেন।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
তিনি বলেন, রাজধানীতে কিছু লোকের আচরণে কানাডিয়ানরা হতবাক এবং বেশ বিরক্ত।
ট্রুডো বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার করতে চাই যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অপমান এবং গৃহহীনদের কাছ থেকে চুরি করে তাদের আমরা সমর্থন করি না। যারা ভাঙচুরে লিপ্ত বা আমাদের প্রবীণ সৈনিকদের স্মৃতিকে অসম্মান করে তাদের সঙ্গ আমরা গ্রহণ করব না।
সোমবার দেশটিতে কিছু বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট হিলের আশেপাশে ট্রাফিক অবরোধ করে এবং বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটায়।
আরও পড়ুন: হন্ডুরাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সিওমারা কাস্ত্রো
কানাডায় বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারণায় কাজ করবে যৌথ কমিটি
বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ত্বরান্বিত করতে কানাডায় বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারণা করতে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করেছে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কানাডা-বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার দুই দেশের সরকারের মনোনীত সদস্যদের এক ভার্চুয়াল সভায় গ্রুপটি কমিটি গঠনের এ সিদ্ধান্ত নেয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং কনজিউমার হেলথের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান নুজহাত তাম-জামান।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশে বিদেশে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অবকাঠামোগত সুবিধা, বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং শুল্কমুক্ত সুবিধার কারণে বাংলাদেশ এখন এই অঞ্চলের অন্যতম সেরা বিনিয়োগ গন্তব্য। ‘কিন্তু কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীরা এখনও এই সুবিধা সম্পর্কে সচেতন নয়।’ এ জন্য তারা একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংগঠনটির আগের সভায় পর্যটন, আইসিটি, কৃষি, কৃষি-খাদ্য, শিক্ষা, ফার্মাসিউটিক্যালস ও নবায়নযোগ্য শক্তিকে সহযোগিতার সম্ভাব্য খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতেও ভারতের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে উন্মুখ বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সমুদ্র অর্থনীতি ও প্লাস্টিক খাতকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় বাংলাদেশের চামড়া, চামড়াজাত পণ্য এবং কানাডায় জুতা রপ্তানি খাতের সম্ভাবনার ওপর একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক ও এমসিসিআই, ঢাকার সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।
এছাড়া সাসকাচোয়ান ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট পার্টনারশিপের প্রেসিডেন্ট ক্রিস ডেকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর আরেকটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
কমিটির পরবর্তী সভা চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-রাশিয়া অংশীদারিত্ব দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ পূরণ করে: সের্গেই লাভরভ
কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী: রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন