নরেন্দ্র মোদি
কাশ্মীরে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ১২
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি জনপ্রিয় হিন্দু মন্দিরে পদদলিত হয়ে নববর্ষের দিনে কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শনিবার ভোরে মাতা বৈষ্ণব দেবী মন্দিরে পদদলিত হওয়ার ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এইদিন দক্ষিণ জম্মু শহরের কাছে পার্বত্য শহর কাটরাতে হাজার হাজার হিন্দু ভক্ত শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জড়ো হয়েছিল।
মহেশ নামের একজন জানিয়েছে, তীর্থযাত্রীরা মন্দিরের রুটে প্রবেশ ও প্রস্থান করার সময় একটি গেটের কাছে পদদলিত হয়।
প্রিয়ংশ নামে আরেক ভক্ত বলেছেন, তিনি ও নয়াদিল্লি থেকে আসা তার ১০ বন্ধু শুক্রবার রাতে মন্দির দেখতে এসেছিলেন এবং এই ঘটনায় তার দুই বন্ধু মারা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে এক বার্তায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত।
আরও পড়ুন: গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী
তিনটি দেশে ৭ কোটি কোভোভ্যাক্স টিকার ডোজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত
ভারত-রাশিয়ার মধ্যে একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির চুক্তি স্বাক্ষর
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে পাঁচ লাখ একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল উৎপাদনের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।
সোমবার বিকেলে দিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গে সইগুর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যয়বহুল এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া, আগামী ২০২১-২০৩১ সাল পর্যন্ত দুদেশ সামরিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে একে অপরকে সহায়তা করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক টুইটে জানিয়েছেন, ভারতের প্রতি রাশিয়ার এই সমর্থন প্রশংসার যোগ্য। আমাদের আশা এই পারস্পরিক সহযোগিতা গোটা অঞ্চলে শান্তি, স্থিতাবস্থা আনবে। স্মল আর্মস ও মিলিটার কো অপারেশনের ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সূত্রের খবর, ভারত ও রাশিয়ার যৌথ সহযোগিতায় উত্তরপ্রদেশে তৈরি হবে একে-২০৩ রাইফেল। ইন্দো-রাশিয়ান রাইফেল প্রাইভেট লিমিটেডের নামে তৈরি হবে এই অত্যাধুনিক রাইফেল। গত সপ্তাহেই ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি এই প্রজেক্টটি অনুমোদন করেছে।
প্রায় তিন দশক আগে তৈরি ইনসাসের জায়গা নেবে অত্যাধুনিক একে-২০৩। এদিকে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যেকোনও সময় সম্পূর্ণ হতে পারে। এটাও রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের নানা হুঁশিয়ারির মধ্যেই গত প্রায় দু বছর ধরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাপূর্ণ মত বিনিময় শুরু হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে দুপক্ষের মধ্যে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের টার্গেটও নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলার ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকা সফরের সম্ভাবনা
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রধানমন্ত্রী
‘মৈত্রী দিবস': হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন মোদি
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও প্রসারিত ও গভীর করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন।
সোমবার দুই দেশের 'মৈত্রী দিবস' উদযাপন নিয়ে এক টুইটে মোদি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ককে আরও প্রসারিত এবং গভীর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি উন্মুখ।’
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।
মোদি বলেন, ‘আজ ভারত ও বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস পালন করছে। আমরা যৌথভাবে আমাদের ৫০ বছরের বন্ধুত্বকে স্মরণ করি এবং উদযাপন করছি।’
আরও পড়ুন: ৬ ডিসেম্বর: ‘মৈত্রী দিবস’ ঢাকা-দিল্লির চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ বিশ্বের আরও ১৮টি দেশে একসঙ্গে মৈত্রী দিবস পালিত হবে।
অন্যান্য দেশগুলো হল- বেলজিয়াম, কানাডা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) নয়াদিল্লিতে আজ বিকালে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এতে উভয় দেশের অংশগ্রহণ দেখা যাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তা পাঠাবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক অক্ষুণ্ন থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রধানমন্ত্রী
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করবেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়াও ভুটানের কাছ থেকে উচ্চ পর্যায়ের অংশগ্রহণ আশা করছে বাংলাদেশ।
এটি হবে ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতির প্রথম বাংলাদেশ সফর। তিনি ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই শপথ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আর ভারতের জন্য লজ্জা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে।
আগামী মাসে দুটি মেগা ইভেন্টে বাংলাদেশ ও ভারত একসাথে কাজ করতে যাচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়সহ যথাক্রমে ৬ ও ১৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালিত হবে।
২৬ থেকে ২৭ মার্চ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এই সফরটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্ধ শতাব্দীর অংশীদারিত্বের প্রতীক যা সমগ্র অঞ্চলের জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শক্তিশালী, পরিপক্ক ও বিকশিত করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাইকেল র্যালি বাংলাদেশে
সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আর ভারতের জন্য লজ্জা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রবিবার সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বলেন,এটি ভারতের জন্য লজ্জার বিষয়। আর বাংলাদেশিদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক যে তাদের জীবন হারাতে হচ্ছে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,আমি সবসময়ই বলি, এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং এটা ভারতের জন্য লজ্জার বিষয়। আমার কাছে এ বিষয়ে অন্য কোনো উত্তর নেই।
ড. মোমেন বলেন, দুই দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, দুই দেশ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চায় না এবং কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে মৌখিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সময়ে সময়ে এটি ঘটে চলছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটে ফ্রান্স বাংলাদেশের পাশে থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময়,উভয় নেতারাই একটি শান্ত, স্থিতিশীল ও অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন।
উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে যে সীমান্তে যে কোনও মৃত্যু উদ্বেগের বিষয় এবং যৌথ বিবৃতি অনুসারে, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জনমুখী পদক্ষেপ বাড়ানো ও বেসামরিক নাগরিকদের এই ধরনের মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারকে বিব্রত করতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাড়ে ৭ মাস পর সচল হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন
দীর্ঘ সাড়ে ৭ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও সচল হচ্ছে হেফাজত তান্ডবে বিধ্বস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন। প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষে আগামী ১৩ নভেম্বর স্টেশনটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
ওইদিন থেকেই পূর্বাঞ্চল রেলপথে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এতোদিন ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল রেলপথের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে প্রতি মাসে অর্ধ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী ৭টি আন্তঃনগর, ৭টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করে স্টেশনটিতে। প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন দিয়ে অন্তত দুই হাজার যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬-২৮ মার্চ এই তিনদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ ও জেলা গণগ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ২৬মার্চ বিকেলে। স্টেশন মাস্টারের কক্ষ, টিকিট কাউন্টার ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সিগন্যালিং সিস্টেম পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলায় ২৭মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে সকল ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন না থামায় যাত্রীদেরকে ট্রেনে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরবর্তী আখাউড়া ও আশুগঞ্জ রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠতে হতো। গত ১২সেপ্টেম্বর আশুগঞ্জ রেলস্টেশনে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পথিমধ্যে তালশহর রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বাবা ও দুই ছেলের মৃত্যু হয়।
যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ অবসানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন দ্রুত সংস্কার করে সকল ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি চালুর দাবিতে আন্দোলন শুরু করে নাগরিক সংগঠনগুলো। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মর্যাদা ‘বি ক্লাস থেকে ‘ডি’ ক্লাসে নামিয়ে ১৫ জুন থেকে তিনটি মেইল ও একটি কমিউটার এবং ১৬জুন থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রারিবতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্টেশনের সংস্কার শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক মাস ধরেই চলছে সংস্কার কাজ। নতুন করে স্থাপন করা হচ্ছে সিগন্যালিং সিস্টেম।
সরেজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, আগুনে পুড়িয়ে দেয়া টিকিট কাউন্টার ও স্টেশন মাস্টারের কক্ষ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষগুলোর সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। নতুন সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন কাজও শেষ পর্যায়ে। এছাড়া উঁচু করা হয়েছে প্ল্যাটফর্মও। উদ্বোধনের জন্য এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
আশিকুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের জন্য ট্রেনে যাতায়াত করতে সুবিধা। কম খরচে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। রেলস্টেশনটি আবার চালু হওয়ার মাধ্যমে যাত্রীদের সাড়ে ৭ মাস ধরে পোহানো অসহনীয় দুর্ভোগের অবসান হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের মাস্টার মো. শোয়েব বলেন, স্টেশনের সংস্কার কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৩ নভেম্বর স্টেশনটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। সেলক্ষ্যেই সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উদ্বোধনের দিন থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্টবিন থেকে মৃত নবজাতক উদ্ধার
অবশেষে ‘ডি ক্লাস’ মর্যাদায় চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন
১০০ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার মাইলফলকে ভারত
টিকাদান কর্মসূচি শুরুর নয় মাসের মধ্যে ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ প্রয়োগের ইতিহাস তৈরি করল ভারত। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারত ‘অল্প সময়ের’ মধ্যে এই কৃতিত্ব দেখালো। এর আগে চীন গত জুন মাসে ১০০ কোটি কোভিড টিকা দেয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মাইলফলককে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে একে ১৩০ কোটি ভারতীয়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টার জয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তিনি চিকিৎসক, নার্স এবং যারা এই কৃতিত্ব অর্জনের জন্য কাজ করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মানদাভিয়া এক টুইটে বলেন, ‘অভিনন্দন ভারত! এ সাফল্য আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের ফল।’
আরও পড়ুন: বন্যায় ভারত ও নেপালে মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে
কোভিড-১৯: বিশ্বে একদিনে সাড়ে ৮ হাজারের বেশি প্রাণহানি
ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসে নিহত ২১
ভারতের কেরালায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ২১ জন নিহত এবং এক ডজনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, রাজ্যটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুই জেলা কোট্টায়াম ও ইদুক্কি থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলা দু’টিতে বিশাল ভূমিধস হয়।
আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে এমন আশঙ্কায় দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান ফোর্স ও সেনাবাহিনী উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহযোগিতার জন্য তাদের টিম নিয়োগ করেছে।
ভারী বৃষ্টিপাত কমলেও রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ১০০ এর বেশি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে উল্লেখ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন, ‘আমি প্রত্যেকের নিরাপত্তা ও সুস্থতার জন্য দোয়া করি।’
এর আগে ২০১৮ সালে বর্ষাকালে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কেরেলায় ২২৩ জন মারা যান এবং শত শত মানুষ গৃহচ্যুত হন।
আরও পড়ুন: ভারতে ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু
রাতে ভারতে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’
উত্তর প্রদেশে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত ১৫
ভারতের উত্তর প্রদেশে যাত্রীবাহী বাস ও বালুবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রদেশের বারাবাঙ্কি জেলার বাবুরি এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
বারাবাঙ্কির পুলিশ প্রধান যমুনা প্রসাদ জানান, দিল্লি থেকে বারিশগামী বাসটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই ট্রাকটি রাস্তায় একটি গাভীকে ধাক্কা দেয়া এড়াতে গেলে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন মারা যান এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে মারা যান আরও ছয় জন। বর্তমানে এ হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া লক্ষ্ণৌ কিং জর্জ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ১১ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ প্রধান।
এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আরেক কর্মকর্তা।
এদিকে এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ রুপি ও আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও এ ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আহতদের সর্বোচ্চ ভালো চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাতে ভারতে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
অক্টোবরে আবার টিকা রপ্তানি শুরু করবে ভারত
মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের হাইকমিশন জানিয়েছে, নয়াদিল্লিতে শুক্রবার বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি ফুলের তোড়া নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন শেখ হাসিনা
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোদী। শুক্রবার ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি।
তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ,রাজনীতিবিদ, বিজেপি নেতারা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেয়েছেন।