নরেন্দ্র মোদি
বাংলাদেশকে ১০৯ কার্ডিয়াক এম্বুলেন্স উপহার ভারতের
ভারত বাংলাদেশকে ১০৯টি উন্নতমানের কার্ডিয়াক এম্বুলেন্স উপহার দিয়েছে। সোমবার বিকেলে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে এই এম্বুলেন্সগুলোর চাবি হস্তান্তর করেছেন।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সিএমএসডিতে এম্বুলেন্স হস্তান্তরের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম ও সিএমএসডির পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশে বর্তমানে টিকার সংকট নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতের এম্বুলেন্স উপহার দেয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘যেকোন দুঃসময়ে পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র ভারতই সবার আগে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়। আজ এই করোনাকালে দুঃসময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন করে ১০৯টি উন্নতমানের কার্ডিয়াক এম্বুলেন্স উপহার দিয়ে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের ভালোবাসার আরেকটি নজির স্থাপন করেছেন। এম্বুলেন্সগুলো নিঃসন্দেহে দেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা আরও বেশি বৃদ্ধি করবে।’
আরও পড়ুন: সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতের উপহার এম্বুলেন্সের পাশাপাশি দেশের হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক ২১টি এবং উপজেলা হেলথ কেয়ারের অপারেশন প্লান থেকে আরও ৬০টি এম্বুলেন্স কেনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এম্বুলেন্সগুলো স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতাল, ঢাকা নর্থ সিটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতালগুলোর পরিচালক ও প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেন।
ভারতের উপহার: আরও ৪০ লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স পেল বাংলাদেশ
ভারত সরকারের উপহারের তৃতীয় চালানে আরও ৪০টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ছাড়পত্র পাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সগুলো বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার কথা রয়েছে।
চলতি বছরের ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরকালে করোনা মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশকে উপহারের ঘোষণা দিযে়ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: ভারত ফেরত যাত্রীদের জন্য শর্ত শিথিল করল সরকার
সিঅ্যান্ডএফ উত্তরা মোটরসের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, ভারত সরকারের উপহারের এই অ্যাম্বুলেন্স কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করা হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে আজই রওয়ানা হবে অ্যাম্বুলেন্সগুলো।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘ভারত সরকারের উপহার স্বরূপ তৃতীয় চালানে বৃহস্পতিবার সকালে ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পৌঁছায়। বাকি অ্যাম্বুলেন্সগুলো আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে আসবে।’
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিদের সাথে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করলেন দোরাইস্বামী
ভারত সরকারের উপহারের প্রথম চালানের একটি অ্যাম্বুলেন্স গত ২১ মার্চ, ৭ আগস্ট ৩০টি ও বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ৪০ টি অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসে। এ নিয়ে দেশে এলো মোট ৭১ টি অ্যাম্বুলেন্স। উপহার হিসেবে আসা প্রত্যেকটি অ্যাম্বুলেন্সে ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে।
ভারতের উপহার আরও ৪০ অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোলে
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ভারতের দেয়া আরও ৪০টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোলে বুধবার এসে পৌঁছেছে। বেনাপোল স্থল শুল্ক চেকপোস্টে ছাড়পত্র পাওয়ার পর এগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে বলে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এই তথ্য জানিয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে, গত মার্চে বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে করোনা মহামারি মোকাবিলার যৌথ প্রচেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে ১০৯ টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ১৭ আগস্ট ৩১টি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী চালানের ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স এখন পেট্রাপোলে এসেছে। বেনাপোল স্থল শুল্ক চেকপোস্টে ছাড়পত্র পাওয়ার পর এগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। বাকি ৩৮টি অ্যাম্বুলেন্স সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। এই উপহার বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণের সহায়তার জন্য ভারতের অব্যাহত এবং দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকারের প্রতিফলন করে।
আর পড়ুন: ৩১টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর ভারতের
মোদির উপহারের ৩০ অ্যাম্বুলেন্স শিগগিরই ঢাকায় আসছে
৫৬ বছর পর চালু হলো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল যোগাযোগ
দীর্ঘ প্রায় ৫৬ বছর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ দিয়ে নিয়মিত মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রবিবার ভারতীয় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডামডিম স্টেশন থেকে পাথর বোঝাই প্রথম মালবাহী ট্রেন বাংলাদেশে প্রেরণ করে।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সাতটি রেল সংযোগ চালু ছিল। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি রেল সংযোগ চালু রয়েছে। এগুলো হলো- বেনাপোল (বাংলাদেশ) - পেট্রাপোল (ভারত), দর্শনা (বাংলাদেশ)-গেদে (ভারত), রহনপুর (বাংলাদেশ)-সিংহাবাদ (ভারত), বিরল (বাংলাদেশ)-রাধিকাপুর (ভারত)। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ এমনই একটি রুট যা ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
আরও পড়ুন: চিলাহাটি থেকে পরীক্ষামূলক বাংলাদেশের রেল ইঞ্জিন ভারতে ট্রায়াল
ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীই উভয় দেশের মধ্যে ১৯৬৫ সাল পূর্ববর্তী সমস্ত রেল সংযোগ পুনরায় কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই ফলস্বরূপ রেল সংযোগটিকে পুনঃস্থাপিত করার কাজ হাতে নেয় উভয় দেশের সরকার।
পুনঃস্থাপনের পর, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে চিলাহাটি (বাংলাদেশ) এবং হলদিবাড়ি (ভারত) রেল সংযোগটি উদ্বোধন করেন।
এই রেল সংযোগটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার পঞ্চম রেল সংযোগ হিসেবে পুনরায় চালু হলো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতের ২০০ এমটির ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’
এই রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাথর ও বোল্ডার, খাদ্যশস্য, তাজা ফল, রাসায়নিক সার, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, ফ্লাই অ্যাশ, ক্লে, চুনাপাথর, কাঠ ও টিম্বার ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে সকল রপ্তানিযোগ্য পণ্যই অনুমোদিত।
চালু হওয়া এই রেল সংযোগ বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ এবং দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্যকে শক্তিশালী করবে।
রাজনীতি ছাড়ছেন বলিউড গায়ক বাবুল সুপ্রিয়
রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলিউড গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার পুনর্গঠনের সময় প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার একমাস পর শনিবার ফেসবুকে এক পোস্টে রাজনীতি থেকে অবসরের এই ঘোষণা দিলেন তিনি।
বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি চলে যাচ্ছি ... বিদায় ...। যদি আপনি সামাজিক কাজ করতে চান, তাহলে আপনি রাজনীতি না করেই এটি করতে পারেন ... আসুন আগে নিজেকে একটু সংগঠিত করি এবং তারপর ...।’
পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এই সাংসদ স্পষ্টভাবেই লিখেছেন, তিনি অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না।
আরও পড়ুন: মোদির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল, ৪৩ নতুন মন্ত্রী
বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন, ‘সবার কথা শুনেছি - বাবা, (মা) স্ত্রী, মেয়ে, দুই প্রিয় বন্ধু ... সবকিছু শোনার পর, আমি বলি যে আমি অন্য কোন পার্টিতে যাচ্ছি না ‘ এই পোস্টে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সিপিআইএমকে হ্যাসট্যাগ দেন।
তিনি লিখেছেন, ‘সব সময় আমি একটি দলকে সমর্থন করেছি। ফুটবল খেলায় যেমন মোহনবাগানকে। তেমনি পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র বিজেপিকে সমর্থন করেছি।’
বাবুল সুপ্রিয় প্রায় সাত বছর আগে বিজেপির হাত ধরেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি দুই দফায় মোদির মন্ত্রীসভায় প্রতিন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: বলিউড জুটি আমির-কিরণের বিচ্ছেদ
৫০ বছর বয়সী এই জনপ্রিয় গায়ক নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বলিউডে প্রবেশ করেন এবং তখন থেকে তিনি অনেকগুলো চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন।
এই মাসের শুরুর দিকে মোদির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদলের সময় বাবুল সুপ্রিয়সহ ১৩ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাদ পড়েছিলেন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর।
ভারী বৃষ্টিপাতে মুম্বাইয়ে ভবন ধস, নিহত ২৫
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ভারী বর্ষণে ঘরবাড়ি ধসে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যা ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে মুম্বাইয়ে ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ভারত শিগগিরই বাংলাদেশকে টিকা দেবে: দোরাইস্বামি
মুম্বাইয়ের এক পৌর কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের শহরতলির পাহাড়ি চেম্বুর এলাকায় বাড়ি ধসে পড়ে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পার্শ্ববর্তী ভিক্রোলি অঞ্চলে আরও পাঁচজন মারা গেছেন। ভিক্রোলিতে সারারাত প্রবল বর্ষণের পানির তোড়ে একটি দ্বিতল ভবন ধসে পড়েছে। এই দুটি অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের আশেপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মহিলা ও শিশু রয়েছে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো এই অঞ্চলগুলোতে উদ্ধারকাজের ভিডিও সরাসরি দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন: যমুনার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে সমবেদনা জানিয়েছেন এবং নিহতদের প্রতি পরিবারকে দুই লাখ রুপি আর আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মুম্বাই পৌর সংস্থা জানায়, ভবন ধসে পড়ার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাধারণত জুন, জুলাই ও আগস্টের বর্ষাকালে ভারতে ভবন ধসের ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এই ধরনের ধসের জন্য নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণকেই দায়ী করা হয়।
আরও পড়ুন: বাড়ছে পানি, ফরিদপুরে নদী ভাঙন শুরু
২০ দলীয় জোট ছাড়ল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
বুধবার (১৪ জুলাই) পুরানা পল্টনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া।
এসময় দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা জিয়া উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বিবৃতিতে বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বলেন, বিশেষ এক পরিস্থিতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচনী ঐক্য গড়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় ঐক্যবদ্ধভাবে কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করে।
এ সময় জোটের শরিক দলের যথাযথ মূল্যায়ন না করা, শরিকদের সাথে পরামর্শ না করেই উপনির্বাচন এককভাবে বর্জন করা, আলমদের গ্রেপ্তারে প্রতিবাদ না করা, প্রয়াত জমিয়ত মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমীর মৃত্যুতে বিএনপির পক্ষ থেকে সমবেদনা না জানানো এবং তার জানাজায় শরিক না হওয়ার অভিযোগ আনেন জমিয়ত মহাসচিব।
‘তাই জমিয়ত মনে করে ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করা জমিয়তের জন্য কল্যাণকর। আজ থেকে জোটের কোনও কার্যক্রমে জমিয়ত সক্রিয় থাকবে না,’ বলেন বাহাউদ্দিন জাকারিয়া।
পড়ুন: লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত ভুল: বিএনপি
তিনি এই বছরের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার তাদের সকল ওলামায়ে কেরাম এবং নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
জমিয়তের নেতা-কর্মীসহ আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের সকল মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের হয়রানি বন্ধেরও দাবি জানান।
এসময় অবিলম্বে দেশের সকল কওমি মাদরাসা পুনরায় চালুর দাবি জানান জমিয়ত মহাসচিব।
জাকারিয়া বলেন, দলের বেশিরভাগ সিনিয়র নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দুটি অংশ। একটি অংশের নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত নূর হোসাইন কাসেমী। অপর অংশের নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত মুফতি ওয়াক্কাস। দুটি দলই দীর্ঘদিন ধরে ২০ দলীয় জোটে শরীক ছিলেন।
নূর হোসাইন কাসেমীর অংশ জোট ছাড়ার ঘোষণা দিলেও মুফতি ওয়াক্কাসের অনুসারীরা বলছেন, তারা এখনও ২০-দলীয় জোটের সাথে রয়েছেন এবং যারা জোট ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাদের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই।
যোগাযোগ করা হলে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, তাদের নেতারা (জমিয়তের একটি অংশ) আজ (বুধবার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন এবং পরে এ জাতীয় একটি বিবৃতি দিয়েছেন।’
পড়ুন: কল-কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই: বিএনপি
হাটহাজারীতে তাণ্ডব: হেফাজত নেতা নাসির উদ্দিন মুনির গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জমিয়তের অনেক নেতা আত্মগোপনে রয়েছেন। এছাড়া তাদের অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। জোট ছাড়ার কারণে যদি তাদের নেতা-কর্মীরা মুক্তিপান তবে আমরা খুশিই হবো।’
ভারতে বজ্রপাতে নিহত ৬০
ভারতের উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানে কয়েক ডজন বজ্রপাতের ঘটনায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে সোমবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাত আঘাত হানার ফলে উত্তর প্রদেশে ৪০ এবং পশ্চিম রাজস্থানে ২০ জন মারা যায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলায় শিশু ও নারীসহ সর্বোচ্চ ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার কয়রায় বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৃতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
শোকাহত পরিবারগুলোকে রাজ্য সরকারে পক্ষ থেকে কমপক্ষে দুই লাখ করে রুপি দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাজস্থানের একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরেই নিহত হয়েছেন ১১ জন।
আমের প্যালেসের সামনে সেলফি তোলার সময় বজ্রপাত আঘাত হানলে তারা মারা যান বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে টুইটে বলা হয়, ‘রাজস্থানের কয়েকটি এলাকায় বজ্রপাতে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলোত এবং রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
গহলোত টুইটে লিখেন, ‘কোটা, ধলপুর, জালাওয়ার, জয়পুর এবং বরণে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ভারতে বজ্রপাতে প্রতি বছর ২ হাজারেরও বেশি লোক মারা যায়।
মোদির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল, ৪৩ নতুন মন্ত্রী
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ব্যর্থতা এবং অর্থনীতিকে দুর্বলভাবে পরিচালিত করার জন্য সমালোচনার মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার বুধবার তার মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল এনেছে। এতে প্রায় ৪৩ জন নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই মন্ত্রিসভা থেকে স্বাস্থ্য, আইন ও পরিবেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ১৩ জন মন্ত্রী বাদ পড়েছেন।
মোদির মন্ত্রিসভায় এখন ৭৭ জন মন্ত্রী। আগে ছিল ৫৩ জন। ৪৩ জন নতুন মন্ত্রীর মধ্যে ৩৬ জন একেবারেই নতুন মুখ। তাঁরা প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন। বাকিদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আবার ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রিসভায় এটিই প্রথম বড় ধরনের রদবদল।
আরও পড়ুন: মোদির মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল আসছে!
দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে কংগ্রেসের সাবেক আইনপ্রণেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রাণেকে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ শপথ বাক্য পাঠ করান।
সিন্ধিয়া কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি গত বছর বিজেপির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন এবং মধ্যপ্রদেশে এই দলটিকে সুসংগঠিত করতে সহায়তা করেন। অন্যদিকে, বিজেপি টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর আসামে উপ মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল সোনোয়ালকে মোদি তাঁর মন্ত্রিসভায় টানবেন।
আরও পড়ুন: মোদির জন্য আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিসভায় পদোন্নতি পাওয়াদের মধ্যে আছেন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং নগর উন্নয়ন ও বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি।
তবে মন্ত্রিসভা রদবদলের আগেই বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল এবং পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর।
বিজেপির সূত্রগুলো জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে হর্ষ বর্ধন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেননি। এতে দেশটির স্বাস্থ্যখাতের দুর্বল অবকাঠামোর চিত্রই প্রকাশ পেয়েছে। হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবেও পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে মোদির চিঠি: মানবজাতি শিগগিরই মহামারি কাটিয়ে উঠবে
ভারতের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের দেয়া তথ্যানুসারে, মোদির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা অন্যরা হলেন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
মোদির জন্য আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য মৌসুমি ফল আম উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৪ জুলাই) দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি ট্রাকে করে উপহারের এ আম পাঠানো হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারত ও বাংলাদেশের পেট্রাপোল ও বেনাপোল শুল্ক স্টেশনের জিরো পয়েন্টে কোলকাতাস্থ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. সানিউল কাদের উপহারের আমবোঝাই ট্রাকটি বুঝে নেন।
আরও পড়ুন: মোদির মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল আসছে!
উপহারসামগ্রীর মধ্যে ছিল ২ হাজার ৬০০ কেজি আম। ২৬০টি কার্টনে করে আমগুলো পাঠানো হয়।
এসময় বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা, নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল ও কাস্টমসের সহকারী কমিশনার অনুপম চাকমাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে মোদির চিঠি: মানবজাতি শিগগিরই মহামারি কাটিয়ে উঠবে