নরেন্দ্র মোদি
বায়তুল মোকাররমে সহিংসতা: মামুনুলসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় ২৬ মার্চের সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, সোমবার রাতে পল্টন মডেল থানায় ওয়ারি এলাকার একজন ব্যবসায়ী খন্দকার আরিফুজ্জামান মামলাটি করেন।
২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় হেফাজতের বিক্ষোভ চলাকালীন দোকান ও যানবাহন ভাঙচুর, যানবাহনে আগুন দেয়া এবং লোকজনের উপর হামলা করার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
‘মামলার এজাহার অনুযায়ী’ বাদী দাবি করেছেন, হেফাজতের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল।
আরও পড়ুন: মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ
এছাড়াও মামলায় ২ থেকে ৩ হাজার অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদেরও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধীতা করে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের লাল কার্ড
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদির ধন্যবাদ
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরকালে নিখুঁত ও চমৎকার আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-দিল্লির ৫ সমঝোতা স্মারক সই
অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে হাসিনা-মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্প্রতি এক পত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানান।
পত্রে নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেন, সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার আলোচনা ও মত বিনিময়ে তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান মোদির
উল্লেখ্য, গত ২৬ ও ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেন।
হাটহাজারীতে মাদরাসা ছাত্রদের হত্যা: ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি হেফাজতের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ২৬ মার্চ মাদরাসাছাত্রদের গুলি করে হত্যার অভিযোগে হাটহাজারী থানার ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাটহাজারীর জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানান হেফাজতে ইসলামের আমির। হেফাজতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের হরতাল: হাটহাজারীতে সড়ক কেটে অবরোধ
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করি। বাংলাদেশের জন্য দোয়া করি। আমরা স্বাধীনতা, দেশ বা সরকার বিরোধী নই। নাস্তিকদের বিরোধিতা করি।
তিনি বলেন, যারা নিরীহ ছাত্রদের গুলি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তিনি ওসি থাকতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীর পরিস্থিতি থমথমে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রতিবাদে হাটহাজারীতে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এক পর্যায়ে থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। সেদিন হাটহাজারীতে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেয়া হয়, যাদের মধ্যে চারজন মারা যান। এই ঘটনার প্রতিবাদেই দেশব্যাপী এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ৪
এদিকে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর নগরের আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন মহানগর হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। সেখানেও পুলিশের সতর্ক উপস্থিতি ছিল।
হাটহাজারীর জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজত ইসলামের হাটহাজারী উপজেলা শাখার আমির মাওলানা শোয়ায়েব।
সমাবেশে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব নাসির উদ্দিন, সহকারী অর্থ সম্পাদক আহসানুল্লাহ, মাওলানা ওমর, ইমরান সিকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে নিহত ৫
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষে পাঁচ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
নিহতরা হলেন নন্দনপুর হারিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে ওয়ার্কশপের দোকানি জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে শ্রমিক বাদল মিয়া (২৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারিউড়া মৈন্দ গ্রামের জুরু আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২২) এবং বুধলের আলী আহমদের ছেলে প্লাম্বার শ্রমিক কাউসার (২৫)।
নিহত আরেকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কড়া নিরাপত্তায় হেফাজতের বিক্ষোভ
হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রানা নুরুস শামস জানান, এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেছি। তবে একজনের নাম এখনো জানা যায়নি।
জানা গেছে, শনিবার বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী মহাসড়কে অবস্থান করে। পুলিশ-বিজিব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ব্যাপক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এদিকে, বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টিএ রোড দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা এলাকা অতিক্রম করার সময় পেছন দিক থেকে মাদরাসার কয়েকজন ছাত্রকে ধাওয়া করে। এ সময় ছাত্ররাও পাল্টা ধাওয়া দেয়। কিছুক্ষণ পর কান্দিপাড়া মসজিদ থেকে মাদরাসাকে রক্ষার জন্য মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেয়া হলে হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে পড়ে। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা পিছু হটে।
বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ
অন্যদিকে সরাইল উপজেলায় স্থানীয়দের বের করা বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ক্যাম্পে থাকা ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের নাম জানা যায়নি। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ অন্তত ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও ১৫ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরাইল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, বিক্ষোভ মিছিল থেকে হঠাৎ করে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আলী আহমেদের ছেলে কাউসার মিয়া, সাইদ মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন (৩৫), আব্দুল সাত্তারের ছেলে বাছির মিয়া (২৮), আবদুল হোসেনের ছেলে ছাদের মিয়া (৩৫) হাসপাতালে আনা হয়।
সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-দিল্লির ৫ সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও ভারত শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন এবং প্রশমন, বাণিজ্য, তথ্য-যোগাযোগ এবং ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
সেগুলো হলো- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন এবং প্রশমন সম্পর্কিত এমওইউ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়া (আইএনসিসি) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি, বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূর করতে একটি সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে ৫ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি
এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিজিএসটি) সেন্টারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম, কোর্সওয়্যার ও রেফারেন্স বই সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ সমঝোতা স্মারক এবং রাজশাহী কলেজ মাঠ এবং আশপাশের এলাকায় খেলাধুলার সুবিধা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার কার্যালয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন এবং প্রশমনের ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারকে ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী এবং বাংলাদেশের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসিন সই করেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়া (আইএনসিসি) মধ্যে সমঝোতা চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে জাতীয় ক্যাডেট কোর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান এবং ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী সই করেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান মোদির
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূর করতে সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী এবং বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন সই করেন।
বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিডিএসইটি) সেন্টারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম, কোর্সওয়্যার ও রেফারেন্স বই সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম এবং ভারতের পক্ষে হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী সই করেন।
এছাড়া রাজশাহী কলেজ মাঠ এবং আশপাশের এলাকায় খেলাধুলার সুবিধা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে ভারতের পক্ষে দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী এবং বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সই করেন।
যৌথভাবে ৫ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার যৌথভাবে পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-দিল্লির ৫ সমঝোতা স্মারক সই
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে হাসিনা-মোদি
প্রকল্পগুলো হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে 'মিতালি এক্সপ্রেস' নামে একটি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা এবং কুষ্টিয়ার শিলাইদহের রবীন্দ্রভবন কুঠিবাড়িতে বর্ধিত উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন।
এছাড়া অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো ভারতীয় মিত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তিনটি নতুন বর্ডার হাটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন।
শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে নিজ নিজ দেশের স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান মোদির
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে ভারতের উপহার হিসেবে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১২ লাখ করোনার টিকা হস্তান্তর করেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে হাসিনা-মোদি
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে শনিবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শুরু হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অন্যদিকে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে বৈঠকটি শুরু হয়।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরুর আগে দুই সরকারপ্রধানের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান মোদির
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাইগার গেইটে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই প্রতিবেশি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে কমপক্ষে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালিমন্দিরে পূজা দিলেন মোদি
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আয়োজনে অংশ নিতে দু'দিনের সফরে শুক্রবার ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
দুটি মেগা উদযাপনে যোগ দিতে দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভুটানের পর ঢাকায় আসা নরেন্দ্র মোদি পঞ্চম বিশ্ব নেতা।
সফরসঙ্গীসহ তিনি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়।
বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। চারা রোপণ করার পাশপাশি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এরপর তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক: মোদি
শুক্রবার বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর’ উদ্বোধন করবেন। সেখানে মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় যোগ দেবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এরপর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওরাকান্দি মন্দির পরিদর্শন এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
বিকালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচটিরও বেশি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার আহ্বান মোদি-বাইডেনের
ভারতের উপহারের ১২ লাখ করোনার টিকা আসছে শুক্রবার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহার হিসেবে আগামীকাল আরও ১২ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা আসছে বাংলাদেশে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব চীনের
এর আগে ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের ২০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হচ্ছে। এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সাথে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠানোর কথা সেরাম ইনস্টিটিউটের।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ অব্যাহত রাখুন: ডব্লিউএইচও
মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ খুব খুশি এবং তাদের বেশিরভাগই তার সফরকে (২৬-২৭ মার্চ) স্বাগত জানিয়েছে, কয়েকটি সংগঠনের নেতা-কর্মী এই সফরের বিরোধিতা করলেও দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
আরও পড়ুন: মোদির বিরোধিতাকারীদের ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মোদি বিরোধী মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২৫
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সব মতের মানুষের বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদির সফর মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী নিয়ে হলেও দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
আরও পড়ুন: মোদির সফরের বিরোধিতা নিয়ে চিন্তিত নই: মোমেন
বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক: মোদি
এর আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ১৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, পোপ ফ্রান্সিস, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুলাইসহ অনেক বিশ্ব নেতা এই উদযাপন উপলক্ষে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন।