ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
গণমাধ্যমকে ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে ‘চূড়ান্ত’ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে: বিএনপি
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করেছে, সরকার গণমাধ্যমকে ঠেকাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো 'কালো'আইন ব্যবহার করে চরম দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ফখরুল বলেন,এদিন গভীর রাতেই পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিবেদক ও ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মাহবুব আলম লাভলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা করেছেন এক যুবলীগ নেতা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়: ফখরুল
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়েরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-এর অধীনে একের পর এক মামলা করা মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক আঘাত।’
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে সরকার প্রমাণ করেছে যে তারা গণতন্ত্রকে চিরতরে কবর দিতে চায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-এর অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের কাছে একটি বার্তা দিতে চায়, তা হলো সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা যাবে না এবং স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করা যাবে না।
বিএনপির জে্যষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমকে নির্বিচারে দমন ও পীড়ন করে দেশে তাদের ভয়াবহ দুঃশাসন চালু রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি নিঃসন্দেহে সরকারের নির্দেশেই করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সারাদেশে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়নে দেশবাসী ও গণমাধ্যম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার শামিল: মোশাররফ
সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে মৃত সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে যখন ওই নারীকে নওগাঁ থেকে আটক করা হয়েছিল; তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো মামলা হয়নি। এর একদিন পর মামলা দায়ের করা হয়। সুতরাং, এক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার বক্তব্য হলো ওই নারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধরা পড়েননি।
দু-একটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানেই এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
নওগাঁ পৌরসভা-চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানাকে (৩৮) ২২ মার্চ র্যাব-৫ এর একটি টহল দল তুলে নিয়ে যায়।
পরে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং তারপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৪ মার্চ সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে মামলাগুলো করা হয়েছে বা করা হচ্ছে সেগুলো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্বীকার করি আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক। জনগণের কাছে সত্য প্রকাশ করলে সরকার কখনো বাধা দেবে না।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে শামসকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) লোকজন ধরে নিয়ে যায়।
একই দিন দৈনিক প্রথম আলোতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে পুলিশের একটি দল তাকে আদালতে নিয়ে যায়।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকে শামসকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।
ওই দিনই যুবলীগের এক নেতা দৈনিক প্রথম আলোতে 'মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন' প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা একটি মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে বিরোধী দল বিএনপি শামসের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি একটি 'ভয়াবহ ঘটনা'।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনও প্রথম আলোর সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে।
এছাড়া প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ১৯ মিনিটে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর
রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা শাকিবের
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত অভিযোগকারী শাকিব খানের জবানবন্দী গ্রহণ শেষে অভিযোগটি তদন্ত করে আগামী ৬ জুন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান জানান বেলা পৌনে একটার দিকে মামলা করতে আদালতে আসেন শাকিব খান।
এরপর জবানবন্দি দিতে আদালতের কাঠগড়ায় ওঠেন।
এসময় বিচারক বলেন, সময় মতো আসতে হবে। আগের দিনই বলে দেয়া হয়েছে কখন আসতে হবে। তখন শাকিব খান বলেন, জ্বি স্যার। এরপর বিচারক বলেন, এটা তো আপনার আইনজীবী ভালো জানার কথা। এরপর তিনি জবানবন্দি দিতে শপথ পাঠ করেন।
গত ২৩ মার্চ চাঁদা দাবি, হত্যার হুমকির অভিযোগে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে মামলা করেন শাকিব খান।
ঢাকার মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিবের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
এরপর শাকিব খান যান ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে। তবে মামলা করার সময় অতিবাহিত হওয়ায় এদিন তিনি মামলা করতে পারেননি। সোমবার (আজ) তাকে আদালতে আসতে বলেন বিচারক।
জানা গেছে, এর আগে চলচ্চিত্র প্রযোজক দাবি করা রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে থানায় যান শাকিব খান। তবে থানা থেকে মামলা গ্রহণ না করে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর কয়েক ঘণ্টা পর অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে জামিন দিয়েছেন গাজীপুরের একটি আদালত।
শনিবার (১৮ মার্চ) গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাহিয়া মাহি দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে অবতরণের পর ঢাকা বিমানবন্দরে মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার
এর আগে ফেসবুক লাইভে গিয়ে ‘পুলিশের মানহানি’ করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মাহি ও তার স্বামী রাকিবের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া।
বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলার আসামি স্বামী রাকিব সরকার দেশে ফেরেননি। পরে গাজীপুরের আদালত মাহিকে কারাগারে পাঠায়।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সৌদি আরব থেকে আসার পরপরই ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, গাজীপুর পুলিশের একটি দল মাহিকে গ্রেপ্তার করে বাসন থানায় নিয়ে যায়।
অন্যদিকে মারধর, ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগে মাহি ও তার স্বামীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে বাসন থানায় আরেকটি মামলা করেছেন ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, ফেসবুকে লাইভে যাওয়ার পর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে পুলিশ ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মামলার বিবৃতি অনুযায়ী, মাহি তার ফেসবুক পেজ থেকে শুক্রবার ভোরে লাইভে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে।
লাইভে তিনি বলেন, ‘ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকার তাদের লোকজনের মাধ্যমে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের কাছে মাহির মালিকানাধীন সনি রাজ কার প্যালেস নামের একটি গাড়ির শোরুমে হামলা চালায়।’
এছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ঘুষ নিয়ে ‘হামলাকারীদের সমর্থন’ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী ও তার স্বামী।
তিনি আরও বলেন, মক্কা থেকে দেশে ফেরার পর গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে মাহিয়ার স্বামী রাকিব অভিযোগ করেন, পুলিশ গাড়ির শোরুমের নিরাপত্তারক্ষীদের গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে গাজীপুর শহরের ইটাহাটা এলাকায় রড বাইন্ডিং কারখানার মালিক ও একটি মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন অভিযোগে বলেন, গত ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় জমি কিনে কারখানা চালাচ্ছেন।
শুক্রবার রাকিব ও মাহিয়ার পক্ষে কয়েকজন মিলে কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর করে বলে জানান তিনি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, জমি দখলের চেষ্টাকালে তারা কারখানায় পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ফেসবুকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মিথ্যা কথার মাধ্যমে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছেন।
ব্যবসায়ী ইসমাইলের দায়ের করা মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ মামলায় মাহি ও তার স্বামী প্রধান আসামি (হুকুমের আসামি) ছিলেন বলে জানান কমিশনার নজরুল।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনাগুলো বিবেচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) হালনাগাদ করার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
তিনি বলেন, ‘এ আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই বলেছেন। এটিকে যদি ভালো করা যায় তবে সেটাই করা হবে। এ আইন নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে আমরা সেগুলোকে বিবেচনায় নিচ্ছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনটি প্রণীত হয়েছে, আমরা এই লক্ষ্য ধরে রাখব।’
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা হচ্ছে। আমি একটি জিনিস বলতে পারি, আমরা চেষ্টা করছি সব পক্ষের কথা শোনার। সবকিছু যাচাই-বাছাইয়ের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, আজকে দুটি আইন নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও উপাত্ত সুরক্ষা আইন। উপাত্ত সুরক্ষা আইনের একটি নতুন খসড়া ওয়েব সাইটে আজ আপলোড করা হয়েছে। আমরা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে এ বিষয়ে আগামী ৬ এপ্রিল আবার বসবো। সেখানে সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথম বৈঠকের পরে যেসব পরামর্শ দেয়া হয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করা হয়েছে। আইনটিতে যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে, তা অনেকটা দূর করা হয়েছে।
সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আজ দুটি আইন নিয়ে কথা হয়েছে। একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সেটি এরইমধ্যে বলবৎ আছে। এ আইনটির যেসব উদ্বেগের জায়গা নিয়ে কথা বলার ছিল, সেটি আমরা করেছি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া। এটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে আমরা আলোচনা করতে পারিনি।
তিনি জানান, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নতুন একটি খসড়া হয়েছে। যেটি আজকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে সরকারের উদ্যোগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান খসড়াটি হয়েছে। খসড়াটি যেহেতু আজ প্রকাশিত হয়েছে, তাই আমরা আগে এটি দেখতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে একটি কপি এসেছে। আমরা আইনমন্ত্রী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর (জুনাইদ আহমেদ পলক) সঙ্গে একমত হয়েছি যে আগামী ৬ এপ্রিল এ আইন নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। কারণ খসড়াটি নিয়ে নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন অংশীজনের কাছ থেকে পরামর্শ এসেছে।
তিনি বলেন, নতুন খসড়াটি আমরা ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই। খসড়াটি পর্যালোচনা করার সুযোগ সরকার আমাদের দিয়েছে। আমরা আশাবাদী, আমাদের মন্তব্য ও পরামর্শ তারা বিবেচনা করবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গণমাধ্যমসহ জনগণের একটি বড় অংশের উদ্বেগ রয়েছে জানিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মন্ত্রীও আলোচনা প্রসঙ্গে এ আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। সরকার এ বিষয়ে অবহিত আছে। আমরা মনে করি সার্বিকভাবে নাগরিক সমাজের অবস্থান হলো এ আইনটি বাতিল করা দরকার। এছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। কারণ এখানে মৌলিক যে বিচ্যুতি, উদ্বেগ ও পাশাপাশি আইনটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপব্যবহারের যে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে, আমরা মনে করি আইনটি ঢেলে সাজানো হলেও তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। জনকল্যাণমুখী হবে না। তাই আমরা আইনটি বাতিল করা দরকার বলে মনে করি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, ড. সি আর আবরার, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রেজাউর রহমান লেনিন, সাইমুম রেজা তালুকদার, শারমিন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে: আইনমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফারাবীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় শফিউর রহমান ফারাবীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে বলে জানান ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক ধর্মীয় কটূক্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই শফিউর রহমান ফারাবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় থাই যুবকের ২৮ বছরের কারাদণ্ড
অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শফিউর রহমান ফারাবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলা প্রমাণের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ ৬ জন সাক্ষীকে উপস্থাপন করেন।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজা পড়ানো ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন শফিউর রহমান ফারাবী। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতেন। তবে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ২০১০ সালে তিনি হিযবুত তাহরীরে সক্রিয় হয়ে পড়েন। বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সন্দেহজনক আসামি হিসেবে ২০১৫ সালের ২ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইবুনাল।
আরও পড়ুন: দোষ স্বীকার করায় কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে: আইনমন্ত্রী
বর্তমান বাস্তবতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যে কারণে এ আইন করা হয়েছে, তা কেউ বলে না। শুধু বলা হয় বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য এ আইন করা হয়েছে, যা মোটেও সঠিক নয়।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার ছাড়া মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা: আইনমন্ত্রী
আইন হলে তার কিছু অপব্যবহার হয়, এটা স্বাভাবিক এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে অপরাধ করা যায়, সে ব্যাপারেও চেষ্টা হবে। কারণ অপরাধীরা সবসময় একধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে। পুলিশ ও আইন প্রণেতাদের এখন প্রকৃত অপরাধীদের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
ডাটা সুরক্ষা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে আইন প্রণয়ন করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হতো না। এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আইন তৈরি করা হয়। অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শ করেই ডাটা সুরক্ষা আইন করা হবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, এখন আমরা গ্লোবাল সিটিজেন হয়েছি। আবার বর্তমানের অনেক অপরাধ ট্রান্স বর্ডার হয়েছে। এসব অপরাধকে মোকাবিলা করার জন্য মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।
এছাড়া পৃথিবীর প্রায় সব দেশ এ আইন প্রণয়ন করেছে।
এপিনি'র এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল মেম্বার সুমন আহমেদ সাব্বিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, ডিএমপির এডিসি মো. নাজমুল ইসলাম ও আইসিটি বিষয়ক সাংবাদিক রাশেদ মেহেদী বক্তব্য দেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিডি ই-গভ. সিআইআরটির প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকত উল্লাহ।
আরও পড়ুন: তথ্য সুরক্ষায় তথ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি: আইনমন্ত্রী
রাজশাহীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই যুবকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড
রাজশাহীতে পরিচয় গোপন রেখে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে দুই যুবককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনটি ধারায় ৫ বছর করে ১৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও উভয়কেই ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ছেলের বউকে ধর্ষণ: শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার এনায়েতউল্লাহপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম আল রাজী (৩৩)। অলোকছত্র এলাকার নওশের আলীর ছেলে নাসিম আলী (২০)।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত জানান, ২০২১ সালের ১ আগস্ট নিজেদের নাম পরিচয় গোপন রেখে ভুয়া একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে আসামিরা ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়। পোস্টটি মুলত দুইটি ধর্মের মানুষদের মধ্যে দাঙ্গা সৃষ্টি করার জন্য ছিল। এর পর ওই সময় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে মামলার চার্জশিট দাখিল করা হলে আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। বিচার শেষে আদালতের বিচারক আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলায় যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
বাল্যবিয়ে: কুড়িগ্রামে নানা-নাতির কারাদণ্ড
মৌলভীবাজারে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুবক গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম প্রীতম দাশ। তিনি ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠনের কর্মী।
পুলিশ জানায়, গত ৭ জুলাই প্রীতম পাকিস্তানি লেখক সাদত হাসান মান্টোর একটি উক্তি ফেসবুকে শেয়ার করেন। ওই পোস্টের স্ক্রিনশট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
এরপর ২৯ আগস্ট স্থানীয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতা প্রীতমের পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন এবং কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। ৩১ আগস্ট স্থানীয়রা প্রীতমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল বের করে। এরপর প্রীতম আত্মগোপনে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানান, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা মাহবুব আলম ভূঁইয়া বাদী হয়ে প্রীতমের বিরুদ্ধে মামলা করে। যার ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: নেত্র নিউজ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফের গ্রেপ্তার ঝুমন দাস