ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
চট্টগ্রামে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ও ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার ইয়াছিন আরাফাত তানিম বাদী এ মামলা করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবীর অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভিপি নুরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
বাদীর পক্ষে মামমলা পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল।
তানিম তার অভিযোগে বলেন, গত ১ জুন ঢাকায় ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের এক অনুষ্ঠানে নুর শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেন। এ ছাড়া নুর ছাত্রলীগকে নিয়েও ‘খারাপ কথা’ বলেন। তিনি তার ফেসবুক আইডিতে ভিডিওর মাধ্যমে এ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ভিপি নুরের বিরুদ্ধে কুমিল্লার দুই থানায় অভিযোগ
চট্টগ্রাম আদালতে নিজের চেম্বারে বসে নূরের এ বক্তব্য সম্বলিত ওই অনুষ্ঠানের ভিডিওটি দেখে সংক্ষুদ্ধ হয়ে এ মামলা দায়ের করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল নগরীর কোতোয়ালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
সাংবাদিক ফজলে এলাহীর প্রতি যাতে অন্যায় না হয়, দেখবেন তথ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ও পরে জামিন পাওয়া রাঙামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহীর প্রতি যাতে অন্যায় না হয় তা দেখা হবে জানিয়েছন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে বুধবার টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সুযোগ নিয়ে অনেক সাংবাদিকও মামলা করেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের প্রয়োজন আছে। কোনো সাংবাদিক বা কাউকে অহেতুক বা মিথ্যা মামলায় হয়রানি হওয়া উচিৎ নয়। কিন্তু কেউ অপরাধ করলে বিচার হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে এক্ষেত্রে কি হয়েছে আমি জানি না। একজন প্রাইভেট পার্সন মামলা করেছে এবং তার জামিনও হয়েছে। তার প্রতি যেন কোনো অবিচার না হয় সেটা দেখার বিষয়। সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট আছি। আমি বিষয়টি জেনেছি, তার প্রতি যাতে কোনো অন্যায় না হয় সেটি অবশ্যই আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেখবো।’
২০২০ সালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে হওয়া মামলায় ফজলে এলাহীকে মঙ্গলবার বিকালে গ্রেপ্তার করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হলে তাকে সাত দিনের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে তাকে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলা হয়েছে।
ফজলে এলাহী জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির রাঙামাটি প্রতিনিধি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক।
দৈনিক পত্রিকাগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টকশো করে তাদের ডিক্লারেশনের শর্ত ভঙ্গ করছে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ভিত্তি নিয়ে মিথ্যাচার করে নিজের রেকর্ড ভাঙলেন মির্জা ফখরুল: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘পত্রিকা যদি টকশো করে তাহলে তো সেটি পত্রিকার ডিক্লারেশনের বরখেলাপ হয়। পত্রিকার ডিক্লারেশনে তো টকশো করার অনুমতি ছিল না, অনলাইনে টকশো যদি করে। পত্রিকায় যদি একাঙ্কিকা বা নাটক হয়, সেটিও তো ডিক্লারেশনে ছিল না।
মন্ত্রী বলেন, ‘তবে হ্যাঁ যদি নিউজ সম্পর্কিত ভিডিও ক্লিপ যদি যায় সেটিতে আমি তেমন সমস্যার কিছু দেখি না। নিউজ যেটা হচ্ছে সেটার সাথে ভিডিও ক্লিপ যেতেই পারে। এটা বিভিন্ন দেশে হয়ে থাকে। তবে রীতিমত টকশো! আবার অনেকে নিউজরুম খুলে বুলেটিন প্রচার করা এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা ডিক্লারেশনের যে নীতি আছে তার বরখেলাপ।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ২৫ জুন হচ্ছে না বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে তথ্য ভাসছে তাকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান।
তিনি বলেন, ‘২৫ জুন অবশ্যই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। কেউ গুজবে কান দেবেন না। পদ্মা সেতু শুধু আমাদের স্বপ্নের সেতু নয়, এটি বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দ ম্লান করতে নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
অস্তিত্বহীন দলের সঙ্গে বৈঠক বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব: তথ্যমন্ত্রী
জামিন পেলেন সাংবাদিক ফজলে এলাহী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক ফজলে এলাহীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে রাঙামাটির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তার আদালতে তোলা হলে যুক্তিতর্ক শেষে আদালত শর্তসাপেক্ষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ফজলে এলাহী রাঙামাটি থেকে প্রকাশিত দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।
রাঙামাটি জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে সাত কার্য দিবসের মধ্যে উপস্থিত হওয়ার শর্তে আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিপ্লব চাকমা বলেন, আসামির সামাজিক মর্যাদা ও সাংবাদিকতার বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করা হলে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।
পড়ুন: রাজধানীতে ডিবিসি নিউজের প্রডিউসারের মরদেহ উদ্ধার
জানিপপের চেয়ারম্যান কলিমুল্লাহসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনার অভিযোগ করে বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিপপের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন যুবলীগের এক নেতা।
বুধবার সকালে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবীর এর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন কুমিল্লা শহর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ।
মামলায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টক ইউকের সঞ্চালক হাসিনা আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সংঘর্ষ: ছাত্রদল সভাপতি-সম্পাদকসহ ৩৫ জনের আগাম জামিন
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে বাদীর অভিযোগ, কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ‘প্রথমে ১৩ কোটি, তারপর ২০ কোটি, তারপর ৬০ কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনেছেন’ বলে সম্প্রতি ইউটিউবে প্রচারিত টক শোতে মন্তব্য করেন কলিমুল্লাহ। তাছাড়া ওই আলোচনায় বাদীর নামও ‘মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়ানো হয়েছে’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
গত ২২ মে ইউটিউবে ওই আলোচনা অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। সেখানে কলিমুল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরীসহ আরও দুজন অংশ নেন।
আসামিরা এ ধরণের মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে আমার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সুনাম ও সম্মানহানী ঘটিয়েছে বলে মামলায় বাদী উল্লেখ্য করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন কুসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ বহাল
সাংবাদিক কাজলের তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত
সাংবাদিক কাজলের তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত
সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলার সব বিচারিক কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১ জুন) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
কাজলের আইনজীবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে মামলার সব কার্যক্রম ২ মাস স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে নিম্ন আদালত থেকে এসব মামলার নথি তলব করেছেন। হাইকোর্ট আগামী ২৮ জুলাই এসব আপিলের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
গত ৮ নভেম্বর ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা ৩ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এই চার্জ গঠন করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি ৩ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
কাজলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী এবং সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২০ সালের ৯, ১০ ও ১১ মার্চ ৩টি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলো করা হয় যথাক্রমে শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল, ৪ ফেব্রুয়ারি ও ১৪ মার্চ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তিনটির অভিযোগপত্র জমা দেন। কাজলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং যুব মহিলা লীগের শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে অশালীন, মানহানিকর, আপত্তিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সাংবাদিক কাজল ২০২০ সালের ১০ মার্চ নিখোঁজ হন। ওই বছর ৩ মে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে ঘুরতে দেখে আটক করে। একই দিনে তাকে যশোরের একটি আদালত ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজতে পাঠায়।পরবর্তীতে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হন কাজল।
আরও পড়ুন: ফটো সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ গঠন
সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, তার দেশ ভবিষ্যত উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রদূত হাস জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ এ তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
ওয়াশিংটন গিয়ে তিনটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগামী ৫০ বছরেও বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবিচল অংশীদার থাকা যেমনটি গত ৫০ বছর ধরে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ
রাষ্ট্রদূত হাস তিনমাস ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে আসার পর এটাই তার প্রথম ওয়াশিংটন সফর।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি এই দেশে এ পর্যন্ত আমার অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা করার জন্য মার্কিন সরকারের অনেক কর্মকর্তা, কংগ্রেস কর্মী, এনজিও এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করছি।
হাস জানান, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো বন্ধু আর কেউ ছিল না। এবং আগামী ৫০ বছরেও এর চেয়ে আর কোন ভালো বন্ধু হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জ দুটোই বাস্তব।
হাস বলেন, বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হবে এবং দেশটি ক্রমাগত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অর্জনগুলো বাস্তব এবং সত্যিই অসাধারণ।
আরও পড়ুন: শাস্তি নয়, সতর্ক করতে নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, দীর্ঘ উপকূলরেখা এবং বৃহৎ প্লাবনভূমিসহ অবস্থানগত কারণে বদ্বীপ রাষ্ট্র বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে আছে।
তিনি বলেন, যখন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা আসে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের উদ্বেগ প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগতভাবে উত্থাপন করে।
হাস বলেন, তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন বেশ কয়েকটি খসড়া আইন ও প্রবিধান নিয়ে উদ্বিগ্ন।
রাষ্ট্রদূত হাস আরও বলেন, তারা বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর কিছু কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে অপর্যাপ্ত শ্রম অধিকার এবং কাজের পরিবেশের নিম্নমান নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার বিষয়টি দ্রুত ফয়সালা হওয়া উচিত: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
এই উদ্বেগগুলো দুর্ভাগ্যবশত, জিএসপি সুবিধাও বাংলাদেশকে ইউএস ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন থেকে বঞ্চিত করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে এবং খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং দারিদ্র্য হ্রাসে একত্রে যে অগ্রগতি হয়েছে তা গড়ে তুলতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য নতুন এবং উদ্ভাবনী পন্থা চিহ্নিত করা, গণতন্ত্রের প্রচার এবং চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতেও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন হাস।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ডিএসএ নিয়ে উদ্বেগ স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
তিনি রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) সাম্প্রতিক বিশ্ব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকের উল্লেখ করেন যেখানে আগের বছরের তুলনায় ১০ ধাপ অবনতি হয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম।
আরও পড়ুন: ঢাকা-জাকার্তা সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের এত কম স্কোর করার একটি কারণ হল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেটিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইনের একটি।’
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, “আমরা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের খসড়া ‘ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওভার-দ্য-টপ প্ল্যাটফর্মের জন্য রেগুলেশন’ এবং খসড়া ‘ডেটা সুরক্ষা আইন’ নিয়েও উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ‘যদিও কোনো খসড়াই চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশঙ্কা করি এতে এমন বিধান রয়েছে যা সাংবাদিক ও নিজেকে প্রকাশ করতে আগ্রহীদের ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্বাধীন সংবাদপত্রকে রক্ষা করা এবং সাংবাদিকদের ভয়, হয়রানি বা সেন্সরশিপ ছাড়াই সত্য অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন করার অনুমতি দেয়া আমাদের সকলের কর্তব্য। মুক্ত গণমাধ্যম বৈধ ও মুক্ত গণতন্ত্রের মূল উপাদান।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের- বা সেই বিষয়ে যে কোনো জায়গায়- বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এই যে দেশের জনগণের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সরকার বেছে নেয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতিসংঘের পদক্ষেপ চায় ঢাকা
ইউএস জেফারসন মিডিয়া ফেলো ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল মূল বক্তব্য দেন।
দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস ও ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলও আলোচনায় বক্তব্য দেন।
ক্ষমতায় এলে `দমনমূলক’ গণমাধ্যম আইন বাতিল করব: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় এলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ)সহ সকল ‘দমনমূলক’ আইন ও অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করবে বিএনপি।
রবিবার বিএনপি আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র হত্যায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ‘ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, আগামী দিনে তাদের দল সরকার গঠন করলে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ওয়েজ বোর্ডের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে এবং প্রেস কাউন্সিলকে ক্ষমতায়ন করবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, `আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই , আমরা সরকার গঠন করলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতিবন্ধক সব দমনমূলক কর্মকাণ্ড ও অধ্যাদেশ বাতিল করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্রকে আন্তর্জাতিক রূপ দেয়া সম্ভব নয়। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই বিএনপি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি বেগম জিয়াকে ‘হত্যার হুমকি’র শামিল: ফখরুল
সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে সাইবার অপরাধও বেড়েছে। এগুলো মোকাবিলায় সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) প্রণয়ন করেছে।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জিপি (গভর্নমেন্ট প্লিডার) ও পিপিদের (পাবলিক প্রসিকিউটর) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার।
এসময় মন্ত্রী বলেন,‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলেছেন, যা অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে নেই। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে এটিকে মৌলিক অধিকার হিসেবে যুক্ত করেছেন এবং তার কন্যা এমন কোনো আইন পাস করবেন না, যা বাকস্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু অপব্যবহার হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এর আগে দেখা গেছে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলেই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি যে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে কাউকে গ্রেপ্তার করা উচিত নয়। আদালত যদি এটিকে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ মনে করে, তাহলে এই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, সময়মতো বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা হারাবে।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং যেকোন মামলার সমাধানের জন্য আমাদের সময় কমিয়ে আনতে হবে। এত সময়ের প্রয়োজন নেই। আমরা আদালত ও বিচারকের সংখ্যাও বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি।’
সাক্ষ্য আইন আপডেট করা হচ্ছে, এই আইনের ১৫৫ (৪) ধারা বাতিল করা হচ্ছে। এনআই অ্যাক্ট, ১৮৮১ সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেওয়ানি আদালতে অনেক আপসমূলক মামলা ঝুলে আছে। এডিআর পদ্ধতিতে এসব মামলা নিষ্পত্তি হলে মামলাজট কমবে।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগও বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার: আইনমন্ত্রী
মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত ডিবিসি টেলিভিশন ও দৈনিক মানবকণ্ঠের ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি নবীন হাসান।
ডিবিসি টাইমস নামের একটি অনলাইন পোর্টালে ইউপি সদস্যের বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিকসহ গ্রেপ্তার ২
পরে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ কুমার ডাগা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে ডিবিসি টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি নবীন হাসান জানান, মামলার বিবরণীতে তাকে ডিবিসি টাইমস ডট কম এর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ডিবিসি টাইমস ডট কমের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তিনি ডিবিসি টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম রেজাউল ইসলাম জানান, এখনও কোর্টের আদেশ হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত করে আদালতে জমা দেব।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা