ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আলোচনা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের হালনাগাদ নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করেছে যাতে আইনটি বাক স্বাধীনতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব না করে সাইবার অপরাধ রোধ করতে পারে।
রবিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও জোরদার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাস দমনে র্যাবের ভূমিকা স্বীকৃত, তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সময় লাগবে: ব্লিনকেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সন্ত্রাস দমনে এলিট ফোর্স র্যাবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়ে বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং আমেরিকান বাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করতে সময় লাগতে পারে।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় তিনি একথা বলেন।
এসময় বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) পুনর্বিবেচনার প্রশংসা করেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
বৈঠকে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে, উভয় পক্ষই গত চার মাসে কিছু লক্ষণীয় অগ্রগতি হওয়ার বিষয়টির উপর জোর দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ব্লিনকেনের চিঠি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জোর দিয়ে বলেন,বাংলাদেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। র্যাবে তদন্তের একটি ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
২০০৪ সালে র্যাব গঠনের প্রেক্ষাপট চিত্রিত করে তিনি বলেন,র্যাব বাংলাদেশের সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মোমেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম দণ্ডিত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অনুধাবনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি ও সহায়তা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের উষ্ণ সম্পর্কের ভিত্তি করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন অপার সম্ভাবনার সঙ্গে পরবর্তী ৫০ বছরে কাজ করার বিষয়েও জোর দিয়েছেন।
তিনি জলবায়ু কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের নেতৃত্ব, রোহিঙ্গাদের প্রতি উদারতা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ভূমিকার প্রশংসা করেন।
ব্লিনকেন মহামারি মোকাবিলায় দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতার বিষয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন শাহরিনের জামিন মঞ্জুর
পৃথক দুই মামলায় প্রবাসী সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকার জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৫ জানুয়ারি ওই মামলায় কেন তাকে জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সোমবার শুনানি শেষে তাকে জামিন দেয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামিউল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শাহরিনকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে গত ২৫ জানুয়ারি রুল জারি করে হাইকোর্ট। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই মামলার পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আরেকটি মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এখন শাহরিনের মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করা হয়।
পড়ুন: রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাংবাদিক কনক সরওয়ারের বোন আটক
সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ারের বোনের ৫ দিনের রিমান্ড
জনগণের কণ্ঠরোধ করতেই দুটি নীতিমালা হচ্ছে: বিএনপি
সরকার নিজেদের দুর্নীতি ও অপশাসনের তথ্য গোপন এবং জনগণের কণ্ঠ রোধ করতে ডিজিটাল ও সামাজিক মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য দুটি 'দমনমূলক নীতিমালা' প্রণয়ন করছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
শনিবার গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়ে এ মন্তব্য করেন।
দলটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, দুটি নীতিমালা কার্যকর হলে দেশের জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অনলাইন ভিত্তিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া, সাংবাদিক ও তাদের গোপনীয়তা বাধাগ্রস্ত হবে এবং মানবাধিকার উপেক্ষিত হবে।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আ’লীগ জড়িত: ফখরুল
উক্ত দুটি নতুন নীতিমালা হল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক খসড়াকৃত ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন রেগুলেশন, ২০২১ এবং ওভার দ্য টপ বিষয়বস্তু-ভিত্তিক পরিষেবা সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা এবং বিজ্ঞাপন নীতিমালা ২০২১।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, ভোট ডাকাতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে এসব দমনমূলক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে জনগণের আওয়াজকে দমন করতেও সরকার এ নীতিমালা ব্যবহার করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, সরকার উক্ত দুটি নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে তাদের দল সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি হাতে নিবে।
ফখরুল বলেন, এসব নীতিমালা প্রণয়নের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হল সত্যকে আড়াল করে মিথ্যা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণকে নীরব করে একদলীয় বাকশাল শাসন টিকিয়ে রাখা।
আরও পড়ুন: দেশে নীরব ‘দুর্ভিক্ষ’ চলছে: বিএনপি
‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ২ জনের বিচার শুরু
রাজধানীর মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হলো।
মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ধার্য করেন।
এ মামলার অপর আসামি হলেন- মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা।
আরও পড়ুন: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
গত বছরের ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে এ মামলায় অন্য তিন আসামির ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেপ্তার করতে না পারায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। তারা হলেন, মোহাম্মদ আমজাদ, মো. তাওহীদ ইসলাম ও এইচ এম লোকমান হোসেন।
এর আগে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এরপর রফিকুল ইসলামকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম মাদানী ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। দেশের সাধারণ মানুষ এসব বক্তব্যের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন।
আরও পড়ুন: ‘শিশুবক্তা’ মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
সাংবাদিক কাজলের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আরও পড়ুন: ফটো সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ গঠন
এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
সাংবাদিক কাজল ২০২০ সালের ১০ মার্চ নিখোঁজ হন। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর ওই বছরের ৩ মে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে আটক করে। একই দিনে তাকে যশোরের একটি আদালত ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।
এরই মধ্যে কাজলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী এবং সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২০ সালের ৯, ১০ ও ১১ মার্চ ৩টি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলো করা হয় যথাক্রমে শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়।
পরে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হন কাজল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
গত বছরের ৮ নভেম্বর ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এই চার্জ গঠন করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৪ মার্চ ও ৪ এপ্রিল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা তিনটির অভিযোগপত্র জমা দেন।
সাতক্ষীরায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিকসহ গ্রেপ্তার ২
সাতক্ষীরায় ফেসবুকে পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য লেখার অভিযোগে ডিডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিকসহ দু’জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাটকেলঘাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জহুরুল হক (৪৫) পাটকেলঘাটা থানা প্রেসক্লাব সভাপতি ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার থানা প্রতিনিধি এবং পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান।
সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার বলেন, ফেসবুকে পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য লেখায় তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে: আইনমন্ত্রী
মামলার বাদী ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান জানান, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অধস্তনদের বিরুদ্ধে বেনামী দরখাস্ত, স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক বক্তব্য লেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় পাটকেলঘাটার জহুরুল ইসলাম, আব্দুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় জহুরুল ও আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবীর জানান, গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: বিরোধী ও ভিন্নমত দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে: বিএনপি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তির দাবি টিআইবির
‘শিশুবক্তা’ মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
রাজধানীর মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরেক আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা।
বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এদিন রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জা এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
এদিকে মাদানীর পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আর মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন চান তার আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত মাদানীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি জানিয়েছেন।
গত ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
গত ৮ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মো. আদনান শান্তু নামে একজন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
এর আগের দিন ৭ এপ্রিল ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব।
এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে র্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য’ দেয়ার অভিযোগে নেত্রকোণায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক
রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গত বছরের ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব।
ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
এরপর ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়ময়সিংহের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ‘কিছু মিসইউজ ও অ্যাবইউস’ হয়েছে স্বীকার করে সেগুলো রোধে প্রয়োজনে আইনটি সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘এই আইন যখন বাস্তবায়ন করা হয় সেখানে কিছু মিসইউজ ও কিছু অ্যাবইউস হয়েছে। এগুলো যাতে না হয় জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পৃথিবীর সেরা প্র্যাকটিসগুলো নির্ণয় করব। আমাদের দেশের জন্য কতটুকু প্রয়োজন সেই সিদ্ধান্ত নেব এবং সেটা আমরা হয়ত বিধি দিয়ে গ্রহণ করব। যদি প্রয়োজন হয় আইন কিছুটা সংশোধনও করা হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের ষষ্ঠ অধিবেশন শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিসের সঙ্গে দুবার আলোচনা করেছি। সেই অফিসকে অবহিত করা হয়েছে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তারা যেন শিগগিরই আমাদের তারিখ দেয়। সেই তারিখ অনুযায়ী আমরা আলোচনায় বসতে রাজি আছি।
লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এ কমিটির কাজ কী হবে- জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এই আইন প্রধানত সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করা হয়েছে। বাকস্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য করা হয়নি। সেটা যদি করা হতো এটা আইন হিসেবেই গণ্য হতো না। কারণ সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে রাখা হয়েছে। আমরা একটু আগে এই আইন করেছি, অনেক দেশেই করা হয়েছে এবং অনেক দেশ এই আইন করা আবশ্যক মনে করছে।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে প্রয়োজনীয় সব করবে সরকার: আইনমন্ত্রী
তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে তা যেন মামলা হিসেবে গ্রহণ করা না হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা বলে দিয়েছি আইসিটি আইন অনুযায়ী যেন সেলে পাঠানো হয়। সংবাদমাধ্যমের কর্মী যারা, যারা সাংবাদিক, তাদের যেন তাৎক্ষণিক আটক না করা হয়, সেটার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা দেয়ার পরে এই আইনে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করাটা অনেকাংশে কমে গেছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন সংসদের চলমান অধিবেশনে পাস করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
দণ্ডবিধির ২২৮ ধারাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের তফসিলে যুক্তের দাবি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা; এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেব।'
আরও পড়ুন: সংলাপে গেলে বিএনপির জন্যই ভালো: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তির দাবি টিআইবির
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে আইনটি পর্যালোচনা ও সংস্কারে গঠিত কমিটিতে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন, তবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তার বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছে।’
একইসঙ্গে এই বক্তব্যের কার্যকর বাস্তবায়ন দেখতে আইনটি মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না তা পর্যালোচনা ও সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটিতে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়া সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুধু সাংবাদিক নয়, দেশের সাধারণ নাগরিকদেরকেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার দাবিও জানিয়েছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে টিআইবি বলছে, ‘আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন এবং বিশ্বের সেরা চর্চাসমূহ অনুসরণ করে আইনের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ভিন্নমতাবলম্বীদের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এমন ধারাগুলো পর্যালোচনা করে আইনটি সংশোধনের জন্য আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে সরকারের সদিচ্ছা ফুটে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের শুরু থেকেই এই আইনটির বেশ কিছু ধারা বিশেষ করে ২৫ ও ৩১ নিয়ে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিলো। মুক্ত চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এটি খড়গহস্ত হওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছিল, কিন্তু সরকার কর্নপাত করেনি। এটির অপব্যবহার রোধে আইনমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটিরও বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি, বরং অল্প দিনেই আইনটি ভিন্নমত দমন ও ভয়ের পরিবেশ তৈরির কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ও সরকারের প্রশাসন যন্ত্রের কাছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘এমন বাস্তবতায় আইনটির অপব্যবহার রোধে যে কোনো ধরনের সংশোধনে গঠিত কমিটিতে সকল অংশীজন, বিশেষ করে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। নয়তো নতুন উদ্যোগটিও ভেস্তে যাবার শঙ্কা মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হবে না- এমন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক নয় উল্লেখ করে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আর্টিকেল নাইনটিনের তথ্যানুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২১ সালের এগারো মাসে মামলা হয়েছে ২২৫টি, যেখানে ৪শ’র বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৬ জনকেই আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার এসব মামলার বড় অংশই হয়েছে ক্ষমতাসীনদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটুক্তির জন্য। অর্থাৎ আইনটি শুধু গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধই নয়, সাধারণ নাগরিকের ভিন্নচিন্তা ও সরকারের সমালোচনা রোধে ব্যবহারের সুস্পষ্ট নজির তৈরি করেছে। যার বড় উদহারণ এই আইনের করা মামলায় কারাগারে থাকা লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু। সুতরাং শুধু সাংবাদিক নয়, সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের নীতি থেকে সরে আসতে হবে।’
একইসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার না করার যে সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর আলোচনার পর মৌখিকভাবে থানাগুলোতে জানানো হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে, তা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার ও সকলের জন্য সমানভাবে বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির