ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
মুরাদের বিরুদ্ধে এবার চট্টগ্রামে মামলার আবেদন
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে চট্টগ্রামের আদালতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও ইউটিউবার মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের (নাহিদ রেইন্স) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার।
এ বিষয়ে পরে শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম আদালতের সাবেক পিপি ও আইনজীবী মোহাম্মদ এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ‘জাইমা রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ১ ডিসেম্বর মুরাদ ও নাহিদ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে অপমান, অপদস্ত ও হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল এবং নারীবিদ্বেষী ভিডিওটি প্রকাশ ও প্রচার করেছেন।’
‘যা সার্বিকভাবে জিয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক।’
এর আগে একই অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলার আবেদন এবং সিলেটে মামলা করা হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মুরাদ হাসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘জারজ’ আখ্যা দেন এবং তারেকের মেয়ে জাইমা রহমান প্রতি রাতে একজন কালো মানুষের সঙ্গে ছাড়া ঘুমাতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে তিনি অভিনেত্রীকে ‘অপমানজনক মন্তব্য’, হুমকি এবং অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
কানাডার পর দুবাইয়ে প্রবেশেও বাধা, আজ দেশে ফিরতে পারেন মুরাদ
মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত মন্তব্যের জেরে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলার আবেদন জমা দেন।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আশ-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে আবেদনের শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কানাডার পর দুবাইয়ে প্রবেশেও বাধা, আজ দেশে ফিরতে পারেন মুরাদ
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে প্রতিমন্ত্রী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘জারজ’ আখ্যা দেন এবং তারেকের মেয়ে জাইমা রহমান প্রতি রাতে একজন কালো মানুষের সঙ্গে ছাড়া ঘুমাতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে মন্ত্রীর দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে মন্ত্রী অভিনেত্রীকে ‘অপমানজনক মন্তব্য’, হুমকি এবং অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সোমবার ৬ ডিসেম্বর) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুরাদের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
এদিকে বেফাঁস মন্তব্য এবং অডিও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
রিটে জামালপুর-৪ আসনের মুরাদ হাসানে কর্মকান্ডের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তও চাওয়া হয়েছে।
মুরাদের বিরুদ্ধে থানায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ
সদ্য তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক সাবেক শিক্ষার্থী। জুলিয়াস সিজার তালুকদার নামে ওই সাবেক শিক্ষার্থী মঙ্গলবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই অভিযোগ করেন।
জুলিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিও ক্লিপে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের দেয়া বক্তব্যে বিকৃত যৌনাচার ও বিদ্বেষমূলক বার্তা রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি।
অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, ভিডিওতে ডা. মুরাদ স্পষ্টভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দেশের সর্ব প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাচ্ছিল্য করেছেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হলের নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নারীদের কাছে ‘ক্ষমা’ চাইলেন মুরাদ
জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, তার বক্তব্যে নারীর রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের বিরাধীতা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা মনে করি যেকোন বিদ্যাপীঠই পবিত্র স্থান। আর একজন নাগরিকের চারিত্রিক বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে একটি সীমারেখা রক্ষা করা সকল নাগরিকের দায়িত্ব।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার ইউএনবিকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি যেহেতু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে পড়ে, তাই অভিযোগটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগে স্থানান্তর করা হবে। পরবর্তীতে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মুরাদকে জেলা আ’লীগ থেকে অব্যাহতি
মুরাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে মন্তব্য: ৩ দিনের রিমান্ডে কাটাখালী পৌর মেয়র
রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালত-২ এর বিচারক শংকর কুমার তার এই রিমান্ড দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে,মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাবুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার মেয়র আব্বাসের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত আব্বাসের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে আব্বাসের পক্ষে তার জামিনের আবেদন করেন আাইনজীবীরা। আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। এ ছাড়া আব্বাসকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার আবেদন করা হয়েছিল। জেলকোড অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ঢাকায় কাটাখালীর মেয়র আটক
আসামিপক্ষে রাজশাহী বারের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদী শুনানি করেন। আর বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসলাম সরকার, মোজাফফর হোসেন ও মুসাব্বিরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেয়র আব্বাসের ঘরোয়া বৈঠকের দুটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে। একটি অডিওতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করলে ‘পাপ হবে’ এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় আব্বাসকে। পর পর দুবার নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র হওয়া আব্বাসের এ রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহীতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তাঁকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সিটি কর্পারেশনের একজন কাউন্সিলর।
এছাড়া পৌরসভার সব কাউন্সিলর মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ১ ডিসেম্বর ভোরে র্যাব ঢাকার একটি হোটেল থেকে আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্যই আইন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। কোনো বিশেষ পেশার মানুষের জন্য নয় এবং বিশ্বের প্রায় সবদেশেই এ ধরনের আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে বেসরকারি সংস্থা ডিপ্লোম্যাটস আয়োজিত ‘ফ্যাক্ট এন্ড ইমপ্যাক্ট অব ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ সেমিনারে নিজ দপ্তর থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বিষয়টা যখন আজকের বাস্তবতা, তখন পৃথিবীর প্রায় সবদেশ এ ধরনের আইন তৈরি করেছে কিংবা করছে। আমাদের দেশে যখন ডিজিটাল বিষয় ছিল না তখন এ আইনের প্রয়োজন ছিলো না। আজকে যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিংবা অনলাইনে একজন গৃহিনীর চরিত্র হনন করা বা মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয় তাহলে তিনি কোন আইনের বলে প্রতিকার পাবেন! একজন কৃষক, ছাত্র, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী কিংবা একজন রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রে যদি সেটি ঘটে, তাহলে প্রতিকার পাওয়ার জন্য আইনের প্রয়োজন রয়েছে এবং সেই প্রয়োজনীয়তার নিরিখেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিপন্থী চিকিৎসকেরাও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছেন: তথ্যমন্ত্রী
ভারতে দি ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট ২০০০, পাকিস্তানে দ্য প্রিভেনশন অব ক্রাইম অ্যাক্ট ২০১৬ এবং সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াতেও এ ধরনের আইন করা আছে, একটি ফ্রেমওয়ার্ক আইনের অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলো এ ধরনের আইন প্রণয়ন করেছে, অর্থাৎ পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই এ আইন করা হচ্ছে, জানান ড. হাছান।বিশ্ব প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি জানান, কেউ যদি ফেক-আইডি দিয়ে কিংবা বিদেশ থেকে কোনো অপপ্রচার, গুজব রটনা বা চরিত্র হননে লিপ্ত হয়, তখন তাকে ধরা কঠিন। তখন আমরা সার্ভিস প্রোভাইডারকে ধরি এবং জরিমানা করি। ফেসবুকের মাধ্যমে কেউ যদি গুজব রটায় কিংবা রাষ্ট্র-সমাজবিরোধী অস্থিরতা তৈরি করতে চায়, তাহলে সেক্ষেত্রে ফেসবুক হোক, ইউটিউব হোক কিংবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোক, সেই ব্যক্তি ও প্লাটফর্ম দুইয়ের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহনের আইন পৃথিবীর সবদেশেই আছে এবং হচ্ছে।দেশে ডিজিটাল পদ্ধতির বিস্তার সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, ‘২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার গঠন করার আগে আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করতো মাত্র ৫০ লাখ মানুষ। আজকে ১১ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রায় আট কোটি মানুষ। আমরা সরকার গঠন করার আগে আমাদের দেশে হাতেগোনা কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা ছিল। আজকে অনলাইন পত্রিকা কত বা ক’হাজার সেটি একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়। এর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মানুষ অনলাইনে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিকূলতা ও বিগ্রহের শিকার হচ্ছে, অনলাইনে নানা ধরনের অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ডিস লাইন ডিজিটালাইজড করার সময় বাড়ানো হবে: তথ্যমন্ত্রী
অনলাইন অপরাধের উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পেছনে ফিরে গত কয়েক বছরের ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করলে আমরা দেখতে পাই যে, রামুর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর কারণে হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে যে ঘটনা ঘটেছে সেটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের কারণে। এর আগে যে ছেলেধরা গুজব এবং পদ্মাসেতু করতে হলে সেখানে নরবলি দিতে হবে এমন গুজব রটিয়ে দেয়া হলো এবং সেকারণে অনেক নিরীহ মানুষ নানাভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হলো, সেটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে।’এসব কারণেই এ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব থেকেই এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে অবশ্যই এ আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয়, কারো মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কিংবা মুক্তমত-মুক্তবুদ্ধিচর্চার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় সৃষ্টি না করে সেজন্য সরকার সচেতন আছে এবং সময়ে সময়ে সেজন্য পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে এটর্নি জেনারেল আবু মো. আমিন উদ্দিন এবং আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে বক্তব্য দেন। ব্যারিস্টার এস এম শফিউল্লাহ রহমান, ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজীব এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কাজল মূল আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক: তথ্যমন্ত্রী
জামিন পেলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর, মুক্তিতে ‘বাধা নেই’
রাজধানীর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. আবু বক্কর সিদ্দিক শুনানি শেষে জামিন আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সকল মামলায় তার জামিন হয়েছে। এখন তার মুক্তিতে আর বাধা রইল না।
গত ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মাদক, বিশেষ ক্ষমতা ও পল্লবী থানায় প্রতারণার আইনে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
এর আগে পল্লবী থানায় দায়ের করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১৭ আগস্ট জামিন পান হেলেনা।
আরও পড়ুন: জামিন পাননি হেলেনা জাহাঙ্গীর
২৯ জুলাই রাত ৮টার দিকে গুলশান-২ এ হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয় এবং পরে র্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটকের পর তার প্রতিষ্ঠান জয়যাত্রা টেলিভিশন কার্যালয়েও অভিযান চালায় র্যাব।
ওই অভিযানের পর র্যাব জানায় জয়যাত্রা টেলিভিশন কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র ছাড়া চলতো। হেলেনা জাহাঙ্গীর তার জয়যাত্রা টেলিভিশনের জন্য সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিলেন। প্রবাসী প্রতিনিধি নিয়োগের নামে তিনি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৩০ জুলাই।
জুলাই মাসে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই পোস্টার ছড়িয়ে পড়ার পর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ হারান হেলেনা জাহাঙ্গীর।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে কয়েক দফায় তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন আবেদন
মাদক মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
সাইবার মামলায় সিলেটে ফটোসাংবাদিক গ্রেপ্তার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক সবুজ সিলেটের সিনিয়র ফটোগ্রাফার নিজাম উদ্দিন টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরীর শিবগঞ্জ পয়েন্ট থেকে রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, টিপু এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানার একটি মামলার পলাতক আসামি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার
থানা সূত্র জানায়, গত ১৭ অক্টোবর সবুজ সিলেটের সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ বাপ্পি,হৃদয়,নিজাম উদ্দিন টিপুসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শাহপরান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এ মামলায় সবুজ সিলেটের সম্পাদক মুজিবুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টার বাপ্পি ও হৃদয় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও নিজাম উদ্দিন টিপু জামিন নেননি।
মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে নিজাম উদ্দিন টিপুকে রিমান্ডে আনা হচ্ছে বলে থানা সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হামিদুজ্জামান রবি মারা গেছেন
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর মুজিবুর রহমানসহ সিলেটের আরও তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা রেকর্ড করে শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশ।
ফটো সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ গঠন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পৃথক তিন মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ফলে এসব মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক মুহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আভিযোগ গঠন করেন।
এসময় সাংবাদিক কাজল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। বিচারক জানুয়ারির ২ তারিখে তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য গত ২১ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে দিন ধার্য ছিল। এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইকবাল হোসেন অভিযোগ গঠন করে শুনানির জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ১১ মার্চ রাজধানীর চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে সীমান্তের সাদিপুর মাঠ থেকে শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।
আরও পড়ুন: ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
এর আগে কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ১০ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। একই আইনে কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী আরও দুটি মামলা করেন।
মন্দিরে হামলার উস্কানির অভিযোগে ইসলামী বক্তা আটক
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় মন্দিরে হামলা চালানোয় উস্কানির অভিযোগে কেরানীগঞ্জের এক ইসলামী বক্তাকে বৃহস্পতিবার আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তি হলেন, ঢাকার ধোলাইপাড়ের বাসিন্দা মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবী (৩৯)।
১৩ অক্টোবর, ঢাকার একটি ওয়াজ মাহফিলে মাওলানা রহিম বলেছিলেন যে হিন্দু মূর্তির সাথে পবিত্র কোরআন রাখা অপরাধীরা যদি ১৪ অক্টোবরের মধ্যে গ্রেপ্তার না হয় তাহলে পরের দিন জুমার নামাজের পর প্রতিটি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে কোনো পূজা মণ্ডপকে ছাড় দেয়া হবে না।
মাওলানা রহিম চাঁদপুরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময় হত্যাকাণ্ডের জন্য পুলিশকে দায়ী করেন এবং আইন প্রয়োগকারী বাহিনী সম্পর্কে উগ্র মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সিআইডি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সামাজিক য্গোযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তার মন্তব্য জনসাধারণের মধ্যে চরম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।এছাড়াও তার মন্তব্য সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে প্রভাব ফেলেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবদুর রহিম তার ওয়াজে পূজা মন্ডপ সংক্রান্ত উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডি পল্টন মডেল থানায় আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: জয়পুরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ১
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননাকর ছবি পোস্ট দেয়ার অভিযোগে জয়পুরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার জেরে রংপুরের পীরগঞ্জের বড়ো করিমপুর মাঝিপাড়া গ্রামে হিন্দুপল্লীতে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ কমিশনার কামরুজ্জামান বলেন, জয়পুরহাটে অভিযান চালিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোমবার রাতে পরিতোষ সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সোমবার রাত পর্যন্ত অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্তত ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
পড়ুন: রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: আটক ৪২