মেয়র
খাইরুজ্জামান লিটন তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটির মেয়র নির্বাচিত
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
বুধবার (২১ জুন) দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।
নগরীর ১৫৫টির মধ্যে সবকটি কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩ হাজার হাজার ৪৮৩ ভোট।
এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ও জাকের পার্টির প্রার্থী গোলাপফুল প্রতীক ১১ হাজার ৭১৩ ভোট। এই নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর রাজশাহী সিটিতে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।
নির্বাচনে মোট ১৫৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয় ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) কমিশনের সদস্যরা।
ভোটে জিতে টানা দুবার এবং সব মিলে তিনবার মেয়রের চেয়ারে বসছেন খায়রুজ্জামান লিটন। এরআগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয় পান লিটন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী বুলবুল। লিটন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। আর বিএনপির মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ভোট পড়েছিল ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী সিলেটের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান
এরআগে ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী বুলবুলের ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোটের বিপরীতে খায়রুজ্জামান লিটন ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
তবে এবার শক্ত প্রতিদ্বন্বদী না থাকায় শুরু থেকেই নির্বাচন ছিল অনেকটাই নিরুত্তাপ। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন চার জন।
এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। এখানে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ছয়জন। তৃতীয় লিঙ্গের একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ মেয়র প্রার্থী বাবুলের
ডেইলি স্টারকে মেয়র তাপসের ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নোটিশ
মানহানির অভিযোগে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মেজবাহুর রহমান জানান, গত ৫ জুন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও লেখক নাজিবা বাশারকে পাঠানো হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে থাকা সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অপসারণ এবং সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ডেইলি স্টার পত্রিকা এবং অনলাইন ভার্সনে রিপোর্ট বা কলাম প্রকাশ করা হয়। বাংলায় অনুবাদ করলে কলামের লেখাটা ছিল এই রকম ‘বাতাস প্রবাহের জন্য গাছ কর্তন’, আরেকটি টাইটেল ছিল যেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নামকে বিকৃতি করে লিখেছেন, ‘ধোকা সাউথ টাউন করপোরেশন পরিবেশবাদীর চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে।’ শুধু তাই নয় মেয়র ফজলে নূর তাপসের নামকেও বিকৃতি করে লেখা হয়েছে।
এই ধরনের বক্তব্যগুলো আমাদের প্রচলিত ফৌজদারি আইন অনুযায়ী মানহানির পর্যায়ে পড়ে। এই রিপোর্ট দেখে মেয়র মহোদয় আমাকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তার আলোকে আমরা নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশে আমরা দুটি জিনিস চেয়েছি- একটি হলো অনলাইনে ভার্সনে থাকা লেখা অপসারণ এবং একটা বিবৃতি দিতে। পাশাপাশি ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা কোনো পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তী কী সিদ্ধান্ত, সেটা মেয়র তাপসের নির্দেশে নেওয়া হবে বলে জানান এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
মার্কেট ঝুঁকিমুক্ত করতে সম্মিলিত-দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেওয়া হবে: মেয়র তাপস
নাসিক প্যানেল মেয়রের ‘প্রাক্তন’ স্ত্রীর আত্মহত্যা
সাততলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ‘প্রাক্তন’ স্ত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে শহরের চাষাঢ়ার বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাদিয়া নিঝু ওই ওয়ার্ডের শাহ্জালাল বাদলের প্রথম স্ত্রী।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান মোল্লা জানান, কাউন্সিলর বাদল দ্বিতীয় বিয়ের পর তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ায়, বালুর মাঠের বহুতল ভবনটিতে সাদিয়া তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। ওই ভবনের তৃতীয় তলায় তার মায়ের মালিকানাধীন ‘নিঝু বিউটি পার্লার’ অবস্থিত। সাততলা ভবনের ছাদের পিছনের অংশে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন নিঝু। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ্জালাল বাদলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন: মতলবে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে কাউন্সিলর বাদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন নিঝু। তার অভিযোগ ছিল প্রথম স্ত্রীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন কাউন্সিলর বাদল।
নিঝু আরও অভিযোগ করেন, ২০০৭ সালে তাদের বিয়ে হয়। আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) এর মাধ্যমে একটি সন্তানও জন্ম হয় তাদের। সম্প্রতি তাকে না জানিয়ে বাদল দ্বিতীয় বিয়ে করেছে।
মেয়র কাউন্সিলর শাহ্জালাল বাদল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
এছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাতখুন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুর হোসেনের ভাতিজা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়কও ছিলেন বাদল।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার অভিযোগ
ডিএসসিসিতে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব
প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার বিকালে নগর ভবনের ফোয়ারা চত্বরসংলগ্ন প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়।
করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিকালে এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে তিনি স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন।
বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব আজ রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
উৎসবে মোট ১৫টি স্টলে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। করপোরেশনের সাধারণ আসনের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর সাহানা আক্তার ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলরগণ এসব স্টলে নানা রকম ও বাহারি ধাঁচের পিঠা প্রদর্শন করেন।
এ সময় আগত অতিথি ও দর্শনার্থীরা- ডিম পোয়া, নারিকেল পুলি, ডিম সুন্দরী, ভেজা, পুলি, দুধ পুলি, সেমাই, ভাপা, ক্ষীরের পুলি, কেক, রিফ ঝাল, ঝাল ভাজা পুলি, কয়েন পুলি, মাংসের পাটি, চিকেন সবজি এমন সব বাহারি নামের ও ভিন্ন স্বাদের এসব পিঠার স্বাদ নেন এবং বাঙালি ঐতিহ্য সংরক্ষণে মেয়র তাপসের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
পিঠা উৎসবে নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীগণ লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: এতিম শিশুদের পিঠা উৎসব
ভোটের পরাজয় থেকে আ.লীগের প্রতিকারমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি কাদেরের
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ২০২৩ সালের নির্বাচনী বছরে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের শেষ দফা নির্বাচনে একটি বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে- বিশেষ করে রংপুরে।
২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘা, দিনাজপুরের বিরল, পঞ্চগড়ের বোদা, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও নাটোরের বনপাড়া। বাঘা ও আলফাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।
৬৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের 'বিদ্রোহী' স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই বেশি ভোট পেয়েছেন।
এর দুই দিন আগে গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হন জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী।
মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। চমকপ্রদ বিষয় হলো, আওয়ামী লীগ প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা (ডালিয়া) ২২,৩০৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় নয়, চতুর্থ স্থানে রয়েছেন।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ব্যর্থতার পর এক সপ্তাহের মধ্যে বড় ধরনের সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে উপনির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন নায়িকা মাহি
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘রংপুর নির্বাচনে আমরা হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিনি। যেখানে দুর্বলতা আছে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। অনেক কিছু আছে। সেখানেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন।
‘এক সপ্তাহের মধ্যে রংপুর নির্বাচন নিয়ে আমরা বড় ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। জাতীয় নির্বাচনেও খেলা হবে।’
রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের 'বিদ্রোহী' আক্কাস আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোট ১২ হাজার ৩৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন, যা আ.লীগ প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টুর চেয়ে পাঁচ হাজার ৮৪৬ ভোট বেশি।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মাত্র একজন আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন, বাকি তিনজন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরে গেছেন। আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী আকসাদ মোট চার হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, যেখানে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোঃ সাইফুর রহমান পেয়েছেন মাত্র তিনি হাজার ৬৬০ ভোট।
আরও পড়ুন: বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজাহার আলী মোট ছয় হাজার ৭৪০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতার হোসেন হাসান পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৭ ভোট।
নাটোরে দু’টি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। আরেকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে।
বনপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কে এম জাকির হোসেন। ১নং জোয়ারী ইউপি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আকবর ৯ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার প্রতিপক্ষ আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী চাঁদ মাহমুদ পেয়েছেন সাত হাজার ৪৪ ভোট।
দিনাজপুর, আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর দ্বিতীয়বারের মতো বিরল পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অন্যান্য আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা হেরে গেছেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা না: কাদের
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিক বোতল প্রতিনিয়ত পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। বিশেষ করে বেভারেজ কোম্পানিগুলো কোমল পানীয় বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করছে। তারা ব্যবসা করে পরিবেশের দূষণ করবে এটা হতে পারে না। প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তবে জনগণকেও যত্রতত্র প্লাস্টিক বোতল ফেলা বন্ধ করতে হবে।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মহাখালী টিএন্ডটি মাঠে প্লাস্টিক দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিত্যক্ত প্রায় অর্ধ কোটি প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করা নানা প্রতিকৃতি প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন ‘ সেভ আর্থ সেভ বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৯ দিনব্যাপী (৩০ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ৭ জানুয়ারি ২০২৩) এই বোতল প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ড্রেন বা লেক পরিষ্কার করতে গেলে আমরা বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য পাই। এসব প্লাস্টিকের কারণে ড্রেনগুলো ব্লক হয়ে যায়। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও সুয়ারেজ লাইনে পয়ঃবর্জ্যের লাইন দেয়া হয়েছে। ৪ জানুয়ারি গুলশান, বনানী, নিকেতন ও বাড়িধারা এলাকায় অভিযান চালাবো।’
মেয়র আরও বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা মানুষের প্রয়োজনেই জলজ প্রাণী, কচ্ছপ, মাছ, বৃক্ষ সবই সৃষ্টি করেছেন। এগুলো পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অথচ আমরা নির্দয় হয়ে এগুলো ধ্বংস করছি। যারা ধ্বংস করছে তারা চিন্তা করেন না আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের, তারা চিন্তা করেন না লাল-সবুজের পতাকার। তারা চিন্তা করেন না কষ্টার্জিত এই দেশটার। দেশপ্রেম থাকলে কেউ দেশের ক্ষতি করতে পারে না।'
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
মেট্রোরেলে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিজয়ের মাসে আমাদের মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই পদ্মাসেতু উপহার দিয়েছেন। অনেকে বলছিলো এগুলো সম্ভব হবে না। কিন্তু আজ সম্ভব হয়েছে। তাই কারও কথায় কান দেয়া যাবে না। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু এগুলো জনগণের সম্পদ। এগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সকলের। দয়া করে মেট্রোরেল পরিষ্কার রাখুন, ট্রেন, বাথরুম, প্লাটফর্ম পরিষ্কার রাখুন। আমরাইতো ব্যবহার করবো। এর সুফলতো আমরাই পাব। আমাদেরই সম্পত্তি। এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও আমাদের দায়িত্ব।'
বিডি ক্লিনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মেয়র বলেন, 'বিডি ক্লিন শুধু নামে না, কথায় না, কাজের মাধ্যমে, ত্যাগের মাধ্যমে, কষ্টের মাধ্যমে তাদের অবস্থান প্রমাণ করেছে। বিডি ক্লিনের সদস্যরা নিজেদের খেয়ে পরের মোষ তাড়িয়ে তারা পরিবেশের জন্য কাজ করছে। এই ছেলেমেয়েরা মাদকাসক্ত না হয়ে, ঘরে বসে স্মার্ট ফোনে সময় নষ্ট করে দেশকে, শহরকে পরিচ্ছন্ন করা জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সত্যিই প্রশংসনীয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বিডি ক্লিন বর্তমানে একটি ব্র্যান্ড। এটি ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। এই সুনাম ধরে রাখতে হবে।'
এসময় বিডি ক্লিনকে দশ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সবশেষে মেয়র দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও দেশের আইন মেনে দেশসেবার জন্য বিডি ক্লিনের সদস্যদের শপথ পাঠ করান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডি ক্লিনের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘পুরো দেশে বিডি ক্লিনের প্রায় ৪০ হাজার সদস্য কাজ করছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি একটি সুশৃঙ্খল, সুস্থ ও উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন জাতি গঠনই এই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য। মানসিক পরিবর্তন নিশ্চিত হলেই দেশ পরিচ্ছন্ন হবে, দেশ উন্নত হবে।'
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল ৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী এবং ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাছির।
দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্লাস্টিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র।
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য: মেয়র আতিক
জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞ নিয়োগে ১০ সিটি করপোরেশন মেয়রের সুপারিশ
প্রথমবারের মত দেশের ১০ সিটি করপোরেশনের মেয়র নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোগত বিভিন্ন দিক, এর চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় করোনাকালীন এবং করোনাপরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে অন্তত একজন এপিডেমিওলজিস্টের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।
বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (ইউএস সিডিসি) এর যৌথ উদ্যোগে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ও সেফটিনেট কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি’-এর অধীনে অনুষ্ঠিত ‘মেয়র সংলাপ: নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, মহামারি-অতিমারিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে মহামারি বিশেষজ্ঞের (এপিডেমিওলজিস্ট) গুরুত্ব পুরো বিশ্ব টের পেয়েছে। যার ফলে এক্ষেত্রে আরও বেশি কাজ করার আছে।
পিটার ডি হাস বলেন, ‘কোভিড- ১৯ মহামারি আমাদের দেখিয়েছে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা। একটি পরামর্শ বারবারই এসেছে- জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞদের স্থায়ীভাবে সিটি করপোরেশন কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন যে কিভাবে জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞদের ওপর বিনিয়োগ সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে খরচ এবং প্রভাবকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে পারে। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতে আরও ব্যাপক পরিসরে কাজ করার আছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার করা হবে: মেয়র তাপস
তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের জন্য সিটি করপোরেশনকে আইন দ্বারা ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমি যতটুকু জানি সিটি করপোরেশনগুলোতে এপিডেমিওলজিস্ট অন্তর্ভুক্ত করণের জন্য অরগানোগ্রামে একটি প্রস্তাব আমাদের দেয়া হয়েছে, আমাদের কিছু সম্মিলিত অনুমোদন লাগবে। আরবান ও রুরাল হেলথ কেয়ারগুলোকে টেক কেয়ার করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত। মেগা হেলথকেয়ার সেন্টার যেমন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল- এসব জায়গায় যদি স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়ন করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের কিছুটা ভার বহন করা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরক্ষে তখন অনেক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে।’
এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ১২টি সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ, ইউ এস সিডিসি এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সুসান (নিলি) কায়ডোস-ড্যানিয়েলস, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. শামীম জাহান, সেফটিনেট বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ডা. সৈয়দ হাসান আবদুল্লাহ, দেশের শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ও সেফটিনেট বাংলাদেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি’-টি জনস্বাস্থ্যগত কৌশলগত পরিকল্পনা, কার্যকারিতা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখে চলছে। এই লক্ষ্যে প্রতিটি নগরে এক জন করে জনস্বাস্থ্য রোগতত্ত্ববিদ সংযুক্ত করা হয়েছে–যারা নগর নেতৃত্বকে যথাযথ গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিমালা ও কর্মকাণ্ড গ্রহণে সাহায্য করে চলছে। একইসঙ্গে এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে দুই মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
২০ ফিটের কম প্রশস্তের রাস্তার উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নেই: মেয়র আতিক
আলফাডাঙ্গার মেয়রের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ভাইরাল, বিব্রত আ.লীগ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফারের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও চ্যাটিং ভাইরাল হয়ে এখন ফেসবুক আর ইউটিউবে ঘুরছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিব্রত। ক্ষুব্ধ এলাকার সাধারণ জনগণ, ধর্মপ্রাণ মানুষ আর সুশীল সমাজও।
যদিও মেয়র সাইফার ভিডিওটি সুপার এডিট করে তাকে মানুষের কাছে ছোট করার চক্রান্ত বলে দাবি করছেন।
তিনি বলছেন, সামনে আমার নির্বাচন এই কারণেই একটি মহল আমাকে সামাজের কাছে হালকা করার জন্য এই জঘন্যতম কাজটি করেছে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল, চট্টগ্রামে শিক্ষক আটক
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, মেয়র সাইফার ভিডিও চ্যাটিংয়ে তার বিশেষ অঙ্গ প্রদর্শন করছেন একজন নারীকে। ওই নারী তার শরীরের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ আবার আওয়ামী লীগ নেতা সাইফারকে প্রদর্শন করছেন। উভয়ে যৌন উত্তেজক কথাবার্তাও বলছেন।
হঠাৎ এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে ক্ষোভ ও বিব্রতকর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহাদুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়রের যৌন ভিডিও দেখে মর্মাহত হয়েছি। এটি আওয়ামী লীগ ও জনগণের জন্য লজ্জা।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি অবশ্যই লজ্জার এবং বিব্রতকর। যে কোন জনপ্রতিনিধির জন্য এটি অপমানের, তিনি এর সঠিক তদন্তের দাবি করেন।
এই ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেনের বলেন, এটা দলের জন্য বিব্রতকর। তবে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে সেটি অস্বাভাবিক নয়, তবে এটা ভাইরাল করা ঠিক হয়নি। ঘটনাটির জন্য আমিও লজ্জিত।
নির্বাচিত আওয়ামী লীগের পৌর মেয়রের এই ধরণের ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইসতিয়াক আরিফ জানান, এটা দলের জন্য বিব্রতকর, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ব্যক্তি অপরাধের দায় দল নেবে না।
প্রসঙ্গত, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র সাইফারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে ২০২০ সাল থেকে অনুসন্ধান চলছে। এই অনুসন্ধান এখনও চলমান।
এছাড়াও মেয়রের দুই ভাই জাপান ও ওসমান মোল্যার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পুলিশকে মারধর ও সাংবাদিক নির্যাতনের মামলাও আছে তাদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগ ডের নামে অশ্লীলতা বন্ধ করতে নির্দেশ
চাঁদপুরে অশ্লীল ছবি ধারণকারী প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য আটক
বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের (গাসিক) সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে করা মানহানি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার মামলাটি বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। এর আগে এ মামলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর জামিন নিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এ মামলায় গত ৩১ আগস্ট ফরিদপুরের ৩ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন মেয়র জাহাঙ্গীর।
এরপর গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে এই মামলা হয়। মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নওগাঁ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ইউএনওকে স্টুপিড বললেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক
বরিশালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে কক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এসময় মো. মনিরুজ্জমানকে স্টুপিডও বলেন তিনি।
সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বরিশাল জিলা স্কুল কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা
মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ফেসবুক পেজে করা লাইভে দেখা যায়, সকাল ৯টার দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে বরিশাল জিলা স্কুলের এক নম্বর ভোট কক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে দল বেধে ভোট কক্ষে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করেন। এসময় ইউএনও এর সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ান মেয়র।
মেয়র সাদিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, `আমি কি ঢুকছি এখানে? আমি কি ঢুকছি ? কেন সিন ক্রিয়েট করতেছেন ? আপনি কে? তারপরও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি বাচ্চা শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন।
এসময় ইউএনও বলেন, ‘চেয়ারম্যান মহোদয় আমি আপনাদের চিনি। আমি এমন কিছু বলিনি।`
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে আমার বাগবিতন্ডার খবর সঠিক নয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে জেলেদের হামলায় পুলিশসহ আহত ২০বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং অফিসার নুরুল আলম বলেন, ভোট কক্ষে ফেসবুক লাইভ করার কোনও বিধান নেই।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সঙ্গে বিরোধে জড়ান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। এসময় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশের ভুয়া কর্মকর্তা গ্রেপ্তার