করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৫ কোটি ৩১ লাখ ছাড়াল
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ৩১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৮ জন।
বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ লাখ ৯ হাজার ৯১৯ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ৮১৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ জন।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার ৬২২ জনে। দেশটিতে এপর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৫২৯ জন।
ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটিতে করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হবার পর গেল এপ্রিলেই সবচেয়ে মৃত্যু দেখতে পায় দেশটি।
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ জন এবং মারা গেছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমেছে, তবে শনাক্ত বেড়েছে বলে সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনায় আরও ৬৫ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৬৪৪ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৩৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৬৯ জন মারা গেছেন এবং ১ হাজার ৩৫৯ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৮.৯৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৪ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬২ জন। সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য যেকোনও উপায়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
করোনার ভারতীয় ধরন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কিনা শিগগিরই জানা যাবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাসের শক্তিশালী ভারতীয় ধরনটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কিনা তা চলমান অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার খুব দ্রুত নিশ্চিত করতে পারবে বলে সোমবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম ভার্চুয়াল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ধরনটি প্রবেশ করেছে কিনা সে ব্যাপারটি আমরা কিছুদিনের মধ্যে নিশ্চিত করতে সক্ষম হব।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর যাদের করোনা পজেটিভ এসেছে তাদের নমুনা গ্রহণ করে জিনোম সিকোয়েন্সিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট আসলেই বিষয়টি জানানো হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে নাজমুল বলেন, যারা ইতোমধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন থেকে প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা অন্য যে কোনো কোম্পানির ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন এবং এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ভ্যাকসির উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর কোনো নির্দেশনা নেই।
তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের জন্য ১২ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে এবং আশা করছি এই সময়ের মধ্যে অক্সফোডের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
ডিজিএইচএস এর মুখপাত্র আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এক ধরনের কূটনৈতিক দৌরাত্ম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও এটি আসলে মানবতার জয়গান। আমরা দেখে আসছি বাংলাদেশ এ ব্যাপারে বরাবরই সফল হয়ে আসছে। এবং এ কারণে আমরা আশা করতে পারি আমরা অক্সফোর্ডের দ্বিতীয় ডোজও পেয়ে যাব।
যত দ্রুত সম্ভব চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন উৎস হতে ভ্যাকসিন সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে এ মাসে চীন থেকে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের অনুপস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহারই সর্বোত্তম পন্থা উল্লেখ করে নাজমুল হাসান বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার এবং যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছেন।
করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত
দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমেছে, তবে শনাক্ত বেড়েছে বলে সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনায় আরও ৬৫ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৬৪৪ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৩৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৬৯ জন মারা গেছেন এবং ১ হাজার ৩৫৯ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৮.৯৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৪ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬২ জন। সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য যেকোনও উপায়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ২৮ লাখ ৭১ হাজার ২৬৭ জন।
বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ লাখ ২ হাজার ৬৯৯ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৪ লাখ ২১ হাজার ৫৯৮ জন এবং মৃত্যু বরণ করেছে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৫ জন।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭ হাজার ৬৩৯ জনে। দেশটিতে এপর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯১০ জন।
ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটিতে করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হবার পর গেল এপ্রিলেই সবচেয়ে মৃত্যু দেখতে পায় দেশটি।
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৫১৭ জন এবং মারা গেছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৬৯, শনাক্ত ১৩৫৯
দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু আরও বেড়েছে, তবে শনাক্ত কমেছে বলে রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনায় আরও ৬৯ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৫৭৯ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৫৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৩ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জন মারা গেছেন এবং ১ হাজার ৪৫২ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ১৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৯.৬০ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৫৭ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৮ জন। সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫২ শতাংশ।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, জনগণের জীবন রক্ষায় যেকোনও উপায়েই হোক করোনার টিকা সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য যেকোনও উপায়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা আরও বেশি টিকা নিয়ে আসছি। যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা আরও ভ্যাকসিন নিয়ে আসব। ’
করোনা মহামারি মোকাবিলায়, মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে নিম্ন-আয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৭০ জন।
বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩১ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৩ লখ ৮৯ হাজার ৬৫২ জন এবং মৃত্যু বরণ করেছে ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৯ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬ হাজার ৪৩৭ জনে। দেশটিতে এপর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৫ জন।
ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটিতে করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হবার পর গেল এপ্রিলেই সবচেয়ে মৃত্যু দেখতে পায় দেশটি।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই চালু হতে পারে গণপরিবহন: কাদের
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬৯ জন এবং মারা গেছে ২ লাখ ১১ হাজার ৮৫৩ জন।
লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত বাড়ল
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ও জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সরকার ছয়টি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দোকান ও শপিংমলগুলো স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য সংস্থা ও বাজার পরিচালনা কমিটি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবারও কঠোর লকডাউন আসতে পারে: কাদের
এই নির্দেশনা অনুসারে, পণ্যবাহী যানবাহন ব্যতীত কাউকে ভারত থেকে বিমান, স্থল ও নদী পথের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
এছাড়াও যে সকল বাংলাদেশি এখন ভারতে রয়েছেন এবং তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কেবল তারাই ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছ থেকে রিলিজ/ সার্টিফিকেট গ্রহণের পর দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনেই খুলেছে বিপণীবিতানের দরজা, সড়কে চাপ
মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং চীন থেকে যারা করোনা নেগেটিভ সনদপত্র এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদপত্র নিয়ে দেশে আসবেন তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের আগমন এবং কোয়ারেন্টাইন পালনের সময়কাল সম্পর্কে তাদের স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে হবে।
তবে উক্ত দেশগুলো থেকে আগত যাদের শুধু করোনা নেগেটিভ সনদপত্র রয়েছে কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদপত্র নেই তাদেরকে সরকারি সুবিধাযুক্ত প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ৩-৫ দিনের মধ্যে চিকিৎসকরা তাদেরকে পরীক্ষা করার পর বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দিলে, তারা তাদের বাড়িতে যাবে এবং নিজ বাড়িতে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকান-শপিংমল
অন্যান্য দেশ থেকে আগতদের ১৪ দিনের জন্য সরকারি সুবিধাযুক্ত প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঈদ-উল-ফিতরের জামাত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
এর আগে ২৬ এপ্রিল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কোনও উন্নতি না হওয়ায় সরকার বর্তমান লকডাউনটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে ২০ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল যেখানে চলমান কঠোর লকডাউন ২২ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছিল।
মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকায়, এর বিস্তার রোধের পদক্ষেপের অংশ হিসাবে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী একটি ঢিলেঢালা লকডাউন দিয়েছিল। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিলের পর্যন্ত 'কঠোর' লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।
২৩ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল যেখানে বলা হয়েছে, যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রাখার শর্তে ২৫ এপ্রিল থেকে (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা) দোকান ও শপিংমলগুলো খোলা থাকবে।
বাংলাদেশের কোভিড পরিস্থিতি
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৩০৫ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৫৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৮ জন মারা গেছেন এবং ৩ হাজার ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১০.৪৮ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯২ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩১৯ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫০ শতাংশ।
খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি
করোনাভাইরাস সংক্রমিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এফএম সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খালেদার নতুন সিটি স্ক্যান রিপোর্টে তিনি কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানা যাচ্ছে।
করোনার কারণে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা খালেদার অনেক নিয়মিত পরীক্ষা করাতে পারছেন না, বলেন সিদ্দিক।
সবগুলো পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তাকে আরও দুয়েকদিন হাসপাতালে রাখা হতে পারে বলে জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার বর্তমানে করোনার কোনো উপসর্গ নেই বলে জানান এ চিকিৎসক।
এর আগেমঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মৃদু জ্বরে ভুগছেন খালেদা, অবস্থা এখনও স্থিতিশীল: ডাক্তার
১৪ এপ্রিল খালেদাকে সিটি স্ক্যানের জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে তার ফুসফুসে কিছু সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
খালেদা জিয়ার বাড়ির আটজন সদস্য ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ায় ১০ এপ্রিল তিনি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছিলেন এবং তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে কমেছে মৃত্যু।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৯৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ১৫০ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩০৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৮ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০১ জন মারা গেছেন। ২ হাজার ৯২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৭৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১২.৮২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২৪১ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ জন। সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৯ শতাংশ।
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৩১ লাখ ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৮২ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৬ হাজার ৩৮৪ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭২ হাজার ২০০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৯৭ জনের।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৩১১ জন।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৭ জন।
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে বলে শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৩ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১০ হাজার ৯৫২ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৯৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, একদিনে ৮৮ জন মারা গেছে এবং ৩ হাজার ৬২৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকান-শপিংমল
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৫৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩.১১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৭ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৮ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৪০ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৫ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৭৫০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭১ হাজার ১৯৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪২ লাখ ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪১৬ জনের।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৫০৪ জন।
সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার বলেছেন, চলমান লকডাউনের পরে জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে।
তিনি লকডাউন শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘মাস্ক,হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।’
সকালে বরিশাল সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ'র কর্মকর্তাদের সাথে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় সভায় যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এর আগে শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, রবিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল ও দোকানপাট খোলা রাখা যাবে।
করোনা মহামারিরোধে দেশব্যাপী চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। এই লকডাউন শেষ হবে আগামী ২৮ এপ্রিল। এরপর লকডাউন শিথিল করা হবে কিনা সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়ির কাজ স্থগিত
সরকার দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি অবনতির কথা মাথায় রেখে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল স্কুলগুলোতে ষষ্ঠ হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বাড়ির কাজ দেয়া স্থগিত করেছে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মাধ্যামিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বাড়ির কাজ দেয়ার ওপর স্কুলগুলোকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
করোনা মহামারির কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর এবছর ৩০ মার্চ হতে স্কুল এবং কলেজগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু আবারও করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জানানো এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।
পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২৫ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ঈদুল ফিতরের ছুটি পর্যন্ত সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
ইউজিসির নির্দেশনা
এদিকে গতবছরের ৭ মে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম, ক্লাস পরিচালনা, পরীক্ষা গ্রহণ, নম্বর ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দেশনা জারি করে।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৮৮ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয় ৩ হাজার ৬২৯ জন। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৮৬৯ জনে।