করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি
বইমেলা দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সোমবার ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকার রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করলেও একুশে বইমেলা খোলা থাকবে।
রবিবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সারা দেশে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় চলমান বইমেলা বন্ধের সুপারিশ করে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
গত ৩১ মার্চ দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে একুশে বইমেলা -২০২১ এর দৈনিক সময়সূচি কমানো হয়।
বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওইদিন জানানো হয়, বইমেলা বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর আগে রাত ৮টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা ছিল।
সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে তবে এ বছর ১৮ মার্চ থেকে বইমেলা শুরু হয়েছে যা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
গত ১৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলা-২০২১ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন।
রাজধানীতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলারে আয়োজন করা হয়েছে।
এবছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে। ২০২১ বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।
করোনা মহামারিতে সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় থাকছে ৩৩টি প্যাভিলিয়ন।
এ বছর ‘শিশু প্রহর’ থাকছে না। শিশু কর্নার সোহরাওয়ার্দীতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এবার ‘লিটল ম্যাগাজিন কর্নার’ স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়া্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে।
প্রবেশপথে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে মেলায় ঢুকতে দেয়া হবে না।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সোমবার ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের গণপরিবহন (সড়ক, রেল, নৌ, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে উৎপাদন ও সেবায় নিয়োজিত গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া বিদেশি ও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে না।
আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা কাজে (গ্যাস, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট) নিয়োজিতরা নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবেন।
সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, আদালত, বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে এদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা নেয়া করতে পারবে। শিল্প কারখানা, নির্মাণকাজ চলবে। শিল্প কারখানা শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আনা নেয়া করতে হবে। বিজিএমইএ, বিকেএমইকের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি (ওষুধ কেনা, দাফন, সৎকার, নিত্যপণ্য কেনা) প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাবার বিক্রি ও সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই দোকানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা যাবে না। শপিং মলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে। কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সীমিত পরিসরে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
দেশব্যাপী করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে রবিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কিছু নির্দেশনা জারি করেছি। জনগণ যাতে নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মেনে চলে সেজন্য আপনাদের সবাইকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০ তলা ভবনটি উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, তার সরকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন, তবে সবার আগে মানুষের জীবন।
আরও পড়ুন: হাসিনার পাশে বসে বাংলাদেশের গল্প শুনতে এসেছি: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা প্রত্যক্ষ করেছে, তবে বাংলাদেশ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় বেশি। ‘আমাদের এটি (বৃদ্ধির ধারা) ধরে রাখতে হবে,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সবাইকে অনুরোধ করেন যাতে জনগণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি ও নির্দেশনাবলী মেনে চলে।
‘নিজেকে এবং অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। সারাদেশে দায়িত্বে থাকা আপনাদের সবাইকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে সবাই এটি যথাযথভাবে অনুসরণ করে,’ তিনি বলেন।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম ঢেউ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখার জন্য এনএসআই সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি এবার এনএসআইকে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন এনএসআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টিএম জোবায়ের।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এনএসআই প্রধান কার্যালয়ের জন্য ২০ তলা বিশিষ্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
করোনা: বিশ্বে মৃত্যু ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৩ কোটি ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৫ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪০৯ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
লকডাউনে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে: বেবিচক
লকডাউনের সময় যাত্রীবাহী ট্রেনও বন্ধ থাকবে: মন্ত্রী
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২৯ লাখ ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ১৯৩ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২৩ লাখ ৯২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ১১০ জন।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৯ হাজার ২১৩ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে একদিনে রেকর্ড ৬ হাজার ৮৩০ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫০ জন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ২৪ হাজার ১০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৫৪৮টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.১৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমকি ২৩ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী সাতদিনের লকডাউনের খবরে রাজধানীর বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
শনিবার ক্ষমতসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তবে এক ভিডিও বার্তায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, দুই-তিন দিনের মধ্যেই দেশব্যাপী সাত দিনের লকডাউন শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি বেসরকারি-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকরা যাতে কাজ করেন তা নিশ্চিত করতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী- মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৯ হাজার ২১৩ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে।
ক্রেতারা বলেছেন, তারা লকডাউন এবং রমজান মাসে খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে বাড়তি পণ্য কিনছেন।
বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা কবীর হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফের লকডাউন শুরু হচ্ছে। বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। এজন্য আমি আজ বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনেছি।’
তিনি জানান, এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজির দাম ৫-১০ টাকা, মোটা চাল এবং ভোজ্যতেল এক থেকে ২ টাকা বেড়েছে।
‘আজ আমি পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন কিনলাম ৬৫০ টাকায়। এ ছাড়া পটল, ঢেঁড়স এবং বেগুন কেজি প্রতি ৬০ টাকা দামে কিনেছি, যা ৫-১০ টাকা বেড়েছে,’ বলেন তিনি।
কবীর সরকারি সংস্থাগুলোকে যথাযথভাবে বাজার মনিটরিংয়ের অনুরোধ জানান, যাতে সরকার প্রদত্ত তালিকার বাইরে ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করতে না পারে।
বিক্রেতারা জানান, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সবজি, চাল এবং ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে।
মেরাদিয়া কাঁচাবাজারের দোকানদার সৈকত আলী জানান, লকডাউন ঘোষণার পর শনিবার গ্রাহকদের ভিড় বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকায় এবং চিকন চাল ৫৮-৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। এছাড়া খোলা সয়াবিন ১১০ টাকায় এবং পাম তেল ১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।’
রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোটা চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২.২০ শতাংশ এবং পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম ০.৭৯ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা করে কমেছে। যা আগের সপ্তাহে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। তবে আগের মাসে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে।
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৯ হাজার ২১৩ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে একদিনে রেকর্ড ৬ হাজার ৮৩০ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫০ জন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ২৪ হাজার ১০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৫৪৮টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.১৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমকি ২৩ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬১ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৭৯ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান করোনায় আক্রান্ত
করোনার টিকা পায়নি ৩৬টি দেশ: ডব্লিউএইচও
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ২০৬ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৬ জন।
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি: আইসিইউ বেড ও বিশেষজ্ঞের সঙ্কট
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলো করোনার রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। গুরুতর রোগী, যাদের নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন তাদের আইসিইউ বেড পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ১০৮টি। তার মধ্যে খালি আছে মাত্র চারটি।
অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড রয়েছে ১৮৮টি। তারমধ্যে রোগী ভর্তি আছে ১৪৪টিতে। সেখানে আইসিইউ বেড ফাঁকা আছে ৪৪টি ।
স্বল্প আয়ের লোকেরা সরকারি হাসপাতালকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কেননা সেখানে বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় চিকিৎসার খরচ অনেক কম।
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আইসিইউ বেডের তীব্র ঘাটতির অর্থ হলো গুরুতর রোগীদের মধ্যে খুবই সামান্য একটি অংশই কেবল আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩৫৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৫৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা দেশে করোনা শনাক্তের পর একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩৫৮ জনের করোনা শনাক্ত, আরও ৫২ মৃত্যু
ইউএনবির বাগেরহাট প্রতিনিধির চিকিৎসায় নতুন মেডিকেল বোর্ড গঠন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তীর চিকিৎসায় নতুন করে বৃহত পরিসরে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ওই বোর্ডে উপস্থিত থাকবেন। বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট বুধবার বোর্ডে উপস্থাপন করা হবে।
বিএসএমএমইউ এর মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত ওই বোর্ডের প্রধান।
বিষ্ণু প্রসাদের চিকিৎসায় এর আগে গত ২২ মার্চ বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন প্রধানকে নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। তবে চিকিৎসকরা এখনো নিশ্চিতভাবে বিষ্ণু প্রসাদের রোগ নির্ণয় করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: করোনার সংক্রমণ ইস্যুতে সাধারণ ছুটির চিন্তা-ভাবনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ কোভিডের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮-দফা নির্দেশনা
অধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় আংশিক লকডাউনের প্রস্তাব করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিষ্ণু প্রসাদ করোনার টিকা গ্রহণ করার পর থেকে প্রায় দুই মাস ধরে বিভিন্ন উপসর্গের সাথে লড়াই করে বেঁচে আছেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট সদর হাসপাতালে করোনার প্রথম ডোজ নেয়ার পর থেকে প্রায় দুই মাস ধরে তিনি অসুস্থ রয়েছেন। বাগেরহাট ও খুলনার চিকিৎসকরা দফায় দয়ায় বিভিন্ন টেস্ট করেও তার রোগ নির্ণয় করতে পারেননি। অবস্থার আরও অবনতি হলে গত ১৬ মার্চ তাকে বাগেরহাট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় এনে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত আরও বেড়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১৮১ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৯৫ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৯৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়,আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯০৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ওই ৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে: মন্ত্রী
টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৪টি পরীক্ষাগারে ২৮ হাজার ৬৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৮ হাজার ১৯৫টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৮.৩৮ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৫৪৭ শতাংশ।
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: বিশ্বে মৃত্যু ২৭ লাখ ৯১ হাজার ছাড়াল
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ১২ কোটি ৭৫ লাখ ছাড়িয়েছে। সেই সাথে মারা গেছেন ২৭ লাখ ৯১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭ লাখ ৯১ হাজার ৭২ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৫২ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫০ হাজার তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৬ জনের।
আরও পড়ুন: করোনার সংক্রমণ ইস্যুতে সাধারণ ছুটির চিন্তা-ভাবনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ কোভিডের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮-দফা নির্দেশনা
অধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় আংশিক লকডাউনের প্রস্তাব করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২০ লাখ ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৩ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত আরও বেড়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১৮১ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৯৫ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৯৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে: মন্ত্রী
টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়,আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯০৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ওই ৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৪টি পরীক্ষাগারে ২৮ হাজার ৬৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৮ হাজার ১৯৫টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৮.৩৮ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৫৪৭ শতাংশ।
করোনার সংক্রমণ ইস্যুতে সাধারণ ছুটির চিন্তা-ভাবনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
করোনার সংক্রমণ ইস্যুতে সাধারণ ছুটির চিন্তা-ভাবনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকরোনার সংক্রমণ ইস্যুতে সাধারণ ছুটির চিন্তা-ভাবনা নেই বলে সোমবার জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সাধারণ ছুটি দেয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না বা এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেই বা ছুটি দেয়ার ব্যাপারে এ পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার নতুন করে যে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে তা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'চালু হওয়ার দুই সপ্তাহ পর্যন্ত আমরা এ সিদ্ধান্তগুলো প্রতিপালন করবো। তারপর আমরা দেখবো অবস্থা কি। পরবর্তীতে আমরা সিদ্ধান্ত দেব। এ মুহূর্ত থেকে আমরা ধরে নিলেও আগামী ১৪ দিন অর্থাৎ ১১ বা ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
তিনি আরও বলেন, করোনাকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি যদি ভালো মাস্ক পরি এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলি এবং হাত পরিষ্কার করি। এটি কিন্তু আমাদের কাছে অজানা কিছু নয়, আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা। এ অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেকেই আছেন আক্রান্ত হননি, সতর্কতার কারণে। আমরা সতর্ক থাকলেই যে এটাকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারি, তা প্রমাণিত।