অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস দুর্ঘটনায় নিহত
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেট তারকা অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছি ৪৬ বছর।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান ল্যাচলান হেন্ডারসন রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিযা ক্রিকেট তার আরেকটি সেরা সম্পদ হারাল। অ্যান্ড্রু বর্তমান প্রজন্মের একজন সেরা প্রতিভা ছিলেন, যিনি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্য এবং কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ইতিহাস হয়ে থাকবেন। তিনি অনেকের কাছেই একজন অনুপ্রেরণার নাম ছিলেন।’
কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর টাউন্সভিলের কাছে শনিবার গভীর রাতে দুর্ঘটনায় নিহত হন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। পুলিশের বিবৃতি উদ্ধৃত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের ওয়েবসাইটে সাইমন্ডসের মৃত্যুর বিস্তারিত বিবরণ জানিয়েছে।
সাইমন্ডস ২০০৪-২০০৮ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি ১৯৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এবং ২০০৩ ও ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ শিরোপা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টেস্ট সিরিজ ২০২২: লাইভ স্ট্রিমিং কোথায় দেখতে পারবেন?
শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড ঘোষণা
চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য সব ফরম্যাটের ম্যচের জন্য তারকা সমৃদ্ধ ৩৪ খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
স্কোয়াডে সবচেয়ে বড় চমক ছিল টেস্ট দল থেকে মার্কোস হ্যারিসকে বাদ দেয়া। সাত সপ্তাহের সফরে গলে দুটি টেস্ট খেলবে দুদল। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি দিয়ে সিরিজ শুরু হবে আর পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে সফর শেষ হবে।
সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে সীমিত ওভারের ম্যাচে তারকা খেলোয়াড় জশ হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, ম্যাথু ওয়েড এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বিশ্রামে থাকলেও শ্রীলঙ্কা সফরে তারা দলে ফিরেছেন।
দলের সাথে এটি হবে নতুন প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের প্রথম সফর।
টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার কারণে লঙ্কানদের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার।
পড়ুন: ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস
অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড:
টেস্ট: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাস্টন অ্যাগার, স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স কেরি, ক্যামেরন গ্রীন, জশ হ্যাজেলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইঙ্গলিস, উসমান খাজা, মারনাস লাবুশেন, নাথান লিয়ন, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মিচেল সোয়েপসন, ডেভিড ওয়ার্নার।
ওডিআই: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যালেক্স ক্যারি, প্যাট কামিন্স, ক্যামেরন গ্রীন, জশ হ্যাজেলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইঙ্গলিস, মারনাস লাবুশেন, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, মিচেল সোয়েপসন, ডেভিড ওয়ার্নার।
টি-টোয়েন্টি: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, অ্যাস্টন অ্যাগার, জশ হ্যাজেলউড, জশ ইঙ্গলিস, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ঝিয়ে রিচার্ডসন, কেন রিচার্ডসন, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, মিচেল সোয়েপসন, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার।
পড়ুন: মিরাজের পরিবর্তে টেস্ট দলে ডাক পেলেন নাঈম
সালমার দুর্দান্ত বোলিং সত্ত্বেও হারল বাংলাদেশ
সালমা খাতুনের তিন উইকেটে ভর করেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। শুক্রবার ওয়েলিংটনে পাঁচ উইকেটে জয় পায় অজি মেয়েরা।
আইসিসির চলমান বিশ্বকাপে ওয়েলিংটনে শুক্রবারের ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে কমিয়ে ৪৩ ওভার করা হয়। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৪৩ ওভার শেষে ছয় উইকেটে ১৩৫ রান করে।
টাইগ্রেসদের হয়ে লতা মন্ডল ৩৩ রান এবং শারমিন আক্তার ২৪ রান করেন। এছাড়া ১৫ রান করে করেন রুমানা আহমেদ ও সালমা খাতুন।
আরও পড়ুন: নারী বিশ্বকাপ: ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের
অজিদের হয়ে অ্যাশলে গার্ডনার ও জেস জোনাসেন দুটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে। আর এ তিনটি উইকেটই নেন সালমা। তবে বেথ মুনির অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। অবশ্য আরও দুটি উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া ৩২ ওভার ১ বল খেলে পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ আর্চারিতে বাংলাদেশের ৩ স্বর্ণপদক
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন সালমা। তিনি ৯ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে এ উইকেট নেন। এছাড়া নাহিদা আক্তার ও রোমানা আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।
চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ম্যাচটি একই ভেন্যুতে ২৭ মার্চ হবে।
এর আগের ছয় ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েরা শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় এবং সেটিই ছিল তাদের বিশ্বকাপে প্রথম জয়।
শেন ওয়ার্নের মৃত্যুতে স্তব্ধ ক্রিকেট বিশ্ব, টুইটারে শোকের মাতম
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার শেন ওয়ার্নের আকস্মিক মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে গেছে ক্রিকেট বিশ্ব। তার মৃত্যুর সংবাদে সমবেদনা প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক সাবেক ক্রিকেট তারকারা।
ওয়ার্ন থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপে মারা গেছেন বলে বলে নিশ্চিত করেছে ফক্স ক্রিকেট। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।
স্যার ভিভ রিচার্ড টুইটে লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য, আমি স্তব্ধ। এটা সত্য হতে পারে না। শেন ওয়ার্নের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এই মুহূর্তে আমি যা অনুভব করছি তা বর্ণনা করার কোন শব্দ আমার জানা নেই। ক্রিকেটের জন্য এটা এক বিরাট ক্ষতি।’
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম লিখেছেন, ‘বন্ধু ওয়ার্নের আকস্মিক মৃত্যুর কথা শুনে আমি মর্মাহত এবং অত্যন্ত দুঃখিত। তিনি সর্বদা যোগাযোগে ছিলেন এবং সহায়ক ছিলেন.. একজন আইকনিক বোলার ছাড়াও তিনি একজন দুর্দান্ত বিনোদনকারী ছিলেন।পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা... শান্তিতে থাকুন আমার বন্ধু।’
আকরামের সতীর্থ ওয়াকার ইউনিস ওয়ার্নকে শ্রদ্ধা জানাতে টুইটারে লিখেছেন, ‘শেন ওয়ার্ন আর নেই। আমি স্তব্ধ এবং ভেঙে পড়েছি। আমি এটা শুনে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমাদের ক্রিকেট বিশ্বের জন্য খুবই দুঃখের দিন। আমার প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার চলে গেলেন। বিদায় কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন। পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা।’
পড়ুন: কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন আর নেই
শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক এবং আধুনিক ক্রিকেটের আরেক কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারাও ওয়ার্নের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সাঙ্গাকারা টুইটে বলেন, ‘কিংবদন্তি এবং বন্ধু শেন ওয়ার্নের মৃত্যু কথা শুনে একেবারে স্তব্ধ এবং হতাশ। বিশ্বাস করতে পারছি না।’
শেন ওয়ার্ন তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ১৯৯২ সালে। আর সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০০৭ সালে।
ওয়ার্নের ম্যানেজমেন্ট সংস্থা জানিয়েছে, পরিবার এ সময়ে গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ জানিয়েছে এবং বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
ওয়ার্ন ১৪৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৭০৮টি উইকেট নিয়েছেন, যা টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এছাড়া ১৯৪ ওয়ানডেতে তিনি ২৯৩ উইকেট নিয়েছিলেন।
পড়ুন: টাইগারদের নতুন বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড
কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন আর নেই
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন আর নেই। হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে তার ম্যানেজমেন্ট সংস্থা জানিয়েছে।
শেন ওয়ার্নকে সর্বকালের সেরা লেগ স্পিনার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।
ওয়ার্নের ম্যানেজমেন্ট সংস্থা জানিয়েছে, সাবেক অস্ট্রেলিয়ান এই ক্রিকেটারকে থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। চিকিৎসারা তাঁকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও আর ফেরানো যায়নি।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পরিবার এ সময়ে গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ জানিয়েছে এবং বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
ওয়ার্ন ১৪৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৭০৮টি উইকেট নিয়েছেন, যা টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এছাড়া ১৯৪ ওয়ানডেতে তিনি ২৯৩ উইকেট নিয়েছেন।
শেন ওয়ার্ন তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ১৯৯২ সালে। আর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ম্যাচ খেলেছেন ২০০৭ সালে। তবে ২০১৩ সালে সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেয়া পর্যন্ত তিনি টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যান।
পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬১ রানের জয় পেল বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ায় আইসিটি খাতে বাংলাদেশিদের চাকরির সুযোগ
অস্ট্রেলিয়ায় আইসিটি খাতে বাংলাদেশিদের নিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ওভারসীজ ইমপ্লেয়মেন্ট সার্ভিস লিমিটেড (বোয়েসেল) ও অস্ট্রেলিয়া কোম্পানি স্টারনিংয়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিল্লাল হোসেন ও স্টারনিংয়ের অপারেশন ডিরেক্টর পল ইগান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী স্টারনিং অস্ট্রেলিয়ায় তাদের বিভিন্ন ক্লায়েন্ট কোম্পানির জন্য আইসিটি খাতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। আইসিটি খাতে স্টারনিংয়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে বোয়েসেল বাংলাদেশ থেকে যোগ্য প্রার্থী সরবরাহ করবে। আগামী তিন বছরের জন্য চুক্তির আওতায় পেশাদার আইসিটি ব্যক্তিরা অস্ট্রেলিয়ায় চাকুরির সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই্ চুক্তির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশি দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর পথ উন্মুক্ত হবে। আমরা এখন শুধুমাত্র আইসিটি সেক্টরের দক্ষ পেশাদারদের পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া আরও কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে যাতে অন্যান্য পেশার বাংলাদেশিদের অস্ট্রেলিয়াতে পাঠানো যায়।
স্টারনিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জোসেফ মেরজ বলেন, বাংলাদেশে অনেক দক্ষ আইটি পেশাদার রয়েছে। অস্ট্রেলিয়াতে দক্ষ আইটি পেশাদারদের যথেষ্ট ঘাটতি আছে। বাংলাদেশি দক্ষ পেশাজীবীরা এই ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করতে পারে।
কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম বলেন, অস্ট্রেলিয়ার কোন কোম্পানির সঙ্গে বোয়েসেলের এটাই প্রথম কোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি পেশাজীবীদের অস্ট্রেলিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সহজ হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের সংলাপ মঙ্গলবার
ভার্চুয়ালভাবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কনস্যুালেট, সিডনির কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম, বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরার কাউন্সেলর (শ্রম) মো. সালাহউদ্দিন, স্টারনিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোসেফ মেরজ ও বোয়েসেলের নির্বাহী ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুবুর রহমান, সহকারী মহা ব্যবস্থাপক নোমান চৌধুরি।
বৃহত্তর বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্কের দিকে দৃষ্টি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার
প্রধান বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রসার ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের উপায় বের করতে আলোচনা করেছে।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান দেশটির বাণিজ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগমন্ত্রী ড্যান তেহানের সঙ্গে একটি ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক করেছেন।
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আসন্ন সভা ক্যানবেরায় ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সভাকে সামনে রেখে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টের (টিফা) অধীনে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপটি গঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতায় সন্তুষ্ট সিঙ্গাপুর, সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের অবকাঠামো, আইটি, মাইনিং ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে দেশটির ব্যবসার জন্য প্রধান প্রধান সুযোগ চিহ্নিত করতে একাধিক গবেষণার অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছে।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগের উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান এবং মন্ত্রীর উপদেষ্টা লাচলান স্মিথ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস আরব আমিরাতের
বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতের নতুন সুযোগের দিকে দৃষ্টি অস্ট্রেলিয়ার
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পৃক্ততা বাড়াতে এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতে নতুন সুযোগ কাজে লাগাতে ১০ দশমিক দুই মার্কিন ডলার বিনিয়গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
শুক্রবার অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আরও চার দশমিক তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এলএনজি সরবরাহ চেইন সম্পর্ককে সহায়তা করবে।
এছাড়া পাঁচ দশমিক আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার এ অঞ্চলে অস্ট্রেলীয় ব্যবসার জন্য অবকাঠামো বিনিয়োগের সুযোগ উন্নীত করবে।
আরও পড়ুন: কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা: প্রার্থীদের সতর্কভাবে আবেদনের পরামর্শ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মরিসন সরকার দক্ষিণ এশিয়ার বাজার বোঝার ক্ষেত্রে দেশটির সম্পদ এবং মাইনিং সরঞ্জাম, প্রযুক্তি ও পরিষেবার (এমইটিএস) উন্নয়নে চার দশমিক আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
সমুদ্র উপকূল ও দুর্যোগ প্রস্তুতিতে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা, বিনিয়োগ ও সংযুক্ততার সুযোগে সহযোগিতা করে অস্ট্রেলিয়া উত্তর-পূর্ব ভারত মহাসাগরে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে।
নৌপথ, দুর্যোগ সহনশীলতা ও তথ্য বিনিময়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ১১ দশমিক চার মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ পাঁচ বছরে অস্ট্রেলিয়া ৩৬ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে।
আরও পড়ুন: কর্মী পাঠনোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও গ্রিসের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা
ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও প্রাসঙ্গিক হবে। বাংলাদেশ পরবর্তী দশকে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ২০টি বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের মধ্যে স্থান করে নিতে চায়।
আগামী ৩১ জানুয়ারি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুই দেশের ব্যাপক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো যৌথভাবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে অধিক সম্পর্কযুক্ত হতে চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার উপলব্ধি এবং বাংলাদেশের প্রতি গুরুত্বের ধরন বদলেছে। ২০০৫ বা ২০১০ এর বাংলাদেশ থেকে আজকের বাংলাদেশের যে অনেক পরিবর্তন সে বিষয়টি গত তিন-চার বছরে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের সক্ষমতা খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি ।
তিনি বলেন, বিগত দশকগুলোতে বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত ছিল। কিন্তু সেসময় একটি দুর্যোগপ্রবণ ও সাহায্য-নির্ভর দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে মনে করা হতো। তাই বাংলাদেশকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উদীয়মান মধ্যম অর্থনীতি এবং আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে তুলে ধরার মাধ্যমে আমরা সে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছি।
অস্ট্রেলিয়ার দিক থেকে ধারণার ব্যাপক পরিবর্তনের কথা তুলে ধরে সুফিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার নতুন দৃষ্টিভঙ্গী সৃষ্টিতে গত তিন-চার বছর বাংলাদেশ মিশনের নিরন্তর প্রচেষ্টার সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।
তিন দশকের দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই কূটনীতিক বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট (টিফা) স্বাক্ষর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গত ১ বছরে বেশ কয়েকবার টেলিফোনে কথোপকথন এবং গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনের সময় অস্ট্রেলিয়ার পক্ষের উৎসাহে প্রধানমন্ত্রী মরিসনের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।
স্বাধীনতা অর্জনের পর দ্রুততম সময়ে ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন সরকার সেদেশের সকল রাজনৈতিক পক্ষের মতৈক্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সূত্রপাত ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশের স্বীকৃতির ফলে অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি ত্বরান্বিত হয়।
তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলাম ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা সফর করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সূচনা করেন। এপর্যন্ত গফ হুইটলাম গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রদূত এই দুই মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কথা স্মরণ করে বলেন, আমি মনে করি- জাতির পিতাকে হারিয়ে বাংলাদেশ যেমন পথ হারিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়ে, তেমনি ১৯৭৫ সালে গফ হুইটলামের সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যে দৃঢ় ভিত্তি রচিত হয়েছিল, পরবর্তীতে তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের পুনর্গঠন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা অব্যাহত থাকলেও দু’দেশের সম্পূর্ণ বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোর তুলনায় তা ছিল নগণ্য।
অস্ট্রেলিয়া ছাড়া নিউজিল্যান্ড ও ফিজিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, দুই দশক আগে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ায় শুল্কমুক্ত-কোটা মুক্ত বাজারের প্রবেশাধিকারের সিদ্ধান্তে পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হয়। তবে এক দশকে অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার রপ্তানি বৃদ্ধিসহ অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ - দ.কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি: ম্যালকম আর্নল্ড
ভালোবেসে এনজিও কর্মী হালিমা খাতুনকে বিয়ে করে খুলনা সোনাডাঙা আবাসিক এলাকায় গত ১৮ বছর ধরে বসবাসকারী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ম্যালকম আর্নল্ড জানালেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে থাকতে চান।
৭৬ বছর বয়সী ম্যালকম জানান, বাংলাদেশকে তার দ্বিতীয় জন্মভূমি বা মাতৃভূমি মনে হয়। এ দেশের মানুষ, প্রকৃতি ও সবুজের সমারোহ আর মানুষের আন্তরিকতায় তিনি মুগ্ধ।
তিনি বলেন, যতই দিন যাচ্ছে ততই এদেশের প্রতি আমার ভালোবাসা ও ভালোলাগা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইউএনবিকে তিনি জানান, পৃথিবীর অনেক দেশ সম্পর্কে তার ধারণা আছে। কিন্তু এদেশের মানুষের মত আপন করে নেয়ার ক্ষমতা ও আতিথেয়তা কোথাও পাওয়া যায় না।
২০০৪ সালে হালিমা খাতুনকে বিয়ে করেন ম্যালকম আর্নল্ড। এরপর কয়েকবার তিনি হালিমাকে নিয়ে অস্ট্রলিয়ায় গেলেও প্রতিবার কয়েকদিন থেকে আবারও ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের টানে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় যান ম্যালকম। এরপর করোনার কারণে আর যাওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ভালোবেসে ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশে যেভাবে জীবন কাটছে অস্ট্রেলিয়ার ম্যালকমের
হালিমা খাতুন জানালেন, প্রথম দিকে ম্যালকমের খাওয়ার অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে তা কেটে যায়। প্রথম দিকে শুধু ফাস্টফুড আর বিভিন্ন প্রকার ফল খেতেন ম্যালকম। তবে আস্তে আস্তে সে ভাত, রুটি, সবজি, মুরগির মাংসতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তবে তিনি খুব কম পরিমাণ ভাত খান, তবে রুটি খেতে খুব পছন্দ করেন। হঠাৎ করে তার হাটের সমস্যা দেখা দেয়ায়, এখন তিনি খুব বেছে বেছে খাবার খান। দুধ, আম, আপেল ও কমলা তার খুব প্রিয়।
ছবি আঁকতে বসলে তার আর কোনো দিকে খেয়াল থাকে না। কখন সকাল-দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে যায় তার খেয়াল থাকে না। সে সব রকম ছবি আঁকলেও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাকৃতিক দৃশ্য আকতে খুব ভালোবাসেন। ছবিগুলো তার সন্তানের মত। সেগুলো খুব যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করেন আর্নল্ড।
তার দুই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ম্যালকম। তার বড় মেয়ে নাকি (৫১) আর ছোট মেয়ে নাতাশা (৪৯) অস্ট্রেলিয়ায় ভালো আছেন।
বয়সের ভারে ম্যালকমের এখন হাঁটতে-চলতে অসুবিধা হয়। তারপরও তার মুখে হাসি লেগে থাকে।
তিনি জানান, ইউএনবিতে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর অনেকে তার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এজন্য তিনি ইউএনবিকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস থেকেও তার খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সবশেষে ম্যালকম জানান তার জীবনের একটা ইচ্ছা হলো, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ওপর তার অপ্রকাশিত গ্রন্থটি প্রকাশ করা।
আরও পড়ুন: খুলনার রাস্তায় পড়ে থাকা সেই বৃদ্ধের ঠাঁই হলো ঢাকার বৃদ্ধাশ্রমে