অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপদেশ অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বর্গ বলা যেতে পারে। বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ থাকে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা এবং জীবন যাত্রা উচ্চ মানের জন্য অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় এখানকার উচ্চশিক্ষা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। তাই এখানে পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একমাত্র মাধ্যম অস্ট্রেলিয়ার স্কলারশিপগুলো। এবারেরক ফিচারে বিস্তারিত আলোচনা হবে অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় নিয়ে।
অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ সমূহ
অস্ট্রেলিয়ার স্কলারশিপগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা স্কলারশিপ হচ্ছে সরকারি কার্যক্রমগুলো। বিগত দশক জুড়ে বাংলাদেশিরা যে সরকারি স্কলারশিপ অর্জনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে সেগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়ার সরকারি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম (এজিআরটিপি) এবং অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস।
প্রতি বছর কমনওয়েলথ ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং মাস্টার্স ও পিএইচডিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশিপ প্রদানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তহবিল দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও পরিচালিত হয়ে এজিআরটিপি স্কলারশিপগুলো। এই স্কলারশিপের আবেদনের সময় চলে প্রতি বছর নভেম্বর থেকে পরের বছরের আগস্ট পর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড্স কার্যক্রমটি পরিচালনা করে দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সাধারণত অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ স্কলারশিপ মাস্টার্স পর্যায়ের জন্য হলেও এটির জন্য ব্যাচেলর পর্যায়েও আবেদন করা যায়। এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন গ্রহণ প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চলে।
২০২১ সালে বাংলাদেশি আবেদনকারীদের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কাজে উন্নয়নমূলক বিষয় যেমন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও প্রশাসনিক বিষয়-এ স্নাতক শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কর্তৃক প্রদানকৃত স্কলারশিপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
→ এনডেভার পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ
আবেদনের সময়: জুলাই/আগস্ট থেকে নভেম্বর
→ জন অলরাইট ফেলোশিপ
আবেদনের সময়: ফেব্রুয়ারি থেকে জুন
→ ইউনিভার্সিটি অব সিডনি ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ স্কলারশিপ
আবেদনের সময়: সারা বছরই খোলা থাকে তবে ভিন্ন ভিন্ন ডেডলাইন ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়
→ ম্যাকোয়ারি ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ
আবেদনের সময়: সারা বছরই খোলা থাকে তবে ভিন্ন ভিন্ন ডেডলাইন ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়
→ ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ
আবেদনের সময়: সেপ্টেম্বরে শুরু হয় কিন্তু ডেডলাইন নির্ভর করে বাছাই করা কোর্সের উপর
→ এডিলেইড স্কলারশিপ ইন্টারন্যাশনাল
আবেদনের সময়: ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত
আরও পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
অস্ট্রেলিয়ার দুই রাজ্যে রেকর্ড করোনা শনাক্ত
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ও ভিক্টোরিয়া রাজ্যে মঙ্গলবার রেকর্ড করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
কুইন্সল্যান্ড রাজ্যে প্রথামবারের মতো এক হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার এক হাজার ১৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে ৪ হাজারের বেশি সক্রিয় রোগী রয়েছে, যার মধ্যে ২৫৭ জনের ওমিক্রন বলে জানা গেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইভেট ডি'আথ মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের পাঁচ দিন পর আর পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে না।
তিনি বলেন, ‘যে কেউ এখন পাঁচ দিনের পরীক্ষার জন্য লাইনে অপেক্ষা করছেন। এখন থেকে পাঁচ দিনের পর পরীক্ষা নেয়ার প্রয়োজন হবে না। সঠিকভাবে কাজ করার জন্য আমরা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা নিশ্চিত করেছি যে আমরা এটি একটি নিরাপদ এবং দায়িত্বশীল উপায়ে করেছি কিন্তু এখন থেকে এটি আর প্রযোজ্য নয়।’
এদিকে, ভিক্টোরিয়া রাজ্যে মঙ্গলবার রেকর্ড ২ হাজার ৭৩৮ জন শনাক্ত হয়েছে, যা অক্টোবরের মাঝামঝিতে আগের সর্বোচ্চ ২ হাজার ২৯৭ জন ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসে শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। রাজ্যে মঙ্গলবার ৬ হাজার ৬২ জন নতুন আক্রান্তের খবর জানা গেছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩২৪ জন।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সৌরভ গাঙ্গুলি
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৪ লাখ ছাড়িয়েছে
অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রনে প্রথম রোগীর মৃত্যু
অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রনে প্রথম রোগীর মৃত্যু
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসে সোমবার করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাজ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
নিহত ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তি সিডনির বাসিন্দা। তিনি করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তবে তার স্বাস্থ্যগত অনেক জটিলতা ছিল।
নিউ সাউথ ওয়েলসে সোমবার ৬ হাজার ৩২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, যা আগের দিনের রেকর্ড ৭০ জনের চেয়ে কম। তাদের মধ্যে ৫৫ জন ইনসেনটিভ কেয়ারেসহ মোট ৫২৪ জন হাসপাতালে রয়েছেন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য সরকার সোমবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এতে রয়েছে বার এবং রেস্তোরাঁয় দুজনের মধ্যে প্রতি ২ বর্গ মিটারের (২২ বর্গ ফুট) দুরত্ব থাকা এবং আতিথেয়তা স্থানগুলোতে কিউআর কোড সহ ‘চেক-ইন’ বাধ্যতামূলক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রাড হ্যাজার্ড বলেন, রাজ্য সরকার কর্মী স্বল্পতার কারণে করোনার সংস্পর্শে আসার পরে স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসোলেশনের প্রয়োজনীয়তা তুলে নেয়ার কথা বিবেচনা করছে।
এদিকে, সোমবার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১ হাজার ৯৯৯ জন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৮ কোটি ছুঁইছুঁই
করোনা মহামারির মধ্যে উদযাপিত হচ্ছে আরেকটি বড়দিন
ভালোবেসে ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশে যেভাবে জীবন কাটছে অস্ট্রেলিয়ার ম্যালকমের
বাংলাদেশের মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করে খুলনায় নিরবে নিভৃতে জীবন যাপন করছেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক চিত্র শিল্পী ম্যালকম আর্নল্ড।
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের অ্যাডিলেডের বাসিন্দা ম্যালকম আর্নল্ডের বাবার নাম মোস্টন আর্নল্ড ও মায়ের নাম সেলিউয়া আর্নল্ড। অস্ট্রেলিয়ায় তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তার। তবে তার প্রথম স্ত্রী অনেক আগেই তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বর্তমানে ভালোবেসে এনজিও কর্মী হালিমা বেগমকে বিয়ে করে খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত বসবাস করছেন ম্যালকম।
৭৪ বছর বয়সী ম্যালকম মূলত একজন চিত্র শিল্পী। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি ছবি আঁকার সঙ্গে জড়িত, ছবি বিক্রি করেই তার সংসার চলে। তার প্রতিটি ছবি পাঁচ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। অনলাইনের মাধ্যমেও তিনি ছবি বিক্রির অর্ডার পেতেন।
কিন্তু গত দু’বছর করোনার সময়ে ছবি বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তিনি অভাব অনটনে পড়েন ম্যালকম। এছাড়া তার হাটে ব্লক ধরা পড়েছে, ঠিক মতো দাঁড়াতে ও হাঁটতেও পারেন না।
অস্ট্রেলিয়ায় তার সব কিছু থাকলেও তিনি আর সেখানে ফিরে যেতে চান না। বাংলাদেশের জন্য রয়েছে তার অকৃত্রিম ভালোবাসা। যতদিন বাঁচবেন, এই দেশেই থাকতে চান তিনি। তবে তার ভিসার মেয়াদ আছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: খুলনার রাস্তায় পড়ে থাকা সেই বৃদ্ধের ঠাঁই হলো ঢাকার বৃদ্ধাশ্রমে
অস্ট্রেলিয়ায় বঙ্গবন্ধু ও গফ হুইটলামের জীবন ও কর্মের ওপর সেমিনার
দু’জন সমসাময়িক কিংবদন্তী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড গফ হুইটলামের জীবন, কর্ম ও রাজনৈতিক আদর্শের ওপর অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হুইটলাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা ও কনস্যুলেট জেনারেল সিডনি যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
হুইটলাম ইনস্টিটিউটে মাসব্যাপী গফ হুইটলাম এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে, যা জানুয়ারি পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পিটার শেরগোল্ডের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন। সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যারেথ ইভানস স্বাগত বক্তব্য দেন। এছাড়া ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর বার্নে গ্লোভার মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা
এসময় বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগ এবং এক্ষেত্রে তাঁর পররাষ্ট্রনীতির অবদানের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবিকতা, বন্ধুত্ব এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিষয়ক বঙ্গবন্ধু যে বার্তা দিয়ে গেছেন তার মাধ্যমে সমসাময়িক বিশ্বের অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পালন এবং দু’নেতার জীবন ও কর্ম উদযাপনের মাধ্যমে দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি দু’দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পারিক ঘনিষ্ঠতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যারেথ ইভানস বলেন, বঙ্গবন্ধু ও হুইটলামের পারস্পারিক যোগাযোগ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংসদীয় গণতন্ত্র দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শক্তিশালী ভিত্তি। এ দুই নেতার চিন্তাচেতনা ও প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্বারোপ করে ভবিষ্যতে দুই দেশ উন্নয়ন ও বাণিজ্যের উর্ধ্বে নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক বিষয়েও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে তথ্যমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এবং অস্ট্রেলিয়ার মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার জেনি হকিং মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও সমসাময়িক বিশ্ব এবং অধ্যাপক জেনি হকিং উন্নয়নশীল বিশ্বের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক স্থাপনে হুইটলামের অবদানের ওপর আলোচনা করেন। শান্তিপূর্ণ ভারতীয় মহাদেশীয় এলাকা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রতিষ্ঠায় মহান এ দু’নেতার অঙ্গীকারের বিষয়ে তাঁরা আলোকপাত করেন। জেনি হকিং স্মরণ করেন কিভাবে জনগণের মঙ্গলার্থে বঙ্গবন্ধু ও হুইটলাম তাঁদের সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন।
বঙ্গবন্ধু ও হুইটলামের স্বপ্ন ও দূরদর্শিতা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিবিধ সংস্কার ও অবদানের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার সুফিউর রহমান এ মহান দুই নেতার বিষয়ে ও বাংলাদেশ বিষয়ে অধিক অধ্যয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় প্যানেল আলোচনায় আলোচকরা এ দুই নেতার চিন্তা ও দুরদর্শিতার প্রশংসা করে বলেন,এ দুই বিশ্বনেতা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উদ্যোগ ও নীতি গ্রহণ করেন। বিভিন্ন দেশের পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়ন, শান্তি ও মঙ্গল নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ও দুই নেতার প্রয়াসের ওপর তাঁরা আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিডনিতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মাসুদুল আলম।
আরও পড়ুন: কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র’ উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর
ঢাকায় পৌঁছেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল।
২০১৫ সালের পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজে পাকিস্তানের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল দুবাই থেকে সরাসরি ঢাকায় আসছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে সবগুলো ম্যাচ জয়লাভ করেছিল পাকিস্তান। তবে ১১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাঁচ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করে।
আগামী ১৯ নভেম্বর দু’দলের মধ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ যথাক্রমে ২০ ও ২২ নভেম্বর হওয়ার কথা রয়েছে। সবগুলো ম্যাচই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকায় আসছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল
টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ২৬ নভেম্বর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দু’দলের মধ্যে প্রথম টেস্ট শুরু হবে। ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।
এই সিরিজের জন্য এখনও দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ড স্কোয়াডে বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তান স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), সাদাব খান, আসিফ আলী, ফখর জামান, হায়দার আলি, হারিস রউফ, হাসান আলি, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সরফরাজ আহমেদ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, শাহনওয়াজ দাহানি, শোয়েব মালিক, উসমান কাদির।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ১৭৭ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া
বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরল টাইগাররা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ১৭৭ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ফখর জামানের ফিফটির ওপর ভর করে পাকিস্তান ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করেছে।
এর আগে টসে জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তান প্রথম ১০ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৭১ রান করে। গত পাঁচ ম্যাচে চারটি অর্ধশতক করা অধিনায়ক বাবর আজম ৩৪ বলে ৩৯ রান করেন।
অ্যাডাম জাম্পার বলে বাবর ক্যাচ আউট হওয়ার আগে পাকিস্তান কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান করে। বিশ্বকাপে পাকিস্তান পাওয়ারপ্লেতে মাত্র দুইবার উইকেট হারিয়েছে।
মোহাম্মদ রিজওয়ান এই ম্যাচে ৪১ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন। এই বিশ্বকাপে এটি ছিল রিজওয়ানের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। সেই সাথে, ইতিহাসের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক বর্ষপঞ্জিকায় ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করছেন রিজওয়ান।
তিন চার ও চারটি ছক্কায় ৫২ বলে ৬৭ রানে মিচেল স্টার্কের বলে রিজওয়ান ঝড় থামে।
রিজওয়ান আউট হওয়ার পরের ওভারে প্যাট কামিন্সের বলে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন আসিফ আলী।
কামিন্সের করা ১৯তম ওভারে পাকিস্তান মাত্র তিন রান তুলতে সক্ষম হয়। ফখর জামান শেষ ওভারের চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে দুটি ছক্কা মারেন। ২০ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৭৬ রান।
শেষ ওভারে দুই ছক্কা হাকিয়ে ফখর ফিফটি পূর্ণ করেন এবং ৩২ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মিচেল স্টার্ক দুটি এবং কামিন্স ও জাম্পা একটি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ রাহুল দ্রাবিড়
ক্ষুদে ক্রিকেটার সাদিদের দায়িত্ব নিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসক
বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে ৭৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০২১ এ নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
সুপার টুয়েলভে কোয়ালিফাই রাউন্ডে এর আগের চারটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ ।
সুপার টুয়েলভের আগে টাইগাররা ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিরুদ্ধে দুই ম্যাচে জয়লাভ করে।
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে নাসুম আহমেদের জায়গায় জায়গা করে নিয়েছে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশের একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সোম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম,মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসাইন, শামিম হোসাইন, মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়ার একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারোন ফিন্স, মিশেল মার্স, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টোয়িন্স, ম্যাথিউ হেডেন,প্যাট কমিন্স, মিশেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জোস হ্যাজেলহুড।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ রাহুল দ্রাবিড়
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের পাশে নবী
জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জলবায়ু সহনশীলতা নির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার কপ-২৬ এর সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ বার্তা দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।’
তিনি বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রীই দু’দেশের মাঝে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন এবং তারা প্রধানত জলবায়ু সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দেন।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বিশেষ করে জলবায়ু সহনশীলতা গড়া ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ভালনারেবল দেশ এবং অস্ট্রেলিয়াও বিভিন্ন চরম জলবায়ু দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিরুদ্ধে সহনশীলতা গড়তে উভয় দেশ নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশকে একটানা সহযোগিতা করে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ দেন তিনি।
২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী বাংলাদেশ
গ্লাসগো থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
মালয়েশিয়া বাংলাদেশে পাম অয়েলের মূল্য সংযোজন শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী
জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য দেশটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি সাপ্লাই চেইন কর্মসূচি পরিচালনা করবে এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বলানিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করবে যা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি বিনিয়োগ রোডম্যাপের আওতায় অস্ট্রেলিয়া ‘নিম্ন নিঃসরণ প্রযুক্তি স্টেটম্যান্ট’ প্রকাশ করেছে এবং এ খাতে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
অস্ট্রেলিয়া একটি বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তার বিবেচনা করবে জানিয়ে দেশটির হাইকমিশনার বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অস্ট্রেলিয়া নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্ববান অংশীদার।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ‘সোনালী’ সুযোগ দেখছেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার