দেশ
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু দেশের জন্য নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনার সরকারের প্রয়োজন আছে। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে অপতৎপরতা চলছে। একটি মহল অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে এ অঞ্চলে প্রক্সি যুদ্ধ করার চক্রান্ত করছে। শেখ হাসিনা থাকলে এটা হবেনা।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ইউক্রেনে প্রক্সি যুদ্ধের কারণে ইউরোপের সব দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সারা ইউরোপ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কাজেই আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা কোনভাবেই নষ্ট করা যাবেনা। এজন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে তরুণ, শিক্ষার্থীদেরকে সজাগ, সাবধান থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইমাদুর হোসেইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন।
সোমবার সকালে সিলেট নগরীর নয়াসড়কে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
এরপর তিনি সকাল সাড়ে ১১ টায় নয়াসড়কের প্রেসবিটারিয়ান চার্চে কেক কাটার মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি আমাদের সবার। তাই সব শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বড়দিন উদযাপনের আনন্দ মানুষের মধ্যে যেন সত্যিকার মানবতাকে জাগ্রত করে; মহামানব যিশু যে প্রেম, শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা প্রচার করেছেন, তার যথার্থ প্রতিফলন যেন সবার জীবনে ঘটে।
ড. মোমেন আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মেরই মূল বাণী মানবতা। বড়দিন উপলক্ষে যে প্রেম, প্রীতি ও শান্তির বাণী প্রচার করা হয় তার মূলে রয়েছে মানবতা। কোনো ধর্মই এ বোধ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বড়দিন মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। দেশের সকল মানুষ ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে একাত্ম হবে-এ আশা বড়দিনে।
এ সময় প্রেসবিটারিয়ান চার্চের পাস্টার ফিলিপ বিশ্বাস ও ডিকন নিঝুম সাংমা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আগত অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বড়দিনে সমাগত সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামন চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, সহসভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিসিক কাউন্সিলর আব্দুল মোহিত জাবেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
দেশে আরও ১১ জন করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
দেশে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ১১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৬ হাজার ২১৮ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯০১ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ১০ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
দেশে আরও ৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৪০ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে আরও ১৪০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ১১৩ জন লিবিয়ার দারনা শহরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৭জন বেনগাজীর গানফুদা বন্দিশালায় আটক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৬টায় দেশে ফেরেন তারা।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এই লক্ষ্যে দূতাবাসের টিম একাধিকবার দারনা শহর সফর করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
এছাড়া, দূতাবাসের পক্ষ থেকে দারনা ও আল-বাইদা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জরুরি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
তবে দারনা শহরে বন্যাকবলিত প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ বৈধ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে দেশে প্রত্যাবাসনে কিছুটা বিলম্ব হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানান।
এসময় আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৫ হাজার ৯১৯ টাকা এবং কিছু খাবার উপহার দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান বিমানবন্দরে ফিরে আসা অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বেনগাজীর গানফুদা বন্দিশালায় আটক অভিবাসীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর লিবিয়াতে তাদের ভংঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএমের সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ত্রিপলি ও বেনগাজীর বন্দিশালায় আটকসহ বিপদগ্রস্থ মোট ৯৭৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
খুব শিগগিরই অনিয়মিত সব বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে আরও ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশি-বিদেশি সংস্থার পাশাপাশি ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি ও আরব লীগ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে।
তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় অনেক শঙ্কা-আশঙ্কার কথা অনেকে ব্যক্ত করেছিল। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবে কি না- সে নিয়েও নানাজনের নানা মত ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, অনেক দেশ থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসার আগ্রহ জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশি-বিদেশি সংস্থার পাশাপাশি ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি ও আরব লীগ পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। অর্থাৎ সবসময় যেভাবে পর্যবেক্ষকরা আসে ঠিক একইভাবেই পর্যবেক্ষকরা আসবে। এতেই প্রমাণ হয় দেশে নির্বাচনী ঢেউ বয়ে যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চীনে আঞ্চলিক ও দেশীয় অধ্যয়নের উন্নয়ন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগ্রহ প্রমাণ করে দেশে একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবং তাদের আগমন ভালো নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে দোলাচলের মধ্যে ছিল, তারাও এখন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ, সুন্দর, ভালো নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক।’
নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালীভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত বলিষ্ঠ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন থানার ওসিদের বদলি, ইউএনওদের বদলি এমন কী ডিসি বদলি করছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন যে, পরিপূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে সেটিই প্রমাণ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সব সহায়তা করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন; যাতে করে স্বচ্ছ, সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’
নির্বাচনে গণমাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমে নির্বাচনী খবরাখবর প্রচার করলে উৎসবের মাত্রা আরও বাড়বে। নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৪ জন, মৃত্যু নেই
দেশে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে চার জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৩ জন, মৃত্যু নেই
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন চার জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৩ হাজার ৭৭৫ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৭
দেশে করোনায় আক্রান্ত ৫ জন, মৃত্যু নেই
দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২৯তম অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, সেই ভাষণে- বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সব নেতৃত্বের প্রতি সব সম্পদ, কারিগরি জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সবার জন্য সঠিক ও সমান ব্যবহার এবং প্রয়োগের মাধ্যমে মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করার উপর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
রবিবার (১৯ নভেম্বর) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি (আইডিয়া) ফ্লোরে এটুআই এর উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অংশীজনদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় উপদেশ, পরামর্শ, সুপারিশ, লিখিত ও মৌখিক প্রস্তাব প্রদান শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দক্ষ মানবসম্পদ, সবার জন্য সুলভমূল্যে ইন্টারনেট, প্রযুক্তিনির্ভর সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং আইসিটি শিল্পের বিকাশ ঘটানো; এই চারটি মূল লক্ষ্যে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর ২০২২ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ এ চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। স্মার্ট বাংলাদেশের এ চার পিলার নির্ধারণ করে দিয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে, তা এ চার স্তম্ভের কথা চিন্তা করলেই বোঝা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে একজন স্মার্ট নাগরিক হবে- বুদ্ধিদীপ্ত, দক্ষ, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক এবং সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী মানসিকতা সম্পন্ন।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, সার্কুলার, উদ্যোক্তামুখী, গবেষণা ও উদ্ভাবন নির্ভর এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। স্মার্ট সরকার হবে নাগরিককেন্দ্রিক, আরও বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট সরকার-ব্যবস্থায় সব ধরনের সেবা প্রদান ও কার্যসম্পাদন করা হবে- কাগজবিহীন, ডেটানির্ভর, আন্তঃসংযুক্ত, আন্তঃচালিত, সমন্বিত এবং স্বয়ংক্রিয়, অর্থাৎ যখন যেখানে দরকার, সেখানেই থাকবে সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা হবে সব ধরনের বৈষম্যবিহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ও সহনশীল, সমাজ হবে উন্নত, নিরাপদ ও টেকসই।
আরও পড়ুন: টোকিওতে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেমিনার
দেশে করোনায় আক্রান্ত ৪জন, মৃত্যু নেই
দেশে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৬ হাজার ১৮ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আক্রান্ত আরও ৬ জন, মৃত্যু নেই
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৩ হাজার ৭১৩ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আক্রান্ত আরও ৫ জন, মৃত্যু নেই
সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
ঢাকা, ১৭ নভেম্বর (ইউএনবি)-
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের সাধারণ পরিষদ-২০২৩-এ যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সফরকালে তিনি কমনওয়েলথ গেমস অ্যাসোসিয়েশন (সিজিএ) বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের (সিজিএফ) সাধারণ পরিষদ-২০২৩-এ অংশ নেন।
সাধারণ পরিষদে সেনাপ্রধান কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের (সিজিএফ) সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেন।
সেনাবাহিনী প্রধান সেখানে অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্কশপ অ্যান্ড রিজিওনাল মিটিং' এবং 'প্রেজেন্টেশন অ্যান্ড প্রি-অ্যাসেম্বলি ডিসকাশন'-এ অংশ নেন।
তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্রীড়া উন্নয়ন ইস্যুতে মতবিনিময় করেন।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের অ্যাসেম্বলিতে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: এয়ার মার্শালের র্যাংক ব্যাজে সজ্জিত বিমান বাহিনী প্রধান
সাধারণ পরিষদে সেনাপ্রধান কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের (সিজিএফ) সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেন।
সেনাবাহিনী প্রধান সেখানে অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্কশপ অ্যান্ড রিজিওনাল মিটিং' এবং 'প্রেজেন্টেশন অ্যান্ড প্রি-অ্যাসেম্বলি ডিসকাশন'-এ অংশ নেন।
তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্রীড়া উন্নয়ন ইস্যুতে মতবিনিময় করেন।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের অ্যাসেম্বলিতে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন বিমান বাহিনী প্রধান
বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত। এখন তারা ফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার গাঙ্গর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনগণ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় তিনি আগুন সন্ত্রাস না করে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করে বিএনপি। চক্রান্তকারীরা বিএনপির-জামায়াত সরকারের রাষ্ট্রীয় সহায়তা পেয়েছিল।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার শুধু মূল সড়কের উন্নয়ন করেনি, মানুষের ঘরে প্রবেশের রাস্তাও এখন পাঁকা। এছাড়া দেশের উন্নয়ন হয়েছে বলে এখন গ্রামে আর ভিক্ষুক দেখতে পাওয়া যায় না।
তিরি বলেন, এ অঞ্চলে বিধবা কিংবা অসহায় মায়েরা একসময় দল বেধে ভিক্ষা করতেন। সেই দৃশ্য আর দেখতে হয় না। অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সরকার। ভবিষ্যতে ভাতাভোগীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ সরকারের নানা সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগী। ভাতা দেওয়ার আগে কে কোন দল করেন সেটি দেখা হয়নি।
তিনি বলেন, গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, বিধবা ভাতা, ১৫ টাকা কেজি চাল দিচ্ছে। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে বিনা পয়সায় ২৮ রকমের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর ফলে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে।
নওগাঁর প্রতিটি উপজেলায় উন্নয়ন হয়েছে এবং কিছু কাজ অসমাপ্ত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকার ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নওগাঁর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এলাকায় কোনো রাস্তাঘাট কাঁচা থাকবে না।
রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র মুণ্ডার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন-নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন এবং নিয়ামতপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাদিরা বেগম।
আরও পড়ুন: অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের সর্বশেষ অবরোধে সারা দেশে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
‘অরোরা বোরিয়ালিস’ বা ‘উত্তরের আলো’ দেখার সেরা ১০টি দেশ
নর্দার্ন লাইটস (উত্তরের আলো) বা অরোরা বোরিয়ালিস পৃথিবীর সবচেয়ে অনন্য প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। পৃথিবীর অনেক মানুষেরই সবুজ কিংবা নিয়ন আকাশের নিচে শুভ্র তুষারের ওপর রাত কাটানোর স্বপ্ন রয়েছে।
যদিও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা প্রতি বছর উত্তরের আলো দেখতে পাওয়ার মতো ভাগ্যবান, তবে পৃথিবীর বাকি অংশের মানুষের জন্য এটি জীবনের অনন্য এক অভিজ্ঞতা।
প্রাকৃতিক এই আলোকে পৃথিবীর সবচেয়ে মনোরম আলো বললেও ভুল হবে না।
নর্দার্ন লাইটস/অরোরা বোরিয়ালিস/উত্তরের আলো কী?
অরোরা বোরিয়ালিস হলো অরোরা পোলারিস-এর উত্তরীয় সংস্করণ। এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। সূর্য থেকে বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণা (প্রোটন ও ইলেকট্রন) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্যাসের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন তারা একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ডিসপ্লে তৈরি করে, যা আকাশে দেখা যায়।
অর্থাৎ, পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো উচ্চশক্তিসম্পন্ন অবস্থায় স্থানান্তরিত হয় এবং যখন ইলেকট্রনগুলো নিম্নশক্তির অবস্থায় ফিরে আসে, তখন তারা একটি ফোটন ছেড়ে দেয়, যা আমাদের কাছে আলোর মতো দেখায়।
আলোর পরিমাণ মূলত আগত কণার সংখ্যা এবং তাদের শক্তির উপর নির্ভর করে।
উত্তর গোলার্ধের মেরু আলো উত্তরের আলো বা অরোরা বোরিয়ালিস এবং দক্ষিণ অক্ষাংশে মেরু আলোকে দক্ষিণের আলো বা অরোরা অস্ট্রালিস নামে পরিচিত।
এই আলোর মধ্যে সাধারণত সবুজ, গোলাপি, সাদা, লাল ও হলুদ রং মিশে থাকে।
ভোরের রোমান দেবীর নামানুসারে অরোরা বোরিয়ালিস ইতিহাসে শত শত বছর ধরে প্রশংসিত হয়েছে।
অরোরা দেখার সেরা জায়গা কোথায়?
পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি সৌর কণাকে চৌম্বকীয় করে উত্তর ও দক্ষিণ চৌম্বকীয় (ভূ-চৌম্বকীয়) মেরুগুলোর চারপাশের মেরু অঞ্চলে যেখানে ক্ষেত্রটি সবচেয়ে শক্তিশালী। এইভাবে, সংঘর্ষের সংখ্যা ও আলো নির্গমন চৌম্বকীয় মেরুগুলোর কাছাকাছি বেশি।
চৌম্বক মেরুগুলো চৌম্বক অক্ষের শেষ প্রান্তে এবং কাছাকাছি অবস্থিত, কিন্তু ঠিক ভৌগলিক মেরুতে নয়।
অর্থাৎ, অক্ষাংশ যত বেশি হবে উত্তরের আলো দেখার সম্ভাবনা তত বেশি এবং পৃথিবীর যত উত্তর বা দক্ষিণে যাওয়া যায়, তত উজ্জ্বল মেরু আলো দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক অরোরা দেখা যায় এমন ১০টি দেশের নাম।
১. আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডে উত্তরের আলো দেখার সেরা সময় সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। রাতগুলো তখন উত্তরের আলো দেখার জন্য আদর্শ থাকে।
আইসল্যান্ডে শীতকালে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টা দিনের আলো থাকে। আইসল্যান্ডে এ সময়কালে শেষ বিকাল থেকে পরের দিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত উত্তরের আলো দেখার অফুরন্ত সুযোগ পাওয়া যায়।
শীতের মাঝামাঝি সময়ে এখানে আসার আরেকটি সুবিধা হলো এসময় পুরো আইসল্যান্ড বরফের চাদরে ঢেকে থাকে। তাই সেসময় এখানে স্ফটিক নীল বরফের গুহাগুলো অন্বেষণ করা যায়, যা বিশ্বব্যাপী শুধুমাত্র কয়েকটি জায়গায় পাওয়া যায়।
যদিও শহুরে কৃত্তিম আলো প্রাকৃতিক দৃশ্যমানতাকে বাধা দেয়, তবে মাঝে মাঝে আইসল্যান্ডের রেকজাভিকের শহরের কেন্দ্র থেকেও উত্তরের আলো দেখা যায়।
আইসল্যান্ডে উত্তরের আলো দেখার জন্য এখানে কিছু সেরা জায়গা রয়েছে: ওয়েস্টফজর্ডস, জোকুলসারলোন হিমবাহ লেগুন, ভিক উত্তর আইসল্যান্ড, দক্ষিণ আইসল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি