টিকা সরবরাহ
দেশে করোনায় মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়াল
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৯৫ জন মারা গেছে। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ হাজার ৪৬ জনে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে আরও ৬ হাজার ৭৮০ জনের। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জনে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৮২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় শনাক্তের হার শতকরা ৩২.৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ। সুস্থতার হার বেড়ে ৮৫.৬৯ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে ৬৮ জন, চট্টগ্রামে ৩৬ জন, খুলনায় ৪১ জন, রংপুরে ১৬ জন, বরিশালে ৫ জন, সিলেটে একজন, রাজশাহীতে ১৮ জন এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
পড়ুন: জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আড়াই লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
বিশ্ব পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ফলে পুরো বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ১০৫ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ কোটি ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৬২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩৭৮ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৩ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৫৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১০ হাজার ৭২০ জন।
পড়ুন: চীন থেকে ২৬ বা ২৭ জুলাই সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা আসবে
বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু প্রায় সাড়ে ৪১ লাখ
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার ৪৪৩ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৬২ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৭০ জনে।
শিগগিরই বাংলাদেশ টিকা উৎপাদনে যাচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে যাচ্ছে বলে শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন।
জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি যৌথভাবে উৎপাদন করা হবে। তারা (অংশীদার দেশগুলো) আমাদের বাল্ক মেডিসিন পাঠাবে, আমাদের এখানে বোতলজাত ও লেভেলিং করা হবে।’
ড. মোমেন বলেন, যে দেশগুলো যৌথভাবে উৎপাদনে টিকা উৎপাদন করছে তারা ভালো ফল পাচ্ছে।
এর আগে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় জাপান থেকে ক্যাথে প্যাসিফিকের একটি ফ্লাইটে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার টিকার ডোজ ঢাকায় পৌঁছে।
পড়ুন: আরও প্রায় আড়াই লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা আসছে
টিকার চালান এসে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন তা গ্রহণ করেন।
এ সম পররাষ্ট্র সচিবমাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড-১৯: বিশ্বব্যাপী মৃত্যু প্রায় ৪১ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ফলে পুরো বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫০ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩৬৪কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৮৪৩ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ২৯ হাজার ৯৪১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৯ হাজার ২৩১ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৬ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৪৫ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১১ লাখ ৪৪ হাজার ২২৯ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১০৮ জনে।
পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় একদিনে নতুন মৃত্যুর রেকর্ড ২৩১
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১২৫ জনে।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৩২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩১০ জনে।
এর আগে গত ১১ জুলাই করোনায় সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়।
পড়ুন: গাজীপুরে নিবন্ধন ছাড়াই পোশাক শ্রমিকদের টিকা দেয়া শুরু
করোনা মহামারির মধ্যেই হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২৫ জনের মৃত্যু এবং ১১ হাজার ৫৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ হাজার ১২টি। শনাক্তের হার ২৯.৫৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৬২ শতাংশ।
এদিকে, একদিনে আরও ৯ হাজার ৩৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছে ৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৩ জন, সুস্থতার হার ৮৪.২৫ শতাংশ।
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ছাড়াল
মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ফলে পুরো বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া একই সময়ে মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৮৮ হাজার ৩২৮ জনে পৌঁছেছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩৬১ কোটি ৯৯ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৫ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৯ হাজার ১৮ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪২ হাজার ২১৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭৪ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
পড়ুন: বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু!
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১১ লাখ ৬ হাজার ৬৫ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ৬০৯ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮৯৪ জনে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ হাজার ৫৭৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯ জনে।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০৪ জনের মৃত্যু এবং ৮ হাজার ৪৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
পড়ুন: করোনায় আরও ২২৫ মৃত্যু, শনাক্ত ১১ লাখ ছাড়াল
সেবামূলক প্রশাসন গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৮০৬টি। শনাক্তের হার ২৯.০৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৬২ শতাংশ।
এদিকে, একদিনে আরও ৮ হাজার ৮৪৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৮ জন, সুস্থতার হার ৮৪.৪২ শতাংশ।
করোনায় আরও ২২৫ মৃত্যু, শনাক্ত ১১ লাখ ছাড়াল
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮৯৪ জনে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ হাজার ৫৭৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯ জনে।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০৪ জনের মৃত্যু এবং ৮ হাজার ৪৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৮০৬টি। শনাক্তের হার ২৯.০৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৬২ শতাংশ।
পড়ুন: বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু!
এদিকে, একদিনে আরও ৮ হাজার ৮৪৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৮ জন, সুস্থতার হার ৮৪.৪২ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ফলে পুরো বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৮১ হাজার ৫৩৫ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৪ হাজার ২৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩৫৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৬ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৮ হাজার ৮৮১ জন।
পড়ুন: সেবামূলক প্রশাসন গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ছাড়াল
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার ২৬৬ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৮ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৯০৮ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ৯১ জনে।
টানা পঞ্চম দিনে দুই শতাধিক মৃত্যু, শনাক্ত ১২২৩৬
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে টানা পঞ্চম দিন দুই শতাধিক মৃত্যু দেখলো দেশ।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২২৬ জন নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২৭৮ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ২৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৪ জনে।
এর আগে বুধবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১০ জনের মৃত্যু এবং ১২ হাজার ৩৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৪১টি। শনাক্তের হার ২৭.২৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৬১ শতাংশ।
এদিকে, একদিনে আরও ৮ হাজার ৩৯৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছে ৯ লাখ ৫ হাজার ৮০৭ জন, সুস্থতার হার ৮৪.৫১ শতাংশ।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৮ কোটি ৮৩ লাখ
বিশ্ব পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে পুরো বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৫৭ হাজার ৬১ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৮৪ হাজার ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫১ হাজার ২৯৪ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৪৬ হাজার ২১৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৮ হাজার ১০৪ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৯ হাজার ৭২৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১১ হাজার ৪০৮ জনে।
পড়ুন: টিকা নেয়ার বয়স ১৮ বছর করার চিন্তা করছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীর সড়কে যানজট, যাত্রীদের ভোগান্তি
টিকা নেয়ার বয়স ১৮ বছর করার চিন্তা সরকারের
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের শিক্ষা কার্যক্রমকে পুনরায় গতিশীল করতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিককে ক্রমান্বয়ে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ আইসিইউ বেড সম্প্রসারণ ও আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকার আওতায় আনার ব্যাপারে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল নাগরিককে ক্রমান্বয়ে টিকার আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর রয়েছেন। বর্তমানে সরকারের হাতে ৪৫ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে যা গতকাল (১৪ জুলাই) থেকেই টিকা প্রদান কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে।
পড়ুন: সিনোফার্মের টিকা পাওয়া যাবে আগের চেয়ে কম দামে
তিনি বলেন, চীন থেকে আগেই ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরকার হাতে পেয়েছে। আরও দেড় কোটি ভ্যাকসিন প্রতি মাসেই দেশে আসতে থাকবে। পাশাপাশি অ্যাস্ট্রেজেনেকার ২৯ লাখ ডোজ বরাদ্দ রয়েছে। দেশে যারা প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তারা এই অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন থেকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে দেশে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ রাখার সক্ষমতা স্বাস্থ্যখাতের হাতে রয়েছে। সুতরাং বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন এনে তা ভালোভাবে রেখে বণ্টন করতে কোন সমস্যা হবে না।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নতুন করে আরও ২ হাজার চিকিৎসক ও ৪ হাজার নার্স নিয়োগের কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও চলমান রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢাকা মেডিকেলে নতুন করে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ১৩টি আইসিইউ বেড, একটি ডায়ালাইসিস সেন্টার ও ৪টি ভেন্টিলেটর স্থাপন বড় ভূমিকা রাখবে বলে জানান জাহিদ মালেক।
পড়ুন: টিকা নিয়ে ফেসবুকে ‘সুখবর’ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই আসছে ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ টিকা
স্বাস্থ্যখাতের সমালোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সমালোচনা হওয়া উচিৎ যারা স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তি করে তাদেরকে নিয়ে, যারা মুখে মাস্ক পরে না তাদেরকে নিয়ে। দেশে এখনো খাদ্যের অভাব নেই, শিল্প বন্ধ হয়নি, স্বাস্থ্যসেবা চলমান রয়েছে তাহলে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে কেন এতো চক্রান্ত? এই চক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর অর্জনকে ম্লান করার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক (ডা.) কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মাসুদ রানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দেশে করোনায় মৃত্যু ১৭ হাজার ছাড়াল
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১০ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫২ জনে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ৩৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৮ জনে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০৩ জনের মৃত্যু এবং ১২ হাজার ১৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ হাজার ৪৯০টি। শনাক্তের হার ২৯.১৪ শতাংশ। এই পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৬১ শতাংশ।
পড়ুন: করোনায় বরিশালে নতুন শনাক্ত ৫৩৩, মৃত্যু ১৯
এদিকে, একদিনে আরও ৮ হাজার ২৪৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছে আট লাখ ৯৭ হাজার ৪১২ জন, সুস্থতার হার ৮৪.৭০ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে পুরো বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৬ জন।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৬৪ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৯ লাখ ১৪ হাজার ৩৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৬৩ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮৩৮ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৩ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৯ লাখ ৭ হাজার ২৮২ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৮৪ জনে।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৪০ লাখ ৫০ হাজার ছাড়াল
ইবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ শুরু
যশোরে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে ১৭ মৃত্যু
যশোরে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও একই সময়ে ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৩১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ও সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. রেহনেওয়াজ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা রেডজোন ও ইয়েলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ জন ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন মারা গেছেন। বর্তমানে রেডজোনে ১৬২ জন ও ইয়েলো জোনে ৬৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে আর অপেক্ষা নয়: ইউনিসেফ-ইউনেস্কো
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ১৯৩ জন, কেশবপুরে ১২, ঝিকরগাছায় ৫, মনিরামপুরে ১৫, বাঘারপাড়ায় ১১, শার্শায় ১৩, অভয়নগরে ৪৫ ও চৌগাছা উপজেলায় ১৭ জন রয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৬১১ জন। সুস্থ হয়েছে ৯২৭০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। রোগীর চাপ থাকলেও তা সামাল দিতে সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: রামেকের করোনা ইউনিটে একদিনে ১৪ মৃত্যু
বাগেরহাটে করোনা ও উপসর্গে ৪ মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৬
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে আর অপেক্ষা নয়: ইউনিসেফ-ইউনেস্কো
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে এবং লাখ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ-ইউনেস্কো।
সোমবার ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ও ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ পর্যন্ত বিশ্বের ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ১৫ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এটা চলতে পারে না। বন্ধের ক্ষেত্রে স্কুলগুলো সবার শেষে এবং পুনরায় খোলার ক্ষেত্রে সবার আগে থাকা উচিত।’
এতে বলা হয়, ‘সংক্রমণ সীমিত পর্যায়ে রাখার প্রচেষ্টায় সরকারগুলো অনেক সময়ই স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং দীর্ঘকাল ধরে সেগুলো বন্ধ রেখেছে, এমনকি মহামারিজনিত পরিস্থিতি যখন এটা দাবি করে না তখনও। প্রায়শই এই ব্যবস্থাগুলো শেষ পদক্ষেপ হিসেবে নেয়ার বদলে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে নেয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হলেও বার ও রেস্তোরাঁগুলো খোলা ছিল।
স্কুলে যেতে না পারার কারণে শিশু এবং তরুণ জনগোষ্ঠী যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা হয়তো কখনোই পুষিয়ে নেয়া যাবে না। শেখার ক্ষতি, মানসিক সংকট, সহিংসতা ও নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়া থেকে শুরু করে স্কুল-ভিত্তিক খাবার ও টিকা না পাওয়া বা সামাজিক দক্ষতার বিকাশ কমে যাওয়া -শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তাদের শিক্ষাগত অর্জন এবং সামাজিক সম্পৃক্ততায় এর প্রভাব পরিলক্ষিত হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে: প্রধানমন্ত্রী
বিবৃতিতে বলা হয়, বাবা-মা এবং যত্নকারীদেরও সম পরিমাণ ক্ষতির ভার বইতে হচ্ছে। শিশুদের ঘরে থাকা বিশ্বজুড়ে বাবা-মায়েদের বাধ্য করছে তাদের চাকরি ছেড়ে দিতে, বিশেষ করে এমন দেশগুলোতে যেখানে পরিবারিক ছুটির নীতিমালা নেই বা সীমিত।
এ কারণেই ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য স্কুলগুলো পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে অপেক্ষা করা যায় না।
এটি সংক্রমণের ঘটনা শূন্যের কোঠায় যাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে পারে না। এটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, সংক্রমণের প্রধান চালিকাশক্তিগুলোর মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো নেই। এদিকে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশমন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে স্কুলগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি সামাল দেয়া সম্ভব। স্কুল খুলে দেয়া বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঝুঁকি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এবং যে কমিউনিটিতে স্কুল অবস্থিত সেখানকার মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেয়া উচিত।
তারা বলেন, স্কুলগুলো পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর টিকা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করা যায় না। বৈশ্বিক পর্যায়ে টিকা ঘাটতি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। এ অবস্থায় টিকাদানের ক্ষেত্রে সম্মুখ সারির কর্মী ও মারাত্নক অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার প্রদান অব্যাহত থাকবে। স্কুলে প্রবেশের আগে টিকাদান বাধ্যতামূলক না করাসহ সব স্কুলের উচিত যত দ্রুত সম্ভব ব্যক্তিগতভাবে স্কুলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো ৩১ জুলাই পর্যন্ত
আগামী ১৩ জুলাই অনুষ্ঠেয় গ্লোবাল এডুকেশন বৈঠককে সামনে রেখে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ও সরকারগুলোর প্রতি অনুরোধ জানাই, যাতে প্রজন্মগত বিপর্যয় এড়াতে নিরাপদে স্কুলগুলো খুলে দেয়াকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।