বিদেশি
বিদেশিরা বিএনপিকে সায় দেয়নি: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নেতারা ভেবেছিলেন বিদেশিরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। তাই তারা কিছুদিন বিদেশিদের পেছনে ঘুরেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে বিএনপি বিদেশিদের কাছ থেকে কোনো সায় পায়নি।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে ইতালিতে বসবাসরত দোহার-নবাবগঞ্জ প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে জনগণের কাছে তুলে ধরার কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে একটা পক্ষ আছে যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা চায় বাংলাদেশ আবারও পাকিস্তানের মতো হয়ে যাক।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়: সালমান এফ রহমান
সালমান এফ রহমান বলেন, বিএনপি বিভিন্ন উছিলায় ভোটে আসতে চায় না, তাদের দাবি মেনে না নিলে তারা নাকি দেশে ভোট হতে দেবে না। আমি তাদের উদ্দেশে বলছি, এটা সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার অধীনে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন হবে৷
২০০৯ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছিলো সেটা নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করেছিলো উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ইতালির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন এর মহাপরিচালক বাংলাদেশকে রোলমডেল উল্লেখ করে জানতে চেয়েছেন শেখ হাসিনা কিভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করছে। ইতালি সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এমন মন্তব্য করলে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষা ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার আহ্বান জানান।যাতে করে বাংলাদেশীরা দেশ থেকে ইতালি ভাষা শিখে দেশটিতে আসতে পারেন, এমন তথ্য জানিয়েছেন উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আরও বলেন, বর্তমান সরকার নতুন নতুন বিমান কিনছে আশা করা হচ্ছে রোম-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
আগামী মাসের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট দূর হয়ে যাবে: সালমান এফ রহমান
অন্য দেশে এমন ঘটনা ঘটলে বিদেশি মিশন কি বিবৃতি দেয়: মোমেন
হিরো আলমের বিষয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশন থেকে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, অন্য দেশে যখন এ ধরনের ঘটনা বা কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে তখন তো কিছু বলেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটি গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু বাংলাদেশে কিছু ঘটলে তারা শোরগোল করে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স বা অন্যান্য দেশে যখন একই ধরনের ঘটনা ঘটে তখন কেউ কিছু বলেন না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হলে এসব দেশ তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কিছু বলে কি না। বাংলাদেশি এক নাগরিকের নিহতের বিষয় উল্লেখ করে তিনি জানতে চান, সে বিষয়ে কী কেউ কিছু বলেছে? জাতিসংঘ বা রাষ্টদূতরা দল বেঁধে কী কোনো বিবৃতি দিয়েছেন?
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বিদেশি কূটনীতিকদের) জিজ্ঞাসা করুন। আপনারা কেন তাদের জিজ্ঞাসা করেন না? কেন তারা বিবৃতি দেন না?’
মোমেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে কারা এই (হিরো আলমের উপর হামলা) করেছে তা জানা দরকার। "আমরা জানি না। আপনারা কখনোই জানেন না... নির্বাচন বানচালের জন্য এই অপকর্মগুলো করা হয়।"
মোমেন বলেন, সাংবাদিকদের এটা খুঁজে বের করা উচিত। ‘আমাকে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দিন যে দেশগুলো তাদের নিজস্ব দেশে একই রকম ঘটনা ঘটলে এমন বিবৃতি জারি করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের বক্তব্য প্রকাশ বা সম্প্রচার বন্ধ করার সময় এসেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চান এবং সে কারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসছেন।
এর আগে ঢাকায় বিদেশি মিশন হিরো আলমের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের পূর্ণ তদন্ত ও জবাবদিহির আহ্বান জানিয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি মিশনগুলো বলেছে, “আমরা হিরো আলম নামে পরিচিত ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলমের উপর ১৭ জুলাই হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।”
ঢাকায় অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনগুলো বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনের সাথে জড়িত প্রত্যেকেরই নিশ্চিত করা উচিত যে তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: পূর্ণ তদন্ত চেয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোর যৌথ বিবৃতি
যৌথ বিবৃতিতে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের দূতাবাস বা হাইকমিশনের কর্মকর্তারা স্বাক্ষর করেছেন। এ ছাড়া হিরো আলমের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে জয়ী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হওয়ার মাত্র ২০ মিনিট আগে যা ঘটেছিল তা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
আরাফাত বলেন, ‘আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সংশ্লিষ্ট দলগুলো আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারেনি। এটা নির্বাচনকে নষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম গত ১৭ জুলাই বনানী এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন।
আরও পড়ুন: 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
নির্বাচনী সংলাপ নিয়ে কোনো বিদেশি চাপ নেই: তথ্যমন্ত্রী
জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের জন্য কোনো বিদেশি সংস্থা কোনো চাপ দেয়নি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবরা এবং অন্য কিছু ব্যক্তিবিশেষ সংলাপ চাচ্ছে। সংলাপ নিয়ে বিদেশিরা আমাদের কাউকে কোনো তাগাদা দেয়নি।’
রবিবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি হালে পানি পায়নি: তথ্যমন্ত্রী
এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিও তো সংলাপের কথা বলছে না। তারা-তো বলছে না যে আমাদের সঙ্গে সংলাপ করতে চায়। এটা কারা বলছে, সেটা আপনারা কিছুটা জানেন, আমরাও জানি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১/১১ পরিবর্তনের পর যে ধরনের সরকার এসেছিল, সেই ধরনের সরকার আর কখনো চায় না। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইদানীং এক-এগারোর কুশীলবরা আবার সক্রিয় হয়েছে।
তারা নানা জায়াগায় প্রকাশ্যে-গোপনে বৈঠক করছে। বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে ধরনাও দিচ্ছে। এক-এগারোর কুশীলবরা সক্রিয় হয়ে নানা ধরনের প্রেসক্রিপশনও দেওয়া শুরু করেছে।
বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা যখন রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয় তখন সরকারি দল হিসেবে আমাদের একটা বাড়তি দায়িত্ব আছে।
তিনি বলেন, সরকারি দলের দায়িত্ব হলো দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, আগুন সন্ত্রাসীরা যাতে মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে না পারে তা নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যানারে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় সেক্ষেত্রে জনগণের সঙ্গে থাকা আমাদের দায়িত্ব।
শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ব্যবসায়ীরা, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশে শান্তি-স্থিতিশীলতা চাইবে সেটিই স্বাভাবিক। তাদের বক্তব্যে সেটি উঠে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, তারা জানে ও বোঝে যে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। দেশের অগ্রগতিও অব্যাহত থাকবে। সেটি অনুধাবন করতে পেরে শীর্ষ ব্যবসায়ীরা শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান বলে দৃঢ়ভাবে ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৭ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সভাপতি, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিনাপরোয়ানায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বাসভবন সুধাসদন তছনছ করা হয়েছিল এবং তার প্রয়াত স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সত্যিকার অর্থে এক-এগারো পরিবর্তনের পর যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল, তারা দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা গ্রহণ করে। কিন্তু নিজেরাই দুর্নীতি ও দুঃশাসনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা ক্ষমতা গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কিন্তু যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারণে তারা ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দি শেখ হাসিনা কম শক্তিশালী নয়। শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার পর হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ জনগণ। সে কারণে এগারো মাস পরে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল তারা।
প্রকৃতপক্ষে আমাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াও মুক্তি লাভ করেছিলেন। আজকে সেই দিন। বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো সেই ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংসদ বিলুপ্তির দাবি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির দুরভিসন্ধি: তথ্যমন্ত্রী
অতীতের নৈরাজ্যের জন্য বিএনপি দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বিদেশি বন্ধুদের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল সেটা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়, তারা বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
বিদেশি বন্ধুরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে এমন আশঙ্কা তৈরির চেষ্টা করেছিল যে- এবার বুঝি সরকারের রেহাই নেই। নিষেধাজ্ঞা আসছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভিসানীতি সরকারকে বিপদে ফেলবে। সরকারকে হয়ত ফাইনালি বলে দেবে এভাবে নির্বাচন করতে, তত্ত্বাবধায়ক হয়ে যাবে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে - এ রকম চেয়েছিল বিএনপি। শেষ পর্যন্ত কী হলো?
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা মূলত অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। কাউকে ধমক, নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ হবে এমন কোনো উক্তি তারা করেননি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা তারা বলেননি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার। সে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা রক্ষা করব। কারো কোনো উস্কানিতে, খারাপ ব্যবহারে সে পরিবেশ ক্ষুণ্ন হয়েছে - এই দুর্নামটা নিতে চাই না।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র পরিহার করে নির্বাচন করুন। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে মনোভাব প্রদর্শন করছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার যে অপচেষ্টা আছে তার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির দফা কয়টা? দল কয়টা? রাষ্ট্র মেরামতের জন্য এখন ৩২ দফা, আগে ছিল ২৭ দফা। এই আন্দোলন, এক দফার জগাখিচুড়ি ঐক্যের পরিণতি গতবারও দেখেছি, এবারও সেদিকেই যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড় করছে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে। আর বাস্তবতা হলো গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে সেখান থেকে পদযাত্রা। কতটা অবনতি হলে তারা এটা করে। তাদের কর্মীরা এখন হতাশ, নেতাদের দোষারোপ করছে। সরকার পতনের এক দফার ডাক দিয়ে পদযাত্রায় গেল। এর কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। যার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন থেকে দলীয় যে সমাবেশ হবে তার শিরোনাম হবে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিদেশি জ্ঞান প্রয়োগ করার আগে দেশকে জানুন: স্কলারদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
দেশীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে দেশের শিক্ষা ও জ্ঞানকে গণমুখী ও টেকসই করতে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্কলারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে প্রথমে দেশকে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং অনুভব করতে হবে। এখান থেকে কিছু জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে। অভিজ্ঞতা সম্পন্নরা যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে অর্জিত জ্ঞান এবং উচ্চ শিক্ষা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের মধ্যে সমন্বয় করে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন তবে উন্নয়ন টেকসই হবে।’
‘এভাবেই দেশ এগিয়ে যেতে পারে।’
রবিবার বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য তার কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ-২০২৩-২৪ প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা সহ বিদেশে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চতর পড়াশোনা করার জন্য বিভিন্ন সেক্টর থেকে ৪৮ জন স্কলার - ৩৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১০ জন পিএইচডি ফেলো- ফেলোশিপ পেয়েছেন৷
আরও পড়ুন: সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে সে অনুযায়ী কাজ করে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি সেক্টরে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি।
তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে ফেলোদের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে তাদের জ্ঞানের বিকাশের সুযোগকে কাজে লাগাতে বলেন।
তিনি ফেলোদের দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি মডেলের ওপর নির্ভর না করে তাদের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাভাবনা প্রয়োগ করতে বলেছিলেন,
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়নে অন্যের মডেল থাকবে না... আমরা দেখব, অন্যকে জানব এবং এভাবে জ্ঞান অর্জন করব। কিন্তু আমাদের নিজেদের মেধা এবং চিন্তা ব্যবহার করতে হবে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে বা বিবেচনার ক্ষেত্রে কোনটি। আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় দেশের ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ু, মানুষের মানসিকতা, তাদের সার্বিক অবস্থা এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিবেচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
২০১৮ সালে সিভিল সার্ভিস, একাডেমিয়া এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ চালু করা হয়েছিল।
ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার পর থেকে, প্রায় ২৩৯ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ৯৮ জন পিএইচডি ফেলো বিশ্বের নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের উচ্চতর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশে রয়েছেন।
পিএইচডি-র বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের প্রথমে তাদের নিজস্ব যোগ্যতায় বিশ্বের ১০০টি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আর স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ফেলোশিপের ক্ষেত্রে একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই তাদের নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি হতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণতন্ত্র বজায় রাখতে হবে: শেখ হাসিনা
একবার ভর্তি নিশ্চিত হয়ে গেলে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) অধীনে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
স্বাগত বক্তব্য দেন জিআইইউ মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ।
দুই ফেলো-শিবলী ইসলাম ও আফিফা আঞ্জুমানের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপ-সচিব এ এম আলমগীর কবির ইতোমধ্যে এই বৃত্তি পেয়ে পিএইচডি করেছেন। যারা এই অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি শেয়ার করেন।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ীতে বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পের পানি কৃষকদের ব্যবহারের অনুমতি দিতে জাইকার প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার ‘সমাধান খোঁজার’ বিষয়ে অসন্তোষ মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিদেশিদের কাছ থেকে, বিশেষ করে ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের কাছ থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার ‘সমাধান চাওয়ার’ বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিক্যাব টক-এর বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আপনি (মিডিয়া) সেই লক্ষ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন না।’
মোমেন বলেন, কূটনীতিকরা তাদের দেশ ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এখানে আসেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে।
‘বাংলাদেশ সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দেশ নয়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বড় অর্জন,’বলে মন্তব্য করেন মোমেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার সহিংসতামুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, এটি করতে সব পক্ষের আন্তরিক প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন অর্জন এবং রপ্তানি বাড়ানোর প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইচ্ছার হার অনেক বেশি কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন ধীর হয়ে যায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার—এগুলো বাংলাদেশের ডিএনএ-তে রয়েছে।
মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্যাগের কথা স্মরণ করে উল্লেখ করেন যে তার ত্যাগ বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ‘আমাদের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে টেকসই করতে হবে। আপনাদেরও (মিডিয়ার) একটা ভূমিকা আছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বৈদেশিক ঋণ গ্রহণে বিচক্ষণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউ সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এবং সহিংসতা এড়াতে উৎসাহিত করে: শীর্ষ কূটনীতিক
তিনি আরও বলেন, দেশ সজাগ আছে, সবচেয়ে বেশি ঋণ এসেছে জাপান থেকে এবং বড় ঋণ এসেছে এডিবি, আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক থেকে।
বাংলাদেশ কোনো নির্দিষ্ট দেশের দিকে ঝুঁকতে চায় না বরং সবার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইইউ’র সঙ্গে সংযুক্ত নয়: রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
শনিবার হলি আর্টিজানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বাংলাদেশ
সাত বছর আগে ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকায় হলি আর্টিজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বাংলাদেশ, যাদের বেশিরভাগ জাপানি এবং ইতালীয়।
শনিবার তাদের প্রতি শ্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
ক্যাফেটি ১২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে বেশ কিছু লোককে জিম্মি করে রেখেছিল জঙ্গিরা। যাদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি এবং দুই পুলিশ সদস্য সহ ২২ জনকে হত্যা করেছিল। দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলায় অন্তত ৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলার ৪র্থ বার্ষিকী আজ
নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালিয়ান, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয়, একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান এবং দুইজন বাংলাদেশি ছিল।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে পাঁচজন সশস্ত্র ব্যক্তি ক্যাফেতে হামলা চালায়। এসময় ক্যাফেতে ডিনাররত যাদেরকে জিম্মি করা হয়েছিল তাদের বেশিরভাগই ছিল বিদেশি। একপর্যায়ে তারা একে একে কয়েকজন জিম্মিকে হত্যা করতে থাকে।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলা: বলিউডের পর্দায় আসছে ‘ফারাজ’
ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে দেশে সংগঠনটির উপস্থিতি অস্বীকার করেছে।
ভয়াবহ হামলার পর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জঙ্গিদের ওপর নৃশংস দমন-পীড়নের জবাব দিয়েছে।
২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর একটি বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল হামলায় জড়িত থাকার জন্য ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এবং একজন খালাস পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজানে নিহতদের প্রতি রাষ্ট্রদূতদের শ্রদ্ধা
বিদেশিরা আমাদের আলোচনার জন্য ডাকে, আমরা নিজেরা যাই না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দলের নেতারা বিদেশিদের কাছে যান না, তারা (বিদেশিরা) মাঝেমধ্যে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) বলে আমরা বিদেশিদের কাছে যাই। আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, বরং বিদেশিরা আমাদের মাঝে মাঝে ডাকে। তারা জানতে চায় দেশে কী হচ্ছে, আমরা কী করছি। যে দেশগুলো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের জন্য এই বিষয়গুলো জানা স্বাভাবিক।’
রবিবার একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
এসময় বিরোধী দলের নেতাদের বিদেশিদের কাছে নালিশ করার বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের অভিযোগকে প্রত্যাখান করেনি বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষিত নীতি হচ্ছে, পৃথিবীতে তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখানে গণতন্ত্র নেই, সেখানে তারা সে কথা বলে দেন, তাদের (মার্কিন) গণতন্ত্র সম্মেলনে ডাকেন না। আবার তাদের (যেসব দেশে গণতন্ত্র নেই) স্যাংশন না কি সব দেন।’
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ‘মানুষকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা যাবে না। ‘তারা (আ.লীগ নেতা) বারবার ভালো নির্বাচন করার কথা বলছে। কিন্তু জনগণ কীভাবে বিশ্বাস করবে যে তারা ক্ষমতায় থেকে ভালো নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, কারণ তারা অতীতে কখনও তা করেনি।’
বিএনপি নেতা বলেন, বারবার মানুষকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব নয়। ‘আপনারা মানুষকে একবার বা দুবার ধোঁকা দিতে পারেন, এটি বারবার ঘটবে না। এবার মানুষ জেড়ে উঠেছে।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল গত ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের ওপর দমন-পীড়নের স্টিমরোলার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আজ (রবিবার) পত্রিকায় পড়েছি যে একজনকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ডিবি (পুলিশের গোয়েন্দা শাখা)… সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে জামালপুরে আওয়ামী লীগের সবাই পিটিয়ে হত্যা করেছে।’
দুই দিন আগে চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির যুব সমাবেশে যোগ দিয়ে একটি অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার সময় মিরসরাইয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডাররা এক নারী ছাত্রদল নেত্রীকে তুলে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করে।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটির মা তাকে উদ্ধার করতে গেলে নির্যাতকরা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এবং পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ‘এটিই বিচার ব্যবস্থা যেখানে একজন নির্যাতিত ও বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা একটা মেয়েকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আপনারা কীভাবে এই দেশে গণতন্ত্র এবং আপনার অধিকারের কথা বলবেন?’
পরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থা আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জাইউর রহমান, চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ফখরুল।
বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশি শক্তি বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী হতে পারে কিন্তু কোনো নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও দিকে তাকিয়ে নেই। আমরা বাংলাদেশের মানুষের দিকে তাকিয়ে আছি। বিদেশি শক্তিগুলো বন্ধু হতে পারে, উন্নয়ন সহযোগী হতে পারে কিন্তু আমরা এমন অদ্ভুতভাবে ভাবি না যে তারা আমাদের ক্ষমতায় বসাবে।’
রবিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি ৬-এর কার্যক্রম শুরু: অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও অন্যান্য’- শীর্ষক ব্র্যান্ডিং সেমিনারে যোগ দেওয়ার পর আসন্ন মোদি-বাইডেন বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বাংলাদেশ, আমাদের নিজস্ব নীতিও থাকতে পারে : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই মার্কিন দূতাবাসে অভিযোগ করতে যান। মির্জা ফখরুল জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করতেও পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমন্ত্রণ পেলে তবেই দূতাবাসে যায়। আমরা দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার রাজনীতি করি না।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৫০ শতাংশ, বরিশাল ও খুলনায় ৪০-৪৫ শতাংশ ভোটার ছিল। তাহলে কম বলবেন কিভাবে? বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ৩০ শতাংশ ভোটারও নেই।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ২০১৩-১৪ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
সরকার কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবে না: কাদের
বিদেশি কূটনীতিকরা সীমা অতিক্রম করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, কোনো বিদেশি কূটনীতিক সীমা অতিক্রম করলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ‘ছয় মাস আগেও এমন একটি পর্যায় ছিল। যদি এটি (ক্রসিং লাইন) আবার ঘটে তবে আমরা এটিকে বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেব। তবে, আমি এখন পর্যন্ত কিছু জানি না।’
সোমবার নির্বাচন কমিশনে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সফর এবং একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এর আগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাংলাদেশের গত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নাওকির মন্তব্যকে বাংলাদেশ ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে বর্ণনা করেছিল।
আরও পড়ুন: ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে: শাহরিয়ার আলম
কৌশলগত অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সম্পর্ক গড়তে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি