ইউএনও
স্বাবলম্বী জমির প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ও জমি দিলেন অন্য গৃহহীনকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ঘর ও জমি পেয়ে জমির উদ্দীন এখন নিজেই স্বাবলম্বী। নিজের বসবাসের ঘরটি এলাকার অন্য দরিদ্র অসহায় মানুষকে দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করে প্রশাংসায় ভাসছেন তিনি।
জমির উদ্দিন বিশ্বাস (২৮), চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের মৃত খেদের বকসোর ছেলে। এক মেয়ে, স্ত্রী নিয়ে সংসার তাঁর।
গত বছরের ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৮টি ঘর উদ্বোধন করেন। সেই থেকে ভূমিহীন দিনমজুর জমির উদ্দিন আন্দুলবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপহারকৃত বাড়িতে পরিবারসহ বসবাস শুরু করেন। তখন থেকে তার আয় বাড়ায় তিনি এখন স্বাবলম্বী।
আরও পড়ুন: ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫০ হাজার ঘর নির্মাণ হচ্ছে
তাই জমির উদ্দিন বিশ্বাস সম্প্রতি সস্ত্রীক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার বসত ঘর ও জমির দলিল জমা দেন এবং অন্য কোনো দরিদ্র ব্যক্তিকে এই ঘর দেয়ার অনুরোধ জানান। এই ঘরটি অন্য কোনো গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারকে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
জমির উদ্দিন বিশ্বাস পেশায় ছিলেন একজন দিনমজুর। সারা দিনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে কোনো রকমে চলছিল সংসার। তবে ভূমিহীন হওয়ায় ঠাঁই হয়েছিল মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া শাহাপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে। এতে কিছুটা আর্থিক কষ্ট লাঘব হলেও স্বাচ্ছন্দ্য আসছিল না। তবে এবার মাথা গোজার ঠাঁই হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে কলা ক্রয় করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করে প্রতিদিন আয় করছেন ৫শ’ থেকে এক হাজার টাকা। এতে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ফলে পরিবারে এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন ভালোই আছেন তিনি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জমির উদ্দিন বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার বসত-ঘর ও জমির দলিল জমা দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী (অফিসার ইউএনও) আরিফুল ইসলাম রাসেল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবির, আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারসহ জমির উদ্দিনের বাড়িতে হাজির হন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় জমির উদ্দিন বলেন, ‘আমার তো এখন নিজের মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। সমাজে আমি ছাড়া এখনও অনেক দরিদ্র, ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তি আছে, এই ঘরটা আমি তাদের দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই আমি স্বাবলম্বী হয়ে জমি ও ঘর তৈরি করে ফেলেছি। এখন এই ঘর ও জমি আমার আর প্রয়োজন নেই। তাই আমি চাই, এই ঘরটা অন্য কোনো দরিদ্র মানুষ পাক।’
আরও পড়ুন: হুমকির মুখে আশ্রয়ণ প্রকল্প, গাইবান্ধায় ২১ গ্রাম প্লাবিত
আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্যান্য বাসিন্দারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্রয়স্থল দিয়েছেন। আগে আমাদের খুব খারাপ দিন গেছে। এখন আমাদের থাকার জায়গা হয়েছে, সেই সঙ্গে সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য আয়ের সুযোগও হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্ন, দেশে যাতে কেউ গৃহহীন না থাকে, সে জন্য তিনি ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তিদের জমি এবং ঘর দিয়েছেন। সে ধারাবাহিকতায় জীবননগর উপজেলার শাহপুর গ্রামের দিনমজুর জমির উদ্দিনকে একটি ঘর দেয়া হয়েছিল। সেই ঘরে বসবাস করে নিজে পরিশ্রম করে আজ তিনি স্বাবলম্বী। এ জন্য তিনি নিজ নামে অন্য স্থানে জমি কিনে ঘর করে বসবাস করায় নিজে লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জমি ও ঘর হস্তান্তর করেন। এবং অন্য দরিদ্র ব্যক্তিকে দেয়ার জন্য বলেন। তাঁর এই মহতী উদ্যোগের জন্য জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, জীবননগর আন্দলবাড়িয়ার শাহাপুরে ভূমিহীন পরিবারগুলোর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একটি আদর্শ আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেয়া ঘর পান ভূমিহীনরা।
সরকারের ‘দুর্যোগ সহনীয় ঘরের’ পিলার ভেঙ্গে বৃদ্ধার মৃত্যু
গৃহহীনের জন্য সরকারের ‘দুর্যোগ সহনীয় ঘর’এর পিলার ভেঙ্গে হবিগঞ্জে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ঘর নির্মাণের তিন বছরের মাথায় কোন দুর্যোগ ছাড়াই ভেঙে পড়েছে সেই ঘর। শনিবার সন্ধ্যায় জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাদারিটুলা মহল্লায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিরাপজান বিবি (৮৯) মাদারিটুলা মহল্লার মৃত নেয়ামত উল্লাহর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, নেয়ামত উল্লাহ’র ছেলে শরিফ উল্লাহর জায়গা থাকলেও কোন ঘর ছিল না। ২০১৯ সালে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দের অর্থ দিয়ে সারাদেশে এক লাখ ২৫ হাজার ঘর দেয় সরকার। এ সময় শরিফ উল্লাহ একটি ঘর বরাদ্দ পান।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, শনিবার সন্ধায় শিরাপজান বিবি ঘরের বারান্দার একটি পিলারের সঙ্গে হেলান দিয়ে চেয়ারে বসা ছিলেন। হঠাৎ পিলারটি ভেঙে তার উপর পড়ে যায়। এতে তিনি গুরুত্বর আহত হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ বলেন, ‘তিন বছর আগে নির্মাণ করা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দের একটি ঘরে বাস করতেন বৃদ্ধার পরিবার। তবে তার মৃত্যুর ঘটনাটি আমরা নেহাতই একটি দুর্ঘটনা হিসেবে দেখছি। আপাতত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের দাফনের টাকা দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ওই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে নিহতের ছেলের জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: দশ হাসপাতাল ঘুরে শয্যা না পেয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
ফরিদপুরের এসপিসহ ২ ইউএনও করোনায় আক্রান্ত
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানসহ সদর উপজেলা ও জেলার নগরকান্দা উপজেলার দুই নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা সবাই এখন বর্তমানে সরকারি বাসভবনে আইসোলেশনে আছেন। দুই ইউএনও হলেন- নগরকান্দার ইউএনও জেতী প্রু ও সদর উপজেলা ইউএনও মো. মাসুদুল আলম।
আরও পড়ুন: চসিক প্রশাসক সুজন সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত
জানা যায়, এসপি আলিমুজ্জামান পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে করোনা স্যাম্পল দেন। পরে পরীক্ষায় করোনা প্রতিবেদন পজিটিভ আসে। এরপর থেকে তিনি বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। এছাড়া দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তারা নমুনা পরীক্ষা করার পর তাদেরও পজিটিভ আসে। তারাও আইসোলেশনে আছেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাকসুদুল আলম জানান, সুস্থ আছেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক উপমন্ত্রী দুলু করোনা আক্রান্ত
এদিকে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে ২৯৩ নমুনা পরীক্ষা মধ্যে ১২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
হাওর রক্ষা বাঁধের দুর্নীতির অভিযোগে শাল্লার ইউএনও প্রত্যাহার
মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ, উপজেলা পরিষদে দোকান কোটা নির্মাণ, ভূমি অফিসে নামজারী, জলমহাল ইজারা ও হাওররক্ষা বাঁধের কাজে অগাধ দূর্নীতির অভিযোগে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল মুক্তাদির হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষের এক আদেশে এই প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে দিরাই উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) অরূপ রতন সিংকে শাল্লার ইউএনও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: ইসির নির্দেশে সুধারাম থানার ওসি প্রত্যাহার
এর আগে গত সোমবার শাল্লা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা হাওর রক্ষা বাঁধের পিআইসি গঠনের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ এনে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার দিনভর অভিযোগকারীদের উপস্থিতিতে শাল্লা ইউএনও কার্যালয়ে তদন্ত করেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন ইউএনবিকে বলেন, শাল্লার ইউএনও আল মুক্তাদিরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দিরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) অরূপ রতন সিংহকে শাল্লার ইউএনও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানদের অভিযোগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার দিনভর তদন্ত করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সমাবেশে হামলা: হবিগঞ্জের এসপি ও দুই ওসির প্রত্যাহার দাবি বিএনপির
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গরুর খামারে ডাকাতি: ৬ পুলিশ প্রত্যাহার
ইউএনও স্ত্রীকে ছেড়ে শ্যালিকাকে বিয়ে, থানায় অপহরণের মামলা
স্ত্রী বিসিএস পাস করে ইউএনও আর স্বামী দমকল বাহিনীর কর্মী। পেশাগত মর্যাদার কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে বিচ্ছেদও হয়ে যায় তাদের।
তবে দুলাভাইয়ের সঙ্গে বড় বোনের এমন আচারণ মেনে নিতে পারেননি শ্যালিকা। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি তারা বিয়েও করেছেন। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় ওই মেয়ের বাবা তার সাবেক জামাইয়ের বিরুদ্ধে তার ছোট মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন। তবে অভিযুক্ত স্বামী মিলন জানান, তারা স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন ও একসাথে বসবাস করছেন।
মিলনের বাবা মতিয়ার রহমান মোল্লা বলেন, ছোটবেলা থেকে মিলনের সাথে মেয়েটির (ইউএনও) প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তাদের পারিবারিক অবস্থা ভালো ছিল না। আমার ছেলেই মেয়েটির পড়ালেখার খরচ দিত। কিন্তু ইউএনও হয়ে সে মিলনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে তালাক দেয়।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দীন জানান, মেয়ের বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন, উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের মৌশা গ্রামে দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বিসিএস পাস করে প্রশাসনে যোগ দেন। ইউএনও হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর পেশাগত মর্যাদাগত কারণে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। কারণ স্বামী মিলন স্বল্প শিক্ষিত দমকল কর্মী।
এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: যুবককে জোর করে বিয়ে, ৯ জন কারাগারে
পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী
কুড়িগ্রামে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সংবর্ধনা পেলো মোনালিসা
এক ঘণ্টার ইউএনও সাদিয়া!
সাদিয়া বিনতে আওলাদ নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
সোমবার (১১ অক্টোবর) পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে কন্যা শিশুর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে এক ঘণ্টার জন্য প্রতীকী ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ওই শিক্ষার্থী।
নারী শক্তির ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন, নারী ও শিশুর ক্ষমতা অধিকার সম্পর্কে অবগত করা ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বেসরকারি সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টান্সফোর্স (এনসিটিএফ) এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এক ঘন্টার জন্য ইউএনও’র পদ টেক অভার করা সাদিয়া বিনতে আওলাদ অহনা পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেনের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। একই সাথে এক ঘন্টার জন্য তার অধীন হয় পুরো সদর উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ সময় অহনা বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন ও নিপীড়নসহ নারী সহিংসতা রোধে আলোচনা, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কার্য সম্পাদনসহ তদারকি করেন এবং উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাকে নারী বান্ধব করতে ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সুপারিশমালা তুলে ধরেন। প্রতীকি দায়িত্ব পাওয়া ইউএনও’র সুপারিশগুলো আমলে নেয়ার আশ্বাস দেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন।
জানা যায়, প্রতিকী নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়া স্কুল ছাত্রী সাদিয়া বিনতে আওলাদ অহনা পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যায়লের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং সে চাইল্ড পার্লামেন্ট পঞ্চগড় জেলা শাখার সদস্য।
আরও পড়ুন: একদিনের সুইডিশ রাষ্ট্রদূত রুনা !
এক ঘন্টার প্রতিকী অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন, ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টান্সফোর্স (এনসিটিএফ) এর ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টিয়ার মারুফ হাসান আবির, ওমেন্স ভলেন্টিয়ার নিশাত পারভিন নিশিসহ উপজেলার বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া বিনতে আওলাদ অহনা জানান, আমি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে এবং নারী বান্ধব উপজেলা গড়ে তোলা, নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও অধিকার নিয়ে কাজ করতে চাই। কন্যা শিশুর গুরুত্ব দিয়ে অহনা জানান, নারীরা সকল কাজে পারদর্শী তা প্রমাণ হয়ে গেছে। নারীরা সমঅধিকার পেলে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, ‘নারীর অবদান এখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। আজকের তরুণ প্রজন্ম ও নারীরাই একদিন দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। আমরা নারী বান্ধব উপজেলা ও নারীর সংহিংসতা রোধে কাজ করবো এবং স্কুল ছাত্রীর সকল সুপারিশ আমরা বাস্তববায়ন করার চেষ্টা করবো।
আরও পড়ুন: একদিনের মেয়র বৈশাখী!
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের গুরুত্বারোপ
বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘ডিজিটাল সনদ’ পাবেন: মন্ত্রী
দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্থায়ী ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার ক্ষমতাসীন দলের বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো সোনালী ব্যাংক
তিনি বলেন, ডিজিটাল সনদ একবার প্রস্তুত হয়ে গেলে ইউনিয়ন নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে একযোগে বিতরণ করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ইস্যুকৃত সাময়িক সনদের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংসদ নূরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির শাসনামল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রায় ১০ হাজার সনদ যাচাই বাছাই করে বাতিল করা হয়েছে। ‘প্রকৃতপক্ষে, দেশে গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ জন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফল মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, একটি যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়া হবে।
বরিশালে ইউএনও-পুলিশের দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা এবং পুলিশের কাজে বাধা দানের দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালতে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ঝন্টু।
তিনি বলেন, আমরা গ্রেপ্তার ২১ জনের জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত ইউএনও মুনিবুর রহমানের দায়ের করা মামলায় তিন জনকে এবং কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মল্লিকের দায়ের করা মামলায় ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে তিনজন উভয় মামলার আসামি। তারা জামিন পেয়েছেন। অর্থাৎ মোট নয় ব্যাক্তির জামিন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন। আমরা পরবর্তী তারিখে বাকি আসামিদের জামিনের আবেদন করবো।
আরও পড়ুন: বরিশালে গভীর রাতে প্রশাসন ও আ'লীগের সমঝোতা!
বরিশালের ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের পথে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বরিশালের মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, ইকতিয়ার উদ্দিন, সালাম মনু, আলো গাজী, মমিন উদ্দিন কালু, কবির তালুকদার, হুমায়ুন কবির হাওলাদার, ইলিয়াস, জমির উদ্দিন, নাসির উদ্দিন।
তাদের মধ্যে ইকতিয়ার উদ্দিন, সালাম মনু, আলো গাজী উভয় মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে ইউএনওর বাসায় হামলার অভিযোগে এবং পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে ইউএনও ও পুলিশ ৬০২ জনের বিরুদ্ধে করে। মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জন গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার আগেই বদলী ইউএনও-ওসি
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বদলি ১৮ আগস্টের ঘটনার আগেই হয়েছিল। যদিও এই নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
ইউএনও মনিবুর রহমান’র বদলি বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানিয়েছেন, ইউএনও মুনিবর রহমানের বদলি তার স্ব-ইচ্ছায় গত ১০ আগস্ট হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব হিসেবে। কিন্তু উপজেলার এসিল্যান্ড করোনা আক্রান্ত থাকায় তাকে কাজ চালিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তিনি সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিলেই ইউএনও তার কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাবেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন
এদিকে গত ১৮ আগস্ট সকালে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামের বদলির আদেশ হয় সিলেট রেঞ্জে। ওসি জানিয়েছেন, যে কোন মুহুর্তে তিনি স্টেশন ছাড়তে পারেন। বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এনামুল হক এই বদলির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে এদের বদলি ১৮ আগস্টের রাতের ঘটনায় নয়। তাদের বদলি ছিল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গত বুধবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি শাহাজাদা মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেয়া হয়। আদেশে ২৫ আগস্টের মধ্যে তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র অফিসে হামলা: গ্রেপ্তার ২১
বরিশালে ২ মামলা, প্রধান আসামি মেয়র
বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন
বরিশাল সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলামসহ প্রায় পঞ্চাশ জনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন ও একই প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে এই মামলা দুটির আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিমের ১শ’ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও
তাদের করা মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিসিসির কাজে বাধা দান, বিনা উস্কানিতে বিসিসির কর্মচারীদের ওপর গুলি বর্ষণের নির্দেশ প্রদান, হামলা, গুলি বর্ষণের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির অঙ্গহানী এবং ৩০-৪০ জনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এবিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাইয়ুম খান কায়সার জানান, আবেদনের শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক মাসুম বিল্লাহ সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য রেখেছেন। তিনি সিদ্ধান্ত দেয়ার পর জানা যাবে যে মামলাটি গ্রহণ নাকি খারিজ করা হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালের মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
এদিকে, একই আদালতে ইউএনও মুনিবুর রহমানের ওপর হামলা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকর্মীর জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু বিচারক সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারা হেফাজতে রেখে সুচিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন।