শৈত্যপ্রবাহ
৫ জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ
দিনাজপুর, সৈয়দপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও মৌলভীবাজার জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সোমবার এক বুলিটিনে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা হালকা শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানায়, সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় সোমবার সকালে ঢাকা তৃতীয়
৪ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
৮ বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর
কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
ড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ অবস্থায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসছে কনকনে ঠাণ্ডা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার কারণে বেড়ে যায় কনকনে ঠাণ্ডা। এ অবস্থা চলে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের। জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেকেই বাধ্য হয়ে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই বের হচ্ছেন কাজে।
গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষেরা। এতে করে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী বেষ্টিত সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ।
আরও পড়ুন: দেশের কিছু অংশে জেঁকে বসেছে শৈত্যপ্রবাহ; থাকবে আরও ২-৩ দিন
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার সবুর আলী জানান, প্রায় এক মাস ধরে ঠাণ্ডায় ভুগছি। রাত হলে ঠাণ্ডা বেড়ে যায়। খুব বেশি গরম কাপড় নাই। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি।
জেলা শহরের রিকসাচালক সদর উপজেলার আমজাদ হোসেন জানান, আমি শহরে রিকশা চালাই। সন্ধ্যার পর থেকে আর রিকশার হ্যান্ডেল ধরা যায় না। কনকনে ঠাণ্ডায় যাত্রীও পাওয়া যায় না। শীত না যাওয়া পর্যন্ত খুব কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তুহিন জানান, শুক্রবার সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপত্রামা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে আরও তিন হাজার শীত বস্ত্র।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও নতুন করে আরও ২৫ হাজার কম্বলের বরাদ্দের চিঠি পাওয়া গেছে। এগুলো হাতে পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে
শৈত্যপ্রবাহ: যশোর, চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বৃহস্পতিবার।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
কাঁপুনি দিয়ে এই ঠাণ্ডা জনগণের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করেছে, বিশেষ করে জেলার দিনমজুরদের। শৈত্যপ্রবাহের কারণে মানুষ ঘরের ভেতরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
তেতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ‘রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।’
এতে আরও বলা হয়, সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: তেতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
শৈত্যপ্রবাহ: যশোর, চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দেশজুড়েই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে।
চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় টানা তৃতীয় দিনের মতো সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দুই-এক দিন এ অবস্থা থাকবে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এদিকে ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ (রবিবার) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তুহিন মিয়া বলেন, কুড়িগ্রাম জুড়েও চলছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। আজ সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদীর চর এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন বলেন, এছাড়াও কুড়িগ্রামের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা, যার বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
আরও পড়ুন: আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
শৈত্যপ্রবাহ: চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
শৈত্যপ্রবাহ: চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে পড়েছে। মানুষ জরুরি কোনো কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। আবার সন্ধ্যার আগেই সবাই ঘরে ফিরছেন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে চলেছে টানা শৈত্যপ্রবাহ। তবে কিছুটা কমেছে তাপমাত্রার পারদ।
শুক্রবার দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৩ জেলায়
বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।
এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারনের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে জেলার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। এছাড়া শৈত্যপ্রবাহ শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
দেশের রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে বিবেচিত হয়।
আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সারাদেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমেছে
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৩ জেলায়
দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, 'মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে।
এতে বলা হয়, সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমেছে
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৩ জেলায়
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে টানা ৩দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
শৈত্যপ্রবাহ হ্রাস পেলে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে
দেশের ছয়টি জেলা এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে বলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অফিসের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা, মৌলভীবাজার ও সীতাকুণ্ড উপজেলার উপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেছেন, কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে, এর পরে তাপমাত্রা বাড়বে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি হ্রাস পাবে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
তবে পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ছিল টেকনাফে ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি-শীতে পঞ্চগড়ের জনজীবন স্থবির
কুড়িগ্রামে আবারও বেড়েছে শীতের দাপট
কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত দু’দিনের বৃষ্টির পর কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের দাপট বেড়েছে। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলেও আকাশে মেঘাচ্ছন্ন দেখা যাচ্ছে।
রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এদিকে, তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে বাইরে লোক চলাচল কমে গেছে। হাট-বাজারগুলোতেও লোক সমাগম নেই বলেই চলে। তবে কর্মমুখী মানুষদের ঠান্ডা উপেক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে বের হতে হচ্ছে। এছাড়া শীতের তীব্রতার কারণে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: সূর্যের দেখা মিলছে না, পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, গত দু’দিনের গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। রবিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শনিবার ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।