শৈত্যপ্রবাহ
চার জেলায় শৈত্যপ্রবাহ
রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এসব জেলায় শীত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে এবং দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ঢাকা
সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদ-দেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের টেকনাফে ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা পড়তে পারে
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নওগাঁ, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলায় বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কমে যেতে পারে।
সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: মাঘের শুরুতে তাপমাত্রা কমছে পঞ্চগড়ে
সিনপটিক পরিস্থিতি অনুসারে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কক্সবাজার জেলার টেকনাফে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার জানিয়েছে, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা ও মৌলভীবাজার জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘সোমবার কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ কমতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।।
আরও পড়ুন: একিউআই: ঢাকার অবস্থান তৃতীয়
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক আকাশ মেঘাচ্ছন্নসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফে ৩০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
দেশের কয়েক জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
বাংলাদেশের কয়েক জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় বুধবার বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সারাদেশে আবারও শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরাঞ্চল,যশোর ও কুষ্টিয়ার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকবে
দৈনিক আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়েছে, সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কিছু জায়গায় তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি নিম্নচাপ অবস্থান করছে বলে বুলেটিনে বলা হয়।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে জনজীবনে দুর্ভোগ
উত্তরাঞ্চল,যশোর ও কুষ্টিয়ার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকবে
সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দেশের উত্তরাঞ্চল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.বজলুর রশীদ জানান শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকবে। এরপর ১২-১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে বলে জানান তিনি।
এছাড়া বঙ্গোপসাগরে পশ্চিম লঘুচাপের কারণে ১৩ জানুয়ারির পর দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন,‘১৩ জানুয়ারির পর দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তারপর সারা দেশে প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভূত হবে।’
সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং নদীর অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চ গিরিখাত পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি নিম্নচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
রবিবার রাজশাহী বিভাগের বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চট্টগ্রাম বিভাগের টেকনাফে সর্বোচ্চ ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে বুলেটিনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে জনজীবনে দুর্ভোগ
কুড়িগ্রামে টানা শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে আরও কয়েকদিন
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
দেশের পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
শনিবার আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে সারাদেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে জনজীবনে দুর্ভোগ
বিএমডির আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, সারাদেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং তা পাঁচ থেকে ছয় দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে;এরপর থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করবে।
এছাড়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঢাকায় তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ড ও কক্সবাজারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পর্যবেক্ষণের কর্মকর্তা এম রাসেল শাহ জানান, শনিবার সকালে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে জনজীবনে দুর্ভোগ
গত কয়েকদিন থেকে পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে। ঘনকুয়াশার পাশাপাশি মৃদু শৈত্যপ্রবাহে অসহায়, ছিন্নমূল, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ কাঁবু হয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র শীতের মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষদের কাজ করতে হচ্ছে। কৃষক শ্রমিকরা মাঠে হাল চাষে ব্যস্ত। তবে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলোর বাড়ির সামনে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণে চেষ্ট করছে। শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকেই একত্রে মিলে রোদ পোহাতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে দিনেও তাপমাত্রা কমেছে, বিপাকে দরিদ্র মানুষেরা
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা সদরসহ বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সীরা ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীত ও শীতজনিত নানা রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালগুলোতে কোন শয্যা ফাঁকা নেই। বহির্বিভাগেও রোগীর চাপ বেড়েছে।
পঞ্চগড়ে দিনেও তাপমাত্রা কমেছে, বিপাকে দরিদ্র মানুষেরা
পঞ্চগড়ে দিনেও তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। বিকাল থেকে সকাল পর্যন্ত বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে অসহায় ছিন্নমূল, দিনমজুর, খেটে খাওয়া গ্রামীণ জনপদের দরিদ্র সাধারণ মানুষরা পড়েছে বিপাকে।
সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভোরে ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে যাচ্ছে। হিমেল বাতাসের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তবে অনেকেই জীবিকার তাগিদে শীতের মধ্যেও কাজে যাচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতা বেড়ে গেলেও বেলা গড়াতে না গড়াতেই আবারও হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
পঞ্চগড় শহরের তেলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা জবেদ আলী বলেন, ‘গত দুদিন ধরে ঠান্ডা বেড়েছে। বাতাসও বেশি। এই শীতে আমার মত বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রয়োজন জ্যাকেট সোয়েটার। সরকার এগুলো দিল ভালো হতো। অন্তত শীতের হাত থেকে বাঁচতে পারতাম।’
রবিবার সারাদেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার সারাদেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে সম্ভাবনা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের এ কে এম রুহুল কুদ্দুস বলেছেন, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর রাজশাহী, যশোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, খুলনা, ফরিদপুর, বগুড়া, দিনাজপুর ও রংপুর জেলাসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকতে পারে।
তবে ২০ ডিসেম্বরের পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফে ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও সকালের দিকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেলেও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে
চলতি মাসে ১৫ দিনই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
তীব্র ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ না হলেও দেশের উত্তরপ্রান্তের শীতপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে ক্রমশ তাপমাত্রা কমছে। চলতি মাসের ১৫ দিনই জেলার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করেছে।
বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এটি ছিল এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
পঞ্চগড় জেলায় এবার ব্যতিক্রমী তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দিনে গরম এবং রাতে ঠান্ডা লাগছে। এর ফলে জেলায় শিশু ও বৃদ্ধরা শীত ও শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সামর্থ্যবানরা শীতের গরম কাপড় সংগ্রহ ও লেপ তোষক বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে অসহায় দরিদ্র মানুষ শীত মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি উদ্যোগের অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কপ-২৬: তাপমাত্রা হ্রাস ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ
জেলার হাটবাজারগুলোতে লেপ-তোশক তৈরির দোকানগুলোর কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। ভোর থেকে সকাল ৭-৮ টা পর্যন্ত দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলোকে সড়ক মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।