ঈদুল আজহা
ঈদের ছুটি শেষে ফের কঠোর বিধিনিষেধ, বন্ধ থাকবে সব কারখানা
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আট দিন শিথিল থাকার পর শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দেশজুড়ে আবার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে। যা আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এসময় পোশাক কারখানাসহ সব কলকারখানা বন্ধ থাকবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এই লকডাউন। বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।’
তিনি বলেন, অফিস-আদালত, পোশাকসহ রপ্তানিমুখী সব ধরনের কলকারখানা বন্ধ থাকবে। কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে আগের মতই।
পড়ুন: ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত
ঈদে যারা বাড়ি গেছেন তাদের ফেরার জন্য লকডাউন কিছুটা শিথিল করার কোন পরিকল্পনা আছে কি-না এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বাড়ি গেছেন, তারা জেনে বুঝেই গেছেন, তারা ৫ আগস্টের পরেই আসবেন।’
বিজিএমইএ ও এফবিসিসিআইয়ের গার্মেন্টস ও কলকারখানা লকডাউনের আওতা বহির্ভূত রাখার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস লকডাউনের আওতা বহির্ভূত রাখার বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেই, হলেও অবস্থা বুঝে পরে হতে পারে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি
গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জনের। এসময় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৬৯৭ জনের।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮, ৬৮৫ জনে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ৩২.১৯ শতাংশ। এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৪ শতাংশ।
দেশে সুস্থ হয়েছে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬১০ জন এবং সুস্থতার হার ৮৫.০৪ শতাংশ।
পড়ুন: ১৫ থেকে ২২ জুলাই লকডাউন শিথিল, ঈদের পর ফের কঠোর
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ১৯ লাখ ছাড়াল
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফল-মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) বসবাসরত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ফলমূল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার ও সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এগুলো হস্তান্তর করেন।
পড়ুন: করোনা মহামারির মধ্যে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা
এ সময় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পবিত্র ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের দিনে তাদের স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং সেইসাথে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব মানুষের জন্য করোনারা টিকা নিশ্চিত করবেন বলেও তারা আশা প্রকাশ করেন।
পড়ুন: চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল ৭টায়
২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য সরাবে ডিএসসিসি
স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমিল্লায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
কুমিল্লা নগরীসহ ১৭ উপজেলার ১০ হাজার ৫৪৯টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীসহ জেলার ১৩৫টি মসজিদের বেশিরভাগ স্থানেই ঈদের জামাত সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষের সমাগম বিবেচনায় কোথাও আগে কোথাও পরে মসজিদে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
ঈদের নামাষ শেষে মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষের সুরক্ষা, অসুস্থদের দ্রুত আরোগ্য লাভসহ দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। বেশির ভাগ মসজিদে মুসল্লিরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যে আবার এলো ঈদ
চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
করোনাকালে বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চট্টগ্রামের সকল মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।নগরীর ঐতিহ্যবাহী জমিয়তুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টায় প্রথম ও সকাল ৮টায় দ্বিতীয় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ৭টায় প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নুর মুহাম্মদ সিদ্দিকী।
নগরীর ও জেলার প্রতিটি মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। এরপর দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল ৭টায়
মোনাজাতে মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানায় হাজারও হাত। খতিব ও ইমাম করোনাভাইরাস থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে আল্লাহর রহমত কামনা করেন।
মোনাজাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তৌফিক দিতে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসকসহ সবার জন্য দোয়া করেন মুসল্লিরা। দোয়া করা হয় করোনা আক্রান্তদের সুস্থতার জন্যও।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) লালদীঘি শাহী জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। নগরে চসিকের তত্ত্বাবধানে সকাল সাড়ে ৭টায় সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা মসজিদ ঈদগাহ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ ও চসিক মা আয়েশা সিদ্দিকা জামে মসজিদে (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন) ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যে আবার এলো ঈদ
এছাড়াও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোরে পশু কোরবানি করার জন্য গোসল করিয়ে প্রস্তুত করে রাখা হয়। ঈদের নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিরা গরু-ছাগল জবাই, মাংস বিলি আর গৃহিণীরা রান্নায় ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। বরাবরের মতোই নগরজুড়ে রাস্তা ও অলি-গলিতে পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে। কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য চসিক নগরের ৪১ ওয়ার্ডে ৩০৪টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য সরাবে ডিএসসিসি
গাজী বাবুকে কিনলো না কেউ!
গাজী বাবুকে কিনলো না কেউ। হতাশ তার মালিক। চাঁদপুরে সেরা হিসেবেই পরিচিতি গরুটির। তবু সঙ্গী-সাথী অনেকেই বিকিয়ে গেলেও গাজী বাবুর কপালে ক্রেতা জোটেনি।
চাঁদপুর সদরের সবচেয়ে বড় গরু গাজী বাবুর ওজন ১১৭২ কেজি, ৯ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতা। এই গরুটি মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। অথচ বিক্রির জন্য ৫/৬ দিন আগেই আনা হয়েছিল সদরের বড় পশুর হাট বাগাদী চৌরাস্তা পশুর হাটে। পাশেই ধানুয়া গ্রামে গাজী গরু খামারেই এটি অত্যন্ত যত্নে পালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রাজার’ মালিক এখন বাদশা
গরুটির মালিক জা্ফর গাজী জানান, গরুর কাঙ্খিত মুল্য না পাওয়ায় তা মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে নিয়ে যান। গরুর দাম সাড়ে ৪ লাখ পর্যন্ত উঠেছে। জাফর গাজী দাম চাইছেন ৭ লাখ। ক্রেতা কম থাকায় তাই বেশ হতাশ হয়েই তিনি গাজী বাবুকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। তিনি বলেন, ‘আমার মাথায় হাত। করোনার কারণে মানুষের হাতে এত টাকা নেই।’
শহরের ওসমানিয়া মাদ্রাসা বাজারের গরু বিক্রেতারাও একই কথা জানালেন। ক্রেতা মোশারফ হোসেন ও আনোয়ার হোসেন মাস্টার জানান, তারা সস্তায় গরু কিনেছেন। এতে তাঁরা খুব খুশি। যে গরুর দাম একলাখ টাকা, সে রকম দুটি গরু তাঁরা কিনেছেন ৮৫ হাজার ও ৮৭ হাজার টাকা করে। মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল ৭টায়
চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান জামাত জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম মাওলানা নূর মুহাম্মদ সিদ্দিকী।
করোনা মহামারির কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশনা মেনে ঈদুল আজহার জামাত সামাজিক দূরত্ব মেনে আদায়ের জন্য সকল মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা ২১ জুলাই
এছাড়া আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, লালদীঘি জামে মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চশমা মসজিদ ঈদগাহ, বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মক্কী মসজিদ, বহদ্দারহাট জামে মসজিদ, হালিশহর জামে মসজিদ, আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনী মসজিদ, বন্দরটিলা আলীশাহ মসজিদ, ফিরিঙ্গিবাজার জামে মসজিদ, এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদসহ নগরীর সবকটি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় সব মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ তিন জেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদ
মসজিদ কমিটিকে যেসব নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, সেগুলো হলো, নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মসজিদে কার্পেট না বিছিয়ে মুসল্লিদের জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে এবং বাসা থেকে ওযু করে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সকল মুসল্লিদের আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। মসজিদ বা ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায়ের সময় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।শিশু, অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ জানান চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কোরবানি সামনে রেখে ফরিদপুরে খামারে প্রস্তুত হচ্ছে অর্ধলক্ষাধিক পশু
পুলিশের পক্ষে লাখ লাখ বাড়ি পাহারা দেয়া অসম্ভব: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরের লাখ লাখ বাড়িঘর পাহারা দেয়া পুলিশের পক্ষে অসম্ভব একটি ব্যাপার। সেক্ষেত্রে যার সম্পদ তাকেই প্রাথমিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ঈদ কেন্দ্রিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশেষ করে বাড়িঘর ছাড়ার সময় নিরাপত্তাপ্রহরী ও প্রতিবেশিকে বিষয়টি বলা যেতে পারে। এছাড়া ঢাকায় যেসব আত্মীয়স্বজন অবস্থান করবেন তাদের কাছে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন মাঠে থাকবে জেলা ও চসিক ম্যাজিস্ট্রেট
ডিএমপির কমিশনার বলেন, নিজস্ব প্রতিষ্ঠান, আবাসন, এ্যাপার্টমেন্ট, বিপণী বিতানগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার করতে হবে এবং যে কোন ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিনরাত ২৪ ঘন্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
শফিকুল ইসলাম রাজধানীবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠান, বিপণী বিতান ও আবাসনে সিসিটিভি স্থাপন করুন। সিসিটিভিসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকার বিষয়টি নিয়মিত নিশ্চিত করুন। বাসা-বাড়ি ত্যাগের আগে কক্ষের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন। যে সমস্ত দরজা জানালা দুর্বল অবস্থায় আছে তা মেরামতের মাধ্যমে সুরক্ষিত করে নিন। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করুন। মহল্লা ও বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে বা কোন দুষ্কৃতিকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করুন। এ সময় তিনি ঢাকা মহানগরের বাসিন্দাদের মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ তিন জেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদ
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ২১
ঈদে ১২ দিনের ছুটিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১২ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। সোমবার থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত এ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপ।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা: হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা মিলন স্থলবন্দর বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় একদিনে নতুন মৃত্যুর রেকর্ড ২৩১
আমদানি-রপ্তানি গ্রুপ জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহা ও সরকারি ছুটি সমন্বয় করে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র আঁকা কার্টুনিস্ট ওয়েস্টারগার্ডের মৃত্যু
এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ থেকে ৩০ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত মোট ১২ দিন এ স্থলবন্দর দিয়ে সকল প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। আগামী ৩১ জুলাই (শনিবার) থেকে এ বন্দর দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চতুর্দেশীয় আমদানি রপ্তানির কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
স্যামসাং ঈদুল আজহার বিশেষ ক্যাম্পেইন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান স্যামসাং বাংলাদেশের বিশেষ ক্যাম্পেইনের প্রথম ব্যাচের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এই পাঁচজন বিজয়ীরা হলেন- মাসুদ রানা শিকদার, রবিউল ইসলাম, ঈশা হাবিব, মো. বাবুলুর রহমান এবং আজিজ সাঈদ সালমান। এই ঈদ ক্যাম্পেইনের অধীনে, বিজয়ীরা স্যামসাং পণ্য কিনে ইতোমধ্যেই আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ ঈদে স্যামসাংয়ের ‘বিগ অফার ঈদ জমবে এবার’
এ ব্যাপারে বিজয়ী ব্যবসায়ী মাসুদ রানা শিকদার বলেন, ‘হঠাৎ এমন উপহার পেতে সবসময়ই ভালো লাগে।’ তিনি স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা কিনে জিতে নিয়েছেন একটি স্যামসাং এস২১+ হ্যান্ডসেট। তিনি আরও বলেন, ‘এই অসাধারণ উপহারের জন্য স্যামসাং বাংলাদেশকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
আরেক বিজয়ী চাকরিজীবী রবিউল ইসলামও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি একটি স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা হ্যান্ডসেট কিনে স্যামসাং বাডস প্রো ব্লুটুথ ইয়ারবাডস পেয়েছি। এখন এই অসাধারণ ইয়ারবাডের সাথে আমি আমার ফ্ল্যাগশিপ ফোনটি আরও ভালভাবে উপভোগ করতে পারবো।’
আরও পড়ুনঃ সকল পণ্যে ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়াল স্যামসাং
ঈশা হাবিব, মো. বাবুলুর রহমান এবং আজিজ সাঈদ সালমান স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা ও স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা ফাইভজি কিনে প্রত্যেকে জিতে নিয়েছেন স্যামসাং এস২১+ স্মার্টফোন।
স্যামসাং বাংলাদেশ ঈদুল আযহা ক্যাম্পেইনের অধীনে ক্রেতারা গ্যালাক্সি এম০১ কোর, গ্যালাক্সি এম০২, গ্যালাক্সি এম০২এস ও গ্যালাক্সি এম১২ স্মার্টফোনগুলো কিনলে পাবেন কমপক্ষে ১ হাজার টাকার ক্যাশব্যাক। এছাড়াও, গ্যালাক্সি এম২১ কিনলে পাবেন কমপক্ষে ২ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক এবং প্রমোশনাল অফারে গ্যালাক্সি এম৩১ স্মার্টফোন কিনলে সাথে থাকছে ৪ হাজার টাকার আকর্ষণীয় ছাড়।
আরও পড়ুনঃ স্যামসাং বাজারে নিয়ে এলো গ্যালাক্সি এ১২
শুধু তাই নয়, গ্যালাক্সি নোট ১০ লাইট স্মার্টফোনের সাথে ক্রেতারা পাবেন কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক। আরও থাকছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৩২ স্মার্টফোন কেনার পরে ৬ মাসের সহজ কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের সুবিধা। ক্রেতারা গ্যালাক্সি এস২১ আল্ট্রা ফাইভজি কিনলে, জিতে নিতে পারবেন বাডস প্রো, এস২১ প্লাস অথবা তাৎক্ষণিক ২৫ হাজার টাকার ক্যাশব্যাক।
এছাড়াও, ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে, একটি গ্র্যান্ড ইনভাইট অফারে ক্রেতাদের জন্য লটারির মাধ্যমে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এছাড়া কন্ডিশনার বা ওয়াশিং মেশিন জিতে নেয়ার সুযোগ থাকছে।
উল্লেখ্য পুরো জুলাই মাসজুড়েই চলবে এ ক্যাম্পেইন।
ঈদুল আজহা: হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সকল ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ছয় দিন বন্ধ থাকবে। বন্দরের সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) থেকে শনিবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত এই বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ভারতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত
এ ব্যাপারে বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন বলেন, ঈদে বন্ধের বিষয়টি নিয়ে গত রবিবার বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ বন্দর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করেছি। সেখানে ছয়দিন বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্ধের বিষয়টি আমরা ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষকে বকেটি পত্র দিয়ে জানিয়েছি। তারাও সম্মতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৫ জুলাই থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস উপকমিশনার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা ছয়দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ঈদের সরকারি ছুটি পর্যন্ত কাস্টমস কার্যালয় বন্ধ থাকবে। এরপর থেকে অফিসিয়াল কাজ-কর্ম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে স্বাভাবিক হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম
তিনি বলেন, সরকারি ছুটির বাইরে আমাদের অতিরিক্ত ছুটি গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।