গরু
চট্টগ্রামে এবার গরু ফ্যাশন শো!
এতোদিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মানুষের ফ্যাশন শো, কিন্তু বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী আয়োজন গরুর ফ্যাশন শো। সেখানে একের পর এক বিশাল বিশাল গরুকে হাটিঁয়ে ক্যাটওয়ার্ক করানো হয়।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে প্রধান আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন প্রজাতির বিশালাকৃতির গরু প্রদর্শন।
৫০ টাকার টিকেট কেটে হাজার হাজার মানুষ উপভোগ করেছে শতাধিক গৃহ পালিত গরুর এই ফ্যাশন শো।
ক্যাটেল এক্সপো-২০২৩ নামে গরুর এই প্রদর্শনী বা ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়েছে নগরীর কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম মাঠে।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে জার্মান তরুণী সিলেটের বিশ্বনাথে, বর্ণিল আয়োজনে বিয়ে
বগুড়ায় বজ্রপাতে গরুসহ কৃষক নিহত
বগুড়ার ধুনটে ফাঁকা মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে তোফাজ্জল হোসেন (৬০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার একটি গরুও মারা যায়। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গোদাগাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তোফাজ্জল হোসেন ওই গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোনিতা নাছরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে কৃষক বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠে গরু চরাতে যান। তখন মাঠের ভেতর অবিরাম বৃষ্টি ঝরছিল।
একপর্যায়ে হঠাৎ বজ্রপাতে তোফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই সঙ্গে তার গরুটিও মারা গেছে।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বজ্রপাতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কৃষক নিহত
বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
বাগেরহাটে জমে উঠেছে পশুর হাট
বাগেরহাটে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে পশু বেচা-কেনা। হাটে দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন সাইজের গরুর সরবারহের ঘাটতি নেই। তেমনি ক্রেতারও কমতি নেই। তবে হাটে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি।
ক্রেতারা বলছেন, গেল বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক চড়া।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলায় এ বছর ৫০ হাজার গরু এবং ৭০ হাজার ছাগল ও বেড়া প্রস্তুত রয়েছে।
বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা পশুর হাট শুক্রবার সকাল থেকে জমে উঠেছে। দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন সাইজের কয়েক হাজার গরু আনা হয়েছে হাটে। দুর-দুরান্ত থেকে ক্রেতা আসছে হাটে। গভীর রাত পর্যন্ত এই হাটে গরু কেনা-বেচা চলবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে বিশাল গরুর হাট। ট্রাক এবং পিকআপ থেকে গরু নামানো হচ্ছে হাটে। মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হওয়ায় আশে পাশে ফাঁকা জায়গায় খুটি গেড়ে গরু রাখা হয়েছে। ক্রেতারা এসে নানাভাবে গরু দেখার পর বিক্রেতাদের সাথে দরকষাকষি করছেন। চাহিদা মতো মূল্য না পাওয়ায় অনেকই গরু বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
ফয়লাহাটের এক প্রাশে গিয়ে দেখা গেলো, অস্টেলিয়ান হলেস্টিয়ান জাতের সাদা রঙের একটি গরু দেখতে ভিড় জমিয়েছে ক্রেতা এবং উৎসুক জনতা। ওই গরুটি হাটের সব চেয়ে বড় সাইজের বলে দাবি খামারীর। ওই গরুটির দাম হাকানো হয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
হলেস্টিয়ান জাতের ওই গরুর খামারি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের নিয়ামুল ইসলাম জানান, গত তিন বছর ধরে সে ব্যবসার জন্য বাড়িতে গরুর খামার গড়ে তুলেছে। তার খামারে ছোট-বড় মিলে মোট আটটি গরু রয়েছে। খামারের সব চেয়ে বড় দু’টি গরু বিক্রির জন্য হাটে তুলেছে। এর মধ্যে সাদা রঙের উপর হালকা কালোছোপ দেয়া গরুটি তার খামারের সব চেয়ে বড়। আর কালো রঙে গরুটির তার চেয়ে একটু ছোট। বড় গরুটির ওজন হবে ১৪ মণ। বিক্রির জন্য পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম হাকিয়েছে। ক্রেতারা সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। আর কালো রঙের গরুটির ওজন হবে ১২ মণ। দাম হাকিয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা।
খামারি নিয়ামুল ইসলামের তথ্যমতে, তার খামারে হলেস্টিয়ান জাতের সাদা রঙের ওই গরুটি তিন বছর ২ মাস আগে জন্ম নিয়েছে। সে গরুটিকে লালন পালন করে বড় করে তুলেছে। প্রতিদিন ওই গরুটির খাবারের জন্য তার ব্যয় হচ্ছে এক হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওই খামারী তার গরু দু’টি বিক্রি করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন।
দেলোয়ার হোসেন, কালাম শেখ, আরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন খামারী ও গরু ব্যবসায়ী জানান, বছরজুড়ে তারা গরুর খাবার হিসেবে খড়, ভুট্টারগুড়া, ভুসি,সরিষার খৈল,তুলার খৈল, সয়াবিনের খৈল দিয়ে থাকে। গো খাদ্যোর মূলো বেড়ে যাওয়ায় গরুর মূল্যে বেড়ে গেছে। যে মূল্যে গরু বিক্রির টার্গেট নিয়েছে তার কমে বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।
ক্রেতা রামপাল উপজেলার সোলাকুড়া গ্রামের রাসেল গাজী জানান, দুপুর থেকে সে হাটে ঘুরে ঘুরে গরু দেখছে। হাটে গরুর আমদানি থাকলেও দাম অনেক। গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক চড়া। বিগত বছর সে যে সাইজের গরু এক লাখ টাকায় ক্রয় করেছে এ বছর ওই সাইজের গরুর দাম এক লাখ ৩০ হাজার টাকার উপরে। দাম বেশি হওয়ায় রাসেল গাজীর মতো অনেক ক্রেতা বাজেট করে গরুর হাটে এসে হিমশিম খাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু কেনাবেচায় ডিজিটাল হাট চালু
ফয়লাহাটের ইজারাদার গাজী আক্তারুজ্জামান জানান, হাটে ছয় থেকে সাত হাজার গরু উঠেছে। ছাগলও আছে কয়েক হাজার। বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলার খামারি এবং ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে এসেছে হাটে। গভীর রাত পর্যন্ত চলবে হাট। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সুবিধার্থে হাটে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। সরকারি নিয়ম মেনে খাজনা নেয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান জানান, জেলায় এ বছর ঈদুল আজহা সামনে রেখে ৫০ হাজার গরু এবং ৭০ হাজার ছাগল ও বেড়া প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে জেলায় ৩৮ থেকে ৪০ হাজার গরু এবং ১৫ থেকে ২০ হাজার ছাগল ও বেড়ার চাহিদা রয়েছে। লাভবান হতে খামার এবং পারিবারিক পর্যায়ে মানুষ গরু লালন পালন করছে। হাটগুলোতে ভ্যাটেনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে। হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও গরু বিক্রি হচ্ছে।
গরুর দাম যাতে কম হয় এজন্য দানাদার খাবারের পরিবর্তে ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, জেলায় স্থায়ী ১৩টি এবং অস্থায়ী পাঁচটি মিলে মোট ১৮টি গরুর হাট বসেছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাটে প্রবেশ এবং বাইর হওয়ার জন্য আলদা পথ রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া জাল টাকা রোধে আইনশৃ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। সরকার নির্ধারিত হারে ইজারা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তায় পশুর হাট নয়
লালমনিরহাটে দুই পা-ওয়ালা বাছুরের জন্ম
বিকল দুই পা নিয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে এক গরুর বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটি শুধুমাত্র সামনের দুটি পা দিয়ে চলাচল করে। বাছুরটিকে একনজর দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে উৎসুক জনতা ছুটে আসছে।
বুধবার দুপুরের দিকে চলবলা ইউনিয়ের তেঁতুলিয়া এলাকার রমনী কান্তের বাড়িতে এই গরুর বাছুরটি জন্ম নেয়। জন্ম নেয়ার পর বাছুরটি গাভীর দুধ পান করেছে বলে জানান গরুর মালিক রমনী কান্ত।
দুই পা’ওয়ালা বাছুর দেখতে উপজেলার সুকানদিঘী থেকে এসেছেন মোখলেছুর রহমান।
তিনি বলেন, দুই পা’ওয়ালা বাছুর আমি আগে কখনো দেখিনি। যখন শুনলাম এখানে দুই পা’ওয়ালা গরুর বাছুর হয়েছে, তখন দেখার জন্য আসলাম।
আরও পড়ুন: বরিশালে ২ মাথা ও ৬ পায়ের বাছুরের জন্ম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মশা তাড়ানোর ধোঁয়ার আগুনে পুড়ল ২৭টি গরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে মশা তাড়ানোর ধোঁয়া থেকে আগুন লেগে ২৭টি গরু মারা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কসবা ইউনিয়নের আখিলা গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আগুনে পুড়ে আখিলা গ্রামের মৃত আলহাজ্ব সমির উদ্দিনের ছেলে আলহাজ্ব সলেমানের খামারে থাকা ২৭টি গরুর সবগুলোই মারা গেছে।
মারা যাওয়া গরুর মধ্যে রয়েছে- ৩টি বড় ষাড় গরু,, ২২টি শাহীওয়াল বড় বকনা ও ২টি বাছুর। আগুনে পুড়ে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি, স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বাড়ির সঙ্গে লাগানো আলহাজ্ব সলেমানের খামারে আগুন লেগে সবগুলো গরু মারা যায়। গরুর খামারে মশা তাড়ানোর ধোঁয়া থেকেআগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের শান ফেব্রিক্সে আগুন
আরও জানা যায়, মশা তাড়ানোর ধোঁয়া থেকে পরবর্তীতে বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে সূত্রপাত ঘটে আগুন লাগে। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোমস্তাপুর সার্কেল) শামছুল আজম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আহম্মেদ, নাচোল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মিন্টু রহমানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোমস্তাপুর সার্কেল পরিদর্শন করেছেন। আগুনে ২৭টি গরু মারা যাবার পর বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নাচোল থানায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নাচোল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার ইব্রাহিম আলী জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম পাঠানো হয়। পরে ২০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে গরু ছাড়া আর কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷ মশা তাড়ানোর ধোঁয়ার আগুনের সাথে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভৈরবে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
মিরপুরে পাঁচ তলা ভবনে আগুন
গরুর দাম বেশি হওয়ায় ঘোড়া দিয়ে হালচাষ
গরুর দাম বেশি হওয়ায় প্রায় এক বছর ধরে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ধন্দোগাঁও গ্রামের কৃষক ভূষণ চন্দ্র। তার এই কাজে সহযোগিতা করছেন স্ত্রী ভানু রাণী।
কৃষক ভূষণ চন্দ্র বলেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করে আসছি। আমি একজন প্রান্তিক কৃষক। বর্তমান বাজারে গরুর দাম অনেক বেশি। এক জোড়া হালের গরু কিনতে গেলে খরচ পড়ে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই টাকা দিয়ে ছয় জোড়া ঘোড়া কেনা যায়। ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকাতেই এক জোড়া ঘোড়া কেনা যায়।’
তিনি বলেন, ‘আগে হালের গরু ছিল, এখন নেই। বাজারে গরুর দাম বেশি হওয়ায় কেনার সামর্থ্যও নেই। তাই নিজের চাষাবাদের প্রয়োজনে বাজার থেকে গরুর বদলে ২২ হাজার টাকা দিয়ে দুটি ঘোড়া কিনেছি। শুধু নিজের জমিতে চাষাবাদ করছি না, অন্যের জমিতেও টাকার বিনিময়ে চাষ করে দিচ্ছি। এক বিঘা জমি চাষ দিতে নিচ্ছি ৫শ টাকা। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই বিঘা জমিতে হালচাষ করা যায়।’
আরও পড়ুন: ঘোড়ার মাংস হালাল: আদালত
ভূষণের স্ত্রী ভানু রাণী জানান, প্রথম দিকে ঘোড়াগুলোকে হালের কসরত শেখাতে অনেক কষ্ট হয়েছে তাদের। ঘোড়ায় লাঙল-জোয়াল জুড়ে দিয়ে অনেকবার চেষ্টার পর আয়ত্তে আসে। এখন পুরোদমে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করছেন তাঁরা।
ধন্দোগাঁও এলাকার কৃষক মনসুর আলী ও আব্দুল আজাদ বলেন, তাদের এলাকায় বড় কোনো গরু-মহিষ নাই। ভূষণের ঘোড়া দিয়েই তাদের জমিগুলোতে লাঙল দিতে হয়। এতে খরচও কম লাগে।
পার্শ্ববর্তী মাস্টারপাড়া এলাকার কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘ঘোড়া দিয়ে লাঙল দিলে জমি গভীরভাবে খনন হয়। পাওয়ারটিলার বা মাহেন্দ্র গাড়ি দিয়ে হালচাষ করলে জমি সমান হয় না। তাই ঘোড়ার হাল দিয়ে জমি সমান করছি। এতে জমিতে পানি ধরে রাখা সহজ হয়।’
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, কৃষকেরা এখন যান্ত্রিক উপায়ে জমি চাষ করেন। ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করা অপ্রচলিত একটা বিষয়। সময়ের সঙ্গে ঘোড়ার যে ব্যবহার তা উঠে গেছে। কৃষক ভূষণ চন্দ্র নিজের প্রয়োজনে বাড়তি আয়ের জন্য ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ বা মই দেন।
তবে কৃষি বিভাগ আধুনিক মানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ইঁদুরের গর্তে দু-মুঠো খেয়ে বাঁচার স্বপ্ন!
দার্জিলিং জাতের কমলা চাষে সফল ঠাকুরগাঁওয়ের জুয়েল
কপোতাক্ষ নদ থেকে গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
যশোরের ঝিকরগাছায় ইয়াকুব আলী (৫০) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ব্যাংদাহ বাসস্ট্যান্ডে কপোতাক্ষ নদের তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ইয়াকুব ব্যাংদাহ গ্রামের তাকবিল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে কপোতাক্ষ নদের তীরে ইয়াকুবের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। ইয়াকুবের মাথায় ও চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, একজনের ফাঁসির আদেশ
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন ইয়াকুব। এরপর তার সঙ্গে পরিবারের লোকজন আর যোগাযোগ করতে পারেনি। ইয়াকুব পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে এখনও কিছু বলতে পারছি না।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বিয়ে করতে চাওয়ায় বাবাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন কারা
নেত্রকোণায় হত্যার পর গরু ব্যবসায়ীর লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় হাত-পা বাঁধা ও আগুনে দগ্ধ অবস্থায় এক গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের তেরোতোপা গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুরের পাশ থেকে তার দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ী হলেন- তেরোতোপা গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান (৫০)।
নিহত মজিবুর রহমানের বড় ভাই আতাউর রহমান বলেন, আমার ভাই গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। তাকে কে বা কারা বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি পুকুরে পাশে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তার হাত পা জিআই তার দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় আগুনে পুড়লো দিনমজুরদের ৮ ঘর
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ খান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মুজিবুরের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে পুকুরের পাশের জমিতে আগুন দেখতে পান এলাকাবাসী। তখন এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুজিবুরের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আগুনে দগ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। লাশের মুখ দেখে মুজিবুরের লাশ শনাক্ত করেন তার স্বজনেরা।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা মুজিবুরকে হত্যার পর তার শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতির পাশাপাশি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নাজিরাবাজারে জুতার কারখানায় আগুন
সোনাগাজীতে মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের আগুন
বিমানের ধাক্কায় গরুর মৃত্যু: কক্সবাজার বিমানবন্দরের ৪ আনসার প্রত্যাহার
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় বিমানের ধাক্কায় দুই গরুর মৃত্যুর ঘটনায় ৪ আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার গোলাম মোর্তুজা।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার আগে রানওয়ে ১৭ নং ডেল্টা পোস্টের সামনে দিয়ে উড্ডয়নের সময় আশেপাশে চরা দুটি গরুর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৪৩৪, বোয়িং নম্বর ফ্লাইটের ডানদিকের ডানায় ধাক্কা লাগে। এতে দুটি গরু ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তবে বিমানটি ৭টা ৫ মিনিটে নিরাপদে ঢাকায় অবতরণ করেছে বলেও জানিয়েছে ওই সূত্র।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন আজ
ফেনীতে জন্মেছে ৭ পা ওয়ালা বাছুর!
ফেনীর দাগনভূঞার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর মধ্যপাড়া গ্রামে একটি গাভি ৭ পা ওয়ালা একটি বাছুরের জন্ম হয়েছে। গত রবিবার ওই গ্রামের বাসিন্দা রূপধন মিয়ার গাভিটি ওই বাছুরের জন্ম দেয়। এমন খবরে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বাছুরটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন।
বাছুরের মালিক রূপধন মিয়া জানান, গত ১০ বছর যাবৎ তিনি গাভিটি পালন করছেন। এটি গাভিটির চতুর্থ বাছুর। জন্মের পর দেখতে পাওয়া যায় চারটি পা ছাড়াও পিঠের ওপরে আরও তিনটি পা। বিষয়টি দেখে স্থানীয় উপজেলা পশু হাসপাতালের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি পা অপসারণ করা যাবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ২ মাথা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
তিনি আরও বলেন, জন্মের পর থেকে বাছুরটি দুধ পান করছে না। তবে আলাদাভাবে তাকে দুধ পান করানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
সিন্দুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুন্নবী বলেন, ৭ পা ওয়ালা বাছুরের জন্মের খবরে প্রতিদিন ওই বাড়িতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. তারেক মাহমুদ জানান, বিরল আকৃতির এমন বাছুরের জন্ম নেয়ার পর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মী বাছুরটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন। তিনি আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ২ মাথা ও ৬ পায়ের বাছুরের জন্ম
তিনি আরও জানান, এটি একটি জন্মগত ত্রুটি। শারীরিকভাবে গরুর বাছুরটি একটু সুস্থ হলে অপারেশন এর মাধ্যমে অতিরিক্ত তিনটি পা সরিয়ে ফেলা যাবে। অপারেশন না করা হলেও তার মূল চারটি পায়ের কোন সমস্যা হবে না।