গরু
গাজী বাবুকে কিনলো না কেউ!
গাজী বাবুকে কিনলো না কেউ। হতাশ তার মালিক। চাঁদপুরে সেরা হিসেবেই পরিচিতি গরুটির। তবু সঙ্গী-সাথী অনেকেই বিকিয়ে গেলেও গাজী বাবুর কপালে ক্রেতা জোটেনি।
চাঁদপুর সদরের সবচেয়ে বড় গরু গাজী বাবুর ওজন ১১৭২ কেজি, ৯ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতা। এই গরুটি মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। অথচ বিক্রির জন্য ৫/৬ দিন আগেই আনা হয়েছিল সদরের বড় পশুর হাট বাগাদী চৌরাস্তা পশুর হাটে। পাশেই ধানুয়া গ্রামে গাজী গরু খামারেই এটি অত্যন্ত যত্নে পালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রাজার’ মালিক এখন বাদশা
গরুটির মালিক জা্ফর গাজী জানান, গরুর কাঙ্খিত মুল্য না পাওয়ায় তা মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে নিয়ে যান। গরুর দাম সাড়ে ৪ লাখ পর্যন্ত উঠেছে। জাফর গাজী দাম চাইছেন ৭ লাখ। ক্রেতা কম থাকায় তাই বেশ হতাশ হয়েই তিনি গাজী বাবুকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। তিনি বলেন, ‘আমার মাথায় হাত। করোনার কারণে মানুষের হাতে এত টাকা নেই।’
শহরের ওসমানিয়া মাদ্রাসা বাজারের গরু বিক্রেতারাও একই কথা জানালেন। ক্রেতা মোশারফ হোসেন ও আনোয়ার হোসেন মাস্টার জানান, তারা সস্তায় গরু কিনেছেন। এতে তাঁরা খুব খুশি। যে গরুর দাম একলাখ টাকা, সে রকম দুটি গরু তাঁরা কিনেছেন ৮৫ হাজার ও ৮৭ হাজার টাকা করে। মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে রাজধানীতে পৌঁছাল ৮০০ গরু
মহামারি করোনার মধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনের সুবিধার কথা বিবেচনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে "ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন" সার্ভিস চালু করেছে।
এই সেবার আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রেনের মাধ্যমে পশু পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা ০৫ মিনিটে ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে ৯টি ওয়াগনে ৯৭টি গরু কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায়। এতে করে ভাড়া বাবদ ৬৮ হাজার ৩৮০ টাকা আয় করেছে রেলওয়ে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছেড়েছে ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৮০টি গরু নিয়ে আরও একটি স্পেশাল ট্রেন রবিবার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
এছাড়া জামালপুরের ইসলামপুর বাজার স্টেশন থেকে ২৫টি ওয়াগনে ৪০০ গরু এবং দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ২১টি ওয়াগনে ৩০৬ গরুসহ মোট ৭০৬ গরু ও ২০টি ছাগল দুটি ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বিশেষ ট্রেনে ঢাকায় আসবে কোরবানির পশু
এ দু’টি স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
‘রাজার’ মালিক এখন বাদশা
রাজাকে কিনেছেন বাদশা! কাকতালীয়ভাবেই বাদশা এখন রাজার মালিক। রাজা-বাদশার গল্প শুনে একটু অবাক হচ্ছেন তো? আসলে এই রাজা একটি ষাঁড়ের নাম। রাজার মতো চলাফেরা তার। তাইতো মালিক আদর করে তার নাম রেখেছেন রাজা । আর ক্রয়সূত্রে বাদশাই এখন রাজার মালিক। রাজার দাম পাঁচ লাখ হাঁকলেও বাদশা এটি চার লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনেছেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বারাজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা জুঁই তিন বছর ধরে ষাঁড়টি পালন করে আসছিলেন। গত কোরবানির ঈদে রাজার দাম উঠেছিল তিন লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
প্রতিবছর ঈদুল আজহা আসলেই দৈহিক আকৃতি ও দামের কারণে কিছু কিছু গরু আলোচনায় আসে। এদের আকর্ষণীয় নামও দেয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দৈহিক আকৃতির কারণে এবারের আলোচিত ষাঁড় হলো রাজা। এর উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট। ওজন ২৩ মণ। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি কালো রঙের।
আরও পড়ুন: চাঁদা না দেয়ায় ফেনীতে গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে ‘হত্যা’
রাজার আগের মালিক জাকিয়া সুলতানা জুঁই জানান, ষাঁড়টি বড় করার ক্ষেত্রে তিনি স্বাভাবিকভাবে খড়, বুট ও ছোলার ভুসি, গম, চিটাগুড়, ভেজানো চাল, খৈল, নেপিয়ার ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবারই দিয়েছেন। মোটাতাজা করতে বিশেষ কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেননি। করোনার সময় না হলে ষাঁড়টির দাম আরও বেশি হতো বলে মনে করেন জাকিয়া।গরু ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া জানান, ঢাকার এক মহাজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি এটি কিনেছেন। গাড়ি পেলে ষাঁড়টি ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ড্রাগন ফল চাষে ‘আবু তালেবের’ সাফল্য
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি এ ষাঁড়টির ব্যাপারে জানেন। অফিস থেকে ষাঁড়টির সার্বিক খোঁজ-খবর রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি ষাঁড়টির মালিককেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। করোনা না থাকলে ষাঁড়টির মূল্য আরও বেশি হত।
গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সকলকে অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের আহ্বান জানিয়ে ডিজিটাল পশুর হাট থেকে একটি গরু ক্রয় করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার (৪ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ই-ক্যাব আয়োজিত 'ডিএনসিসি ডিজিটাল পশুর হাট'র উদ্বোধন শেষে ঈদুল আজহায় কুরবানির উদ্দেশে একটি গরু ক্রয় করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যত্রতত্র পশুর হাট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দেশে করোনা সংক্রমন ঊর্ধ্বগতি থাকায় জনসমাগম এড়াতে হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে দেশের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স একটি আধুনিক বাণিজ্যিক পদ্ধতি যা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আস্থা অর্জন করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
করোনা মহামারিতে ই-কমার্সের গুরুত্ব আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ই-ক্যাবসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ এগিয়ে আসায় দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এবং ঘরবন্দী মানুষের নিকট প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহজে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। জনসমাগম এড়াতে আমাদের আরও বেশি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। গত ঈদুল আযহা পশুর হাট পরিচালনায় অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে এবং আমরা সফলও হয়েছি। এবছরও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মোকাবিলা করতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, অনলাইনে কেনাকাটায় সব মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যারা ডিজিটাল টেকনোলজি সম্পর্কে অথবা ডিজিটাল লেনদেন সম্পর্কে খুব ভালো জানেন না তাদেরকে কীভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সম্পৃক্ত করা যায় সে উপায় বের করতে হবে।
গণমাধ্যমে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনলাইনে কেনাকাটা বৃদ্ধিকরণে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য প্রচার-প্রচারণার চালানোর উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্ম শুধু ক্রয়-বিক্রয় নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক নিরাপত্তাজনিত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অনেক বিষয়ে অবদান রাখছে। এই ব্যবস্থা শুধু শহরে নয় গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, পুরো পৃথিবী একটি ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে করোনা তাণ্ডবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ মানুষের জীবন-জীবিকা স্থবির হয়ে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বহুমাত্রিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণের ফলে আমাদের দেশে করোনা সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সিটির খেলার মাঠে কোরবানির পশুর হাট নয়: ডিএসসিসি মেয়র তাপস
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগের সিনিয়র সচিবরা অংশগ্রহণ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেড় লক্ষাধিক কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু বিক্রয়ের শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারিরা৷ প্রতিবছরই কোরবানির ঈদের অন্তত ১৫দিন আগে পশুর বাজারগুলো জমজমাট হয়ে ওঠে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি থাকলেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনে পশু বিক্রয় নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলার খামারিরা।
জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার ১২ হাজার ৩৭০টি পশুর খামার করা হয়েছে। এসব খামারে কোরবানির জন্য এক লাখ ৭৭ হাজার পশু লালন পালন করা হচ্ছে।
জেলা শহরের দাতিয়ারায় ‘রূপচান্দ বিবি ডেইরি’ নামে একটি খামার রয়েছে। খামারটিতে দেশীয় শতাধিক গরু লালন-পালনে ১২জন শ্রমিক পর্যায়ক্রমে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গরু পাচারকারীদের তৎপরতায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক
এই খামারের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, 'খামারটিতে অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি কারণে আমরা চিন্তিত কিভাবে গরুগুলো বিক্রয় করবো। যদি এইবার হাট না বসে তাহলে অনেকটা লোকসান গুণতে হবে আমাদের।’
দক্ষিণ পৈরতলার তিন রাস্তার মোড়ে আলী আযম ডেইরি খামার। খামারটিতে বড় ছোট মিলিয়ে প্রায় ৪০টির মতো গরু রয়েছে। রয়েছে অসংখ্য মহিষ ও গাড়ল। এই খামারে সর্বোচ্চ গরুর মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। প্রতি বেলায় পাঁচ জন শ্রমিক খামারটিতে কাজ করেন। এই খামারের প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন তাজু মিয়া
তিনি বলেন, ‘গরুগুলোকে তিন বেলায় খাবারে খড়, ঘাস, চিটা, গুড়, খৈল, ভুষি পর্যায়ক্রমে দেয়া হয়। অনেক শ্রম দেয়া হচ্ছে গরু-মহিষগুলোর প্রতি। গত বছর করোনার মাঝেও পশুর হাট বসেছিল। কিন্তু এবার ঈদের আগে যে পরিস্থিতি তাতে হাট না বসলে মালিকের অনেক টাকা লোকসান হবে।’
খামারটির মালিক আলী আযম বলেন, ‘ঈদের ছয় মাস আগে থেকেই পশুগুলোকে অধিক যত্ন সহকারে লালন পালন করা হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এইবার গরু কম তুলেছি। দেশের যে অবস্থা করোনার মহামারিতে সব খামারিরা একটা চাপা আতঙ্কের মাঝে রয়েছেন। সরকারকে আমাদের দিক বিবেচনা করে একটা পরিকল্পনা নিতে হবে।’
জেলা শহরের উত্তর পৈরতলার কাউসার এগ্রো ফার্মের মালিক শিল্পপতি কাউসার আহমেদ। খামারটির দায়িত্বে আছেন হাজী জালাল উদ্দীন। এই খামারে জেলার বড় বড় গরু রয়েছে৷ এখানে সর্বোচ্চ ১০ লাখ থেকে সর্বনিম্ন ২ লাখ টাকার গরু রয়েছে। রয়েছে ফাইটার, খাসা, শাহিওয়াল, হারিয়ানা, নেপালী প্রজাতির ষাড় ও বলদ।
খামারে দায়িত্বে থাকা হাজী জালাল উদ্দীন জানান, খামারে এইবার তারা কম গরু তুলেছেন। তবে সবগুলো গরুই আকর্ষণীয়। খামারের বড় দু’টি বলদ রয়েছে, যা জেলার মধ্যে উচ্চতায় সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি তার।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনলাইনে গরুগুলো বিক্রয়ের প্রচারণা চালাচ্ছি। কিন্তু বাজারে দরদাম করে বিক্রয়ে আরও সুবিধা হয়। অন্যান্য বছর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা গরু কিনতে আসতেন খামারে। এই বছরের করোনা পরিস্থিতিতে তারা আসতে পারছেন না। যদি হাট নাও বসে, আমরা যেন গরুগুলো যেকোনও উপায়ে বিক্রয় করতে পারি সরকার সেরকম ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন: গরু ছিনতাই করতে না পেরে কৃষকের গলায় ছুরিকাঘাত !
এই বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুজ্জান জানান, এই বছর কোরবানি ঈদকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু প্রস্তুত রয়েছে। গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত আরও ১৩/১৪ হাজার পশু থাকবে।
তিনি বলেন, ‘গত বছরের মতো এবারও আমরা খামারিদের অনলাইনে পশু বিক্রয় করতে উৎসাহিত করছি। আমাদের ফেসবুক পেইজ রয়েছে। সেখানে খামারীরা পশুর ছবি দিচ্ছেন। আমরা এই পেইজ বুস্টিং করছি। গত বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৬০ শতাংশ পশু অনলাইনে বিক্রয় হয়।’
কুড়িগ্রামে গরু পাচারকারীদের তৎপরতায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক
কুড়িগ্রামে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ধরন নিয়ে জেলাবাসীর আতঙ্ক দিন-দিন বেড়েই চলেছে। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি ভাবে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ।অন্যদিকে আসন্ন ইদুল আযহাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসায় সক্রিয় গরু পাচারকারীরা। জেলার অরক্ষিত বিভিন্ন সীমান্ত পথে প্রায় প্রতি রাতেই ভারতীয় গরু ঢুকছে এমন অভিযোগ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল দিয়ে ছিনতাইকৃত গরুর ট্রাক উদ্ধার, আটক এক
ভারতীয় এই গরুগুলো পৌঁছে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরাও কুড়িগ্রামে আসছেন গরু কিনতে।জেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের আব্দুল হাকিম জানান, শনিবার ও মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাটে শতশত ভারতীয় গরু কেনাবেচা হয়।এছাড়াও নারায়ণপুরের ইউনিয়নের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জানান, নদীপথে শত-শত গরু সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। এতে গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা গুলোতে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
তবে বিজিবির দাবি, করোনার বিস্তাররোধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।জেলাপ্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে। এতকিছুর পরেও সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশ থেমে নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘পাচারকারীদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরন কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও কেন গরু চোরাচালান বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়? করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কুড়িগ্রামের সব সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গরু আসা বন্ধ করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।’
আরও পড়ুন: গরু ছিনতাই করতে না পেরে কৃষকের গলায় ছুরিকাঘাত
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে সীমান্তে করোনা বিষয়ক প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। সীমান্তবাসীদের জানানো হয়েছে কোনওরকম অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করলেই তারা যেন বিষয়টি দ্রুত আমাদের জানান। এছাড়া অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত এলাকাগুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে।’
এতকিছুর পরেও আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দু'চারটি গরু চোরাপথে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
কুড়িগ্রাম জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করার বিষয়ে সবরকম নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গাফলতি দেখা গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউএনও ও বিজিবির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।’উল্লেখ্য, সারাদেশে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে পুরো দেশজুড়ে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) লকডাউনের প্রথম দিন দেশে করোনায় একদিনে ১৪৩ জন মারা যাবার কথা জানানো হয়, যা একদিনের হিসেবে মৃত্যুর রেকর্ড।
শেরপুরে ট্রাক উল্টে বৃদ্ধ ও ১৩ গরু নিহত
শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজের জন্য নির্মাণাধীন কালভার্টের খাদে ট্রাক উল্টে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। সেই সাথে ট্রাকের ১৩ গরুও মারা গেছে।
যশোরে বজ্রপাতে কৃষকের সর্বনাশ
চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের দফাদারপাড়ায় ররিবার সকালে বজ্রপাতে এক কৃষকের অন্তঃসত্ত্বা গাভীসহ দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
ঈদে কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গরু এড়িয়ে চলুন: বিশেষজ্ঞরা
স্টেরয়েড ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা কোরবানির পশুর মাংস কেনা এবং সেবন করা এড়াতে মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জাতীয় প্রাণীর মাংস মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৯৯৯ নম্বরে ফোন: পদ্মায় গরু বোঝাই বিকল ট্রলার উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পদ্মা নদীতে বিকল হয়ে ভাসমান ট্রলার থেকে ২৫ গরু ব্যবসায়ী ও ৩৭টি গরু উদ্ধার করেছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ফাঁড়ির নৌ পুলিশ।