পুলিশ
খুলনায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ: পুলিশ
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-১ আসনের বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং দাকোপ উপজেলার ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা-৪ আসনের রূপসা উপজেলার ৫৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি, তেরখাদা উপজেলার ৩৬টি এবং একই আসনের দিঘলিয়া উপজেলার ৩৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা-৫ আসনের ফুলতলা উপজেলার ২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি এবং ডুমুরিয়া উপজেলার ৮৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৮টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে পাইকগাছা উপজেলার ৭৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি এবং কয়রা উপজেলার ৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, খুলনা-২ আসনের ১৫৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬১টি এবং খুলনা-৩ আসনের ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন ৩১০টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনরক্ষায় জরায়ু মুখের ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা শনাক্তের বিনামূল্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রামে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ওসি আহত
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ আহত হয়েছেন।
এ সময় পুলিশ আট রাউন্ড গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
ইটের আঘাতে ওসির ডান চোখ মারাত্মক জখম হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে চোখের ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী এলাকার শশী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে যুবদলের নেতা-কর্মীরা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এসময় অবরোধকারীরা সিএনজিসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে।
পুলিশ জানায়, অবরোধের নামে বিএনপি যুবদল কর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করছে খবর পেয়ে ওসির নেতৃত্বে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করলে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে ওসির ডান চোখে আঘাত লাগে। পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় আট রাউন্ড গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, শশী কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের ব্যানারে কিছু লোক রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর করে।
তিনি আরও বলেন, এসময় পুলিশের দায়িত্বরত গাড়িতে লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে হামলা চালায়। এতে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আত্মরক্ষার পুলিশ আট রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারা থানার ওসিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উনার প্রাথমিক চিকিৎসার পর শহরের চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ২ সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ২৫
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২
হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ২ সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ২৫
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘরর্ঘে দুই সাংবাদিকসহ যুবদল ও ছাত্রদলের পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জ শহরে শায়েস্তানগর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এসময় গাড়িসহ দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জাপানি অনুদানের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন রাষ্ট্রদূতের
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শহরের শায়েস্তানগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট, শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এতে পুলিশ, সাংবাদিক, বিএনপির নেতা-কর্মীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এসময় মাইটিভির প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ, দেশটিভির প্রতিনিধি আমির হামজা, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন, ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম এবং যুবদল নেতা শেখ রাসেল গুলিবিদ্ধ হন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন সেলিম জানান, মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে এসে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালালে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
তিনি আরও বলেন, মানববন্ধনে বিএনপির সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার শিপা, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সাবেক এমপি শেখ সুজাতসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে তিনি এবং ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, পুলিশ একজনকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের হাতে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত
যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।
এছাড়া পুলিশ দল ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে।
দলটির বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দীনের নেতৃত্বে দলের রাজনৈতিক নিবন্ধন মামলা, একতরফা নির্বাচনের তফসিল, গুপ্ত হত্যা, গণগ্রেপ্তার, ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনে মানববন্ধন করা হয়।
তারা অভিযোগ করেন, হঠাৎ পুলিশ গুলি ছুড়ে, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫০
তাৎক্ষণিকভাবে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর (প্রধান) নুরুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী জানান, সকালে শহীদ ফারুক সড়কে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করার সময় লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এ ঘটনায় দলের ৩ জন সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন পর রবিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দলটি রাস্তায় নেমেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
জামায়াতের অর্থের ‘জোগানদাতা’ ডা. ফাতেমাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার
নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু
নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নূরতাজ বেগম (৬০) নামে এক নারী আসামির মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নূরতাজ বেগম পৌর শহরের দক্ষিণ কান্দা পাড়া এলাকার মৃত পিয়ার হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের ছেলে হৃদয় জানান, পুলিশ তার মাকে সন্ধ্যায় আটক করলেও, পরিবারকে কিছু জানায়নি। এমনকি মাঝরাতে তার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা এবং সকালে তার মারা যাওয়ার ব্যাপারেও তাদের কিছু জানানো হয়নি।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে সকালে হাসপাতালে যাওয়ার পরও পুলিশ তার মায়ের লাশ দেখতে দিচ্ছে না।
অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) নাইমুল মোস্তাকের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল ১০ কেজি গাজাসহ নূরতাজ বেগমকে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকা থেকে আটক করে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। রাতেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। রাত ৩টায় তিনি অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল পৌনে ৮টায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে থানা হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: ২ এএসআই প্রত্যাহার
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. পলাশ মোল্লা বলেন, ‘অ্যাবডোমিন পেইন নিয়ে রাতে তিনি ভর্তি হন। চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। সকাল সাড়ে ৭টায় ফের তার পেট ব্যথা শুরু হলে আমরা চিকিৎসা দিই। এরই মধ্যে আকস্মিক তিনি মারা যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে।’
ডিবি পুলিশের এসআই নাইমুল মোস্তাক বলেন, নূরতাজ একজন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাকে ১০ কেজি গাজাসহ গ্রেপ্তার করে মামলা দেওয়া হয়। রাতে তিনি অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে হার্ট অ্যাটাক হয়ে তার মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা হয়েছে।
নরসিংদী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বুধবার রাতে নূরতাজ বেগমকে ডিবি পুলিশ মাদকসহ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা ছিল। ঘটনার দিন রাতে নূরতাজ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সঙ্গে সঙ্গেই নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের ডাক্তার জানিয়েছেন নূরতাজ বেগম হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। নিহতের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি তদন্ত করছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: পরিবারের অভিযোগ
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ভূমি অফিস সহকারীর মৃত্যু : অভিযোগ পরিবারের
২৯ অক্টোবর থেকে চলমান হরতাল-অবরোধে ৩১০টি ভাঙচুর ও ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগ হয়েছে: পুলিশ
গত ২৯ অক্টোবর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর অবরোধ ও হরতাল চলাকালে সারাদেশে ৩১০টি ভাঙচুর ও ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে আগুন দেওয়া হয়েছে মোট ২৯০টি গাড়িতে।
এছাড়া গত ৬ ও ১৫ নভেম্বর ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর এবং সিরাজগঞ্জে দুটি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
উল্লেখিত সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় কর্তব্যরত অবস্থায় এক পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন নিহত হন।
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত রেলওয়েতে মোট ২৪টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কমলাপুর, টাঙ্গাইল ও জামালপুর রেলস্টেশনে ৩টি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন গ্রেপ্তার
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর মধ্যে রমনা থেকে দুইজন, বংশাল থেকে দুইজন, মুগদায় চারজন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থেকে দুজন, মোহাম্মদপুর থেকে একজন, পল্লবী থেকে আটজন, কাফরুল থেকে একজন, গুলশান থেকে পাঁচজন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে একজন, খিলক্ষেতে দুজন ও উত্তরা পূর্ব থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়াদের অনেকেই জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ভাঙচুর ও নাশকতার মতো সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগের ঘটনার তথ্য দিয়ে অগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে সহায়তা করলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ অবরোধ কর্মসূচি: সারা দেশে ২৩৩ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২৮ টহল দল মোতায়েন
সাতক্ষীরায় পুলিশের উপপরিদর্শকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে একজন উপপরিদর্শকের গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে পুলিশ লাইনের ব্যারাকের দোতলায় এটি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।মৃত মো. আজাহার আলী যশোরের রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি গত ১৪ নভেম্বর নড়াইল থেকে বদলি হয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে যোগদান করেন।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় পুলিশের জব্দ করা বাসে আগুন
কুষ্টিয়ায় মহাসড়কের পাশে হাইওয়ে থানার সামনে রাখা হানিফ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এতে বাসের বেশির ভাগ অংশই পুঁড়ে গেছে। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া–ঝিনাইদহ মহাসড়কে সদর উপজেলার আলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন
ফায়ার সার্ভিস ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে হানিফ পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়। চৌড়হাস হাইওয়ে থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করে তাদের থানার সামনে রাখে। ওই বাসটিতে গতকাল রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা বলেন, ‘বাসে আগুন ধরেছে, এটা ঠিক। নাশকতা না অন্য কোনো কিছু, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ঘটনাটি থানার সামনে ঘটেছে, তাই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম বলেন, ‘বাসে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে থেমে থাকা ট্রাকে দুর্বৃত্তদের আগুন
৪৮ ঘণ্টার অবরোধের আগে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে বাসে আগুন
এর আগে আমি পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করিনি: বাঁধন
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর পর দেশের কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনকে। তবে সেই বিরতি ঘুচতে যাচ্ছে এবার।
সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হলেন সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হতে যাওয়া ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ সিনেমায়। এতে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে এই তারকাকে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বনানীর একটি রেস্টুরেন্টে সিনেমার নাম ঘোষণা ও লোগো উন্মোচন করা হয়।সেখানে সিনেমা প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘সিনেমার নাম পড়েই বোঝা যাচ্ছে যে এটি একটি খুনের গল্প। তবে এর পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। গল্প নিয়ে এর বেশি কিছু বলব না। ছবিটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি, যাতে নিজের সেরাটা দিতে পারি। শুটিং শেষ করে, মুক্তির আগে বাকি সব অনুভূতি জানাব।’
আরও পড়ুন: খুফিয়া: চোখ আটকে গেল বাঁধনে
বাঁধন চলতি সময়ে নারীপ্রধান চরিত্রকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এই সিনেমাতেও তেমনটা হতে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমি পরিচালককে সব সময় বলেছি যে আপনি কেন সবসময় কোনো পুলিশ হিসেবে ছেলেকে দেখেন? কোনো নারীকে কেন ইনভেস্টিগেটিভ অফিসার হিসেবে দেখেন না? সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী আর পুলিশে অনেক নারী কর্মচারী–কর্মকর্তা আছেন। তাদেরও তো চরিত্র আছে। আছে গল্প। সে রকম জায়গা থেকে পরে ভাইয়া এই গল্প ঠিক করেন। এর আগে আমি পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করিনি। এটা আমার জন্য নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে। তাই কাজ করার আগে মন্তব্য করতে চাই না।’ সংবাদ সম্মেলনে সিনেমার পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, ‘অ্যাকশন থেকে বের হয়ে এবার খুনের রহস্যে ঢুকে গেলাম। ২০০৯ সালে ঘটে যাওয়া এই কেসের তদন্তে আমি নিজে যুক্ত ছিলাম। সেটা নিয়ে সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মুক্তির পরপরই।’ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ছবির শুটিং শুরু হবে। মুক্তি পাবে আগামী বছরের রোজার ঈদে।
সিনেমাটিতে বাঁধন ছাড়াও আরো অভিনয় করবেন মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমিত সেনগুপ্তসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সে বাঁধনের ‘খুফিয়া’ আসছে ৫ অক্টোবর
চরিত্রটি আমি আড়াই বছর বহন করেছি: ‘গুটি’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে বাঁধন
নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ট্রেন লাইনচ্যুতির চেষ্টা নস্যাৎ করল পুলিশ
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধকে সামনে রেখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ফতুল্লায় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা ব্যর্থ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার কোতালেরবাগের হক বাজার সংলগ্ন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে সারাদেশের সঙ্গে খুলনার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বলেন, দুর্বৃত্তরা ফতুল্লার কোতালেরবাগে রেললাইনে একটি ভারী লোহার পাত লাগিয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইন থেকে লোহার পাতটি সরিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, নাশকতার চেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত: তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত, চলাচল আংশিক ব্যাহত