পুলিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসা পড়ুয়া ছেলের খাবার দিতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালমা আক্তার (২৭) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মধ্যপাড়ার সাদ্দাম মিয়ার স্ত্রী।
রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন খান নোমান জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশের সময় রেলগেট এলাকায় ওই নারীকে ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সালমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অসর্তকতাবশত ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হেডফোন লাগিয়ে গেম খেলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যু
নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৪
ঢাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১
ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস গেটে ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম- পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ১০টার দিকে রেললাইনে বসে থাকা অবস্থায় ট্রেনটি তাকে ধাক্কা দেয়, এতে সে আহত হয়।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন জানান, তাকে প্রথমে কমিউনিটি হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুপুরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান এসআই।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেন-ভটভটি সংঘর্ষে নিহত ৩
শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নারীসহ ২ লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নবীগঞ্জ ঘাট এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক নারীর (৩০) এবং বন্দর ঘাট এলাকা থেকে অজ্ঞাত পুরুষের (২৮) লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফোরকান মিয়া জানান, নারীর পায়ে ও পেটে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে পুরুষের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে খাল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেন্সিডিলসহ তিন ‘মাদক ব্যবসায়ীকে’ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২ সদস্যরা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ঈমান আলী শেখের ছেলে মো. আতিক হাসান (২৫), সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সাহেদনগর (ব্যাপারী পাড়া) মহল্লার মো. বাবুল সরকারের ছেলে মো. হাসান সরকার (২৮) ও হোসেনপুর খলিফা পাড়া মহল্লার মৃত চান্দু আলীর ছেলে মো. আবুল কালাম (৩৫)।
র্যাব-১২’র এ্যাডজুটেন্ট ও অপ্স অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে জেলার সদর উপজেলার শিয়ালকোল পাওয়ার গ্রীডের সামনে অভিযান চালিয়ে আতিক হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াধানগড়া মেসার্স পার্ক ফিলিং স্টেশনের সামনে অভিযান চালিয়ে হাসান সরকার ও আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গ্রেপ্তার ৭, মাদক জব্দ
ফরিদপুরে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ২
‘১০ হাজার টাকা দিলাম, আমাকে অ্যারেস্ট করুক’
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ায় সাবেক শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন।
এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আবেগি মানুষ। চোখের জল আটকাতে পারি না। আমি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারকে লিখে ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। এটা এখন তোমাদের দিচ্ছি। এখন সিআইডি দেখি আমারে অ্যারেস্ট করে কি না। আমারে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাক।’
পুলিশের উদ্দেশ্যে জাফর ইকবাল বলেন, ‘ছাত্রদের গায়ে হাত তুলবেন না। অলরেডি হাত তুলে আপনারা অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন। আর করবেন না। তাদের হয়রানি করবেন না।’
শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগ ও দাবি শোনার পর ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোমরা আমাকে গণমাধ্যমের সামনে কথা দিয়েছ, এ অনশন ভাঙবে। তোমাদের জীবন অনেক মূল্যবান। একজন মানুষের জন্য তোমরা জীবন দিয়ে দেবে, এটা মানা যায় না। গ্রেপ্তার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিষয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু মামলা করা হয়ে গেছে, তাদের তো আদালতে তোলা হবে। আশ্বাস পেয়েছি ছাত্রদের জামিন দেয়া হবে।’
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে বুধবার ভোররাতে ক্যাম্পাসে যান অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
শাবিপ্রবির ছাত্র আন্দোলনে টাকা পাঠানোর অভিযোগে আটক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে জালালাবাদ থানায় ওই মামলা করা হয়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুরের মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।
এর মধ্যে হাবিবুর শাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করেছেন। একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ।
এর আগে রাজধানী ঢাকা থেকে শাবিপ্রবি'র সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের পর সিলেটে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল তাদের সিলেটে নিয়ে আসে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে সিআইডি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অঅরও পড়ুন: ‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ ছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও, শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শহীদ মিনারে ছাত্রদলের প্রতীকী অনশনে পুলিশের বাধা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিএনপির এই ছাত্র সংগঠন প্রতীকী বিক্ষোভ শুরু করে।
শহীদ মিনার ছাড়ার আগে শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণ ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায় ছাত্রদল।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
জেসিডির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, ‘উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ জানাই আমরা। আমরা এই অমানবিক ভিসির অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।’
জেসিডির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শমল বলেন, ভিসি মানে শিক্ষক, আর শিক্ষক মানে অভিভাবক। কিন্তু শাবিপ্রবি ভিসি তার স্বৈরাচারী আচরণ দেখিয়েছে। তার নির্দেশে পুলিশ ও ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে।
কর্মসূচি বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন নাছির বলেন, আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত হরতাল চলার কথা থাকলেও বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ তা বাধাগ্রস্ত করে।
তিনি জানান,পুলিশ তাদের মারধর করেনি, কিন্তু পুলিশ দলের কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করে তাদের বিচ্ছিন্ন করেছে এবং এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের প্রতীকী অনশন
থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তরুণীর মৃত্যু, পুলিশের দাবি আত্মহত্যা
রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে মিস রুহি (১৯) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রুহি ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ড থানার হরিয়ারঘাট গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে। পুলিশ বলছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে রুহি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রুহির সঙ্গে রংপুর নগরীর ৯ নং ওয়ার্ডের বাহারকাছনা রাম গোবিন্দমোড় এলাকার আকাশ নামে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের মার্চে মেয়েটি ঝিনাইদহ থেকে আকাশের সঙ্গে দেখা করতে আসে। এসময় স্থানীয়রা তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে তাকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর গত শনিবার (২২ জানুয়ারি) আবারও মেয়েটি আকাশের সঙ্গে দেখা করতে আসে। একপর্যায়ে আকাশের মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে মেয়েটি। ওইদিন রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় নববধূর আত্মহত্যা!
সেখানে থাকা অবস্থায় রবিবার দুপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে রুহি। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, রুহির লাশ সেখানে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে রুহির স্বজনদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সংযোগ কেটে দেন।
মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, রুহি আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের খবর পাঠানো হয়েছে। তারা আসলে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা!
মাদারীপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি
মাদারীপুরে একটি হত্যা মামলায় আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ( ফাঁসি) দিয়েছেন। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে মাদারীপুরের অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। এ সময় ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে উপস্থিত ছিল। একজন আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম এলাকার মৃত চৈতন্য বৈদ্যর ছেলে অশোক বৈদ্য, তরনী বৈদ্য ও গৌরঙ্গ বৈদ্যর সঙ্গে একই এলাকার গুরুপদ বৈদ্যের ছেলে বিষ্ণু পদ বৈদ্যের মধ্য জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, একজনের ফাঁসির আদেশ
২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর পূজার অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে গুরুপদ বৈদ্যর স্ত্রী ও বিষ্ণু পদ বৈদ্যের মা রাধা রানী বৈদ্যকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একই অশোক বৈদ্য, তরনী বৈদ্য, গৌরঙ্গ বৈদ্য, কালু বিশ্বাস, নরেন বৈরাগী ও বিজয় বেপারী। এ ঘটনায় অপহরণের পরের দিন রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে বিষ্ণু পদ বৈদ্য। মামলার দায়েরের ১০ দিন পর থানা পুলিশ পার্শ্ববর্তী পাখুল্লার বিলের মধ্যে কচুরিপানার নিচ থেকে নিহত রাধা রানী বৈদ্যের দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেসুর রহমান ঘটনার তদন্ত শেষে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময় গৌরঙ্গ বৈদ্য মারা যায়। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় দিয়েছেন। ফাঁসির আদেশ প্রাপ্তরা হলেন আমগ্রাম এলাকার অশোক বৈদ্য, নরেন বৈরাগী, কালু বিশ্বাস, তরনী বৈদ্য। প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
জনকল্যাণে কাজ করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আইজিপির আহ্বান
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সদ্য পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত আইজিদের জনগণের কল্যাণে আরও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে বলেছেন।
রবিবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে ডিআইজি থেকে পদোন্নতি পাওয়া সাত অতিরিক্ত আইজির র্যাঙ্ক ব্যাজ পরা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইজিপি।
এসময় আইজিপি বলেন, পুলিশের কাছে মানুষের চাওয়া আকাশচুম্বী। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে তাদের সেবা দিতে হবে।’
তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেন, ‘‘পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে আপনারা পুলিশের সর্বোচ্চ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।’
আরও পড়ুন: উন্নত মোবাইল নেটওয়ার্ক-ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
আইজিপি আরও বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী থেকে আপনাদের আর কিছু পাওয়ার নেই। এখন শুধু দেওয়ার পালা। আপনারা এখন দেশ ও জনগণ এবং পুলিশ বাহিনীর জন্য কাজ করবেন।’
অনুষ্ঠানে আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডআই) মো. মইনুর রহমান চৌধুরী পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন- আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, বনজ কুমার মজুমদার, হাসান উল হায়দার, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. শাহাবুদ্দিন খান, মো. মাহাবুবুর রহমান এবং ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশীদ।
আরও পড়ুন: ট্রান্সজেন্ডার নারীকে যৌন নির্যাতন: ৩ আসামি গ্রেপ্তার
দুই সন্তান জাপানি মায়ের কাছে থাকবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
পুলিশের ৭ ডিআইজিকে এআইজিপি পদে পদোন্নতি
পুলিশের সাত উপ-মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজিপি) পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের বনজ কুমার মজুমদার, ঢাকার সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালের ড. হাসান উল হায়দার, স্পেশাল ব্রাঞ্চের মনিরুল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মো. শাহাবুদ্দিন খান, শিল্প পুলিশের প্রধান মাহবুবুর রহমান ও ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ।
শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ হত্যা: পাবনায় ২ জনের যাবজ্জীবন