পুলিশ
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, পুলিশ জঙ্গিসহ এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে সক্ষম।
বুধবার বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
জঙ্গিদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান বিষয়ে দেশের শীর্ষ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গিদের দমন করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি। যখনই তারা সংগঠিত হয়েছে এবং তাদের বিদ্যমান বাহিনীকে জানানোর চেষ্টা করেছে.. , যে কোন জায়গায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, আমরা তথ্য পাই। এ কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিদের যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি।’
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর কথিত নাশকতার চেষ্টা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তাদের জানাজার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা করেননি। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
আইজিপি বলেন, ‘যখনই নাশকতার চেষ্টা হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হবে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসককে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম, যিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
কিশোরগঞ্জে চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এক এমবিবিএস চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌর সদরের ঢেকিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
মৃত এমবিবিএস চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম (২৯) কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে।
তিনি হোসেনপুর পৌর সদরের ফায়ার সার্ভিসের পূর্ব পাশের মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।
হোসেনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, পুলিশ যখন লাশ উদ্ধার করে তখন ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো ছিল।
তিনি বলেন, আরিফুলের লাশ ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা।
তিনি আরও বলেন, আরিফুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পৃথক স্থান থেকে ২ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে নির্মাণ শ্রমিকের চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার
শনিবারের সংঘর্ষ ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৭০০ মানুষ গ্রেপ্তার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৭০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফিন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব জায়গায় আমাদের সিসি ক্যামেরা রয়েছে, আমরা সেটার সাহায্য নিচ্ছি। অনেক সময় পুলিশের নজর এড়িয়ে গেলেও জনগণ তাদের ধরে আমাদের সামনে আনছে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, বৈঠকে প্রতিনিধি দলটি নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ এসেছে। কেউ এখানে ভায়োলেন্স করবে এদেশের জনগণ তা সহ্য করবে না। কেউ ভায়োলেন্স করবে সেটাও জনগণের কাছে কাম্য নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা (বাসে) আগুন ধরাতে গিয়েছিল, তাদের আমরা হাতেনাতে ধরেছি।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গাড়ি পোড়ানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ দক্ষ ও পেশাদার। পুলিশের সঙ্গে আনসার বাহিনীও তৈরি আছে। তাদের সংখ্যাও যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ২০১৪-১৫ সালে মানুষ গাড়ি-ঘোড়া, গরু-ছাগল, বাড়িঘর পুড়িয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই কাজটি যদি তারা আবারও করে, তবে জনবিচ্ছিন্ন হবে। দেশের জনগণ আর কোনোদিন তাদের সমর্থন করবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, আর আমাদের কিছু বলার নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি। বিএনপির দুই নেতা যখন গতকাল পড়ে গিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী খোঁজখবর নিয়েছেন তাদের চিকিৎসার। আমরা তাদের অ্যারেস্ট করিনি, সুস্থ হওয়ার পর তাই তারা বাড়িতে চলে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কী কী প্রস্তুতি রয়েছে এই বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা থাকবে না। মুখ্য ভূমিকায় থাকবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।
আরও পড়ুন: আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০০ জামায়াত-শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকায় জামায়াত- শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) বাদী হয়ে সিএমপির ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজন পুলিশকে আহত করে।
ঘটনাস্থল থেকে আটক ২১ জনের মধ্যে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির কর্মী ঝটিকা মিছিল বের করে।
মিছিলটি চৌমুহনী মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দিলে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে সামনে পেয়ে তারা পুলিশের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় গাড়ির ভেতর থেকে পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার মুকুর চাকমা বের হলে তাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে তিনিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। ওদিন ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২১ জনকে আটক করে।
তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়, পুলিশ জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহযোগিতায় হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে স্ত্রী ও দুই শ্যালকের বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুক দাবির মামলা!
চট্টগ্রামে ইয়াবা জব্দ: মামলায় ট্রাকচালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০, আটক ৫
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংর্ষের ঘটনায় বিএনপির পাঁচ নেতা-কর্মী আটক করেছে পুলিশ।
এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা ও মহারগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদসহ ২০ জন।
শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছুড়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রেস্টুরেন্টে ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি, গুলিবিদ্ধ ২
জানা যায়, শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেতা-কর্মীরা শিমরাইলে জড়ো হতে থাকে। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও তারা সরে যায়নি। পুলিশ পরে লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ বাধে।
আটকরা হলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান। বাকি দুইজনের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। তিনি নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর জানান, তাদের কয়েকজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়িবাড়ি গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের খুঁজে যাকে বিএনপি মনে হচ্ছে তাকেই কোপাচ্ছে, পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ১৪
চট্টগ্রামে জামায়াত-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১০, আটক ২১
চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশের একটি ভ্যানসহ কয়েকটি যানবাহনও ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে আগ্রবাদ চৌমুনী এলাকায় জামায়াত-শিবিরের একটি মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে এ সংঘের্ষর সূত্রপাত হয়। এসময় পুলিশ ২১ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ১৪
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ মোড় এলাকা থেকে মিছিল শুরু করে। মিছিলটি চৌমুহনী মোড় এলাকায় এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াতের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এরপর সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
একপর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে রাস্তায় আরও কয়েকটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫০
পুলিশের নির্দেশনা মেনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন ছেড়েছেন
বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের পুনঃনির্ধারিত মহাসমাবেশের একদিন আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হয়েছিল। যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা একদল বিএনপি নেতাকর্মী সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে বিএনপি কার্যালয়ে এসে জড়ো হন।
কর্মদিবস হওয়ায় ব্যস্ত সড়কে জনসমাগমের কারণে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় সকাল ১১টার দিকে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে এসে ১০ মিনিটের মধ্যে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের এলাকা ছেড়ে যেতে বলে।
পুলিশের নির্দেশনা মেনে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাঁচ মিনিটের মধ্যে এলাকা ছেড়ে দেয়।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবুস সালাম ও উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা শুক্রবার দুপুরে মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের সমবেত হওয়ার জন্য দলটির সমর্থকদের এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে দেখা গেছে।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বুধবার থেকে নয়াপল্টন এলাকায় প্রিজন ভ্যান,দাঙ্গা গাড়ি ও জলকামানসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার রওশনুল হক সৈকত বলেন, কর্মদিবসে ব্যস্ত সড়কে যে কোনো জনসমাগম হলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। ‘সুতরাং, মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সে জন্য আমরা এখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। আমরা কাউকে এখানে বিশৃঙ্খলা ও জড়ো হতে দেব না।’
দলের নেতাকর্মীদের এলাকায় আসতে নিরুৎসাহিত করতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিএনপি কার্যালয়ের কর্মচারী শামীম আহমেদ বলেন, দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা আছে কোনো কারণ ছাড়া দলের কর্মীদের অফিসে ঢুকতে না দিতে। ‘তাই কলাপসিবল গেট বন্ধ রাখা হয়েছে।’
এর আগে বুধবার রাতে বিএনপি তাদের মহাসমাবেশ বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে গোলাপবাগ মাঠে আয়োজন করতে রাজি না হয়ে ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় মহাসমাবেশ করবে দলটি।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ধারাবাহিক বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার সময় পুলিশের কোনো গাফিলতি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইস লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনি (গুইন লুইস) হিরো আলমের ওপর হামলার কারণ জানতে চেয়েছিলেন। ‘আমরা বলেছি, 'আমরা এখনও বলতে পারি না কেন এটা হয়েছে।' একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকার সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই: হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি নির্বাচন শেষে হিরো আলমের সঙ্গে কিছু লোকের বাকবিতণ্ডা হয় এবং দেখা যায় কিছু যুবক তার ওপর হামলা চালায়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে জানিয়েছি যে আমরা ইতোমধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করব। আমরা এটি তদন্ত করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করব কারা এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করেছিল। আমরা এটি খুঁজে বের করব।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ-গুলি
সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের একদফা দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিএনপির মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে শহরের রথখলা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
এছাড়া এ ঘটনায় সাংবাদিক ও পুলিশসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা পদযাত্রা করে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠ থেকে রথখলা এলাকা পার হওয়ার সময় পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়।
এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে নেতাকর্মীরা। পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সিলেটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু
সিলেটে চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানাধীন পারাইরচকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সল আহমদ সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারগাত্তা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সম্প্রতি পুলিশের চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল থেকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইরচকে চেকপোস্ট বসিয়ে সব ধরনের গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করছিলো পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সিলেট শহরের দিকে আসা দুই আরোহীবিশিষ্ট একটি মোটরসাইকেলকে থামার জন্য সিগন্যাল দেয় পুলিশ। কিন্তু মোটরসাইকেলটি পুলিশের সিগন্যাল অমান্য করে বেপরোয়া গতিতে চেকপোস্ট পার হয়ে যায়। এসময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল ফয়সল আহমদ (২৭) দৌঁড়ে গিয়ে গাড়িটি থামাতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহীরা চলে যান। এসময় ফয়সল গুরুতর আহত হন।
পরে অন্য পুলিশরা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ফয়সলকে দ্রুত আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
আরও পড়ুন: সিলেটে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এদিকে, পুলিশ কনস্টেবল ফয়সলকে ধাক্কা দেওয়া দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হচ্ছেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার রাম্পা গ্রামের মাহজাব উদ্দিনের ছেলে মাহবুবুর রহমান (১৭) এবং একই উপজেলার কোনাচর গ্রামের মিসবাহ উদ্দিনের ছেলে সামি (১৭)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন জানান, ফয়সলের লাশ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
সিলেটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার