পুলিশ
চট্টগ্রামে ফুটপাত থেকে নবজাতক উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানার জিইসি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে ফুটপাতে পড়েছিল সদ্য জন্ম নেয়া এক নবজাতক।
খবর পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পরিচয়হীন ওই নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:সিলেটে কবরস্থানের পাশের ড্রেনে মিলল নবজাতকের লাশ
স্থানীয় বাসিন্দা ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, রাত ১টার দিকে বাসার নিচে হইচই শুনে রাস্তায় নেমে এসে দেখি প্রিমিয়ারের সামনের ফুটপাতে সদ্য জন্ম নেয়া একটা ফুটফুটে বাচ্চা পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক ফোন দেই জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯—এ। সেখান থেকে সিএমপির চকবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীরকে সংযুক্ত করে দিলে আমি তাকে ঘটনা বলার মিনিট দশেকের মধ্যেই ওসি তার ফোর্স নিয়ে হাজির হন। তারা সেখান থেকে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: কন্যা শিশু জন্ম দেয়ায় তাড়িয়ে দিল স্বামীর পরিবার
চকবাজার থানার ওসি মো. আলমগীর বলেন, ‘৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমি সাথে সাথে নবজাতকটিকে উদ্ধার করতে যাই। এরপর সদ্যপ্রসূত ওই কন্যাসন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই। বাচ্চাটি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কারা বাচ্চাটি রেখে গেছেন সেটি জানতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি বাচ্চাটির কোনো অভিভাবক পাওয়া না যায়, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন: কন্যা শিশু জন্ম দেয়ায় তাড়িয়ে দিল স্বামীর পরিবার
৩ মাসে কুমিল্লায় মাদক বিক্রির অভিযোগে আটক ১০১২
কুমিল্লায় গত তিন মাসে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার মাদক ও মাদক বিক্রির সাথে জড়িত এক হাজার ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বুধবার এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: গোয়েন্দা বাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা: ভুয়া পুলিশ আটক
সূত্র মতে,গত তিনমাসে ২ হাজার ১০ কেজি গাঁজা, ৫৯ হাজার ৯৬৮ পিস ইয়াবা, ৭ হাজার ৫৯২ ফেনসিডিল, ৩৬৬ লিটার দেশি মদ, ১৬২ বোতল হুইস্কি, ৪৮ বোতল বিয়ার, বিদেশি মদ ৯৬ বোতল, ইস্কাপ সিরাপ ১ হাজার ৩ বোতল আটক করা হয়। আটককৃত মাদকের বাজার মূল্য ৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৫ হাজার ৯শ টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ব্যবসায়ীকে অপহরণকারী ভুয়া পুলিশ আটক
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আজিম উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) শাহারিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজি, অতিরিক্ত পুলাশ সুপার ( ডিএসবি) আফজাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( হেড কোয়ার্টার) নাজমুল হাসান রাফি, কোতয়ালী থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আনওয়ারুল আজিমসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডিবি পুলিশ সেজে ছিনতাই, চট্টগ্রামে এসআইসহ গ্রেপ্তার ২
চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
করোনা পরিস্থিতে চলমান 'লকডাউনে' এক ডাক্তারের আইডি কার্ড দেখতে চাওয়া নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ওই ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়া সমীচীন হয়নি। তাদের এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ কাম্য নয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা ও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
আদালত ইউনুছ আলী আকন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গতকাল আপনি এ বিষয় নিয়ে এসেছিলেন। আপনি তো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। আপনি কেন এসেছেন। এ পর্যায়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমার মেয়েও এক চিকিৎসক। আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও চিকিৎসক রয়েছেন।
আদালত চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত।আবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়া সমীচীন হয়নি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আনফরচুনেটলি ওই ঘটনা ঘটেছে। তখন আদালত উভয়পক্ষের উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখতে বলেন।
এর আগে, রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনির সঙ্গে পুলিশের তর্ক হয়, যা এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বিতন্ডায় রূপ নেয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয় এবং দিনভর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়। দুই পেশার নেতারা নিজেদের সহকর্মীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
লকডাউনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ‘নিগ্রহ’ ও ‘হয়রানির’ শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন- বিএমএ। পাশাপাশি ডা. সাঈদা শওকত জেনির সঙ্গে পুলিশের আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। একই সাথে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে ডা. জেনির আচরণে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, ওই চিকিৎসক গোটা পুলিশ বাহিনীকে কটাক্ষ করেছেন।
চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ওই ঘটনা নজরে আনেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, রবিবার একজন চিকিৎসককে পুলিশ হয়রানি করেছেন। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চাচ্ছি।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও পিকে হালদার কীভাবে বিদেশে, জানতে চায় হাইকোর্ট
তখন আদালত বলে, পুলিশ-চিকিৎসক বাগবিতণ্ডা করেছেন। তারা আদালতে আবেদন নিয়ে আসতে পারেন। তখন বিষয়টি দেখা যাবে।
আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় ডাক্তারকে হেনস্থা করা হয়েছে এমন ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার তিনটি আলাদা পত্রিকা আদালতে উপস্থাপন করেছিলাম। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আদালতের কাছে উপস্থাপন করি।
আরও পড়ুন: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ বলেন, যেহেতু বিষয়টি ডাক্তার নিজেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। আদালতে আসতে চাইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আসতে হবে।
রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সরকারি বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান এক নারী চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। তিনপক্ষের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ অনেককে নানা পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন।
আরও পড়ুন: দুদক গত ৫ মাসে কতজনকে অব্যাহতি দিল তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন। চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান। সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান চিকিৎসক জেনি। এরপর তার কাছে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। এ সময় জেনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসা করেন, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে?
তিনি গাড়িতে বিএসএমএমইউ স্টিকার ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তার লিখিত পাস দেখান। এরপরও পুলিশ তার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। এ সময় জেনি আরও উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে বলেন, ‘আমি ডাক্তার। করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। আপনারা কয়জন মরছেন। আমরা ১৩০ জন মরেছি।’
সেসময় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আপনি ধমক দিচ্ছেন কেন? আমরা প্রশাসনের লোক। ১০০ বার আপনার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চাইতে পারি।’
এরপর চিকিৎসক বলেন, ‘আমি বীর বিক্রমের মেয়ে।’
তখন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আমিও বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আমরা কি ভাইসা আসছি নাকি?’
চিকিৎসক বলেন, ‘আমি শওকত আলী বীর বিক্রমের মেয়ে। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল বলেই তোমরা পুলিশ হয়েছ।’
এ সময় সেখানে দায়িত্বরত নিউ মার্কেট থানা পুলিশের পরিদর্শক বলেন, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আপনার বাবা একা যুদ্ধ করেননি।’
চিকিৎসক জেনি গাড়িতে উঠতে উঠতে বলতে থাকেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’
তখন পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘কোনো ডাক্তার হয়রানি হচ্ছে না।’
এরপর গাড়ি রাস্তার একপাশে নিয়ে তিনি (চিকিৎসক জেনি) কেন খারাপ ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চান ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই-তুকারি করতে পারেন না। জীবন আমরাও দিচ্ছি। আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা কি ভাইসা আসছি?’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি প্রশাসনের লোক। ইউনিফর্ম থাকার পরও সঙ্গে আইডি কার্ড আছে।’
তখন চিকিৎসক বলেন, ‘আমি ডাক্তার। গায়ে অ্যাপ্রোন আছে। তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই বলে তুই পুলিশ
চিকিৎসক জেনি দীর্ঘ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশকে সরি বলতে বলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ সরি বলেছে কি না, তা জানা যায়নি।
চিকিৎসক-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এদিকে চলমান ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যিকভাবে আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
হেফাজত কর্মীদের হামলায় বাগেরহাটে ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে হেফাজত কর্মীদের হামলায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোড়ে পুলিশের ওপর ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের আরও ৭ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার
আহতদের মধ্যে মোল্লাহাট থানার ওসি কাজী গোলাম কবিরসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য রয়েছেন।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির বলেন, হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মিছিল করার জন্য বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্থানীয় হাসপাতাল মোড়ে জড়ো হচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং তাদের কাছে জড়ো হওয়ার কারণ জানতে চায়। এসময় হেফাজত-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ আমার পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, হেফাজতকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে মোল্লাহাট থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
তিনি জানান, আহতদের মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করলেন পুলিশের আইজিপি
ঝিনাইদহে উপজেলা শহরে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি, খোলা হচ্ছে দোকানপাট
সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহে সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিনে জেলা শহরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। তবে ভিন্ন চিত্র উপজেলা শহরগুলোতে নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। খোলা হচ্ছে দোকানপাট।
শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের আরাপপুর, পোস্ট অফিস মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরে চলাচলকারীদের তথ্য যাচাই করে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তবে উপজেলা শহরগুলোতে নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। খোলা হচ্ছে দোকানপাট।
আরও পড়ুন: সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
সকালে শৈলকুপা উপজেলা শহরের কবিরপুর, চৌরাস্তা মোড়, হলমার্কেট, হাজী মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের চলাচল বেড়েছে। মুদি দোকান থেকে শুরু করে পোশাকের দোকানও খুলতে দেখা গেছে। দোকানে একটি পাল্লা খোলা রেখে চলছে বেচা-কেনা। রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল যোগে চলাচল করছে মানুষ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়ন চোখে পড়েনি পুলিশের ভূমিকা। কোন মোড়ে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা চোখে পড়েনি। ছিল না কোন চেকপোস্ট। সেই সাথে দেখা মেলেনি উপজেলা প্রশাসনের কোন তৎপরতা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও কোথাও তা চোখে পড়েনি। উপজেলা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তাকে মাঠে পাওয়া যায়নি।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, ‘সকাল থেকে বের হইনি। একটু পর বের হব।’
আরও পড়ুন: লকডাউন: সাভারে টিলেঢালাভাবে চলছে প্রথম দিন
দোকানপাট খোলা হচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কি করার আছে বলেন, মানুষকেও তো একটু সচেতন হতে হবে। আমরা একটু পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব।’
যেমন গেল লকডাউনের দ্বিতীয় দিন
কিছু বেসরকারি যানবাহন ও রিকশা চলাচলের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার টানা দ্বিতীয় দিন দেশব্যাপী আট দিনের লকডাউন চলছে।
কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সরকারের দেয়া কঠোর লকডাউনের কারণে দোকান ও শপিংমলগুলো বন্ধ রয়েছে।
দিলু রোড, মহাখালী, বিজয় সরণি এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রাস্তা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রিকশা চলাচল করছে এবং লোকজন রিকশা ব্যবহার করে গন্তব্যে যাচ্ছে।
পুলিশ বাইরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা টিকাদান, জরুরি কাজসহ নানা অজুহাত দেখায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
মহাখালী এলাকার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান বলেছেন, “আমরা বৈধ কারণ ব্যতীত কাউকে যাওয়ার অনুমতি দেইনি। কেউ কোনো বৈধ কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদের মামলা বা জরিমানা করা হচ্ছে। তবে আমরা মানবিক ভিত্তিতে কাউকে চাপ দেইনি।”
এছাড়াও পুলিশ, র্যাব এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে যানবাহন এবং লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
পুলিশ প্রতিটি যানবাহন চেক করায় কুড়িল বিশ্বরোডে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
তবে কাঁচাবাজারগুলি সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে কারণ তারা খোলা জায়গায় তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেনি। এছাড়াও কিছু লোক স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলাচল করেছে।
কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধ করতে সরকার আট দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত অবধি লকডাউন কার্যকর থাকবে।
নতুন লকডাউনের আওতায় সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে তবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে থাকতে হবে।
তবে বিমান, সমুদ্র এবং নদী ও স্থলবন্দরগুলির কর্মচারীরা এই লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সাভারে টিলেঢালাভাবে চলছে প্রথম দিন
লকডাউন চলাকালীন রাস্তা, নদী, রেলপথ এবং বিমানসহ সকল গণপরিবহন স্থগিত থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা, পণ্য বহন, উৎপাদন পরিষেবা এই সীমাবদ্ধতার বাইরে থাকবে।
তবে পণ্য বহন, জরুরি পরিষেবা এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে এই সীমাবদ্ধতা কার্যকর হবে না। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও বজায় রাখার শর্তে শিল্প ও কলকারখানাগুলি খোলা থাকবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, কৃষিজাত পণ্য (সার, বীজ, কীটনাশক, মেশিনারিস), ফসল, খাদ্যবাহী যানবাহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যকর্মী, বিদ্যুৎ ও জরুরী সেবা সরবরাহকারী সংস্থাগুলির অফিস, কর্মচারী এবং যানবাহনগুলি, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর কার্যক্রম, মিডিয়া (প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া), ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা, টেলিফোন এবং ডাক পরিষেবাগুলি এই বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে।
জনগণের চলাচল সীমাবদ্ধ থাকবে এবং জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কাউকেই বাইরে যেতে দেয়া হবে না (ওষুধ, প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা, চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ এবং মৃতদেহের সমাধি / দাফন করা, কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়া ইত্যাদি)।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করে সকল শিল্প ও কারখানাগুলিকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলিকে তাদের কর্মীদেরকে তাদের নিজস্ব যানবাহনে বহন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলি কেবল রাত ১২ টা থেকে সকাল ৬ টা এবং দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টেকওয়ে / অনলাইন পরিষেবাগুলি পরিচালনা করতে পারবে। হোটেল বা রেস্তোরাঁয় অবস্থান করে কাউকেই খাবার খেতে দেয়া হবে না।
এই সময়ের মধ্যে সকল শপিংমল এবং মার্কেট বন্ধ থাকবে।
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে কাঁচাবাজারসহ প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত খোলা জায়গায় বিক্রি ও কেনা যাবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি নিশ্চিত করবে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং প্রাণহানির ঊর্ধ্বগতি উভয় ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসাবে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী লকডাউন দিয়েছিল। কিন্তু সরকার লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখে ৭ এপ্রিল থেকে সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় গণপরিবহন পুনরায় চালু করার পাশাপাশি ৯ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিনের জন্য দোকান ও শপিংমল পুনরায় চালু করার অনুমতি দেয়।
১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত লকডাউনটি কার্যকর ছিল।
পুলিশের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা: চট্টগ্রাম বন্দরে ২ ঘণ্টা পণ্য খালাস বন্ধ
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে মজুদকৃত বিপজ্জনক সেই রাসায়নিক পণ্য ধ্বংস করা হবে ছাতকে
চট্টগ্রাম বন্দরের এক একর ভূমি উদ্ধার
পুলিশের সাথে দুই ক্রেন অপারেটরের অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
বুধবার রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৬ শতাধিক ক্রেন অপারেটর এক যোগে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ক্রেন অপারেটর উইন্সম্যান বহুমুখি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ জানান, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে নেতাদের অনুরোধে রাত ১০টার দিকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে বন্দরে কাজ শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন বন্দর ক্রেন অপারেটর সোহাগ। পথে ইপিজেড জামান হেটেলের সামনে পুলিশের এসআই আনোয়ার মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র, লাইন্সেসসহ মোটরসাইকেল জব্দ করে। লকডাউনে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় কেন বের হয়েছে জানতে চাইলে সোহাগ বন্দরের কাজ শেষে ফিরছেন বলে জানালেও পুলিশ অফিসার অনোয়ার তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে জানান সোহাগ। একইভাবে নীমতলা বিশ্বরোড এলাকায় অপর এক ক্রেন অপারেটকে থাপ্পড় মারেন এক পুলিশ কনস্টেবল। এসব ঘটনার প্রতিবাদে এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে সকল ক্রেন অপারেটর বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়।
চট্টগ্রাম বন্দর ক্রেন অপারেটর উইন্সম্যান বহুমুখি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ বলেন, ‘আমরা বন্দরের পরিচালক ট্রাফিকের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। পুলিশ আমাদের দুই অপারেটরের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। এবং আমাদের একজন নেতা থানায় গেলে তাকে পুলিশ আটক করার হুমকি দেয়। এ কারণে অপারেটররা কাজ বন্ধ করে দেয়।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ দিন পর জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু
তিনি বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষকে আমরা ৩ দফা দাবি পেশ করেছি। দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে লকডাউন চলাকালে শ্রমিকদের একটি পাস ইস্যু করতে হবে। মালিক পক্ষের কাজ হলে মালিকরা যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে বা যাতায়াত খরচ দিতে হবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্ধ হয়ে যাবে চট্টগ্রাম বন্দর: বক্তারা
সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেটসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন।
আট দিনের লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার ভোর থেকে সিলেট নগরীর সকল প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চৌকি বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে নগরীর রাস্তাঘাট যানবাহন ও জনশূণ্য রয়েছে। ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সকালে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অতি প্রয়োজনে যারা মোটরসাইকেল, রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশায় বের হচ্ছেন তারা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ছেন। ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছে পুলিশ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হয়েছেন মনে করলে পুলিশ যানবাহন থেকে নামিয়ে দিচ্ছে যাত্রীদেরকে। সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, জিন্দাবাজার, শিবগঞ্জ, টিলাগড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বল্প সংখ্যক মোটর সাইকেল চলাচল করছে। বেশিরভাগ মোটর সাইকেল লকডাউনের আওতামুক্ত জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মীদের। এছাড়া অনলাইনে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়েও কেউ কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছেন।
লকডাউনের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া বাকি সব ধরণের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ফার্মেসিতেও ক্রেতাদের ভিড় নেই।
এ সময় মাঠে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, করোনা থেকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে লকডাউনে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হয় সে ব্যাপারে কঠোর ভাবে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
তারা জানান, সিলেট নগরীতে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। সাধারণ মানুষজনও রাস্তায় নেই। আন্তজেলা সড়ক-মহাসড়কেও কোনো যানবাহন চলছে না। লকডাউন অমান্য করে এখন পর্যন্ত কাউকে বাসার বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
এদিকে, শহরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলাতেও কঠোরভাবে লকডাউন মানছে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: লকডাউন: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ
রাজশাহীতে কোটি টাকার হেরোইনসহ ট্রাক জব্দ
রাজশাহীতে কোটি টাকা মূল্যের এক কেজি হেরোইনসহ পাথর বোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করেছে মহারগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
সোমবার রাতে মহানগরীর সিটি হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর বোঝাই ট্রাকের ভেতর থেকে ৯টি প্যাকেটে এক কেজি হেরোইন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে হেরোইনসহ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ আটক
এ সময় শহিদুল ইসলাম (৩৩) নামের ট্রাক চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। শহিদুল জেলার গোদাগাড়ি উপজেলার উজানপাড়া এলাকার মৃত নাইমুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৬৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ আটক ২
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, গ্রেপ্তার ট্রাক চালক জেলার গোদাগাড়ি থেকে হেরোইনগুলো পাথর বোঝাই ট্রাকে তুলে নেয়। এরপর ট্রাকটি সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে মহানগরীর সিটি হাট এলাকায় ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে এক কেজি হেরোইনসহ ট্রাক চালক শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হেরোইনসহ আটক ১
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল, সহকারী পুলিশ কমিশনার রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।