র্যাব
রাজধানীতে র্যাবের অভিযানে ‘জঙ্গি’ আটক
রাজধানীতে র্যাবের অভিযানে এক কথিত জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার বসিলার একটি বাসা থেকে ওই জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব সদর দপ্তরের কর্মকর্তা (মিডিয়া) এএসপি ইমরান খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব মোহাম্মদপুরের বসিলা ব্রিজ সংলগ্ন একটি বাড়িতে সন্দেহভাজন এক জঙ্গি সদস্য অবস্থান করছে জানতে পেরে বাড়িটি ঘেরাও করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মসজিদের ইমাম গ্রেপ্তার
পরবর্তীতে সকাল ৮টার দিকে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ওই বাড়িটি থেকে এক জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয় বলে জানায় র্যাব।
তবে আটক ব্যক্তির কোনও পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠী দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামের বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ৩০ দালাল আটক
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ৩০ দালাল আটক করেছে র্যাব-৭। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭।
এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে আটক করেছি। তাদের মধ্যে ২০ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
জেলাপ্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন নাদির বলেন, সকাল থেকেই বিএরটিএ অফিসে র্যাব অবস্থান নিয়ে অবৈধভাবে লেনদেন করার সময় হাতেনাতে ৩০ জনকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে তাদের সাজা দেয়া হয় এবং ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ছবি সংরক্ষণ করা আছে এবং মুচলেকা নেয়া হয়েছে। আবারও তারা যদি এই কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযোগ রয়েছে-বিআরটিএকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে একটি দালালচক্র গড়ে ওঠে। তাদের উৎপাতে বিআরটিএতে সেবাগ্রহণে আসা গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া মোটরযান ও ড্রাইভিং রেজিস্ট্রেশন করতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা দাবি করে এই সংঘবদ্ধ দালালচক্রটি। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ২১ দালাল আটক
মানতের মাংস নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত, আটক ৩
কুড়িগ্রামে ‘মাদক’ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
কুড়িগ্রামে মাদক মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজ্ঞ দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জয়ন্ত কুমার চন্দ্র (৫০) ফুলবাড়ী উপজেলার কুটিচন্দ্র খানা গ্রামের মৃত যোগেশ কুমার চন্দ্রের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর জয়ন্ত কুমার চন্দ্রকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী গঙ্গারহাট এলাকায় রংপুর র্যাব ১৩ আটক করে। এসময় তার ডান হাতে থাকা প্লস্টিকের বস্তায় ১১৮ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। পরে জয়ন্ত কুমার চন্দ্রের বিরুদ্ধে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান আজ দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতে আসামি জয়ন্ত কুমার চন্দ্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক সরকার এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন।
আরও পড়ুন: টিয়াসহ ২৩ পাখি উদ্ধার, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ জনের কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবি ডিলারের ৬ মাসের কারাদণ্ড
যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাদণ্ড: পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
নারায়ণগঞ্জে পলাতক আসামিসহ আটক ৫
পৃথক অভিযানে সোমবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও রূপগঞ্জ হতে এক পলাতক আসামিসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে র্যা ব-১১। আটকদের মধ্যে চার জন চাঁদাবাজ রয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
আটকরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার উত্তর রূপসীর গ্রামের মৃত নোয়াব ভূঁইয়া ছেলে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতাক আসামি ইয়াকুব ভূঁইয়া (৩৫), একই উপজেলার তারাব হাটিপাড়া এলাকার মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. রাসেল (৩৭), একই এলাকার মৃত রজন আলীর ছেলে মো. নুর আলম (৩২), নারায়ণগঞ্জ বন্দরের বেপারীপাড়া এলাকার লাল বাদশাহের ছেলে মো. ফয়সাল (৩০) ও একই এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. আরিফ (৪০)।
আরও পড়ুন: যশোরে গাঁজাসহ আটক ২ : র্যাব
মঙ্গলবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় বিশেষ অভিযানে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন ফরাজীকান্দা এলাকায় পরিবহনে চাঁদাবাজি করার সময় দুই জনকে হাতে-নাতে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ২ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অভিযানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন হাটিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি করার সময় হাতে-নাতে আরও দুই জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ১ হাজার ৯৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক ১: র্যাব
এদিকে, একই রাতে র্যা ব-১১ এর অপর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন উত্তর রূপসী এলাকা হতে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতাক আসামি ইয়াকুব ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে চেক ইস্যু করে বিভিন্ন সময় ঋণ নিয়ে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর পাওনাদার তার কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করে তিনি সময়ক্ষেপণ করতে থাকে এবং পাওনাদারকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পাওনাদার বাদী হয়ে ইয়াকুব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া আটকদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর ও রূপগঞ্জ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যশোরে গাঁজাসহ আটক ২ : র্যাব
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় দেড় কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের কথা জানিয়েছে র্যাব।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার বলরামপুর গ্রামের উত্তরে তালতলা মোড়ে যশোর টু নড়াইলগামী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার দরাজহাট গ্রামের শ্রী হরেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে শ্রী রাজ কুমার সরকার (৩৬) ও একই গ্রামের দিলীপ বিশ্বাসের ছেলে দীপ্ত বিশ্বাস(১৯)।
আরও পড়ুন:খুলনায় আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য আটক
মঙ্গলবার দুপুরে র্যার-৬ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো.মাহফুজুল ইসলামের নেতৃত্বে তালতলা মোড়ে যশোর টু নড়াইল গামী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে মাদক ব্যবসায়ী শ্রী রাজ কুমার সরকার ও দীপ্ত বিশ্বাসকে দেড় কেজি গাঁজাসহ আটক করে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভারতীয় রুপার গহনাসহ চোরাচালানি আটক: বিজিবি
আটকদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে উদ্ধারকৃত মাদকসহ তাদের বাঘারপাড় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিচার শুরু
গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে অস্ত্র মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
এর আগে গত ৮ মার্চ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ। গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) আব্দুল মালেক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বছরের ২২ নভেম্বর তিন মামলায় ১৮ দিন এবং ৩ ডিসেম্বর গোল্ডেন মনিরের ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। জব্দ করা মনিরের দুটি বিলাসবহুল গাড়ির দাম প্রায় ৬ কোটি টাকা।
র্যাব জানায়, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেন মনির। পরে তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা এবং মাদক আইনের পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব।
আরও পড়ুন: গোল্ডেন মনিরসহ ৩ জনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
অভিযোগ প্রমাণিত হলে গোল্ডেন মনিরের ২০০ প্লটের মালিকানা বাতিল: রাজউক
চট্টগ্রামে ৮৮ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩: র্যাব
চট্টগ্রামের পৃথক অভিযান মাধ্যমে রাউজান ও আকবরশাহ্ এলাকা থেকে ৮৮ কেজি গাঁজাসহ তিন জনকে আটকের কথা জানিয়েছে র্যাব। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দু’টি মাইক্রোবাস জব্দের কথা জানানো হয়।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য জানানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লার লাঙ্গলকোটের শিরজীপাড়া এলাকার মৃত অলি আহম্মেদের ছেলে মো.ইউসুফ মিয়া (৫০), ফেনী সোনাগাজী থানার মির্জাপুর গ্রামের বাবুল চন্দ্র দে’র ছেলে শ্যামল চন্দ্র দে ও ফেনী সদরের উত্তর সালেহপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া রিয়াজ (২৩)।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইনসহ আটক ১: র্যাব
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলার রাউজান এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদক দ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশে অবস্থান করছে এমন সংবাদের শনিবার র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে মো. ইউসুফ মিয়াকে ৬৮ কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে, অপর একটি অপর এক অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ্ এলাকায় মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাস থেকে দুইজনকে ২০ কেজি গাঁজাসহ আটক করে। মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ২: র্যাব
উদ্ধারকৃত গাঁজা ও আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফেনীতে প্রবাসী হত্যা, পলাতক স্ত্রী চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার
ফেনীতে এক প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত পলাতক স্ত্রীকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেফতারের সময় প্রবাসীর দুই সন্তানকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
নিহত ওই প্রবাসী সোহেল (৩৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তার স্ত্রীর নাম রোকেয়া আক্তার শিউলী (২৮)।
শনিবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ নুরুল আবছার। রবিবার সকালে র্যাব-৭ এর ফেনী ক্যাম্পে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
একটি সূত্রে জানা গেছে, ফেনী থেকে পালিয়ে রামগড় দিয়ে শিউলী দুই সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চলে আসে। শনিবার দিনভর ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘরে ভাড়া বাসা খুঁজতে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে র্যাব-৭ এর একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য শুক্রবার ফেনী শহরের সুফি সদর উদ্দিন সড়কে চৌধুরী সুলতানা ভবনে প্রবাসী স্বামী মো. সোহেলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার পর দুই সন্তান নিয়ে পালিয়ে যায় বলে রোকেয়া আক্তার শিউলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। প্রবাসী সোহেল (৩৫) পরিবার নিয়ে ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহেল প্রায় ১২ বছর ধরে দুবাই ছিলেন। আট বছর আগে দেশে ফিরে তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের শিউলি আক্তারকে বিয়ে করেন। এরপর আবার দুবাই চলে যান। এক মাস আগে দুবাই থেকে তিন মাসের ছুটিতে দেশে আসেন সোহেল।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সোহেলকে কুপিয়ে হত্যার পর দুই সন্তান রিহান (৭) ও জান্নাতকে (৪) নিয়ে পালিয়ে যান রোকেয়া আক্তার। গভীর রাতে বের হওয়ার সময় বাসার দারোয়ানকে জানান, তার বাবা মারা গেছেন, সেখানে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র অফিসে হামলা: গ্রেপ্তার ২১
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জয়পুরহাটে গোপনে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ চক্রের ৬ সদস্য আটক
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় গোপনে অবৈধ পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহকারী চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছে থেকে ছয়টি করে সিপিইউ, মনিটর ও মাউস, ১০ হার্ড ডিস্ক, ১৮ বিভিন্ন ক্যাবল জব্দের দাবি করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইনসহ আটক ১: র্যাব
আটকরা হলেন- ক্ষেতলালের উত্তর মহেশপুর শালুকডুবি গ্রামের ইসলাম মন্ডলের ছেলে মেহেদী হাসান (২৬), একই উপজেলার ইকরগাড়া গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (২৮), শালবন পাড়া গ্রামের দারাজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আরমান হোসেন (২৮), তিলা বদুল (নামাপাড়া) গ্রামের বৈদ্যনাথ হালদারের ছেলে সুজন হালদার (২৪), জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে একলাছুর রহমান (২১) ও একই উপজেলার দক্ষিণ বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত হাবিল উদ্দীনের ছেলে শাহিনুর রহমান (২৭)।
র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি অপারেশনাল দল কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌকিরের নেতৃত্বে জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজারে আকস্মিক অভিযানে বের হয়। এসময় পর্নোগ্রাফি ভিডিও এডিটিং ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরবরাহ করার বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল (যন্ত্রপাতি) সহ অবৈধ পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহকারী চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ২: র্যাব
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরে তাদের ক্ষেতলাল থানায় সোপর্দ করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় সোমবার রাতে র্যাব-১০ এর সদস্যদের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সাহিনুদ্দিন হত্যা: কথিত বন্দুকযুদ্ধে আসামি নিহত
র্যার-১০ এর দায়িত্বরত কোম্পানি কমান্ডার মেজর ওহেদুর রহমানের ভাষ্য, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ঝিলমিল আবাসিক হাউজিং এলাকায় সোমবার দিবাগত রাতে র্যাব (১০) এর টহল দল ও সন্ত্রাসীদের মাঝে ২০-৩০ মিনিট গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে আহত অবস্থায় দুই সন্ত্রাসীকে দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা। পরে রাতেই আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, র্যাবের গুলিতে আহত দুই যুবক মারা গেছে। তবে এখনও তাদের কোন নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিজিবির সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টেকনাফে ২ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, সকাল ১০টার দিকে তাদের থানার একজন পুলিশ অফিসারকে তথ্য সংগ্রহের জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আসার পর সকল তথ্য দেয়া হবে।