ফেরি
৬ ঘন্টা পর চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর –শরিয়তপুর ফেরি সার্ভিস ছয় ঘন্টা বন্ধ থাকার পর তা পুনরায় চালু হয়েছে। লঞ্চ বন্ধ থাকার সময় উভয় পাশে আটকে ছিল প্রচুর সংখ্যক যানবাহন। ওদিকে ঘন কুয়াশায় গভীররাতে নদীর মাঝে আটকে যায় অনেক লঞ্চ।
সোমবার সকাল ৯টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি ) এর হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার ফয়সল আলম চৌধুরি ইউএনবিকে জানান ,ঘন কুয়াশায় নদীতে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাই গতরাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পযর্ন্ত ছয় ঘন্টা নদীতে নৌ দুঘর্টনা এড়াতে চাঁদপুরের হরিণা ও শরিয়তপুরের নরসিংহপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: দুই রুটে ১১ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
তিনি জানান, এ ফেরি রুটে বতর্মানে ছয়টি ফেরি চলছে। ওদিকে ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর–ঢাকা লঞ্চ রুটে গভীর রাতে ঘন কুয়াশায় মেঘনা ও পদ্মায় অনেক যাত্রীবাহি লঞ্চ আটকে যায়। ফলে, চাঁদপুরঘাটে নির্ধারিত সময় ভোরে পৌঁছতে না পেরে ৫/৬ ঘন্টা পরে এসব লঞ্চ যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে পৌঁছতেছে।
চাঁদপুর ঘাটের লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর ও রুহুল আমিন জানান, সোমবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী সোনারতরী, মেঘনা রানী ও মিতালী লঞ্চ এখনও ঘাটে পৌঁছেনি। তিন থেকে চার ঘন্টা দেরি হচ্ছে। লঞ্চের ভেতরে খাবারের অভাবে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। আবার আজ সকালে চাঁদপুর থেকে ঢাকামুখী যে সব লঞ্চ- রফ রফ, সোনারতরী, ঈগলসহ আরও কিছু লঞ্চ চাঁদপুর ছেড়েছে। সেগুলোও পথে আটকে ছিলো কুয়াশার কারণে। ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকায় পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত
দুই রুটে ১১ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশা কেটে যাওয়ায় টানা ১১ঘন্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে সকাল ১০টা থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় ঘন কুয়াশার তীব্রতা কমে যাওয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
একইভাবে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও রাত ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার পর সকাল ১০টায় পুনরায় চালু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেজ নেওয়াজ জানান, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত
এসময় মাঝ পদ্মায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয় বনলতা, হাসনা হেনা ও রজনীগন্ধা নামের তিনটি ফেরি।
এ ছাড়া পাটুরিয়া প্রান্তে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, ভাষা শহীদ বরকত ও মাধবী লতা ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, কেরামত আলী, শাহ পরান ও চন্দ্র মল্লিকা নামের চারটি ফেরি নোঙর করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘ সময় থেকে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে তিন শতাধিক যানবাহন।
এদের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, ছোটগাড়ি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মিলে শতাধিক যানবাহন ও আরও শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ আবারও জেগে উঠেছে ডুবোচর, ফেরি চলাচল করছে ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত
ঘন কুয়াশার কারণে রবিবার রাত ১১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকে আছে তিনটি ফেরি।
এছাড়া উভয় পাড়ে আরও ১১টি ফেরিকে নোঙর করে রাখা হয়েছে। ফেরি বন্ধ থাকায় পদ্মার উভয়পাড়ে আটকে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাকসহ যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটাকর, মাইক্রোবাস মিলে তিন শতাধিক যানবাহন। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেজ নেওয়াজ জানান, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এসময় মাঝ পদ্মায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে ফেরি বনলতা, হাসনা হেনা ও রজনীগন্ধা নামের তিনটি ফেরি ও লঞ্চ।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৫ ঘন্টা বন্ধের পর ফেরি চলাচল শুরু
এ ছাড়া পাটুরিয়া প্রান্তে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, ভাষা শহীদ বরকত ও মাধবী লতা নামের তিনটি ফেরি যানবাহন বোঝাই করে ঘাটে নোঙর করে আছে। এছাড়াও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, কেরামত আলী, শাহ পরান ও চন্দ্র মল্লিকা নামের চারটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে।
দীর্ঘ সময় থেকে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে পড়েছে তিন শতাধিক যানবাহন। এদের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, ছোটগাড়ি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মিলে শতাধিক যানবাহন ও আরও শতাধিক পন্যবাহী ট্রাক রয়েছে বলে তিনি জানান। ঘন কুয়াশার তীব্রতা না কাটা পর্যন্ত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে না বলেও তিনি জানান।
একই কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও রাত ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। উভয়ঘাটে আটকে রাখা হয়েছে ৫টি ফেরিকে।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১১ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ আবারও জেগে উঠেছে ডুবোচর, ফেরি চলাচল করছে ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে জেগে ওঠা ডুবোচর খননের এক মাসে ফের ডুবোচর জেগে উঠেছে। এছাড়া উজানের বালুমাটি এসে চ্যানেলে পড়ে ভরাট হওয়ায় ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে ফেরি চলাচল করছে।
এর আগে ডুবোচরের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার তিন কিলোমিটার নদী পাড়ি দিতে অতিরিক্ত দুই-তিন কিলোমিটার ঘুরতে হতো। যে কারণে ২৫-৩০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগতো প্রায় এক ঘন্টার মতো। প্রায় এক মাস আগে দুই হাজার ফুট লম্বা ও ৩০০ ফুট চওড়া করে ডুবোচর কেটে চ্যানেল তৈরি করে গত ২৩ জানুয়ারি খুলে দেয়া হয়। খননকৃত চ্যানেলে বালুমাটি পড়ে ভরাট হওয়ায় ও ডুবোচর জেগে উঠায় পাশাপাশি দুটি ফেরি আসা-যাওয়া করতে পারছে না। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে ফেরিগুলো চলাচল করছে। ফেরি মাস্টাররা দ্রুত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেলের নাব্যতা ঠিক রাখার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ৬ জেলের কারাদণ্ড
রো রো ফেরি শাহ জালাল-এর প্রধান মাস্টার ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ফেরি চলাচলের সময় পাখার ঘূর্ণিপাকে বালুমাটি দুই পাশ থেকে ধসে চ্যানেলে পড়ছে। উজান থেকেও প্রতিনিয়ত রাতের তোড়ে বালুমাটি চ্যানেলে পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। দুই পাশে পানি কম থাকায় মার্কিং চিহৃ থাকলেও পাশাপাশি দুটি ফেরি আসা যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে চলাচল করতে হচ্ছে। পুনরায় দ্রুত খনন করা প্রয়োজন। নতুবা যে কোনো মুহূর্তে চ্যানেল বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া চার নম্বর ফেরি ঘাট থেকে পাটুরিয়া ঘাট বরাবর প্রায় দেড় কিলোমিটার পরেই বিশাল ডুবোচর। বিশাল জায়গা জুড়ে জেগে ওঠা ডুবোচরের পাশ দিয়ে প্রায় এক মাস আগে তৈরি করা চ্যানেল দিয়ে ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে ফেরি চলছে। এতে আগের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগছে।
শুষ্ক মৌসুমে নদী পাড়ি দিতে সময় লাগতো ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। ডুবোচর এড়িয়ে দীর্ঘ পথ ঘুরে আসতে সময় লাগতো প্রায় এক ঘন্টা। চ্যানেল দিয়ে পাশাপাশি আসা যাওয়া করতে না পাড়ায় পাটুরিয়া থেকে ছাড়া ফেরি প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটি ঘুরে দৌলতদিয়া আসতে সময় লাগছে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১৫ মিনিট বেশি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আব্দুস সাত্তার বলেন, ডুবোচরের কারণে দুই-তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে ফেরি চলাচল করায় ড্রেজিং শেষে ২৩ ডিসেম্বর নতুন চ্যানেল খুলে দেয়া হয়। কিন্তু নতুন করে উজানে রাতের তোড়ে এবং ফেরির পাখার ঘূর্ণয়নে বালুমাটি চ্যানেলে পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আমরা চ্যানেলটি ঠিক রাখতে বিআইডব্লিউটিএকে জানিয়েছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. মাসুদ রানা বলেন, এক মাসের বেশি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার ফুট লম্বা ও ৩০০ ফুট চওড়া মধ্যবর্তী ডুবোচর চ্যানেল তৈরি করা হয়। চ্যানেলের মাঝে পানির গভীরতা ছিল প্রায় ১৬ ফুট। চ্যানেলে বালুমাটি পড়ে ভরাট হলে নতুন করে ড্রেজিং করা হবে। এ জন্য তারা প্রস্তুত আছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা!
গোয়ালন্দে গরুর দুধ নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৫ ঘন্টা বন্ধের পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পাঁচ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। সকাল সাড়ে ৫টায় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে ফেরির মার্কিং লাইটের আলো অস্পষ্ট হয়ে যায়। নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় মাঝ নদীতে দুইটি ফেরি খান জাহান আলী ও শাহ মখদুম নোঙর করে রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় কুয়াশার মাত্রা কমে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। মাঝ নদীতে আটকে থাকা ফেরি দুইটিও ঘাটে ভিড়েছে।
এদিকে, ঘন কুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ভোর ৪টা থেকে এখন পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আরিচা ও কাজিরহাট ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা রয়েছে তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে ৮ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১১ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সোমবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে পদ্মার উভয়পাড়ে আটকা পড়েছে শতাধিক ট্রাকসহ বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মিলিয়ে দুই শতাধিক যানবাহন। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল জানান, মধ্যরাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রাত ৩টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
তিনি আরও বলেন, নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সময় মাঝ পদ্মায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে ফেরি শাহ পরান ও হাসনা হেনা নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া ছোটবড় মিলিয়ে আরও ১২টি ফেরিকে উভয় ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়েছে।
দীর্ঘ সময় থেকে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে দুই শতাধিক যানবাহন। এদের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, ছোটগাড়ি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মিলে শতাধিক যানবাহন ও আরও শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে বলে তিনি জানান। ঘন কুয়াশার তীব্রতা না কাটা পর্যন্ত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে না বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৭ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
৪ ঘণ্টা বন্ধের পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৭ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সাত ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে পদ্মার উভয় পাড়ে দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কুয়াশার তীব্রতা কমে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দীর্ঘসময় ফেরি বন্ধ থাকায় পদ্মার দুই পাড়ে আটকা পড়ে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকসহ যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মিলে দুই শতাধিক যানবাহন। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা পড়েন দুর্ভোগে।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল জানান, মধ্যরাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রাত ২টা দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় মাঝ পদ্মায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয় পাঁচটি ফেরি। এছাড়া ছোটবড় মিলে আরও ৯টি ফেরিকে উভয় ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়।
টানা সাত ঘন্টা ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে দুই শতাধিক যানবাহন। এদের মধ্যে ৫০টির মত যাত্রীবাহী বাস, ১০০ মত ছোটগাড়ি ও শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টায় কুয়াশা কেটে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
অষ্টম দিনের মতো কুয়াশায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। একই কারণে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথেও ভোর সাড়ে চারটার পর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ এই দুই রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে।
ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়ায় চারটি, পাটুরিয়ায় ছয়টি ও মাঝ নদীতে একটি ফেরি আটকা পড়ে। আরিচা ও কাজিরহাট থেকে ছেড়ে যাওয়া দুটি ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। বেলা পৌনে ১১টার পর থেকে কুয়াশা কম থাকায় ফেরিগুলো নির্দিষ্ট ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে বিভিন্ন যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে। এরমধ্যে বেশিরভাগ ছিল পণ্যবাহী গাড়ি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ভারী কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত শেষে বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে সামান্য কয়েকগজ দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছিলনা। দুর্ঘটনা এড়াতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করে।
এসময় দৌলতদিয়ায় রো রো (বড়) ফেরি ভাষা শহীদ বরকত, শাহ জালাল, এনায়েতপুরী ও ইউটিলিটি (ছোট) হাসনা হেনা এবং পাটুরিয়ায় রো রো ফেরি কেরামত আলী, শাহ মখদুম, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, খানজাহান আলী, ইউটিলিটি চন্দ্র মল্লিকা ও কেটাইপ ফেরি কুমিল্লা যানবাহন বোঝাই করে নোঙর করে থাকে। পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ইউটিলিটি ফেরি রজনী গন্ধ্যা মাঝ নদীতে কুয়াশার কবলে পড়লে নোঙর করতে বাধ্য হয়। দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি শাহ জালাল মাঝ নদীতে দীর্ঘক্ষণ আটকা থাকে। বেলা পৌনে ১১টার পর কুয়াশা কমতে থাকলে নোঙর করে থাকা ফেরিগুলো ছাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
পদ্মার ভাঙনে গোয়ালন্দে ফেরি চলাচল ব্যাহত
পদ্মা নদীর ভাঙনে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ৩নম্বর ও ৪নম্বর ঘাট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া একটি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। আরও চারটি বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বরও ভাঙনের কারণে ৫নম্বর ঘাট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ৩নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। আড়াইটার দিকে ভাঙনের মাত্রা বেড়ে গেলে নদীর পাড়ের সিদ্দিক কাজী পাড়ায় সালাম বেপারীর এক বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়।
তারা জানিয়েছে, প্রায় ১০০ মিটারের মতো জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়ায় পাশের ৪নম্বর ঘাট ভাঙনের মুখে পড়ে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিন নম্বরের পাশাপাশি ৪নম্বর ঘাটটিও বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে ফেরির লষ্কর নিখোঁজ
আরিচা অফিসে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আবদুস সাত্তার জানান, খবর পেয়ে তিনি বুধবার রাত আড়াইটার দিকে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি খারাপ দেখে তখন ৩নম্বর ঘাটের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙনের কারণে ৪নম্বর ঘাটের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, নতুন করে পানি বাড়তে থাকায় নদীতে প্রচণ্ড স্রোত দেখা দিয়েছে। স্রোতের তীব্রতায় ৩নম্বর ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ১০০ মিটারের মতো ভাঙন দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দর এলাকায় সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণ দু’টি এলপিজি প্লান্টের কার্যক্রম ঝুঁকিতে ফেলবে
বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে ৩নম্বর ঘাট এলাকায় বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তবে ঘাটটি চালু হতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফেরিঘাটে ভাঙন, নদীগর্ভে বিলীন বসতভিটা
তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন, ৫ নম্বর ঘাট বন্ধ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিযা ফেরিঘাট এলাকায় হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়ায় ৫ নম্বার ফেরিঘাট বন্ধ করেছে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ। আরও তিনটি ঘাট ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
পদ্মার পানি বৃদ্ধি এবং তীব্র স্রোতের কারণে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে এই ভাঙন দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: মেঘনা চরে ফেরি আটকা, যাত্রীদের উদ্ধার
বুধবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, দৌলতদিয়ার পাঁচটি ফেরি ঘাটের মধ্যে ভাঙনের কারণে ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুন পাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে। উক্ত ঘাটের নদীর পাড় জুড়ে আড়াআড়িভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ঘাটের লোওয়াটার লেভেল, মিডওয়াটাল লেভেল ও হাইওয়াটার লেভেলের তিনটি ঘাটের সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩, ৪ ও ৬ নম্বর ঘাট ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন দেখা দেয়ায় ওই এলাকার স্থানীয় দোকানপাট ও হোটেলসহ অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়া হয়েছে।