ঘন কুয়াশা
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কুয়াশা কমতে শুরু করায় ফেরি চলাচল আবারও শুরু হয়।
এ সময় মাঝ পদ্মায় আটকা ছিল ৩টি ফেরি। এছাড়া, ২ ঘাটে আরো ১১টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছিল। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় নদী পারাপারের যাত্রীদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মহি উদ্দিন রাসেল জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে।
তিনি আরও জানান, রাত সাড়ে ৯টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় শাহপরান, কেরামত আলী ও বনলতা নামে তিনটি ফেরির। এছাড়া আরো ১১টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকে রাখা হয়। তবে কুয়াশা কমতে থাকায় আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়েছিল অর্ধশত যাত্রীবাহী বাসসহ ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি চলাচল শুরু
৯ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম
ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে কুড়িগ্রামের মানুষ। বুধবার (৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবারের তুলনায় ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম।
দেখা গেছে, উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠাণ্ডার মাত্রা। এদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে যান চলাচলে। দিনের বেলায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
বুধবার সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা তাপমাত্রা ঠিক থাকলে রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস।
দুদিন থেকে উত্তরীয় হিমেল বাতাসে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার বাসিন্দারা। আর রাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।
সকালে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে চরম ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠাণ্ডায় সবজি খেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রমিক আহসান হাবীব বলেন, দুইদিন থেকে খুব ঠাণ্ডা। সকালে সাইকেল চালানো যাচ্ছে না। ঠাণ্ডায় হাত পা বরফ হয়ে যায়।
জহুরুল নামের একজন বলেন, শীতকালে আমাদের মতো মানুষের খুব কষ্ট। কারণ মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমাদের মাঠে যেতে হয়। ঠাণ্ডায় মাঠে কাজ করা অনেক সমস্যা। কিন্তু করার কিছু নেই। কাজ না করলে তো আর জীবন চলবে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানান তিনি। শৈত্যপ্রবাহ কবে নাগাদ হতে পারে তা দুপুরের মধ্যে জানানো যাবে।
ঢাকা বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত
ঘন কুয়াশার কারণে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ৮ ঘণ্টা উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
এই সময়ে বিমানবন্দরে আসা ৬টি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কুয়াশার কারণে রাত ১২টা থেকে আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারেনি। ৯টায় যথারীতি ফ্লাইট অবতরণ শুরু হয়। ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত থাকা অবস্থায় ৬টি ফ্লাইট চট্টগ্রাম ও সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
কামরুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টার পর চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ডাইভার্ট ফ্লাইটগুলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসা শুরু করে।
আরও পড়ুন: মার্চ থেকে ঢাকা-রোম রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে বিমান
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক-সাংবাদিকদের জন্য ঢাকা বিমানবন্দরে প্রস্তুত অভ্যর্থনা লাউঞ্জ
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চতুর্থ দিনের মতো ফেরি চলাচল ব্যাহত
চতুর্থ দিনের মতো ঘন কুয়াশায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে কুয়াশায় ফেরি বন্ধ হয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে চালু হয়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ছোট-বড় ৪টি ফেরি মাঝ নদীতে দিক হারিয়ে আটকা পড়ে। দুর্ভোগের শিকার হন কয়েকশ’ মানুষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানিয়েছে, কুয়াশার কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে টানা ৪দিন ধরে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সোমবার দিবাগত রাত থেকে চতুর্থ দিনের মতো ভারী কুয়াশা পড়তে থাকে।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকলে ফেরিসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়। এক পর্যায়ে সামনের সামান্য দূরের কিছুই যখন দেখা যাচ্ছিল না, তখন দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ২টা ১০ মিনিট থেকে এই রুটে ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তার আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, খানজাহান আলী, এনায়েতপুরী ও কেটাইপ (মাঝারি) ফেরি ফরিদপুর মাঝ নদীতে দিক হারিয়ে ঘুরপাক খেয়ে পরে নোঙর করতে বাধ্য হয়। রাতভর ফেরিগুলো মাঝ নদীতেই নোঙর করে ছিল।
বিআইডব্লিউটিসি আরও জানিয়েছে, এ সময় ফেরি ৪টিতে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী গাড়িসহ প্রায় ৮০টির মতো বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ছিল। কুয়াশা আর শীতে দুর্ভোগের শিকার হন অন্তত ৩ শতাধিক মানুষ। এ সময় দৌলতদিয়া প্রান্তে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, কেরামত আলী নামক দু’টি বড় ফেরি এবং রজনীগন্ধ্যা ও কবরী নামক দু’টি ছোট ফেরি নোঙর করে ছিল।
একইভাবে পাটুরিয়া প্রান্তে বীরশ্রেষ্ঠ হামীদুর রহমান, ভাষা শহীদ বরকত, ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা ও শাহ পরান নামক চারটি বড় ফেরি এবং হাসনা হেনা ও বনলতা নামক ২টি ছোট ফেরি নোঙর করে ছিল।
বাগেরহাট ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা, জনজীবন বিপর্যস্ত
বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলে ঘন কুয়াশা পড়েছে। সড়ক-নদীপথসহ সর্বত্রই যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। কুয়াশার কারণে কাছের মানুষ ও যানবাহন দেখা যায়নি বেলা হওয়া পর্যন্ত।
যানবাহন চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। দূরপাল্লার যানবাহন গন্তব্যে বিলম্বে পৌঁছাচ্ছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে যারা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে বের হয়েছেন তাদেরকে নানা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
এদিন সকাল ১০টার দিকেও কুয়াশা দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে ইউএনবির বাগেরহাট প্রতিনিধি এসব চিত্র দেখতে পান।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ঘন কুয়াশায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চলতে শুরু করেছে ফেরি
বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ বলছেন, বাগেরহাটে এর আগে তারা এত কুয়াশা দেখেননি। সকাল ১০টার দিকেও কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা রয়েছে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। কাছের মানুষ এবং যানবাহন দেখতে পারছেন না তারা। সড়কে যানবাহন চলাচল অনেক কম এবং হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে চলতে হয়েছে যানবাহনগুলোকে। আর নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বেশি।
এদিকে কৃষকরা ঘন কুয়াশার কারণে তাদের বোরো ধানের বীজতলা এবং আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
আরও পড়ুন: নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ঘন কুয়াশা এইভাবে কয়েকদিন পড়তে থাকলে বোরো ধানের বীজতলা লাল হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে আলুর খেতে পোকার আক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে চাষিদেরকে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর-রশীদ বলেন, রবিবার মধ্যরাত থেকে ঘন ও মাঝারি কুয়াশা পড়েছে এই অঞ্চলে। সোমবার সকালেও কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা ছিল বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা।
তিনি আরও বলেন, কুয়াশার কারণে ১০০ মিটার বা তার কাছের মানুষ এবং সড়কে চলাচলকারী যানবাহন দেখা যাচ্ছিল না। গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছে।
মঙ্গলবারও এমন কুয়াশা পড়তে পারে বলে এই কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মাঝ নদীতে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকা আছে ফেরি বনলতা। এছাড়া পাটুরিয়াঘাটে ৭টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে ৪টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে।
পদ্মার উভয় পাড়ে আটকা পড়েছে শতাধিক যানবাহন।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় কুয়াশার প্রকোপ বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে ফেরির সার্চ লাইটেও নৌপথ দেখতে না পেয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় মাঝ নদীতে বনলতা নামে একটি ছোট ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এছাড়া পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ১১টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে।
ঘন কুয়াশা কেটে না যাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে আটকা ৪ ফেরি
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা আর শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সন্ধ্যার পর থেকে চারদিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে, সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে করে ছিন্নমূল দরিদ্র লোকজন সীমাহীন কষ্ট ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে।
উত্তরের জেলা লালমনিরহাট হিমালয় পর্বতের খুব কাছাকাছি হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে শীতের আবহ তেমন না হলেও হঠাৎ ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: শীতের পোশাক পেল পথশিশুরা, সঙ্গে দেয়া হলো চাইনিজ খাবার
একইসঙ্গে জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলায় কমেছে তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে লালমনিরহাট ও তার আশপাশে জেলাগুলোতে। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরতে থাকে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দিনের বেলা খানিক সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তাপ কম থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। রবিবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি বিকাল গড়াতেই শীত আরও বেশি অনুভূত হয়।
জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ছিন্নমূল গরিব অসহায় মানুষ শীতের কারণে বেশি কষ্টে আছে। শীতের কারণে কৃষকরা মাঠে যেতে পারছে না ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। এ ছাড়াও অন্যান্য পেশার লোকজন শীতের কারণে কাজে যেতে পারেনি।
লালমনিরহাটের মোঘলহাট এলাকার কৃষক লোকমান বলেন, এ বছরে শনিবার থেকে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে মাঠে যাওয়া যাচ্ছে না, আর মাঠে গেলে বেশিক্ষণ টিকা যায় না। বাধ্য হয়ে বাসায় চলে এসেছি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে আটকা ৪ ফেরি
ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ফেরি, লঞ্চসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে যানবাহনবোঝাই ৪টি ফেরি।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নৌযান চলাচল শুরু হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মধ্যরাত থেকে ভারী কুয়াশার কারণে সামান্য দূরের কিছুই দেখা না যাওয়া নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
আরও জানা যায়, দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১টা থেকে কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো (বড়) ফেরি ভাষা শহীদ বরকত, গোলাম মাওলা, ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি বনলতাসহ ৪টি ফেরি মাঝ নদীতে দিক হারিয়ে আটকা পড়ে। ফেরি ৪টিতে অন্তত শতাধিক যানবাহন রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার পর পর্যন্ত এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় ঢাকার দুটি ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পেরে আন্তর্জাতিক দুইটি ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করেছে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ফ্লাইট দুটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে ফ্লাইট দুটি ঢাকার উদ্দেশে সিলেট ছেড়ে গেছে।
এ তথ্য জানিয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, কুয়ালালামপুর ও শারজাহ থেকে আসা ইউএস বাংলার দুটি ফ্লাইট কুয়াশার কারণে ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে সিলেটে আসে। পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে এগুলো ঢাকায় ফিরে যায়।
ইউএস-বাংলা’র সিলেটের সহকারী ব্যবস্থাপক বেলায়েত হোসেন লিমন বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় কুয়ালালামপুর থেকে ১০৩ জন যাত্রী নিয়ে ও সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ১৪৪ জন যাত্রী নিয়ে শারজাহ থেকে আসা আমাদের দুটি ফ্লাইট ঢাকার বদলে সিলেটে অবতরণ করে। পরে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০ টার মধ্যে ফ্লাইট দুটি ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয়।
আরও পড়ুন: আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় ঢাকার ৩টি ফ্লাইট নামলো সিলেটে
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। সকাল ৬টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া পথে ফেরি বন্ধ হয়ে সকাল সোয়া ৯টার পর চালু হয়। অন্যদিকে ভোর সোয়া ৪টার পর থেকে আরিচা-কাজিরহাট পথে ফেরি বন্ধ হয়ে চার ঘন্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফেরি চালু হয়।
কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া পথে মাঝ পদ্মা নদীতে পাঁচটি ফেরি এবং আরিচা-কাজিরহাট পথে মাঝ যমুনা নদীতে আরেকটি ফেরি আটকা পড়ে। ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়ে কয়েকশ’ গাড়ি। বাড়তি দুর্ভোগে পড়েন যানবাহন চালক ও কয়েকশ’ যাত্রী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্র জানায়, বেশ কয়েকদিন বিরতির পর গত দুই দিন ধরে পদ্মা ও যমুনা নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়ছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে রাতভর ভারী কুয়াশায় নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) ভোররাত থেকে ভারী কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়লে সকাল ৬টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া পাঁচটি ফেরি ভোর সাড়ে পাঁচটার পর মাঝ পদ্মা নদীতে আটকা পড়ে। মাঝ পদ্মায় ফেরি আটকার খবরে দুর্ঘটনা এড়াতে ৬টা থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
মাঝ নদীতে আটকা পড়া ফেরিগুলো হলো- ভাষা শহীদ বরকত, মাধবীলতা, বনলতা, চন্দ্র মল্লিকা ও ফরিদপুর।
ভারী কুয়াশা ও শীতে মাঝ পদ্মায় আটকে থাকা ফেরিতে অন্তত শতাধিক যানবাহন ও দুই শতাধিক যাত্রীসহ যানবাহন চালক বাড়তি দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরি শাহ মখদুম, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও কুমিল্লা এবং পাটুরিয়া প্রান্তে কেরামত আলী, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, শাহ পরান ও ঢাকা নামক ফেরি নোঙর করে রয়েছে। সোয়া তিন ঘন্টা পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুয়াশা কমতে থাকলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দুই ঘন্টার মতো দৌলতিদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে দুটি ফেরি আটকা পড়ে। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে পাঁচটি এবং পাটুরিয়া প্রান্তে বাকি পাঁচটি ফেরি যানবাহন বোঝাই অবস্থায় নোঙরে ছিল।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
এদিকে কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৪টা থেকে আরিচা-কাজিরহটা রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে আরিচা ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ফেরি মাঝ যমুনা নদীতে আটকা পড়ে। প্রায় সোয়া ৪ ঘন্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার পর কুয়াশা কেটে গেলে এই রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, বেশ কয়েকদিন বিরতির পর বুধবার থেকে পুনরায় ভারী কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে প্রায় সোয়া তিন ঘন্টা বন্ধ থাকে। একইভাবে আরিচা-কাজিরহাট রুটেও প্রায় সোয়া চার ঘন্টা ফেরি বন্ধ থাকে। ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে কয়েকশ’ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি চলাচল ব্যাহত