পানি
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরের শিবচরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের মফিতুল্লাহ হাওলাদারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
মৃত শিশুরা হলো- স্থানীয় সুরুজ মুন্সীর ছেলে হুজাফা (৫) এবং পাকের মিয়ার ছেলে হামীম (৯)।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে হুজাফা ও হামীম মরা পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি সেতুর পিলারের কাছে সাঁতার কাটার সময় পানিতে ডুবে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন
সপ্তাহজুড়ে থেমে থেমে রাঙামাটির কাপ্তাই লেক এবং এর আশেপাশে এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেকের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৩ মেগাওয়াটে।
যা চলতি বছরে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, একসঙ্গে চালু হলো ৫ ইউনিট
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে পানি থাকার কথা ৯৯ দশমিক ৬৯ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু লেকে এখন পানি রয়েছে ১০৫ দশমিক ৮৮ ফুট এমএসএল। কাপ্তাই লেকে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল।
প্রসঙ্গত কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন
কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু। এতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দেখা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পাটাতনের ৬ ইঞ্চি পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে সেতুটি। এ সময় বেড়াতে আসা পর্যটকদের পারাপার বন্ধ করে দেয় পর্যটন কর্তৃপক্ষ। আর রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা ডুবন্ত সেতু দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হলো রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স
হতাশা দেখা দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝেও।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতু ডুবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের জন্য রবিবার সকাল থেকে সেতুর পারাপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হ্রদের পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ঝুলন্ত সেতুটি চলাচলের উপযোগী হলে আবার চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
পর্যটন করপোরেশনের বোট ইজারাদা রমজান আলী ও টিকেট কাউন্টারম্যান মো. সোহেল জানান, ঝুলন্ত সেতুটি হ্রদে ডুবে যাওয়া ঝুলন্ত সেতু পারাপারের বন্ধ থাকায় পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। পর্যটকবাহী বোটগুলো ঘাটে বসে আছে। যতদিন কাপ্তাই হ্রদের পানি স্বাভাবিক না হয় ততদিন আমাদের ব্যবসা বন্ধ রাখা ছাড়া কোনো গতি নেই।
আরও পড়ুন: ওয়াই সেতু নির্মাণে রাঙ্গামাটির বিচ্ছিন্ন দুই দ্বীপবাসীর স্বপ্নপূরণ
গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বাড়ায় ৬০ট স্কুল বন্ধ
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতীরবর্তী নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় পানি উঠেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপরে
এছাড়া ওই সব এলাকার ফসলি জমি, আমন বীজতলা এবং নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে কয়েক হাজার পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
পানি ওঠার ফলে ১৬৫ চরাঞ্চলের ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে কড়াইবাড়ি, খারজানি, পারদিয়ারা ও কুন্দেরপাড়া গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ওইসব গ্রামের মানুষরা ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদীর ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান।
এছাড়া তিস্তা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুন্দরগঞ্জ, সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৭৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দে্ওয়া হয়েছে।
এছাড়া ওই চার উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ফুলছড়ি উপজেলার জন্য বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ৫০টি শুকনা খাবার প্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ দপ্তর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে পানিতে ডুবে রমিজ উদ্দিন (৫৫) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে জাফলংয়ের ডাউকি নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রমিজ উদ্দিন মানিকগঞ্জের দলাই গ্রামের বিন্দু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, ‘স্ত্রী’ পলাতক
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রমিজ উদ্দিনসহ তার এলাকার ৪০-৫০ জনের একটি গ্রুপ শুক্রবার মানিকগঞ্জ থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। দুপুরে রমিজ উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন মিলে পর্যটন কেন্দ্রের জিরো পয়েন্ট এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামেন। গোসলের এক পর্যায়ে রমিজ উদ্দিন স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়।
এসময় তার সঙ্গে থাকা লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ, জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশ, জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় ডুবুরিরা কয়েক ঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে বিকাল ৫ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে।
রমিজ উদ্দিনের সঙ্গে থাকা লুৎফুর রহমান জানান, রমিজসহ তারা তিন-চারজন গোসল করার জন্য নদীতে নামেন। এ সময় স্রোতের টানে রমিজ পানিতে তলিয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল জানান, পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে বেড়াতে এসে পর্যটক নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
ফের তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
উজানের পাহাড়ি ঢল ও মৌসুমি বর্ষার বৃষ্টির কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকাল ৪টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৬ মিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে ১৪ আগস্ট বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও একদিন পরে তা নিচে নেমে আসে। বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার বন্যার শঙ্কায় চিন্তিত তিস্তাপাড়ের মানুষ।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি বাড়তে থাকে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা বরাবরে প্রবাহিত হয়। ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে ৩ ঘণ্টা পরে দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
উজানে ভারী বর্ষণ ও ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় উজানের ঢেউ বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।
ব্যারাজ ও নদী তীরের বাসিন্দারা জানান, পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের আবাদ করা ফসলের খেতে পানি উঠেছে। নিম্নাঞ্চলের পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। যার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইতোমধ্যেই চরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
চর গোবর্দ্ধন এলাকার আজিজুল ইসলাম জানান, রাত থেকে পানি বাড়ছে তিস্তায়। নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের খেত রাস্তাঘাট ও পুকুর। চরাঞ্চলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের শতশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
হলদিবাড়ি চরের আব্দুল মতিন বলেন, নদীতে পানি বাড়লেই চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। বর্ষাকালে বন্যা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। রাত থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। ক্রমেই বাড়ছে পানি। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। পরিবার-পরিজন নিয়ে মাচাংয়ের ওপর বসে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষদের। এসব এলাকার বাসিন্দারা শিশু-বৃদ্ধ আর গবাদি পশুপাখি নিয়ে চরম বিপদে রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে
চাঁদপুরে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে আহনাফ (১৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২০ আগস্ট) উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহনাফ রাজধানী মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকার আজগর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: ভোলায় একদিনে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, শনিবার মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ এলাকার সিয়ামের সঙ্গে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যান আহনাফ। পরদিন রবিবার মেঘনা নদীতে গোসল করতে যান ৪ বন্ধু। আহনাফ পানিতে নেমে আর উঠেননি। পরে স্থানীয়রা তাকে উঠিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসিবুল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বন্ধুরা জানান, তিনি সাঁতার জানতেন না। আহনাফ ৩ ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তিনি এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
পরে মতলব উত্তর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল লাশ থানায় নিয়ে আসে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
সরকার কচুরিপানার পানি নয় যে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে: হানিফ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘এ সরকার কচুরিপানার পানি নয়, যে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে৷ টেক ব্যাক নয়, ফরওয়ার্ড বাংলাদেশে পরিণত করতে হবে।’
তিনি বলেন, এ অশুভ শক্তিকে কীভাবে ঘায়েল করতে হয়, সেটা আওয়ামী লীগ জানে৷ তাদের (বিএনপি-জামায়াত জোট) রাজপথে প্রতিহত করে আবার ক্ষমতায় থাকব।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনও আ.লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির অংশগ্রহণে হবে: হানিফ
তিনি বলেন, দেশের ৭০ ভাগ লোক শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকলে কোনো শক্তি তাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবে না।
রবিবার (২০ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। আগস্ট মাস শঙ্কার মাস।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের নেতা ছিলেন৷ বঙ্গবন্ধু হত্যা কমিশন গঠন করা হোক, যেন আসল খুনিদের কথা আমরা জানতে পারি। ত্যাগের ইতিহাস এ স্বাধীনতা।
তিনি আরও বলেন, এ স্বাধীনতা বিনষ্ট করতে চায় স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন৷ তিনি তার সব কর্মকাণ্ডে স্বাক্ষর রেখে গেছেন যে তিনিই হত্যাকারী।
আরও পড়ুন: প্রশাসন যেখানে অনুমতি দিয়েছে, বিএনপিকে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে: হানিফ
ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেয়া যাবে না: হানিফ
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুর ও তাড়াশে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলো- শাহজাদপুর উপজেলার রতনকান্দি গ্রামের স্বপন মোল্লার ছেলে মাসুদ রানা (৪) এবং তাড়াশ উপজেলার পওতা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আহসান হাবীব (৩)।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, শিশু মাসুদকে তার নানার বাড়ি রেখে বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। শুক্রবার বিকালে বাড়ির আঙিনায় খেলছিল শিশুটি। এ সময় খালে ডুবে যায় সে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
অন্যদিকে, একই সময় বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে খেলা করছিল শিশু আহসান হাবীব। একপর্যায়ে পুকুরে ডুবে যায় শিশুটি। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
প্লাবিত হয়েছে জেলার নদ-নদীর অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে আমন-আবাদসহ বিভিন্ন সবজির খেত।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়া দেখে এখানকার মানুষেরা অনেক দুঃশ্চিতায় আছে। তা ছাড়াও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তা পাড়ের মানুষের ১২ মাসই কষ্ট।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে