মৃত্যু
দেশে করোনায় শনাক্ত আরও ৫৮, মৃত্যু নেই
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮১২ জনে পৌঁছেছে। তবে একই সময় দেশে করোনায় কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জন অপরিবর্তিত রয়েছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৯ পরীক্ষাগারে চার হাজার ৯২৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় চার হাজার ৯০১টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার এক দশমিক ১৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩১৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ চার হাজার ৭৭১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে
বিশ্ব পরিস্থিতি
সর্বশেষ বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ২০৩ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৬৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৬৭ লাখ ৮২ হাজার ৪০৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২৮৪ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৭০৮ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
দেশে করোনায় শনাক্ত আরও ৪৩
মৃত্যুই যেন চট্টগ্রামে টেনে এনেছে ফায়ারকর্মী মনিরুজ্জামানকে
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার সাতবাড়িয়া এলাকার শামসুল হকের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান মনির (৩২)। আট বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। মাত্র দুই মাস আগে তিনি চট্টগ্রামে বদলি হয়ে এসে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগদান করেন।
শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৪৩ জনের মধ্যে রয়েছেন মনির। ভয়াবহে আগুন নির্বাপনের সময় স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের মৃত্যু হয়।রবিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিহত মনিরের বড় মামা মীর হোসেন ভাগিনার লাশ শনাক্ত করেন। এসময় তার কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
এসময় মীর হোসেনের মুঠোফোনে কুমিল্লা থেকে ফোন আসে। ফোন ধরেই মীর হোসেন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘মনির নেই, মনির আর নেই। সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটে ওই ফোন বিচ্ছিন্ন করতেই মীর হোসেনকে আরও কয়েকটি ফোন ধরতে হয়। প্রতিটি ফোনে তার আহাজারি যেনো শেষ নেই। তাকে ঘিরে ধরেন সংবাদকর্মীরা।মীর হোসেন বলেন, ‘দুদিন আগে কুমিরায় গিয়ে মনিরের সঙ্গে সারাদিন ঘুরেছি। অনেক আড্ডা দিয়েছি। সকালে ফোন করে তাকে পাচ্ছি না। মন সায় দিচ্ছে না। হাসপাতালে ছুটে এসেছি। আমি তাকে চিনতে পেরেছি, সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। হয়তো এই মৃত্যুই তাকে চট্টগ্রামে টেনে এনেছে। আল্লাহ রে তার পরিবারের কি হবে? তার দুই মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।’এসব কথা বলতেই তিনি আবারও কান্না শুরু করেন। সময় ঘনিয়ে আসতেই দগ্ধ রোগী আর স্বজনদের আহাজারি বাড়ছেই। হাসপাতালে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবীর সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপুতে বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩
হাটহাজারীতে বাড়িতে আগুন, দগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বসত বাড়িতে আগুন লেগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ফোরকান (৪৬) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সৃষ্ট আগুনের একটি বাড়ি পুড়ে গেছে। শনিবার ভোর ৫টায় পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত ফোরকান উপজেলার নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, দুবাই প্রবাসী ছবুরের বোনের স্বামী ফোরকান প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শনিবার ভোরে ছবুরের রুমে আগুন লাগলে তা দ্রুত অন্যান্য রুমেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ফোরকানকে আর বের করা যায়নি। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মো. মঞ্জু, মো. ফরিদ, মো. মাসুম, মো. জমির, মো. সালাউদ্দিন ও মো. রহিম।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শাহাজাহান বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আগুনে পুড়ে ফোরকান নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা দুদক কার্যালয়ে আগুন, পুড়ে গেছে ফাইলপত্র
চকবাজারে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন
উলিপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
কুড়িগ্রামের উলিপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শাহেরা বেগম (৩৫) নামে তিন সন্তানের এক জননী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত বাবুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের জলঙ্গারকুঠির বাসিন্দা মহুবর আলী ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের শিকার হয়ে ওই এলাকার সীমানা লাগোয়া হাতিয়ার বাবুর চরে বসবাস করে আসছেন। গত কয়েকদিন ধরে মহুবর ও শাহেরা বেগমের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছে। এরই জেরে শনিবার সকালে সবার অজান্তে ঘরের মাঁচার ওপর আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন শাহেরা।
ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘আত্মহত্যা চেষ্টাকারী’ নারীর মৃত্যু
বরিশালে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর ‘আত্মহত্যা’
বাসা বদল নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধ, গৃহবধূর ‘আত্মহত্যা’
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ছাড়ালো
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ছাড়ালো।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ২০২ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৯৬ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ৬০৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬৯ জন।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় ৯৬৫ মৃত্যু
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৬৫১ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায় নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৯ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৫৯২ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৩ কোটি ১৬ লাখ ছাড়াল
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৮২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ।
দেশে মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ তিন হাজার ৫৮০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের লেকে ডুবে ২ কিশোরের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের লেকের পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নগরীর জল্লারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমতিয়াজ আহমেদ (১৪) সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দেওভোগ এলাকার ইকবাল খানের ছেলে ও মিহাদ হোসেন (১৩) একই এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে। তারা দুজনই স্থানীয় দেওভোগ মাদরাসার ছাত্র।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, জুমার নামাজের আগে দুই কিশোর লেকে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পরে মিহাদের লাশ পানিতে ভেসে উঠলে এলাকাবাসী উদ্ধারের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মীর মো. রাফিন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী, তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার ভবানীপুর গ্রামে।
বিভাগ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, কিছুদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন রাফিন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সকালের খাবার খাওয়ার পর নিজ বাড়িতে স্ট্রোক করেন তিনি। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, রাফিনের মৃত্যুতে লোকপ্রশাসন পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শেখ গয়াছ মিয়া (৫৫) উপজেলার বরুনী গ্রামের মৃত শেখ ইছকন্দর আলীর ছেলে ও উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন: ছেলেসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
গত ২৮ মে (শনিবার) রাতে উপজেলার পীরের বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বরুনী গ্রামের রাস্তায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। এসময় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। ওই হাসপাতালে প্রায় ৬ দিন চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মাজেদ আহমদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ২০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আট জনকে অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আওয়ামী লীগের আরেক নেতা ও বরুনী গ্রামের মৃত জমির আলীর ছেলে মাসুক মিয়াকে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতা বদিউল আলমের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জাহিদুল ইসলাম বলেন, মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবো। মামলায় প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভেজাল প্যারাসিটামলে মৃত্যু: ১০৪ শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ হাইকোর্টের
ভেজাল প্যারাসিটামল খেয়ে প্রাণ হারানো ১০৪ শিশুর প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ওই অর্থ আদায় করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ, অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট শাহিন আরা লায়লী। অন্যদিকে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
১৯৮২ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত ভেজাল প্যারাসিটাল সিরাপ সেবন করে ৭৬ শিশু মারা যায়। এরপর ২০০৯ সালে রীড ফার্মার প্যারাসিটামল খেয়ে মারা যায় ২৮ শিশু। ভেজাল ওষুধ খেয়ে শিশুদের মৃত্যুর পর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১০ সালে হাইকোর্টে রিট করে। আজ (বৃহস্পতিবার) ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে রায় দেন হাইকোর্ট।
পড়ুন: বোরকা পরায় শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
রায়ের পর মনজিল মোরসেদ জানান, এ ঘটনায় ২০১০ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করে। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল। এরপর রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করে।
তিনি আরও বলেন, রায়ে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে মৃত্যুর ঘটনায় ১০৪ শিশুর প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা অবৈধ ঘোষণা, ভেজাল ওষুধের অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি আদালত বলেছে, ভেজাল ওষুধের কারণে শিশু মৃত্যুর দায় ওষুধ প্রশাসন অধিপ্তর এড়াতে পারে না।
২০০৯ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত রীড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে সারাদেশে ২৮ শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকার ড্রাগ আদালতে কোম্পানিটির মালিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিচার শেষে এ মামলায় সবাইকে খালাস দেন আদালত।
এদিকে ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কিডনি অকেজো হয়ে ৭৬ শিশুর মৃত্যু হয়। বিষয়টি সে সময় ব্যাপক আলোড়ন তোলে। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় প্যারাসিটামল সিরাপ নিয়ে অভিযোগ করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা জানান, ভেজাল প্যারাসিটামল খেয়ে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে তদন্ত ও ল্যাব পরীক্ষায় ধরা পড়ে, পলিক্যাম ল্যাবরেটরিজসহ পাঁচ কোম্পানির তৈরি প্যারাসিটামল সিরাপে বিষাক্ত পদার্থ ডাই-ইথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি।
এরপর ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে পলিক্যামের পরিচালক আবদুর রবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। কিন্তু আসামিরা হাইকোর্টে গেলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। দীর্ঘ ২৬ বছর পর আবদুর রবকে এক বছরের সাজা দেন আদালত।
পড়ুন: পলাতক আসামির মামলা শুনে ভুল করেছেন হাইকোর্ট
গাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে ২ বৃদ্ধের মৃত্যু!
বরিশালের উজিরপুরে বুধবার রাতে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে বাক-বিতণ্ড চলাকালীন অসুস্থ হয়ে দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
তারা হলেন- উজিরপুর উপজেলার শোলক এলাকার মৃত কামিনী দত্তের ছেলে চিত্ত দত্ত (৬২)ও একই এলাকার মৃত করিম সরদারের ছেলে আব্দুল হক সরদার (৬০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের দায়ের কোপে বৃদ্ধের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, মৃত আব্দুল হক সরদার কিছুদিন আগে চিত্ত দত্তের বড় ভাই মন্টু দত্তের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। সম্প্রতি চিত্ত দত্তের অপর ভাই শংকর দত্তের ছেলে দুর্জয় দত্ত সেই জমির ওপর থাকা কিছু গাছ বিক্রি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সন্ধ্যায় আব্দুল হক সরদার লোকজন নিয়ে সেখানে যান এবং দুর্জয় দত্তের কাছে গাছ বিক্রির কারণ জানতে চান। এসময় তাদের মধ্যে বাগ-বিতাণ্ড হয় এবং আব্দুল হক সরদারের লোকজন দুর্জয়কে চর-থাপ্পরও দেন। এই সময় দুর্জযয়ের চাচা চিত্ত দত্ত ঘটনাস্থলে আসেন ও আব্দুল হক সরদারের সঙ্গে বাগ-বিতান্ডায় জড়িয়ে যান এবং তারা হাতাহাতিও হয়।
এক পর্যায়ে চিত্ত দত্ত মাটিতে লুটিয়ে পরেন। তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে গেলেচিকিৎসক চিত্ত দত্তকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু
এদিকে চিত্ত দত্তকে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর আব্দুল হক সরদারও অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। তাকেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে আমরা এসেছি। চিকিৎসকের দেয়া তথ্যানুযায়ী উভয়ের মৃত্যু স্ট্রোকের কারণে হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।