অস্ট্রেলিয়া
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানকে বিশাল রানের টার্গেট দিল অস্ট্রেলিয়া
পাকিস্তানের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ৩৬৭ রানের বিশাল স্কোর করে অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তান টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও তাদের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ মনে হয়েছিল। কারণ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনাররা ১ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৯ রানের চিত্তাকর্ষক জুটি গড়ে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের বিরুদ্ধে মাঝারি সংগ্রহ বাংলাদেশের
পাকিস্তান এই অবস্থান ভাঙতে দুটি সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু তারা তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিল।
পঞ্চম ওভারে উসামা মীর- ডেভিড ওয়ার্নারের কাছ থেকে একটি সোজা ক্যাচ ফেলে দেন। ওয়ার্নার ১২৪ বলে ১৪টি চার এবং ৯টি ছক্কাসহ অসাধারণ ১৬৩ রান করেন। তার সঙ্গী মিচেল মার্শ ১০৮ বলে ১২১ রানের শক্তিশালী অবদান রাখেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই ৩০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করতে পারেননি।
পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট এবং হারিস রউফ ৮৩ রানে ৩ উইকেট নেন।
এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে ৩৬৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে কোনো দলই এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বাংলাদেশকে গুড়িয়ে দিল ভারত
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বিশ্বকাপে ১০০০ রানের ক্লাবে মুশফিক
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: অস্ট্রেলিয়া ২০৯ রানের টার্গেট শ্রীলঙ্কার
উড়ন্ত সূচনা সত্ত্বেও সোমবার (১৬ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের আইসিসি বিশ্বকাপ ম্যাচে ৪৩ ওভার ৩ বল খেলে ২০৯ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী জুটিতে পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল পেরেরা ১২৫ রান সংগ্রহ করে। তবে, তাদের ভাগ্য ঘুরে দাঁড়ায় যখন প্যাট কামিন্স এই জুটি ভেঙে দেয়।
নিসাঙ্কা ফিরে যাওয়ার পরই শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়ের সূচনা হয়।
নিসাঙ্কা যখন আউট হন, তখন শ্রীলঙ্কা ১ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে ছিল। এরপর মাত্র ৮৪ রানে বাকি সব উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা।
কুশল পেরেরা ৭৮ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে আবির্ভূত হন।
পেরেরা ও শানাকা ছাড়াও, চারিথ আসালাঙ্কা একমাত্র শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান, যিনি ২৫ রান করে দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন।
অ্যাডাম জাম্পা অস্ট্রেলিয়ার স্ট্যান্ডআউট বোলার হিসেবে দারুণ দেখিয়েছেন। আট ওভারে ৪৭ রানে চার উইকেট পান তিনি।
এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও কামিন্স।
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস সোমবার (১৬ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দাসুন শানাকারের উরুর ইনজুরির কারণে তিনি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেন মেন্ডিস।
পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে ১০ দলের লিগ পর্বের শেষ স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের কাছে হেরেছে শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানকে উড়িয়ে ভারতের জয়ের ধারা অব্যাহত
ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কার ওপেনিং লাইনআপে পরিবর্তন এসেছে। দাসুন শানাকার বদলে মাঠে নেমেছেন বোলিং অলরাউন্ডার চামিকা করুণারত্নে। এদিকে চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন পেসার মাথিশা পাথিরানা এবং তার জায়গায় দলে এসেছেন লাহিরু কুমারা।
বোলিং আক্রমণের কম্পোজিশন নিয়ে সমালোচনা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার লাইনআপ অপরিবর্তিত রয়েছে, যেখানে মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার রয়েছে।
২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস গেমসের জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ক্রিকেটকে তাদের ক্রীড়া প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মুম্বাইয়ে ভোট দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই লখনৌতে ম্যাচটি শুরু হয়েছে।
১৯০০ সালের পর প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে ক্রিকেট ফিরলে ছয় দলের পুরুষ ও মহিলা টুয়েন্টি-২০ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া পাঁচটি খেলার মধ্যে ক্রিকেট অন্যতম এবং ২০৩২ সালে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের সঙ্গে ইতোমধ্যে এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারত ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজনের জন্য প্রস্তূতি নিচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ-
প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল মার্শ, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, মারনাস লাবুশেন, জশ ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টইনিস, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হজলউড।
শ্রীলঙ্কা একাদশ-
কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল পেরেরা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, চামিকা করুনারত্নে, দুনিথ ওয়েল্লালাগে, মাহিশ থিকসানা, লাহিরু কুমারা, দিলশান মধুশঙ্কা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ২০২৩: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮৪ রান করেছে আফগানিস্তান
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ শুরু আফগানিস্তানের
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া
স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে রবিবার (৮ অক্টোবর) বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচে টস করার সময় ১৯৯৯ সালের ৩৬ বছর ১২৪ দিন বয়সী মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে ছাড়িয়ে ৩৬ বছর ১৬১ দিন বয়সী রোহিত শর্মা বিশ্বকাপের ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সবচেয়ে বয়স্ক ভারতীয় অধিনায়ক হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: আফগানিস্তানকে ১৫৬ রানে থামিয়ে দিল বাংলাদেশ
উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত আগের বিশ্বকাপে ভারত শিরোপা জিতেছিল, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তাদের সর্বশেষ জয়।
বিশ্বকাপে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ১৩ বার মুখোমুখি হয়েছে, যার মধ্যে আটটিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ-
ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারি, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জশ হ্যাজেলউড।
ভারত একাদশ-
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ইশান কিশান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদ্বীপ যাদব, জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ২৭ রানেই আউট বাংলাদেশের দুই ওপেনার
এএফসি মহিলা এশিয়া কাপ: অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ
হ্যানয়ের ন্যাশনাল ইয়ুথ ফুটবল ট্রেনিং সেন্টারে রবিবার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়া কাপ-২০২৪ বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার কাছে ০-৪ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
প্রথমার্ধে ০-১ গোলে পিছিয়ে ছিল রুমা আক্তারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নারী দল।
আরও পড়ুন: আফগানদের মুখোমুখি হতে অনুশীলনে ব্যস্ত বাংলাদেশ ফুটবল দল
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র দুই মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেন স্ট্রাইকার সিয়েনা ডেল। এরপর ৫৭, ৬১ ও ৭৪তম মিনিটে আরও তিনটি গোল করে রেকর্ড করেন সিয়েনা ডেল।
দিনের বড় পরাজয়ের পর ‘বি’ গ্রুপে হারের ধারাবাহিকতায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপের তিনটি ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়া ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। স্বাগতিক ভিয়েতনাম ৬ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়েছে। ফিলিপাইন ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় এবং বাংলাদেশ কোনো পয়েন্ট অর্জন করতে না পেরে ছিটকে পড়ে।
এর আগে গত বুধবার স্বাগতিক ভিয়েতনামের বিপক্ষে ০-২ গোলে জিতে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়ান কাপের ‘বি’ গ্রুপের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ দল। গত শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে ফিলিপাইনের কাছে ১-৩ গোলে হেরে যাওয়ায় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমস ফুটবল: চীনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল বাংলাদেশ
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯: উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের কাছে ০-৩ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ায় নারীর মস্তিষ্ক থেকে বের হলো জীবন্ত কৃমি
বিশ্বে প্রথম অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকরা এক নারীর মস্তিষ্কে জীবন্ত পরজীবী কৃমি খুঁজে পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায়, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ) এবং ক্যানবেরা হাসপাতালের গবেষকরা পরজীবী রাউন্ডওয়ার্মের আবিষ্কারের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন।
আট সেন্টিমিটার ওফিডাসকারিস রবার্টসি রাউন্ডওয়ার্ম, যা সাধারণত অজগরের শরীরে পাওয়া যায়।
রোগী একজন ৬৪ বছর বয়সী নারী। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পরে এখনও তিনি জীবিত এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এএনইউ ও ক্যানবেরা হাসপাতালের একজন শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় সেনানায়েকে একটি মিডিয়া রিলিজে বলেছেন, মস্তিস্কে পরজীবী পাওয়ার ঘটনা বিশ্বে প্রথম।
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে যুগান্তকারী আবিস্কার অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের
সমীক্ষা অনুসারে, রোগীকে ২০২১ সালে দক্ষিণ-পূর্ব নিউ সাউথ ওয়েলসের (এনএসডব্লিউ) একটি স্থানীয় হাসপাতালে তিন সপ্তাহ পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়ার নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিলেন।
২০২২ সালে তিনি ভুলে যাওয়া ও বিষণ্ণতা অনুভব করা শুরু করার জেরে ক্যানবেরা হাসপাতালের একজন নিউরোসার্জন একটি এমআরআই স্ক্যান করে। রিপোর্টে মস্তিষ্কের ডান ফ্রন্টাল লোবে একটি অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করেছিলেন ডাক্তার। পরে অস্ত্রোপচার করে একটি রাউন্ডওয়ার্ম বের করেছিল।
গবেষণাটিতে অনুমান করা হয়েছে, রোগী সম্ভবত স্থানীয় ঘাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন বা খেয়েছিলেন। যার মাধ্যমে তার শরীরে একটি কার্পেট পাইথন পরজীবীর সংক্রমণ ঘটেছিল।
তিনি সংক্রামক রোগ এবং মস্তিষ্ক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আইনি লড়াই হেরে অস্ট্রেলিয়া ছাড়লেন জকোভিচ
চীন সফরে সম্পর্ক মেরামত করতে চান অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রী ডন ফ্যারেল বেইজিং সফরের সময় চীনের সঙ্গে প্রায় দশকব্যাপী চির ধরা সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে অগ্রগতি করছেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার ফ্যারেল বিভিন্ন বৈঠক ও ব্যবসায়িক সফর করেছেন, লক্ষণগুলো দেখে মনে হচ্ছে সম্পর্কগুলো আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ শুক্রবার সিডনিতে দেওয়া তার বক্তব্যে বলেছেন, উভয় পক্ষকে ‘বোঝাপড়া ও সংলাপ বৃদ্ধি করতে হবে এবং আমি বলেছি যে আমরা যেখানে পারবো চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করব, যেখানে আমাদের প্রয়োজন সেখানে আমরা দ্বিমত করব এবং জাতীয় স্বার্থে আমরা এক অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবো।’
আরও পড়ুন: চীন সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক কারাগার: প্রেস গ্রুপ
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার চীন। ২০২২ সালে তাদের দ্বিমুখী বিনিময় মোট ২৮৭ বিলিয়ন ডলার। চীন সম্প্রতি আবার অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা, তুলা ও তামা আমদানি শুরু করেছে এবং ফ্যারেল তার সফরে বলেছেন যে তিনি অস্ট্রেলিয়ান বার্লির ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনার ব্যবস্থা করবেন।
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন এবং বৃহৎ অস্ট্রেলিয়ান-চীনা সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক জীবন ও সামাজিক সংগঠনগুলোতে বেইজিংয়ের কথিত হস্তক্ষেপের অভিযোগের কারণে চীন এই জাতীয় রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।
যদিও বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, তবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে পক্ষগুলো অনেক দূরে অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার তার সফরের সময় ফ্যারেল বলেছিলেন, তিনি আশা করেন যে তার সফর ‘আমাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া চালু রাখবে এবং আমাদের সমস্ত বাণিজ্য পার্থক্য সমাধানের জন্য একটি সফল মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।’
ফ্যারেল বলেন, ‘সমস্যাগুলো রাতারাতি ঘটেনি এবং সেগুলো রাতারাতি সমাধানও হবে না।’
এপ্রিল মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছিলেন যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক একবিংশ শতকের প্রথম দিকের স্তরে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম, তখন রাজনৈতিক ও কৌশলগত অগ্রাধিকার থেকে বাণিজ্য আলাদা ছিল।
তারপর থেকে ক্রমে অস্ট্রেলিয়া এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়িয়েছে।
বেইজিং তথাকথিত এইউকেইউএস অংশীদারিত্বে অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণের কঠোর সমালোচনা করেছে; যা মূলত দক্ষিণ চীন সাগর,চীনের দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর এবং পূর্ব চীন সাগরে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে, অস্ট্রেলিয়া চীনের প্রতিদ্বন্দ্বি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন র সঙ্গে মিলে মার্কিন পরমাণু প্রযুক্তি চালিত আটটি সাবমেরিনের একটি অস্ট্রেলিয়ান বহর তৈরি করে।
আগামী ২৪ মে তথাকথিত কোয়াড দেশগুলোর নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারত ও জাপানের নেতাদের নিমন্ত্রণ করবে; যে দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সক্রিয় স্থল এবং সমুদ্র সীমান্ত বিরোধ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতে চীনা কোম্পানিগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
ফ্যারেল আরও বলেছেন, তিনি ফেব্রুয়ারিতে ‘বাণিজ্য সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের পথ হিসেবে পারস্পরিক যোগাযোগ উন্নত করার লক্ষ্যে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’ চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ
বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী টিম ওয়াটস বলেছেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তায় তাদের অভিন্ন স্বার্থের উন্নয়নে এবং ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘এই সপ্তাহে আমি বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও ভারত সফর করতে যাচ্ছি। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করাসহ এ সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের যৌথ কৌশলগত স্বার্থ নিয়ে আলোচনা ও বাণিজ্য-বিনিয়োগের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে আমাদের নিজ নিজ দেশের জনগণের মধ্যকার সুসম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার সুযোগ হবে।’
বাংলাদেশে তিনি ৬ষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আঞ্চলিক সহযোগিতা, প্রবৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বিষয়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য এই সম্মেলনটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম বলে উল্লেখ করেন টিম ওয়াটস।
এবারের সম্মেলনে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও অংশীদারিত্ব’।
আরও পড়ুন: আদিবাসীদের সমর্থন করতে পদত্যাগ করলেন অস্ট্রেলিয়ান আইন প্রণেতা
তিনি বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে আমাদের যৌথ স্বার্থ এগিয়ে নিতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সহকারী মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সফরে আমাদের দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে- এমন প্রত্যাশা রাখছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. তান্ডি দর্জির অস্ট্রেলিয়া সফর ও আমাদের দু'দেশের মধ্যকার উষ্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় এবার আমি ভুটানের সরকার, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছি। আজ থেকে ২০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া ও ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবার মধ্য দিয়ে আমাদের দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, নেপাল আমাদের তৃতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক শিক্ষার বাজার। কাঠমান্ডুতে আমি আমাদের শিক্ষাখাতের সম্পৃক্তি ও দু'দেশের জনগণের মধ্যকার সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সচেষ্ট হবো।
টিম ওয়াটস বলেন, ভারতের কলকাতায় আমি অস্ট্রেলিয়ার কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। পূর্ব-ভারতের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কলকাতায় কনস্যুলেট জেনারেলের অফিস উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিক্ষা খাত আরও সম্প্রসারিত হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের একটি জাতীয় হাইড্রোজেন কৌশল প্রয়োজন: অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ড. নওশাদ
বাংলাদেশের একটি জাতীয় হাইড্রোজেন কৌশল প্রয়োজন: অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ড. নওশাদ
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ড. নওশাদ বলেছেন, ক্লিন হাইড্রোজেন সম্ভাবনা অন্বেষণে এবং এই বিশেষ ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশের একটি ‘জাতীয় হাইড্রোজেন কৌশল’ থাকা দরকার।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের কমনওয়েলথ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা সংস্থা (সিএসআইআরও)-এর প্রধান বিজ্ঞানী ড. নওশাদ হক মেলবোর্নে তার অফিসে ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের একটি হাইড্রোজেন কৌশল থাকা উচিত।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ৯০টিরও বেশি দেশ হাইড্রোজেন কৌশল নিয়ে কাজ করছে এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো তাদের অনেকেরই আনুষ্ঠানিক হাইড্রোজেন কৌশল রয়েছে।
ড. নওশাদ বলেন, এই কৌশল দেশের জ্বালানি চাহিদা এবং জ্বালানি রপ্তানি, আমদানি ও ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে হবে। হাইডো্রজেন ইকোনমি একটি সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠতে পারে।’
ড. নওশাদ ‘কূটনীতি ও উন্নয়ন’ এর জন্য বিজ্ঞান ব্যবহারের ওপর জোর দেন এবং বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রযুক্তিগত গবেষণা, উন্নয়ন এবং ক্লিন এনার্জি প্রদর্শনের এক্সপোজার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “সামর্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা একটি চমৎকার হাতিয়ার হতে পারে। বাংলাদেশে ‘জাতীয় হাইড্রোজেন কৌশল’ উন্নয়নের জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে।”
ক্লিন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার জন্য এবং দেশে তা স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পেশাজীবী ও সাংবাদিকদের অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো যেতে পারে বলেও জানান এই বিজ্ঞানী।
কোনো কার্বন নির্গমন না করা এবং জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় ৩ গুণ বেশি উচ্চমাত্রার শক্তি ধারণ করায়, ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য হাইড্রোজেন জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা বিলোপের হাতিয়ার হতে পারে। তবুও বর্তমানে ৯৬ শতাংশ হাইড্রোজেন উৎপাদন হয় জীবাশ্ম জ্বালানির মাধ্যমে এবং যা টেকসই নয়।
কেননা হাইড্রোজেন জ্বালানি, পরিবহন ও শিল্প খাতকে ডিকার্বনিজ করতে বিস্তৃত সম্ভাবনাময় একটি উপায়।
ড. নওশাদ বলেন, বাংলাদেশকে জনগণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে, প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের উপায় খুঁজে বের করে শক্তি ও সামর্থ্য বাড়াতে হবে।
২০১৮ সালে সিএসআইআরও এনার্জিতে যোগ দেন ড. নওশাদ। তিনি সিএসআইআরও’তে 'মাইন টু মেটাল' উৎপাদনের জন্য বেশ কয়েকটি অভিনব প্রযুক্তি এবং ফ্লোশিট তৈরিতে অবদান রেখেছেন।
তিনি বলেন, সাহায্য ও সহযোগিতা অপরিহার্য, কারণ একটি দেশের উদ্ভাবন অন্য দেশে ঠিক একইভাবে কাজ করে না। জ্বালানির চাহিদা, জ্বালানি ব্যবহারের ধরন, ব্যবহার, রপ্তানি ও আমদানির মতো বিষয়গুলো এক্ষেত্রে বিবেচ্য।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে কাজ করছে বিএসইসি: অধ্যাপক শিবলী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তুলনা করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ওইসব দেশের চেয়ে ভালো।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা যাতে এ আইনে হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তবে আমেরিকার তুলনায় আমাদের আইন অনেক সহজ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডের অনুমতি দেয়, কিন্তু আমাদের আইনে অতো কারাদণ্ড নেই।
আরও পড়ুন: কোনো মতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা যায় না: আইনমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে তুলনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল অপরাধের জন্য যদি কারও মৃত্যু হয়, তবে আমেরিকার আইনে তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রাখা হয়েছে। যে কারণে আমাদের আইন তাদের চেয়ে অনেক সহজ।
তিনি বলেন, মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনটি প্রণীত হয়েছে এবং প্রতিটি দেশেই এই ধরনের আইন রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সাইবার আইন আরও কঠোর।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে তারা আরও সজাগ রয়েছে, যাতে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে হয়রানির শিকার না হয়।
তিনি বলেন, অতীতের তুলনায় এখন গণমাধ্যমকর্মীরা কম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে বাইরের কোনো হুমকি এলে সাংবাদিকদের সাহসের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী জানান, সাংবাদিকদের সহায়তায় সরকার সচেষ্ট, সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি