ঢাকা
ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে ঢাকা স্বাগত জানাবে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা- পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্রের গ্রুপ)-এ যোগ দিতে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা অবশ্যই যোগ দেব। আমরা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি (আমাদের যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে)।’
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ প্রায় আটটি নতুন দেশকে উদীয়মান অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন ব্রিকস নেতারা।
এর আগে জেনেভায় মোমেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে বাংলাদেশ চলতি বছরের আগস্টে ব্রিকসের সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২২-২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিকস নেতারা যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জোহানেসবার্গের গৌতেং-এর স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে (এসসিসি) শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মোমেনের ফলপ্রসূ বৈঠক
দক্ষিণ আফ্রিকা আফ্রিকা ও গ্লোবাল সাউথের নেতাদের কাছে তার প্রচার অব্যাহত রাখবে এবং ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনের সময় একটি ব্রিকস আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস সংলাপ করবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নালেদি পান্ডোরের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সম্প্রতি ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন।
সেসময় তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট দেশগুলোকে আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে আরও সহযোগিতা করতে প্ররোচিত করছে।
মোমেন ব্রিকস দেশগুলোর উন্নয়ন, অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ফোকাস উল্লেখ করেন।
তিনি পরামর্শ দেন যে ব্রিকস সদস্য দেশগুলো যাতে তাদের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উন্নয়নশীল অংশীদারদের কাছে হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ইইউএন-হ্যাবিট্যাট সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী প্রথম ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলা
বাংলাদেশের ভুটানি দূতাবাস প্রথমবারের মতো ঢাকায় ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলা ২০২৩ এর আয়োজন করছে। আগামী ২৩ থেকে ২৫ জুন তিনদিনব্যাপী রাজধানীর গুলশানের শুটিং ক্লাবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
বাণিজ্য, শিল্প ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ভুটান সরকারের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং ভুটান কান্ট্রি অফিস অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের সহায়তায় এ মেলা আয়োজিত হচ্ছে।
ভুটান ও বাংলাদেশ ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর করেছে।
তবে, মহামারির ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের কারণে দুই দেশ চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। এই লক্ষ্যে, দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য এই ঐতিহাসিক চুক্তির বিধানগুলোকে আরও সহজতর করার প্রাথমিক উদ্দেশ্য নিয়ে ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলা ২০২৩-এর আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রান্তিক তরুণদের ক্ষমতায়নে ‘তরুণ উদ্যোক্তা মেলা’
‘ভুটানে বেড়ে ওঠার জন্য বিনিয়োগকারী, প্রযোজক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মধ্যে মেলবন্ধন’- থিম নিয়ে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফেয়ার দুই দেশের ব্যবসা, উদ্যোক্তা ও পরিষেবা প্রদানকারীদের নেটওয়ার্ক তৈরি করার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে এবং বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করবে।
এ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন মিশন/দূতাবাসের প্রধান, ব্যবসায়ী, শীর্ষ ব্যবসায়িক সংস্থার নির্বাহী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া ভুটান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ভুটান কান্ট্রি অফিসের বিশেষজ্ঞরাও এই মেলায় অংশ নেবেন
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলার পাশাপাশি ভুটানের বিশেষজ্ঞরা দেশটিতে বিনিয়োগের সুযোগ এবং বিশেষ করে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে সেমিনারও আয়োজন করবেন। সেমিনারগুলো ২৩-২৫ জুন পর্যন্ত মেলার স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।
ভুটানের প্রায় ২৫টি কোম্পানি মেলায় অংশগ্রহণ করবে এবং ভুটানে তৈরি ও উৎপাদিত প্রিমিয়াম মানের পণ্যের বিস্তৃত পরিসর প্রদর্শন করবে।
বিস্তারিত জানতে এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন- www.bhutantradeshow.com।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত মি. রিনচেন কুয়েনসিল, কাউন্সেলর (বাণিজ্য) মি. কেনচো থিনলে, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মি. জিগড্রেল ওয়াই শেরিং, ভুটান কাউন্সেলর (অর্থ) মিসেস শেরিং চোকি (অর্থ) এবং ভুটান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মিসেস পেমা সেলডন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে শিশু-কিশোর আনন্দমেলা
সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম’ পর্যায়ে
সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান মধ্যম পর্যায়ে বা সহনীয় অবস্থায় রয়েছে।
সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বায়ুর গুণমান সূচকের (একিউআই) ৮১ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের তালিকায় ২২তম স্থানে রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, চীনের বেইজিং এবং কাতারের দোহা যথাক্রমে বায়ুমানের (একিউআই) এর ১৮১, ১৫৯ ও ১৪৩ স্কোর সহ তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
বায়ুমান সূচকের স্কোর ১৫০ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে সেটি 'অস্বাস্থ্যকর', ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে সেটি 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে বিবেচিত হয়। আর বায়ুমানের এই সূচকের স্কোর যদি ৩০১+ অতিক্রম করলে তা 'বিপজ্জনক' বলে বিবেচিত হয়, যেটি বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স(একিউআই) পাঁচটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে দূষণকারী- পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম১০ এবং পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান আবারও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার সকালেও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এর মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ফলে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস রবিবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
বৃহত্তর বরিশালগামী যাত্রীর সংখ্যা কমলেও ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আসন্ন ঈদে নৌপথে উপকূলীয় জেলায় রওনা হবেন।
এর মধ্যে তিন লাখ যাত্রী নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর দিয়ে এবং বাকি ২৭ লাখ যাত্রী ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল দিয়ে যাবেন।
নৌ-পরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির একটি প্রাক-ঈদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদরঘাট গৃহমুখী মানুষের অস্বাভাবিক চাপের সম্মুখীন হবে।
রবিবার সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশিস কুমার দে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেন।
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এবং ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সরকারকে বিকল্প উপায়ে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোরবানির ঈদে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যাবেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
এরমধ্যে এই ঈদে লঞ্চে যাবে ৩০ লাখ (মোট যাত্রীর ২০ শতাংশ)। এসব যাত্রীর বেশির ভাগই উপকূলীয় জেলা-বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল আযহার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ২২ জুন থেকে ঘরমুখো মানুষের ভিড় শুরু হবে। বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের নৌপথের সব যাত্রী ২২ থেকে ২৬ জুন (ঈদের আগের দিন) এই ৭ দিনের মধ্যে বাড়ি যাবেন।
তবে শিক্ষার্থী ও গৃহিণীসহ প্রায় ১৫ শতাংশ (৪ লাখ ৫০ হাজার) মানুষ ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী নৌপথে তাদের গন্তব্যে যাবে। এর মধ্যে ২২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ সদরঘাট টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করবে।
নাব্যতা সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে সরকারিভাবে ৪১টি নৌপথ রয়েছে।
তবে নাব্যতা সংকট ও যাত্রী সংকটের কারণে অন্তত ১৫টি নৌপথ দৃশ্যত ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়েছে।
নৌযানের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় কমিটি বলেছে, বাকি ২৬টি নৌপথে সর্বোচ্চ ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। ঈদের আগে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০-এর কাছাকাছি।
এর মধ্যে সদরঘাট থেকে ৯০টি নৌযান বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং ৯০টি বিভিন্ন স্থান থেকে আসবে।
নাগরিক সংস্থাটি আরও বলেছে, যদি প্রতিদিন ৯০টি লঞ্চে ৩ লাখ ২৭ হাজার যাত্রী বহন করা হয়, তবে একটি লঞ্চ গড়ে ৩ হাজার ৬৪২ জন যাত্রী বহন করবে। কিন্তু কোনো লঞ্চেরই দুই হাজারের বেশি লোক বহন করার ক্ষমতা নেই। এমনকি অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা এক হাজারেরও কম। এ ছাড়া ঈদের আগের তিন দিনে ভিড় বাড়বে দেড় গুণ।
অনেক লঞ্চ চাপ সামলানোর ক্ষমতার বাইরে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী বহন করে। এর ফলে ছাদে ও ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সংগঠনটি নৌপথে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগের ঝুঁকি কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।
এতে নৌপথ ও টার্মিনালগুলোতে সর্বোচ্চ নজরদারি ও কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে কমল ১৫ পয়সা
লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ল
দেশের ৩ জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: চলমান তাপপ্রবাহ ৫-৬ দিন অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এতে আরও বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে আরও বলা হয় যে খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও দিনাজপুর জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের অন্যত্র সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে।
একই সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১১৬ মিলিলিটার রেকর্ড করা হয় সিলেটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ
প্রচণ্ড গরমে ঢাকার বাতাসের মানের কোনো উন্নতি হয়নি
২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলেছে- চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা
পাশাপাশি রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ ব্যতীত দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
এছাড়া, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৬টা হতে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ।
একই সময়ে সর্বোচ্চ ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে বলেছে- ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, রাজশাহী, যশোর ও খুলনা জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার সকালেও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকা ও বরিশাল বিভাগসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে।
এছাড়া, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের অন্যান্য স্থানে তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকার বাতাস বুধবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে: বিএমডি
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর(বিএমডি)।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পটুয়াখালীতে সর্বোচ্চ ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বলে জানান আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
এদিকে খুলনা বিভাগ ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুর ও চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা
সোমবার সকালেও ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর'
ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪-১৫ জুন সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ১০টা ১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
১৪ জুন, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনের দ্বিপক্ষীয় কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে গাছ লাগান: শেখ হাসিনা
পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেরসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতের পর বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের সম্ভাবনা থাকবে।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট -২০২৩'-এর উন্মুক্ত ভাষণ দেবেন।
সেখানে পৌঁছলে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন এডিজি এবং আইএলওর আঞ্চলিক পরিচালক। গেট থেকে সভাস্থল পর্যন্ত লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার থাকবে।
তিনি মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী তার সদর দপ্তরে ডিজি আইএলও কর্তৃক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজে যোগ দেবেন।
১৫ জুন, তিনি 'এ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ'-এ যোগ দেবেন। এরপর ডব্লিউইএফ অফিসে ডব্লিউইএফ -এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷
আরও পড়ুন: নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ: আ.লীগ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
সন্ধ্যায় ডব্লিউটিও ডিজি ড. ওকোনজো-ইওয়ালা হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি একটি কমিউনিটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ১৬ জুন সকাল ১১টায় জেনেভা ত্যাগ করবেন এবং ১৭ জুন ভোরে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আয়োজকদের মতে, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ হলো একটি উচ্চ-স্তরের ফোরাম যা বৈশ্বিকভাবে সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত এবং সুসংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনকে তুলে ধরে।
এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি গ্লোবাল কোয়ালিশন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার সুযোগ দেবে, যেটিকে আন্তর্জাতিক শ্রম দপ্তরের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি স্বাগত জানিয়েছে।
ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, পানামার সাবেক প্রেসিডেন্ট জুয়ান কার্লোস ভারেলা এবং ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, সেইসঙ্গে নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধি সহ বেশ কয়েকজন উচ্চ-পর্যায়ের অতিথি সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে মঙ্গলবার জেনেভা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় মঙ্গলবার সকালে জনবহুল ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৭ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং করাচি যথাক্রমে ১৬২, ১৫৮ এবং ১৩৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা
দৈনন্দিন বাতাসের গুণমান রিপোর্ট করার জন্য একটি সূচক একিউআই জনগণকে জানায় যে একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা পরিষ্কার বা দূষিত এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের প্রভাবগুলো তাদের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: সোমবার সকালেও ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর