ঢাকা
ঢাকার আদালত থেকে পালানো দুই জঙ্গি যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার গোয়েন্দা (ডিবি) হারুন অর-রশিদ দাবি করেছেন, ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের দুই সদস্য ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ট্র্যাক করছে।
সোমবার ঢাকার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, যারা দুই জঙ্গিকে পালাতে সাহায্য করেছিল তারাও পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে কোনও সময় তাদের গ্রেপ্তার করব।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ডিবি পরিচয়ে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে আটক ৪
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, বরখাস্ত সেনা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া জঙ্গিদের পালানোর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মূল পরিকল্পনাকারী। ‘তারা সবাই আমাদের নজরে আছে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন রবিবার মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মোট ১২ আসামি জঙ্গিকে আদালতে আনলে চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি যোগ করেন, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে অন্য জঙ্গিরা পুলিশ সদস্যদের ওপর পিপার স্প্রে ব্যবহার করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান। তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, জঙ্গিদের আদালতে হাজির করতে সব সময়ই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘কিন্তু গতকাল যা ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। দায়িত্বে অবহেলার জন্য পাঁচ পুলিশ সদস্যকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।’
টহল জোরদার করা হচ্ছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে উল্লেখ করে ডিবি প্রধান বলেন, জঙ্গিদের আদালতে আনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ‘জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ঘটনার পর ডিবির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটসহ বিভিন্ন টিমের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া সর্বত্র চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। রবিবার বাংলাদেশ পুলিশ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বহিষ্কৃত সাত ডিবি পুলিশের ৭ বছরের সাজা
ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ২৮ নভেম্বর
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৮ নভেম্বর (সোমবার)।
সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৮ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: এ বছর এসএসসি পরীক্ষা ১১টায় শুরু হবে: শিক্ষামন্ত্রী
মাদ্রাসা (দাখিল) ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সারাদেশে শুরু হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর।
এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
‘এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন তৈরিতে জড়িত যশোর বোর্ডের শিক্ষকদের শোকজ করা হবে’
আসামের ৫৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায়
ভারতের আসাম রাজ্য থেকে ৩৫ জন বিধায়কসহ ৫৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শনিবার এক সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এদিন বিকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি
আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারী রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন।
২০২১ সালের ২১ মে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
রবিবার তারা বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয় পরিদর্শন করবেন এবং স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করবেন।
স্পিকার পুরো প্রতিনিধি দলের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন।
বিকালে তারা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে তার বাসায় দেখা করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ ও বঙ্গবন্ধু সমাধি কমপ্লেক্স পরিদর্শন করবেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ২২ নভেম্বর আসামের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালেও ‘অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে।
সকাল ৮টা ৩০মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮১ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা পঞ্চম স্থানে আছে।
পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি এবং ভারতের দিল্লি যথাক্রমে একিউআই ২৯২, ১৮৯ ও ২৭৭ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়,যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ঠ
ঢাকার বাতাসের মান এখনও 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার জনসভা থেকেই বৃহত্তর আন্দোলন শুরু, বললেন ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, রাজধানীতে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।
বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জনসভা বানচালের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ‘অনিয়ন্ত্রিত’ মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে যুদ্ধ হবে।
তবে বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি নস্যাৎ করার কোনও অপচেষ্টা দেশের মানুষ কখনই মেনে নেবে না। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণ এই সমাবেশ সফল করবে।
তিনি বলেন, ‘সব বাধা, হামলা ও দমন-পীড়ন সহ্য করে অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিএনপি তার কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু অনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দলের চলমান আন্দোলনের বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকারের সব অপকর্ম নস্যাৎ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের তাদের দাবি তুলে ধরতে এবং ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য সর্বস্তরের জনগণ তাদের সমাবেশে যোগ দেবেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে আর খেলা নয়: ফরিদপুরের জনসভায় ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে এমন পরিবেশ তৈরি করছে যেন ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যুদ্ধ হবে। কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি যে এটা আমাদের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশের অংশ, যা আমরা আগেই ঘোষণা করেছি এবং ঢাকার সমাবেশটি আমাদের শেষ নির্ধারিত কর্মসূচি।’
ফখরুল বলেন, ঢাকার সমাবেশ থেকে তাদের দল পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করবে এবং তাদের দাবিগুলো নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাবে। ‘এটা আমাদের চূড়ান্ত সমাবেশ বা আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি নয়। এটা আমাদের সাধারণ ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে প্রতি মুহূর্তে ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে, এজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেই ভয় থেকে তারা সব রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আমাদের হুমকি দিচ্ছে... আপনি কি গুন্ডা না মাফিয়াদের সরকার? যদি তাই হয়, স্পষ্টভাবে ঘোষণা করুন, এবং তারপরে আমরা আপনাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনা করব না।’
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে হেফাজতের মতো পরিণতি হবে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মন্তব্যের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, জনগণ এখন সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় সেই দিন আর নেই।
তিনি বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে সে সময় তারা (সরকার) হেফাজতের সঙ্গে যা করেছিল তা জনগণের সঙ্গে করতে পারবে না। কারণ জনগণ দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে এবং তারা যেকোনও মূল্যে তাদের দাবি আদায় করবে।’
বিএনপি নেতা আশ্বস্ত করেছেন যে তাদের দল জনগণকে বিপদে ফেলবে এবং তাদের স্বার্থের ক্ষতি করবে এমন কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করবে না। ‘আমরা জনগণের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
ফখরুল বলেন, সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ এবং ওএমএস চালের জন্য মানুষের দীর্ঘ লাইন প্রমাণ করছে যে প্রধানমন্ত্রীর দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা অমূলক নয়। শুধুমাত্র আ.লীগের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও লুণ্ঠনের কারণে এটা হতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই এমন একটি বিবৃতি দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বাধ্য করেছে তারা।
‘যদি তারল্য সংকট না থাকে তাহলে আপনি কেন বিবৃতি দেবেন? মানুষ ভয় পায় কেন? দেশের অর্থনীতির অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখার সাহসও পায় না। কারণ সেখান থেকে টাকা চুরি হয়ে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণ গর্জন করছে: ফখরুল
ফখরুলের সঙ্গে কানাডা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, আলোচনায় নির্বাচন ও মানবাধিকার
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ঠ
শীতের আসার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বায়ুর গুণমান সূচক (একিউআই) স্কোর ১৬১। সে অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কলকাতা যথাক্রমে ২৬১, ২৪৬ এবং ২০৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
জানা যায়, একিউআই স্কোর ১০১ ও ২০০-এর মধ্যে থাকলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও 'অস্বাস্থ্যকর'
আর একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ‘খারাপ’ বলা হয় এবং একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে মানুষের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশে একিউআই পাঁচটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে দূষণকারী পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম ১০ ও পিএম.৫), এনও২,সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দূষিত বায়ু শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক সাত মিলিয়ন মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর'
'অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর' বাতাস নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ২য়
ঢাকার নদীমুখী গোড়াপত্তন দৃশ্যমান হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, নদীকে কেন্দ্র করে যে ঢাকার গোড়াপত্তন তা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে।
তিনি বলেন,‘আমরা আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে পূর্ণ প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকার দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যাবে। নদীমুখী ঢাকার যে আবির্ভাব, যে গোড়াপত্তন তা আবার দৃশ্যমান হবে, ফিরে আসবে।’
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল ভরাট ও দখল করার আর কোনও সুযোগ থাকবে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘এখানে শুধু খনন না, আমরা তার সঙ্গে সঙ্গে সীমানা নির্ধারণ এবং স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করছি। এ নিয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় ছিল। কিন্তু কোনও সংস্থা এর আগে এটা করতে পারেনি। আমরা এই দায়িত্বটা নিয়ে একে একে খুব সুন্দরভাবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় এখন খনন করছি। একই সঙ্গে দখলমুক্ত ও সীমানা নির্ধারণ করছি এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকল্প প্রণয়নের কাজও আরম্ভ করছি।
আরও পড়ুন: সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে: ব্যারিস্টার তাপস
এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছি। কীটপতঙ্গের বা এডিস মশার বিবর্তনের পরিবর্তন দেখছি এবং সময়সীমার পরিবর্তন দেখছি। এ সম্পর্কে আমাদের পূর্বাভাস পাওয়া প্রয়োজন। আপনার লক্ষ্য করছেন যে, এবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব অক্টোবর ছাড়িয়ে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় চলমান রয়েছে। এখন কার্তিক মাসের শেষ দিন। এতদিন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব থাকার কথা ছিল না। এখন আমরা শুষ্ক মৌসুমে চলে এসেছি। কিন্তু তারপরও আমরা এডিস মশার বিস্তার লক্ষ্য করছি। ফলে এডিস মশা নিধনের জন্য, নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের কাজ চলমান রাখতে হচ্ছে। আমরা চলমান রাখছি। যে কারণে মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ড এলাকার মধ্যে মাত্র ৩৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তো আমরা মনে করি যে, এটা আমাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও আমরা লক্ষ্য করছি এটা বাংলাদেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার বাইরে এটার প্রাদুর্ভাব এখন আরও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তাপস বলেন, মৌসুমের পরেও এডিস এবং মৌসুমের আগে কিউলেক্স মশার বিস্তার হওয়ার কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের আরও কার্যকর গবেষণা করা প্রয়োজন এবং এ ধরনের গবেষণায় সহযোগিতা করা হবে। প্রয়োজনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত আছে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ সিটির গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হকার নয়: মেয়র তাপস
ঢাকার প্রধান সড়কে বিএনপি কেন সমাবেশ করতে চায়: তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে রাজধানীর প্রধান সড়ক বন্ধ করে বিএনপি কেন জনভোগান্তি করতে চায় তা বোধগম্য নয়।
তিনি বলেন, ‘সমাবেশ করে জনগণের দুর্ভোগ ঘটানো অনুচিত। কোনো রাজনৈতিক দলেরই উচিত নয়। সেজন্য আমাদের নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী সবসময় জনগণের যাতে দুর্ভোগ না হয়, সে জন্য বন্ধের দিনে এবং খোলা মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন।
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম যে, নয়া পল্টনের প্রধান সড়কের ওপর বিএনপি সমাবেশ করতে চায়। সেটি ঢাকা শহরের প্রধান সড়ক। এর ওপর সমাবেশ করলে তো জনগণের ভোগান্তি হবেই। ঢাকা শহরে তো অনেক মাঠ আছে, সোহরাওয়ার্দী মাঠ, পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ, আরও নানা মাঠ আছে।
তিনি বলেন, মাঠ বাদ দিয়ে তারা কেন ঢাকা শহরের প্রধান সড়কে সমাবেশ করতে চায় সেটি আমার বোধগম্য নয়। এতে ভাংচুর করতে সুবিধা হয়, সেই উদ্দেশ্যে করেছে কি না আমি জানিনা।’
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী একটি দল। বিএনপির জন্মটাই অগণতান্ত্রিকভাবে এবং হত্যার মাধ্যমে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। অনেকের ফাঁসি কার্যকর করার পর বিচারের রায় হয়েছে, ‘দিজ আর ডকুমেন্টেড’ এবং আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।
এছাড়া তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনিও কম যাননি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আমাদের সভা সমাবেশে হামলা-এগুলো বেগম জিয়ার আমলেই হয়েছে। তারা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিধায় সেদিন তারা সমাবেশের তারিখ ঠিক করেছে কি না, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন।’
ভারতীয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি’র বাংলাদেশে আসা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী এবং আগামী কাতার বিশ্বকাপে ‘থিম সং’ এ পারফর্ম করবেন, এর আগে বিশ্বকাপ আসরগুলোতে যেমন শাকিরাসহ বিশ্ববরেণ্য তারকারা করেছেন।
নোরা ফাতেহিকে একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডকুমেন্টারি করতে চায়। সেটির জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছি। এই ক্ষেত্রে ট্যাক্স আদায় বা ভ্যাট আদায় এগুলোর জন্য এনবিআর অবশ্যই তাদেরকে নোটিশ দিতে পারে।
এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের পর্যটন (ট্যুরিজম অভ্ বাংলাদেশ)’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া এবং পরিচালক মোহাম্মদ আলী মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সচিবের অবসর: কারণ জানেন না তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির চট্টগ্রামের সমাবেশের চেয়ে জব্বারের বলি খেলায় বেশি ভিড় হয়: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকার বাতাসের মান এখনও 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান বুধবার সকালেও ‘অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। সকাল ১০টা ৩৫মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫২ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ১৭তম স্থানে আছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি এবং ভারতের দিল্লি যথাক্রমে একিউআই ২৮১,২৫২ ও ২১১ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর'
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়,যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: 'অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর' বাতাস নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ২য়
ঢাকার বাতাসের মান এখনও 'অস্বাস্থ্যকর'
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
বায়ু দূষণ এখনও বাংলাদেশের জন্য শীর্ষতম চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। সোমবার সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৫ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়।
ভারতের দিল্লি ও কলকাতা যথাক্রমে ২২৫ ও ১৪৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’বলা হয়, এবং ৩০১ থেকে ৪০০ এরমধ্যে স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়; যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। এগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৬ষ্ঠ