ঢাকা
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা শীর্ষে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৬৯ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। একিউআই স্কোর অনুযায়ী সকালে বিশ্ব তালিকায় ঢাকার অবস্থান শীর্ষে রয়েছে।
ভারতের কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি এবং ভারতের রাজধানী দিল্লি যথাক্রমে ২৩৮, ১৯৯ এবং ১৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস সোমবারও দূষণের শীর্ষে
এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালেও ঢাকার বাতাস বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঢাকায় ২০ আসনের ৪টি হাতছাড়া আ.লীগের
ঢাকার সংসদীয় ২০টি আসনের দখল ধরে রাখতে পারেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে থাবা বসিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর একটিতে জোটকে ছাড় দিতে হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া ঢাকা ১৯টি আসনের তিনটিতে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরমধ্যে দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান লড়েছিলেন ঢাকা -১৯ আসনে।
২০ টি আসনের বেসরকারি ফলে ঢাকা-৪, ঢাকা-৫ এবং ঢাকা-১৯ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে নাস্তানুবুদ করে নিজ দলেরই মনোনয়ন বঞ্চিতরাই।
ঢাকা-৪ আসনে ৭৭টির কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর ফলাফলের ভিত্তিতে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন, তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট। নৌকা প্রতীকের সানজিদা খানম পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট।
ঢাকা-৫ আসনের ১৮৭ কেন্দ্রের ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৩১ ভোট। আর নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা-১৯ আসনের ২৯২ কেন্দ্রের ফলাফলে ট্রাক প্রতীকের সাইফুল ইসলাম ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের ডা. মো. এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ) পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট।
ঢাকার যেসব আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ
ঢাকা-১: সালমা বনাম সালমান এফ রহমান
সংসদীয় এই আসনটির ১৮৪টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালমান এফ রহমান ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট।
ঢাকা-২: আসনে কামরুল বনাম হাবিবুর
আসনটির ১৯৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মো. কামরুল ইসলাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের ডা. হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৫ ভোট।
ঢাকা-৩: নসরুল হামিদ বনাম মনির সরকার
এ আসনটির ২২৬ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের নসরুল হামিদ ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙল প্রতীকের মো. মনির সরকার পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৮ ভোট।
ঢাকা-৬: সাঈদ খোকন বনাম রবিউল আলম
নৌকার প্রার্থী সাঈদ খোকন ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিনার প্রতীকের মো. রবিউল আলম মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ১০৯ ভোট।
ঢাকা-৭: সোলাইমান সেলিম বনাম সাইফুদ্দিন
আসটির ১২৫ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলাইমান সেলিম ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৮ ভোট।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
ঢাকা-৮: বাহাউদ্দিন নাছিম বনাম জুবের আলম
বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মো. জুবের আলম খান পেয়েছেন ৮৮০ ভোট।
ঢাকা-৯: সাবের হোসেন চৌধুরী বনাম আবুল
১৬৯টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী ৯০৩৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের কাজী আবুল খায়ের পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ ভোট।
ঢাকা-১০: ফেরদৌস বনাম শাহজাহান
এ আসনে ১১৯টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ফেরদৌস আহমেদ ৬৫ হাজার ৮৯৮ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।
ঢাকা ১১: ওয়াকিল বনাম শামীম
আসটির ১৬২ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৮৩ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছন। লাঙল প্রতীকের শামীম আহমেদ পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৭৪৭ ভোট।
ঢাকা-১২: আসাদুজ্জামান বনাম খোরশেদ
১৪০ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ৯৪ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী খোরশেদ আলম খুশু ২ হাজার ২১৯ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-১৩: আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা
ঢাকা-১৪: নিখিল বনাম লুৎফর
আসনটির ১৬৬টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খান ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের মো. লুৎফর রহমান ১৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সাবিনা আক্তার তুহিন পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৯২ ভোট।
ঢাকা-১৫: কামাল আহমেদ মজুমদার বনাম শামসুল
আসনটির ১৩৩ কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির শামসুল হক লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট।
ঢাকা-১৬: ইলিয়াস আলী মোল্লা বনাম
আওয়ামী লীগের ইলিয়াস আলী মোল্লা বিজয়ী হয়েছেন। ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ ৬৫ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাউদ্দিন রবিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৪ ভোট। দুজনের ভোটের ব্যবধান প্রায় ৫৯ হাজার।
ঢাকা-১৭: আরাফাত বনাম আইনুল হক
নির্বাচনের ১২৪টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। নৌকা প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ এ আরাফাত পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুলা প্রতীক নিয়ে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আইনুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮০ ভোট।
ঢাকা-১৮: খসরু বনাম শেরীফা কাদের
আসনটির ২১৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। কেটলি প্রতীকের মো. খসরু চৌধুরী ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের এস এম তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। লাঙল প্রতীকের শেরীফা কাদের পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ ভোট।
ঢাকা-২০: বেনজির বনাম মোহাদ্দেছ
আসনটির ১৪৯ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে।নৌকার প্রার্থী বেনজীর আহমদ ৮৩ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬১৩ ভোট।
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
হরতালে ফাঁকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি।
এই কর্মসূচির প্রথম দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ কম রয়েছে।
তবে পুলিশের দাবি, রবিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় শনিবার যান চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। সে কারণে যানবাহনের চাপ কম রয়েছে।
আরও পড়ুন: হরতালের দ্বিতীয় দিন: সিলেটে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়, সাইনবোর্ড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
সকাল থেকেই অল্প সংখ্যক দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে। মহাসড়কে আঞ্চলিক যানবাহনই বেশি। তবে যাত্রীর অভাবে এসব যানবাহনগুলোকেও দীর্ঘক্ষণ বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এদিকে জরুরি কাজ ছাড়া এদিন কাউকেই চলাচল করতে দেখা যায়নি। অধিকাংশ দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় টিকিট কাউন্টারগুলোতে সুনসান অবস্থা বিরাজ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক বিএনপির
জাহাঙ্গীর মিয়া নামে এক চাকরিজীবী জানান, অফিস বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। এসে দেখি মহাসড়কে চট্টগ্রামের অধিকাংশ বাসই বন্ধ রয়েছে। কিছু দূরপাল্লার বাস দেখা গেলেও তা কুমিল্লা পর্যন্ত চলাচল করে।
রিয়াজুল হাসান নামে আরেক যাত্রী জানান, জরুরি কাজে ঢাকায় যাব তাই বের হয়েছিলাম। বাস পেলেও যাত্রী না থাকায় বাস এখনো ছাড়েনি। কখন গন্তব্যস্থলে গিয়ে পৌঁছাতে পারব তা জানি না।
মনির হোসেন নামে এক টিকিট বিক্রেতা জানান, শনিবার নির্বাচনের আগের দিন হওয়ায় যাত্রী কম রয়েছে। আবার শুক্রবার রাতে বিভিন্ন স্থানে একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এইসব কারণে অধিকাংশ যানবাহনই চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: হরতালে ঢাকায় ২ বাসে আগুন
সাগর হোসেন নামে এক বাসচালক জানান, যাত্রী কম থাকলেও বাস নিয়ে বের হয়েছি। এখনো পর্যন্ত কোথাও কোনো সমস্যায় পড়তে না হলেও মনে এক ধরনের ভয় কাজ করছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন জানান, শনিবার কী কারণে বাস চলাচল কম তা আমার জানা নেই। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ-হরতালে ২৬৭টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জানান, রবিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় শনিবার যান চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। পাশাপাশি শনিবার অনেক অফিস বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ কম রয়েছে। তবে মহাসড়কে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। যেকোনো অরাজকতা ঠেকাতে আমরা সবসময় প্রস্তুত রয়েছি।
ঘন কুয়াশায় ঢাকার বদলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করেছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে দুবাই থেকে আসা ইউএস বাংলার এই ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর ৫০ মিনিট পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফ্লাইটটি ঢাকার দিকে যাত্রা করে।
আরও পড়ুন: যাত্রী রেখে ফ্লাইট, ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক রাগীব রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামতে না পেরে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করেছিল। তিন ঘণ্টা পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ফ্লাইটগুলো ঢাকার দিকে যাত্রা করে।
এর আগে ২ জানুয়ারি একই কারণে ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে পাঁচটি ফ্লাইট সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রুটে ইউএস বাংলার ফ্লাইট শুরু ১ জুন
ওই দিন রাত থেকে বিমানের এসব ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করছিল। পরে ৩ জানুয়ারি সকালের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনটি ফ্লাইট ফিরে গেলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুটি উড়োজাহাজ আটকা পড়েছিল।
পরে যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে সেগুলোও ঢাকা অভিমুখে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: ইউএস বাংলার ঢাকা-দোহা ফ্লাইট পুনরায় শুরু হচ্ছে ৩১ আগস্ট
শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে।
সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২১০ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর যথাক্রমে ১৯৯, ১৯৫ ও ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বে তৃতীয় দূষিত ঢাকার বাতাস
এদিকে, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকার বাতাস বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত
শুক্রবার ঢাকায় আসছে জাপানের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন তদারকির জন্য জাপানের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে অবস্থান করবে।
জাপান সরকারের পাঠানো মিশনটিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়াতানাবে মাসাতোর নেতৃত্বে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একজন বাইরের বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকাস্থ জাপানের দূতাবাস জানিয়েছে, ভোট গ্রহণ ও গণনা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি মিশনটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে মতবিনিময় ও তথ্য বিনিময় করবে।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানোর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহতকরণে জাপানের সহযোগিতার অংশ হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাচ্ছে দেশটি।
বিরোধী দল বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংকল্পে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
ঢাকার অর্ধেক ভোটকেন্দ্র 'ঝুঁকিপূর্ণ': ডিএমপি কমিশনার
রাজধানীর যেসব ভোটকেন্দ্র রয়েছে তার অর্ধেকই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২ হাজার ১৪৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেক কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে ডিএমপি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য এবং কেন্দ্রের বাইরে টহল দল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস নিয়ে ঢাকার নতুন বছর শুরু
নতুন বছরের প্রথম দিন সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ২৪৪ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা।
একিউআই অনুযায়ী, সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার বাতাসকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, চীনের ছেংতু এবং ঘানার আক্রা যথাক্রমে ২২২, ২১৬ এবং ২১৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় দিন ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
এদিকে, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকালেও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ভুটানের ‘কুইন মাদার’র ঢাকায় যাত্রাবিরতি
ভুটানের ‘কুইন মাদার’ দরজি ওয়ানমগমো ওয়াংচুকান্দ এবং তার রাজকীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকায় যাত্রাবিরতি করেছেন।
ট্রানজিটের সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দরজি ওয়ানমগমো ওয়াংচুকান্দ এবং ভুটানের রাজকীয় প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং এমপি নাহিদ এজাহের খান।
আরও পড়ুন: ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা-শিশুসহ ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ
শুক্রবার ঢাকার বাতাস সবচেয়ে 'বিপজ্জনক'
বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বাতাসের শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা।
আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে একিউআই স্কোর ৩২৮ হওয়ায় ঢাকার বাতাসকে 'বিপজ্জনক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং উজবেকিস্তানের তাসখন্দ যথাক্রমে ৩১১, ২৬৮ এবং ২০৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।