মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ২ ভাইবোনের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরমুক্তারপুরের একটি ভবনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলো, ইয়াসিন (৬) ও ফাতেমা (৩)। নিহতের মা শান্তা বেগমের (২৭) শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং বাবা কাওসার খানের (৩৬) ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে শহরের চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজনসহ পাচঁ জন দগ্ধ হন। অপর দগ্ধ প্রতিবেশী হৃতিকা পালকে (৪) স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ সদস্য দগ্ধমুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )তদন্ত রাজিব খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লিকেজ হয়ে কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। সিআইডি পুলিশের সংশ্লিষ্ট টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তবে তিতাস গ্যাসের সহকারি কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম তুহিন বলেন, গ্যাস লিগেজের কোন প্রমাণ মিলেনি। রান্নার পরে চুলোর গ্যাস বন্ধ না করার কারণেও এই বিস্ফোরণ হতে পারে।মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ।
আরও পড়ুন: মুগদা অগ্নিকাণ্ড: পরিবারের সর্বশেষ আহত সদস্যের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে ১৩ মণ জাটকা জব্দ
মুন্সীগঞ্জে ১৩ মণ জাটকা (ইলিশ) জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার লঞ্চঘাট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এ বিপুল পরিমাণ জাটকা জব্দ করে নৌ-পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জাটকা কারবারের সাথে জড়িতরা পালিয়ে যায়।মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ মো. লুৎফর রহমান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এসব জাটকা জব্দ করা হয়। জব্দ করা জাটকা স্থানীয় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রির উদ্দশ্যে রাখা হয়েছিল। তবে এসময় কাউকে আটক করা যায়নি।
তিনি জানান, জব্দ করা এসব জাটকার আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় লাখ টাকা।
সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা টিপু সুলতানের উপস্থিতিতে এ অভিযান চালানো হয়। এরপর জব্দ করা জাটকা মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ স্টেশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় মাদরাসা,এতিমখানা ও লিল্লাহ্ বোর্ডিংয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
মৎস্য অফিস জানায়,১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ২৫ সেন্টিমিটারের নীচে জাটকা শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ। তাই দেশের বিভিন্ন হাট-বাজার ও নদীসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন:চাঁদপুরে ৮ মাসব্যাপী জাটকা রক্ষা অভিযান শুরু
চাঁদপুরে ২ টন জাটকা জব্দ, ৩ পাচারকারীর কারাদণ্ড
শিমুলিয়া ঘাটে ৪ মেট্রিক টন জাটকাসহ আটক ৬
সড়কে দড়ি টেনে ছিনতাইয়ের পর মোটরসাইকেল আরোহীকে হত্যা
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে সড়কে দড়ি টেনে ছিনতাইয়ের পর মারধর করে পানিতে ফেলে এক মোটরসাইকেল আরোহীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই হামলায় নিহতের দুই ছেলে আহত হয়েছেন।
নিহত মো. আলীম হোসেন (৫৫) উপজেলার তুলকাই গ্রামের বাসিন্দা।
আহতরা হলেন, নিহত মো. আলীম হোসেনের ছেলে মো. শুভ (২৭) ও মো. শান্ত (১৬)। গুরুতর আহত শুভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডারের আঘাতে ব্যবসায়ী নিহত
আলীম হোসেনের শ্যালক মানিক জানান, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে নিহত আলিম হোসেন তার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বড়লিয়ার ফার্নিচারের দোকান বন্ধ করে দুই ছেলে শুভ ও শান্তকে নিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার বাড়ির পাশের সামনের সড়কে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা সড়কের মধ্যে দড়ি টানিয়ে তাদের মোটরসাইকেল অবরোধ করে। পরে ছিনতাইকারীরা আলীম হোসেন ও তার দুই ছেলেকে মারধর করে। আলীম হোসেনকে মেরে পানিতে ফেলে দেয়। আলীমের কাছে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ও শুভর কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে ২ গরু ব্যবসায়ী নিহত
টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব জানান, গভীর রাতে ছিনতাইকারীরা সড়ক অবরোধ করে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিহত আলীম হোসেন ছিনতাইকারীদের মারধরে পানিতে পড়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। বুধবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মিউজিয়ামে, মীমাংসার সুযোগ নেই: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি এখন মিউজিয়ামে। মীমাংসিত বিষয়ে নতুন করে বিতর্কের সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র কিছুটা হলেও বিকাশ হয়েছে। এটা একটা ধীরগতির প্রক্রিয়া। রাতারাতি এর বিকাশ হওয়ার সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ নয়: ওবায়দুল কাদের
রবিবার দুপুরে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পুনর্বাসন সাইটসমূহে বরাদ্দকৃত প্লটের লিজ দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তাই কোন বিশৃঙ্খলা না করে সকলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ২০১১ সালেই বিদায় নিয়েছে। এটা মীমাংসিত বিষয়। উচ্চ আদালতই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে যাদুঘরে পাঠিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চান। কিন্তু, আপনাদের নেত্রী এক সময় বলেছিলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নেই।’
পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার সোনালী ফসল পদ্মা সেতু। সেতু নির্মাণের আগে ছিল পদ্মার ভাঙনের তাণ্ডব। বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রমাণ করবো বাঙালি চুরি করে না, বাঙালি বীরের জাতি।’
আরও পড়ুন: রোজিনা ইস্যুতে সাংবাদিকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
সেতু বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এস এম জাহিদ হোসেন, পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
চোর সন্দেহে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১০
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জুলহাস হাওলাদার (৩৫) নামক এক অটোরিকশা চালককে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের পদ্মা সেতুর রেলওয়ের ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের নিচে এই ঘটনায় পদ্মা সেতুর রেললিঙ্ক প্রকল্পের ১০ প্রহরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত জুলহাস হাওলাদার লৌহজং উপজেলার কুমারভোগে পদ্মা সেতুর পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা ছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, সেলিম, রাব্বি, তপু, আল-আমিন, আরিফ, আব্দুল মান্নান, ইসরাফিল। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
নিহতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে লৌহজং থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলহাসকে পদ্মা সেতুর রেললিঙ্ক প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীরা চুরির অভিযোগে রড দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পদ্মা সেতুর কাজে নিয়োজিত ১৫/১৮ জনের একটি নিরাপত্তাকর্মীর দল জুলহাসকে চুরির অভিযোগে হাত-পা বেঁধে রড দিয়ে এলোপাতারি মারধোর করে। পরে নিরাপত্তাকর্মীর সিফট ম্যানেজার মো. সেলিম জুলহাসের বাসায় খবর দিলে ছুটে আসে স্বজনরা। এসে দেখে হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে জুলহাস। এ অবস্থা দেখে জুলহাসকে চন্দ্রেরবাড়ি বাজারে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তাঁরা অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে জুলহাসকে ইয়াসমিন দেলোয়ার হাসপাতালে নিলে সেখানেও চিকিৎসক পায়নি তারা। পরে শ্রীনগর সরকারি হাসপাতাল ষোলঘরে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জুলহাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা সকলেই পদ্মা সেতুর নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সে সাথে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রেখেছে। এ সব তথ্য দিয়ে নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান ও লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন।
আরও পড়ুন: দেবিদ্বারে কিশোরীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৪
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় নিরাপত্তা কর্মীরা চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে অটোরিকশা চালক জুলহাসকে। এই ঘটনায় পদ্মা সেতুর রেললিঙ্ক প্রকল্পের ১০জন প্রহরীকে আটক করা হয়েছে। আরও ২/৩ জন এর সাথে যুক্ত আছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। গ্রেপ্তার হওয়ারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা চোর সন্দেহে জুলহাসকে পিটিয়েছে। আমরা তদন্ত করছি আসলে এখানে চুরির কোন বিষয় আছে কিনা নাকি অন্য কোন বিষয় আছে। আমরা প্রত্যেকটা বিষয় খতিয়ে দেখছি।জিজ্ঞেসাবাদ অব্যাহত আছে। আমরা আশা করছি যে কারণেই এই হত্যাকান্ড ঘটুক না কেন আমরা সেটা বের করতে পারবো এবং যারা সত্যিকার দোষী তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার জানান, ভোর রাত সাড়ে ৪টায় অটোরিকশা নিয়ে বের হয় জুলহাস। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার মোবাইল থেকে ফোন আসে আমার বড় ভাসুরের কাছে। ফোনে বলা হয় জুলহাসের অবস্থা অনেক খারাপ তারে নিয়ে যান। খবর শুনে আমরা গিয়ে দেখি রক্ত মাখা অবস্থায় জুলহাস মাটিতে পড়ে আছে। আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় লৌহজংয়ে কুমারভোগ পুর্নবাসন কেন্দ্রসহ মাওয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতুর চারপাশে সারাক্ষণ সেনাবাহিনী থাকে তাহলে কিভাবে এটা হলো। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, নদী থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় মোবাইল চুরির অভিযোগে দরবার শরীফে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
পদ্মা সেতুতে আঘাত লাগলে দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত লাগে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
মুন্সীগঞ্জ, ১২ আগস্ট (ইউএনবি)- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুতে ফেরি বার বার ধাক্কা দিচ্ছে। এই জায়গাটিতে আমরা বিব্রত বোধ করছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের কিছু নির্দেশনা ছিল। এই নির্দেশনা পালনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু উদাসীনতা লক্ষ্য করেছি। এগুলো কেন হচ্ছে, এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় উচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বশীলদের নিয়ে আমরা একটা সভা করবো। সেই সভাতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট এবং পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর খুঁটি পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী মাঝিকান্দিতে ঘাট স্থানান্তরের জায়গাটিও পরিদর্শন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, মুন্সীগঞ্জের ডিসি কাজী গোলাম রসুলসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী বলেন ‘মাঝিকান্দি আমরা পরিদর্শন করেছি। কারণ পদ্মা সেতু পুরোপুরি চালু হওয়ার পর বাংলাবাজার ঘাটটি আর ব্যবহার করা যাবে না। সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার কারণে। সে ক্ষেত্রে মাঝিকান্দি আমরা ফেরি ঘাট হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। আজকে সেটার প্রাথমিক পরিদর্শন করেছি। এই বিষয়ে আজকের সন্ধ্যার সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই রুটটিতে এখন যে গতিশীলতা এসেছে তা বর্তমান সরকারের ১২ বছরের কার্যক্রমের ফলাফল। এখন এই রুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই নৌরুট একসময় গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কারণ যাতায়াতে সময় লাগতো আড়াই থেকে তিন ঘন্টা । বিআইডব্লিউটিএ ও বিঅইডব্লিউটিসির সক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৃদ্ধি হওয়ার কারণেই এই নৌরুট এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এক্সপ্রেসওয়ে রোডগুলো আমরা বিশ্বমানের করে ফেলেছি ইতোমধ্যে। আগে যে এই রুটটি চলাচলের জন্য খুব বেশি যে ব্যবহার হতো তা না। এখন যেহেতু এই রুটটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তার চেয়েও বড় কথা আমাদের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা। আমরা বাংলাদেশের মানুষ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আজকে বাস্তবতার রূপ নিয়েছে এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে।
আগামী বছর পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, কাজেই পদ্মা সেতুর কোন জায়গায় আঘাত আসলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত লাগে। যদিও এই ধরনের আঘাতে পদ্মা সেতুর নূন্যতম কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই তারপরও এটা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, ফেরিগুলোর গায়ে রাবার বসানোর অর্ডার দেয়া হয়েছে। এই ঘটনা যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে আজকে সন্ধ্যায় একটি সভা আছে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
পদ্মা সেতুর চীনা প্রকৌশলী নিখোঁজ, তল্লাশি চলছে নদীতে
পদ্মা সেতুর চীনা প্রকৌশলী নিখোঁজ, তল্লাশি চলছে নদীতে
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের কাছে মাঝ নদীতে বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণ কাজ করার সময় চীনা প্রকৌশলী মিস্টার জো (২৫) নিখোঁজ হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টা থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু ঘিরে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের
সহকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা এই প্রকৌশলী কোনও ভাবে উত্তাল পদ্মায় পড়ে তলিয়ে গেছেন। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া তিন নম্বর ফেরিঘাট বরাবর মাঝ নদীতে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় জাতীয় গ্রীডের বৈদ্যুতিক টাওয়ার (টি-১৩) নির্মাণ কজে এই প্রকৌশলী কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুসহ চার মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন আগামী বছরের জুনের মধ্যে: মন্ত্রী
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, নিখোঁজ প্রকৌশলীর শিফট চলছিল। টাওয়ারের বিশাল জায়গায় শেড তৈরি করেই কর্মকর্তারা সেখানে থাকতেন। এখান থেকেই কাজে অংশ নিতেন তারা। জরুরি প্রয়োজনে বোটে করে তীরে আসতেন। জো’কে সহকর্মীরা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বিষয়টি অবহিত হয়ে সব দিকে খোঁজাখুঁজির পর দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে বিষয়টি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পুলিশকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারীরা আশাহত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
কোস্টগার্ড মাওয়া স্টেশন ও মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসও তলব করা হয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে বিজিবি মোতায়েন
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় ৭ম দিনের মত ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে তবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে ফেরিতে যাত্রী উঠানামার শৃঙ্খলা ফেরাতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাজার হাজার যাত্রী রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণ বঙ্গে যাওয়ার জন্য শিমুলিয়া আসছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি না থাকার কারণে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছে। ফেরি আসতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রী সাধারণ। যানবাহনও ফেরি থেকে নামার সুযোগ পাচ্ছে না। তাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ফেরিতে যাত্রী উঠানামার শৃঙ্খলা ফেরাতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে এই ঘাটের সংযোগ সড়ক ফাঁকা রাখার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আজও ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট বহরে ১৬ ফেরির মধ্যে এখস সচল রয়েছে ১৪ ফেরি। যা যাত্রী পার করেই কুলিয়ে উঠতে পারছে না। তাই যানবহান খুব একটা পার করতে পারছে না।
ফেরিগুলো সাধারণত যানবাহন পারাপার করে কিন্তু এখন তা দেখে বোঝার উপায় নেই কারণ ফেরি যাত্রীতে ভরপুর।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
এদিকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বিভিন্ন যানবাহনে এবং পায়ে হেটেই যাত্রীরা ঘাটে আসছে। বিড়ম্বনা এবং কয়েক গুণ বেশী ভাড়া দিয়েও নাড়ীর টানে ছুটছেন তারা।কোন বাঁধাই মানছেন না তারা।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, করোনার স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই নেই ঘাটে। গায়ের সাথে গা লাগিয়ে ঘরমুখো সবাই। অনেকে মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করছেন না।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় রাজধানী ছেড়ে আসা যাত্রী ও ছোট যানের ভিড়
বিআইডব্লিউটিসির এজিএস মো. সফিকুর রহমান বলছেন, তাদের ফেরি বাড়ানোর মত অবস্থা নেই। দুটি ফেরি বিকল, মেরামতের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ বলছে তারা ঘাটের শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করছেন। তবে মানুষের অস্বাভাবিক ঢলের কারণে কঠিন হয়ে পড়ছে কাজটি।
নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত
সিদ্ধিরগঞ্জ-আরএমএস ও গোদনাইল টিবিএসে কয়েকটি বাল্বে লিকেজ পাওয়া যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কর্মকর্তাদের এই এলাকায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ১
মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুটি জেলায় গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাল্ব প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন করে শিগগরই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল আরএমএস ও গোদনাইল টিবিএসে কয়েকটি বাল্বে লিকেজ পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: কলমা নদীতে গ্যাস উদ্গীরণ, সুনামগঞ্জে আতঙ্কে গ্রামবাসী
দু'টি জেলায় গ্যাস সরবরাহ শিগগরই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষ: মুন্সীগঞ্জে নিহত ৩, আটক ৫
মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় সালিশ বৈঠকে তিন গ্রুপের সংর্ঘষে তিন যুবক নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষের এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার কাসেম পাঠানের ছেলে ইমন পাঠান (২৩) ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিব মিয়া (১৯) ও একই এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে ও বিগত পৌর নির্বাচনের পরাজিত কমিশনার প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু (৪০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে সংঘর্ষে যুবক খুন: আটক ২৪
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ইভটিজিং নিয়ে একে অপরকে দায়ী করে ইমন পাঠান একই এলাকার অভিকে চর থাপ্পর মারে। পরে ইমন পাঠান পক্ষের বড় ভাই মিন্টু আবার অভিকে ডেকে নিয়ে ধাপ্পর মারে। বুধবার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই বিষয়ে সালিশ বৈঠক বসে। ওই বেঠকেই মিমাংসাও হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে অভি গ্রুপের লোকজন আকস্মিক তিনজনকে এলোপাথারি ধরাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহতদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, আটক ১
মুন্সীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, সৌরভ, অভি ও শামীম গ্রুপ এই হামলার সাথে জড়িত। পুলিশ এই তিনজনের কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও এর সাথে সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত সৌরভের বাবা জামাল প্রধান রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
ওসি জানান, প্রথমে ছুরিকাহত তিনজনকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে পেটে ও বুকে জখম ইমন পাঠানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে পেট ও বুকে জখম সাকিব মিয়া ও বুকে ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত আওলাদ হোসেন মিন্টুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মিন্টু প্রধান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।