কিশোরগঞ্জ
লিবিয়া থেকে ইতালি আসার পথে নিহত ৭ অভিবাসীর পরিচয় শনাক্ত
গত ২৫ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে ইতালি আসার পথে অতিরিক্ত ঠান্ডায় মৃত্যুবরণকারী অভিবাসন প্রত্যাশী সাত বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ইতালি পুলিশের উপস্থিতিতে নিহতদের সঙ্গে থাকা অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধাকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামের ইমরান হোসেন, রতন/ জয় তালুকদার, জেলার ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত, মোস্তফাপুর গ্রামের জহিরুল, জেলার বাপ্পী, সুনামগঞ্জ জেলার মামুদপুর গ্রামের সাজ্জাদ ও কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাইফুল।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজার থেকে লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ ২৪ যুবক, নিহত ১
জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃতরা আরও জানিয়েছেন, একজন ছাড়া বাকি সকলেরই পরিচিত লোক উদ্ধারকৃতদের মধ্যে আছেন। ইতোমধ্যে নিহতদের পরিবার সংবাদ পেয়েছে।
মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করার স্বার্থে পরিবারের সদস্যদের নিকটস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়/উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অথবা বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম, ইতালির নিম্নোক্ত ইমেইলে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে [email protected]।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় অভিবাসী বিরোধী অভিযানে আটক ৪০০০
নীলফামারীতে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা নিহত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর গ্রামে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার পুত্রবধূ দগ্ধ হয়েছেন
নিহত ফুলমতি রায় (৬৮) একই এলাকার রাজেন্দ্র রায়ের স্ত্রী। দগ্ধ পুত্রবধূ অঞ্জনা রানীকে (৪৪) কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, রাতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে তা অল্প সময়ের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বৃদ্ধা ফুলমতি রায় প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ায় সব সময় ঘরেই শুয়ে থাকতেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে পুত্রবধূ অঞ্জনা রানীও দগ্ধ হন।
এছাড়া এ ঘটনায় পরিবারটির চারটি ঘর, গোয়াল ঘরে থাকা দুটি গরু ও তিনটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জলঢাকা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রিফাত আল মামুন জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ সময় ঘর থেকে ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ সিআইডির
সিলেট ও ময়মনসিংহে হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘দেশের অন্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।’
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ৫ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরবেন বৃহস্পতিবার
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থেকে সাত দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরবেন।
রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সফরসঙ্গী নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর তেজগাঁও হেলিপ্যাডে বিমান বাংলাদেশের একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।
সফরকালে রাষ্ট্রপতি মিঠামইনে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্বোধন, কিছু উন্নয়নমূলক প্রজেক্টের অগ্রগতি পরিদর্শন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ও কিছু সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি তামিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চার তলা বহুমুখী একটি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
এর আগে তাঁর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
সফরের ষষ্ঠ দিন সন্ধ্যায় জেলা সার্কিট হাউজে কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করেন আবদুল হামিদ।
একই দিন বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।
সফরকালে সাংসদ রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা রাষ্ট্রপতির সাথে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৭ দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি
নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
৭ দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাত দিনের সফরের প্রথম দিনে শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় তার পৈতৃক গ্রাম কামালপুরে পৌঁছেছেন।
প্রায় দুই বছর আগে দেশে কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর জেলা পরিষদের নতুন ডাক বাংলোতে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়।
এছাড়াও এদিন তিনি উপজেলার ‘গোরা উতরা’ নামের স্থানীয় একটি সেতু পরিদর্শন করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩৬৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটি হাওরের এলাকাগুলোকে কিশোরগঞ্জ সদরের সাথে সংযুক্ত করবে এবং এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
সাত দিনের সফর শেষে রাষ্ট্রপতি আগামী ১৮ নভেম্বর বঙ্গভবনে ফিরবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি
কৃষক হত্যা মামলা: কিশোরগঞ্জে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জন খালাস
কিশোরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর কৃষক বাচ্চু হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নার্গিস ইসলামের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পুলিশ সদস্য স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জসিম উদ্দিন (৩৫) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের মনাকর্শা গ্রামের মো. আব্দুল মজিদের ছেলে।
মামলা বিবরণ, ২০০৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পুকুর নিয়ে বিরোধের জের হিসেবে কর্শাকড়িয়াইল বাজারে যাওয়ার পথে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাচ্চুকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে ওই দিনই কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাব রেজিস্ট্রার নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে: মন্ত্রী
হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক পরিবেশ স্বাভাবিক রেখে হাওর অঞ্চল কীভাবে উন্নত করা যায় এ লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, কীভাবে মৎস্যসম্পদকে জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পদে পরিণত করা যায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন হাওরে দেশীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
শিগগিরই কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের হাওর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে এসময় মন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: মৎস্য খাতে বাংলাদেশ স্বর্ণালী অধ্যায় সৃষ্টি করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্লাস্টিক বা অন্যান্য বর্জ্যের কারণে মৎস্যসম্পদ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে মাছের ডিম নষ্ট হয়, প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়। হাওড়ের মধ্যে প্লাস্টিক জাতীয় বা অন্যান্য বর্জ্য কেউ যাতে না ফেলে সে জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হয়ে গেলে আমরা সবাই এর ক্ষতির মুখোমুখি হবো। তাই হাওরের পরিবেশ রক্ষায় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ ও মিঠামইন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও সুবোল বোস মনি, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার পাল, মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে রুখে দাঁড়াতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
কিশোরগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদরের বিন্নাটি ইউনিয়নের দনাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আবু হানিফ হাছু (৪৫) শহরের হারুয়া এলাকার কলেজ রোডের মৃত নূরু মিয়া ওরফে নূরু খাঁর ছেলে। তিনি বিগত পৌরসভা নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: শ্রীবরদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১
নিহতের বড় ভাই সোহরাব হোসেনের বরাত দিয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, প্রতিদিনের মত শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে বের হয়ে তিনি তার ফিসারিতে যান। সেখানে মাছের খাবার ও বাগানের পরিচর্যা করছিলেন। এমন সময় পূর্ব শত্রুতা জের ধরে প্রায় ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী তার উপর অর্তকিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তাকে একা পেয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ওসি জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সোহরাব হোসেনের অভিযোগ, গত ৪/৫ দিন আগেও হাছুর সাথে ব্যবসায়িক কর্মকান্ড নিয়ে কতিপয় সন্ত্রাসীদের বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। আমরা মনে করছি, আগের ঘটনার রেশ ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মায়ের সাথে পরকীয়া, প্রেমিককে হত্যা করে ছেলে
কিশোরগঞ্জ থেকে অপহরণ, চলন্তগাড়িতে কুমিল্লায় শ্বাসরোধ করে হত্যা, এরপর চট্টগ্রামের পটিয়ায় এনে লাশ ফেলা হয় নবী হোসেন নামে এক ব্যক্তির। প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে অত্যাধুনিক ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন এন্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম’ এর মাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিচয় জানার পর হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে পুলিশের চৌকস টিম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
অবশেষে ১০ মাস আগে সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা।
রবিবার (৮ আগস্ট) হত্যা মামলার প্রধান আসামি আশরাফুল হক প্রকাশ সাব্বির (২৩) ও তার মা শিউলী বেগমকে (৪৫) আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম। আর তাদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে পরকীয়ার প্রেম ও হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর কাহিনী।
রবিবার রাতে গণমাধ্যমকে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।
তিনি জানান, মায়ের সঙ্গে পরকীয়ার কারণে প্রেমিক নবী হোসেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে ছেলে আশরাফুল হক প্রকাশ সাব্বির ও তার ভাড়াটে খুনিরা। নিহত নবী হোসেন (৩০) ভৈরব উপজেলার আগানগর গ্রামে মো. ইসমাইলের ছেলে।
পড়ুন: বিয়ের ৮ মাসের মাথায় গৃহবধূকে ‘হত্যার’ অভিযোগ
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনির হোসেন জানান, মোবাইলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার রাতে আশুগঞ্জের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছি। গত বছর ১৬ অক্টোবর খুনের ঘটনাটি ঘটে। এরপর থেকে তারা পলাতক ছিলেন।
তিনি জানান, শিউলী বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন সৌদি আরব থাকায় স্বামীর বন্ধু নবী হোসেনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরই মধ্য ওই নারী তার স্বামীকে তালাক দিয়ে নবী হোসেনকে বিয়ে করেন। মায়ের অসম প্রেম ও দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনাটি সহ্য করতে পারেননি তার ছেলে সাব্বির। তাই পরিকল্পনা করে মায়ের দ্বিতীয় স্বামী নবী হোসেনকে হত্যা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ১৫ অক্টোবর ভাড়াটে খুনি দিয়ে নবী হোসেনকে অপহরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরদিন ১৬ অক্টোবর কৌশলে সাব্বির নবী হোসেনকে দাওয়াতের কথা বলে একটি প্রাইভেটকারে তুলে কুমিল্লায় নিয়ে চলন্ত গাড়িতে তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এ সময় গাড়িতে সাব্বিরের তিন ভাড়া করা খুনি তুষার, সুমন আশিক হত্যায় অংশ নেয়। তারপর নবী হোসের লাশ চট্টগ্রামে চলে আসে তারা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবার পথে মহাসড়কের পটিয়ার মনসা আইডিয়াল স্কুলের পূর্ব-উত্তর পাশে ব্রীজের নীচে নবীর লাশ ফেলে দিয়ে কানিয়ে তারা কক্সবাজার চলে যায়।
পিবিআই’র এ কর্মকর্তা আরও জানান, খুনিরা কক্সবাজার থেকে ভৈরব ফেরত যাওয়ার পর হত্যার পরিকল্পনাকারী সাব্বির গাড়ি ভাড়া বাবদ ১৫ হাজার খুনের জন্য পূর্বের চুক্তি মোতাবেক ৬০ হাজার টাকা আসামি তুষারকে পরিশোধ করে। তুষার সে টাকা থেকে সুমনকে ১৭ হাজার এবং আশিককে ১৮ হাজার টাকা প্রদান করে এবং তুষার নিজে ২৫ টাকা রাখে।
এদিকে পটিয়া থানার পুলিশ পরদিন জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পকেটে থাকা আইডি কার্ড পেয়ে নিহতের পরিবারকে ভৈরব থানার মাধ্যমে খবর দেয়। খবর পেয়ে তার ভাই কবির হোসেন চট্টগ্রাম গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। এরপর কবির হোসেন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করতে চট্টগ্রামের পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
সাক্ষ্যপ্রমাণই বলে দেয় জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন: তথ্যমন্ত্রী
পিবিআই মামলাটি তদন্ত নেয়ার পর এর আগে প্রাইভেটকারের চালক আশিক ও সহকারী সুমনকে ভৈরবের দুটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তারা দুজন চট্টগ্রাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার ঘটনাটি স্বীকার করেন।
আদালতে তারা কীভাবে নবী হোসেনকে গাড়ির ভিতর হত্যা করে পটিয়ার জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে আসে সেই বর্ণনা দেন। এভাবেই নবী হোসেনের খুনের ঘটনাটি উদঘাটন হয়।
মামলার বাদী নিহত নবী হোসেনের ছোটভাই কবির হোসেন বলেন, আমার ভাইকে নির্মমভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে খুনিরা হত্যা করে। শনিবার গভীর রাতে পিবিআই পুলিশ প্রধান খুনি সাব্বিরসহ তার মাকে গ্রেপ্তার করেছে শুনেছি। আমি আমার ভাইয়ের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
পিবিআই জানায়, মা ছেলে গ্রেপ্তারের পর রবিবার বিকালে চট্টগ্রামে এনে আদালতে হাজির করলে আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
শিক্ষক আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
কিশোরগঞ্জের নিকলী জি সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আব্দুল জব্বার মাস্টারের মৃত্যুতে শনিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
গত শুক্রবার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রয়াত আব্দুল জব্বার মাস্টার ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের শিক্ষক। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ৫ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ আর নেই
সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক জাহানারা বেগম আর নেই
বাংলাদেশের বন্ধু সাইমন ড্রিং আর নেই, প্রধানমন্ত্রীর শোক